![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে। অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে? আমি তো সেখানে পূজা করতে যাচ্ছি না, শুধুমাত্র দেখতে যাচ্ছি। গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে।
এব্যাপারে ইসলাম কি বলে?
এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা।আর শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সাথে শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩)
আর শির্কের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন : “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে। (সূরা নিসাঃ ৪৮)।
উমার ইবনে খাত্তাব বলেছেন “তোমরা মুশরিকদের উপসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করোনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে। (বায়হাক্বী)
এখন দেখুন, সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে। আর রাসুল (সাঃ) বললেন- তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়, যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮] .
অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।
ইসলাম ধর্মের সাথে অন্যান্য ধর্মের মূল পার্থক্য একত্ববাদ নিয়ে। ইসলাম এক আল্লাহর প্রভুত্ব মেনে নেয়। আর আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক বা অংশীদার করা বা সমকক্ষকরাকে শিরক বলে।শিরকের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরানে বলেন-“ নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তার সাথে শিরক করার গুনাহ ক্ষমা করবেননা, এছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন”- সুরা নিসা ৪৮।
‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়সহ একটি মহল থেকে “ধর্ম যারযার, উৎস ব সবার” বলে যে আওয়াজ তোলা হচ্ছে তা কুফরী উক্তি। এমন শ্লোগান তোলাটা মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ ধ্বংস করার নানামুখি ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ।
আসুন , আমরা নিজেরা সাবধান হই, আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের শিরকের মত কবিরা গুনাহ থেকে বিরত রাখি।
সূত্র: http://banglamail71.com/religion/news=1405
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: কোন কিছুর ভাল-মন্দ জানার পর আপনি কোনটি বেছে নেবেন সেটাতো আপনার ইচ্ছা।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি মুসলিম হওয়া সত্বেও ওদের পুজায় যাই নিয়মিত