![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- না এটা মায়ানমার নয়, এটা নাইজেরিয়ার ছবি তবে মায়ানমারের অবস্থা আরো অনেক বেশী ভয়াবহ!
আর মায়ানমারের হাজার হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করছে সেদেশের সরকারী ডাকাত আর খুনীরা। সেই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিনা আবার 'নোবল' পুরষ্কার প্রাপ্ত অং সাং সুকী! যে নিয়মিত মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে মুসলমানদের সম্পর্কে। বাংলাদেশের দালাল মিডিয়া অবশ্য এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। তবে ইউরোপ বা আমেরিকায় মানুষ মারা যেত তবে তাদের মাথা গরম থাকত। সেই খবর আমেররিকা বা ইউরোপের পত্রিকায় যতদিন না ফলোআপ প্রচার করা হয় তার চেয়ে বেশী দিন বাংলাদেশে প্রচার করত। কারন বাংলাদেশের মানুষের মাইন্ড চেঞ্জ (বাংলাদেশের মানুষ যেন ইসলাম থেকে দূরে থাকে) করা তাদের মেজর এজেন্ডা।
যাই হোক ফেসবুকের কল্যানে আজ আমরা সব সত্য খবর পাই। মায়ানমারে বা নাইজেরিয়াতে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তার খবরও ফেসবুকেই জানা যাচ্ছে বেশী করে। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর মিথ্যাবাদী দালাল মিডিয়াগুলোকে বিশ্বাস করে না।
বর্তমান মায়ানমারের অবস্থা:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। এপর্যন্ত ৬৯ জন রোহিঙ্গা মুসলমান ছাড়াও দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ১৭ জন নিহত হয়েছে। সিএনএন মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে,‘শুট ফার্স্ট, আস্ক কোশ্চেন লাটার’: ভায়োলেন্স ইনটেসিফাইস ইন রাখাইন এস্টেট। সেখানকার পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হয়ে উঠছে। তবে অন্যান্য সূত্রগুলো বলছে নিহতের সংখ্যা আরো বেশি।
রাখাইন স্টেটে নির্বিচারে গ্রেফতার চলছে, নির্যাতন, লুটপাট ছাড়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে বিচারবহির্ভুত হত্যার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্যাটেলাইট ওয়াচে দেখা যাচ্ছে মংগদু জেলার কেইত ইয়ো ফিন পিন গ্রামে সাতদিন আগে যেসব ঘরবাড়ি দেখা গেছে এখন তা ভস্মীভুত হয়ে গেছে। আক্রান্ত এলাকগুলোতে এনজিও বা সাংবাদিকদের যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে ওসব অঞ্চল থেকে কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। রাখাইনে যা ঘটছে তা আসলে সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
- ওরা যা চায়
রাখাইন অঞ্চলে ৮ থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান থাকলেও তাদের কোনো নাগরিক স্বীকৃতি দেয়নি মিয়ানমার। তারা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে না পেরে কোনো কাজও করতে পারছে না। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জমি বা সম্পদের কোনো অধিকার নেই। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠীর বেশ কয়েক লাখ সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের হামলায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও বছরের পর বছর তাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার। এদের অনেকে সাগরপথে পালিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়ার সময় ক্ষুধা কিংবা নৌকা ডুবে মারা গেছেন।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ শরণার্থী শিবিরে পালিয়ে আসা ১৯ বছর বয়সী রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ তৌহিদ ফোনে এএফপি-কে জানান, ‘তারা (সেনাবাহিনী) আমার চোখের সামনে আমার বোনকে গুলি করে হত্যা করেছে। হামলা চালানোর সময় আমি গোবরের নিচে লুকিয়ে ছিলাম। রাত গভীর হওয়ার পর আমি সেখান থেকে সীমান্তে পালিয়ে আসি।’ তরুণ আরও বলেন, ‘আমি আমার মা-কে বাড়িতে একা ফেলে এসেছি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা, আমি তাও জানি না।’ তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের শতশত ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।
‘গণতন্ত্রপন্থী’ নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিও এর বাইরের কেউ নয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার পরও বাস্তবতায় কোনও হেরফের হয়নি। বরং নির্বাচনের আগে-পরে ফাঁস হয়েছে খোদ সু চির মুসলিমবিদ্বেষের নানা দিক। নির্বাচনে তিনি মুসলমানদের প্রার্থীও করেননি। ‘রোহিঙ্গা’ পরিচয়টিও অস্বীকার করেন সুচি।
উৎস: Mayanmar case
Nigeria case
সবশেষে বলতে চাই-
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আপনার মন্তব্য বাংলাদেশের মিডিয়ার মতই অবিশ্বাস্য সত্য।
ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪০
সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৬
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বাংলাদেশী মিডিয়াগুলোর নীরবতা লজ্জাজনক।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: রোহিংগা মৃত্যুর সংখ্যা একশ তিরিশ ছাড়িয়েছে। রয়টার্স।
রোহিংগাদের নিয়ে একটি লেখা শেয়ার করলাম:
http://blogs.reuters.com/great-debate/2015/06/17/why-is-no-one-helping-myanmars-rohingya/
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৬
কালীদাস বলেছেন: মুসলিম ভাতৃত্ব, মানবতা বহুত দেখাইছে বাংলাদেশ গত চল্লিশ বছর। বছরের পর বছর ঢুকছে এরা বাংলাদেশে, অণ্যায়ভাবে লোকাল জনগণের সাথে মিশে পাসপোর্ট নিয়ে বাইরে গিয়ে কুকাজ করছে দোষ হয়েছে বাংলাদেশের। আর কত? এইবার অন্যান্য মুসলিম ভাইবেরাদর দেশগুলোর কিছু বাল ফালানি উচিত এই পারপাস। এক বাংলাদেশ আর কত?