নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি যেখানে কাঁদায়, সেখানে মানবতার খুব প্রয়োজন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:২৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় একের পর এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড হজম করে যাচ্ছে। যার অনিবার্য পরিণতি গত ৬ বছরে ৫ লাখ সিরিয়ান প্রাণ নিথর, ৭ লাখ পঙ্গু, ৬০ লাখ উদ্বাস্তু, ১০ লাখ পাড়িয়ে জমিয়ে ইউরোপে, বিভিন্ন দেশে ভিক্ষুক হয়েছে আরও ৪ থেকে ৫ লাখ। সিরিয়ার ৪০০ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরবাড়ি, কলকারখানাসহ সম্পদও চুরি যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিনই এসব সংবাদমাধ্যমের খোড়াক হয়ে উঠছে। যেখানকার চিত্র প্রায়শই মানুষকে কাঁদিয়ে যাচ্ছে।
গত শনিবার একটি যাত্রীবাহী বাসে আত্মঘাতী বোমা হামলার সময় তোলা একটা ছবি পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যে ছবিও খোদ হু হু করে কেঁদে উঠছে, যে ছবি হাজার-লক্ষ শব্দের সমান। কয়েক হাজার শব্দ ব্যবহার করে যা বোঝানো সম্ভব নয় তা খুব সহজেই একটি ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব। ২০১৫ সালে তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির মৃতদেহের ছবি যেমন গোটা বিশ্বের টনক নাড়িয়ে তুলেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল আবার সেই সিরিয়াতেই। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয় শিশু ওমরান দাকনিশের দেহ। আহত অবস্থায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে বসে থাকা অবস্থায় তার ছবি তোলেন একজন আলোকচিত্রী। ওই ছবি তুলে ধরেছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা।
আলোকচিত্রীরা বারবার যুদ্ধের ভয়াবহতা সবার সামনে তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হননি তারা। এমনই একজন আলোকচিত্রী আবদ আলকাদের হাবাক। বোমা বিস্ফোরণের সময় আলোকচিত্রী ও অ্যাক্টিভিস্ট হাবাক সেই ঘটনার ছবি সংগ্রহ করছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় হাত থেকে ছিটকে দূরে পড়ে যায় ক্যামেরা। ধাক্কা সামলে ক্যামেরা খুঁজতে গিয়ে দেখেন পাশেই একটি শিশু পড়ে আছে। রক্তাক্ত শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলেন এখনো ক্ষীণ শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে ছুটলেন। সেই ছবি তুলেছিলেন আরেক ফটোসাংবাদিক মুহাম্মদ আল-রাগেব।
সাংবাদিক যেখানে জানত, ঘটমান হামলার কিছু ছবি তুলতে পারলে সে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো বেশ জনপ্রিয় হতেন, কিন্তু তখন ছবি তোলার চেয়ে আহত শিশুদের উদ্ধার করাটাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল। সে সময়ে হাবাকের দেখাদেখি তার সহকর্মীরাও ক্যামেরা রেখে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছিলেন।
হাবাকের এই মানবিকতা আসলেই সাংবাদিকদের করবে নির্মল আলোকিত। আন্তরিকভাবে তার জন্য গর্ববোধ করা যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মযুদ্ধ চলছে: শিয়ারা মারছে সুন্নীদের, কুর্দরা মারছে সুন্নীদের; সুন্নীরা মারছে শিয়া ও কুর্দীদের। ওরা যদি হ্ত্যা বন্ধ করতো, যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধর্মযুদ্ধ চলছে কথাটা একপেশে। হতে পারে তাদের যুদ্ধের একাংশ কারণ ধর্ম। তবে এর মূলে রয়েছে জাতি ও বর্ণগত দুস্তর মরুর বিস্তর ব্যবধান। এখানে ধর্ম শুধু তাদের একটা পরিচয়।

তবে এটা সত্যি যে, যাই চলুক- গৃহযুদ্ধ কিংবা ধর্মযুদ্ধ। হত্যা বন্ধ করলে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেত, এর কোনো বিকল্প নেই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মুসলিম উম্মাহ একতা বদ্ধ হোক মহান আল্লাহর দরবারে এই প্রারথনা ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: প্রার্থনা মঞ্জুর হোক।

হাদিসে আছে, ‘মুসলিম উম্মাহ একটি শরীরের মতো। যেখানে একটি অঙ্গহানি গোটা শরীরের ব্যথার কারণ।’ দুঃখ, আজ আমাদের এই অনুভব নেই। অথচ আমাদের এই আদর্শ অন্যরা অবলম্বন করায় তারা আজ ‘আলোকিত’। এ কারণে সুদূর ইতালি, জাপান থেকে আগত লোক যদি বাংলাদেশে মারা যায়, এ নিয়ে কথার শেষ থাকে না। আর বাঙালি ফেলানীর লাশ যদি সীমান্তের নো-ম্যান্স কাঁটাতারে দিনকে দিন ঝুলে থাকে, আমরা শুধু নাকটা টিপে পাশ কাটিয়ে যাই।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরদেগান নাকি নেতা হয়েছে; সে সিরিয়ানদের যুদ্ধবিরতির জন্য চেস্টা করছে না কেন?

মিডল ইস্ট বাদ দিয়ে, আলজিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ইত্যাদি মিলে ৩০টা মুসলিম দেশ একটা মিটিং করে, যুদ্ধ বিরতির জন্য কাজ করছে না কেন? কারণ, এরা কেহই মানুষ নহে, অমানুষ

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যুদ্ধ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের প্রতীক। এর বিরতি দিলে প্রভূত্ব ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। তখন মানুষ হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাদের দৃষ্টিতে মানুষ নয়, প্রভূ হয়ে বাঁচো। এ কারণেই প্রভূদের উপর্যপরি বিগ্রহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: আমরা মুসলিম জাতিটা বর্তমানে একটা cock sucker জাতি, আমরা সুন্নীরা আম্রিকা ন্যাটোকে ব্লোজব দিতে ব্যাস্ত আর শিয়ারা রাশিয়াকে ব্লোজব দিতে ব্যাস্ত আর এদিকে রাশিয়া আর আম্রিকা মুসলিমদেশদের প্রক্সি ব্যাটলফিল্ড বানিয়ে রেখেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২২

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সেক্স হিউম্যানিটিকে উপজীব্য করে দারুণ বলেছেন। সত্য উচ্চারণ। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সব যুদ্ধের অবসান হোক এই কামনায় করি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২২

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কামনায় সহমত। ভালো থাকবেন প্রিয়।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন:
এই নিরীহ অসহায় মানুষগুলো, বিশেষ করে শিশুদের কথা ভাবলে খুব কষ্ট হয়। যারা ইচ্ছা করলেই এই রক্তস্রোত বন্ধ করতে পারতেন তারা কিছু করছেন না। আমরা চেয়ে চেয়ে মানবতার মৃত্যু দেখছি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আমরা চেয়ে চেয়ে মানবতার মৃত্যু দেখছি। সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.