নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাহিত্যের অবশ্যপাঠ্য কিছু বই (ষষ্ঠ পর্ব)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

বাংলা সাহিত্যের অবশ্যপাঠ্য কিছু বই (পঞ্চম পর্ব) বইয়ের নাম : ‘শুন বরনারী'
লেখক : সুবোধ ঘোষ

সুবোধ ঘোষের বহুবন্দিত উপন্যাস ‘সুজাতা’ তো গোটা ভারতবর্ষে অমরত্ব লাভ করেছে বিমল রায়ের ১৯৫৯ সালের হিন্দি ছবি ‘সুজাতা’-র কল্যাণে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এ যুগের ছেলেমেয়েরা বাংলা সুবোধ ঘোষ তেমন পড়ে না। সুবোধ ঘোষের কর্মজীবন ছিল বৈচিত্র্যময়। কলেজ ছেড়ে টিউশনি, বাস কন্ডাক্টরি, ট্রাক ড্রাইভা্রি–সবকিছুই করেছেন। সার্কাস পার্টিতেও নাকি কিছুদিন ছিলেন। এমনকি কর্পোরেশনে ঝাড়ুদারের কাজও করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার ফসল তাঁর লেখায় স্পষ্ট।

ভাবতে অবাক লাগে যে 'অযান্ত্রিক' এবং 'ফসিল'-এর মতো বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী গল্প অত দ্রুত তিনি কি করে লিখেছিলেন! এই দুটি গল্পের পেছনে যে কাহিনী, সেটি হল, দুটো গল্প একই দিনে লেখা হয়েছিল তরুণ সাহিত্যিকদের ‘অনামী সঙ্ঘ’-র সদস্যদের অনুরোধে। সুবোধ ঘোষের বয়ানে– ‘সন্ধ্যা বেলাতে বৈঠক, আমি দুপুর বেলাতে অর্থাৎ বিকেল হবার আগেই মরিয়া হয়ে সাত তাড়াতাড়ি গল্প দুটি লিখে ফেলেছিলাম।’

সুবোধ ঘোষ জন্মেছিলেন ১৯০৯ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে জেলায়, মৃত্যু ১৯৮০ সালে। সুবোধ ঘোষের লেখা প্রথম ছোট গল্প অযান্ত্রিক, যা ১৯৪০ সালে আনন্দবাজারের বার্ষিক দোল সংখ্যায় ছাপা হয়। প্রথমে শ্রী গৌরাঙ্গ প্রেসে প্রুফ দেখার কাজ পান। এক সময় ওখানে ম্যানেজারের দায়িত্বও পান। সুবোধ ঘোষ কলকাতায় এসে এটা ওটা কাজের মাঝে গল্প লিখতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় দফতরে কাজ পেলেন। আর এখান থেকেই তার সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ।

একসময় সুবোধ ঘোষের 'ভারত প্রেমকথা' বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল, সেই বেস্ট সেলার বইটির বিক্রির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের মতো।

'শুন বরনারী' সহজ সরল একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসকে সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন- অতি সাধারণ উপন্যাসও মুগ্ধ হয়ে বারবার পড়েছি। উদাহরণ, সুবোধ ঘোষের শুন বরনারী। উপন্যাসের কাহিনী এই রকম- হিমাদ্রিশেখর দত্ত ওরফে হোমিও হিমু। পেশায় হোমিও চিকিৎসক। যদিও কেউ তাকে ডাক্তারি করতে দেখেনা। লোকের ছেলেপেলে পড়িয়ে রোজগার চলে। আর,আসল কাজ হচ্ছে পরোপকার, মানে, অমুকের সাথে অমুক জায়গায় যেতে হবে,অমুকের মেয়েকে ট্রেনে করে হোস্টেলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা, অমুক কে তীর্ত্থে নিয়ে যাওয়া, এইসব। না করতে পারে না হিমু। এমন কাজেই ডাক পড়ে তার।

এবার ডাক পড়ল চারুবাবুর বাড়িতে। তার মেয়ে যূথিকা ঘোষকে দিয়ে আসতে হবে পাটনায়। যূথিকার মামী পাটনা থেকে চিঠি পাঠিয়েছেন, নরেন আসছে, যার সাথে যূথিকার বিয়ে হবার কথা। তাই, যূথিকা ঘোষকে নিয়ে ট্রেনে চাপল হিমু। তারপর যা ঘটেছে তা জানতে উপন্যাসটি পড়তে হবে।

পিডিএফ ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন : শুন বরনারী

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কত পৃষ্টা?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বেশি না। ১৫১ পৃষ্ঠা। এক বসায় পড়ে ফেলতে পারবেন। সাথে এক কাপ কফি রাখবেন।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ বইটি সম্পর্কে জানানোর জন্য। পিডিএফ নামিয়ে নিয়েছি পড়বো সময় করে।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: অনুসরনে রাখলাম আরো কিছু অমূল্য বইয়ের ইতিহাস জানতে। +++++++++

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০০

জুন বলেছেন: সুবোধ ঘোষ আমার অনেক প্রিয় একজন লেখক ছিলেন । আপনার উল্লেখিত বই তিনটি ছাড়াও তার অনেক উপন্যাস, ছোট গল্পগুলো অসাধারন ।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: ডাউনলোড দিলাম।

শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ইনি কি সেই সুবোধ ঘোষ (ভুল না হলে) মানুষ গড়ার কারিগর নামক বইটি লিখেছিলেন??

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মানুষ গড়ার কারিগর নামে তার কোনো বই আমি পড়িনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.