নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
চিত্র - ১
শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজের দুইজন শিক্ষার্থী দুই বাসের ওভারটেক প্রতিযোগিতায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। ঝরে যায় দুটি নিষ্পাপ প্রাণ। ঘটনাস্থল অবরোধ। গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ।
চিত্র - ২
শিক্ষার্থীর মৃত্যুশোকে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের বস্তাপচা হাসি। সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীদের ঘৃণার তোপে মন্ত্রী। ফলে নৌমন্ত্রীর ঘোষণা- হাসিই যখন প্রবলেম, আর হাসবো না। একথাতেও হাসি।
চিত্র - ৩
দেশের ছাত্রজনতার বিচার দাবি। সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ঘাতক পরিবহনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানের মুখে পুলিশের লাঠিচার্জ। ফলাফল ছাত্র ভার্সেস পুলিশ সংঘাত।
চিত্র - ৪
আন্দোলনের প্লেকার্ডে সংযুক্তি ‘আমার ভাইয়ের রক্তলাল, পুলিশ কোন চ্যাটের বাল’। এই বলে জায়গায় জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের অনিয়মকে চোখে আঙুল দিয়ে সড়ক পথের সুশৃঙ্খল অবস্থান। ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে শিক্ষার্থীরা গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স চেক ও ফিটনেস চেক। ফলে সমাজের রাঘব বোয়াল ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাংবাদিক-সেলিব্রেটিদেরও মুখোশ উন্মোচন। সোস্যাল মিডিয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
চিত্র - ৫
সুষ্ঠু আন্দোলন ও লাইসেন্স চেক এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার কাজে শনির আখড়ায় ট্রাক ড্রাইভারের বর্বরোচিত মার্ডার এটেইন্ড। সোস্যাল মিডিয়ায় সরাসরি ভিডিও আপলোড। এরিয়াধীন পুলিশ প্রধানের বক্তব্য- ভিডিও পুরোনো। ফলে পুলিশ আবার চ্যাটের বাল।
উপরের পাঁচটি চিত্র আন্দোলনের সুষ্ঠু পদক্ষেপ। সুন্দরভাবেই স্টেপ বাই স্টেপ আন্দোলন চলছিল। গুটিকয়েক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আন্দোলন সফলতার দিকেই ধাবমান। অনেকে বলছেন, লাইসেন্স চেক ও ফিটনেস চেকের সাথে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। কথাটা আমিও কিছুটা সমর্থন করি। কারণ, রমিজ উদ্দীন কলেজের শিক্ষার্থীকে যে ঘাতক পরিবহন ‘হত্যা’ করেছে। সে পরিবহনের লাইসেন্স ছিল, ড্রাইভারেরও লাইসেন্স ছিল। অভাব ছিল লাইন্সেন্স বা রাস্তাজ্ঞানের। আর এই রাস্তাজ্ঞান ছাড়াই বিআরটিএ টাকার কাছে মাথানত করে লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছে, সেটাও একটা দফারফা হওয়া দরকার।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে সড়ক খুড়তে গিয়ে বেড়িয়ে আসতেছে বড় বড় হর্তাকর্তাদের অনৈতিক সড়কযাত্রা। যাদের কাঁধে দেশ ভড় করে আছে, তারাই তলে তলে দুর্নীতির করাত দিয়ে দেশের শেকড় কেটে যাচ্ছে।
তো যাই হোক, আন্দোলনের এই পর্যায়ে হঠাৎ রাজধানীর জিগাতলায় দফায় দফায় ঘাত-প্রতিঘাতের খবর শোনা গেল। পুলিশের সামনেই ছ-ল অদ্যাক্ষরের একটি রাজনৈতিক দল নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ল। চারজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার খবর শোনা গেলেও ব্যাপারটা এখনো ধোয়াশাচ্ছন্ন হয়ে রইল। আর পুলিশরা স্রেফ চ্যাটের বাল হয়েই থাকল।
কারণ, পুলিশের সাথে ছাত্রদের সংঘাত তৈরি করেছে খোদ সরকারই। সরকার জানে, পুলিশ দিয়া ছাত্রশক্তিকে দমায়া রাখা যাবে না। কাটা দিয়ে কাটা তোলার মতো ছাত্র দিয়েই ছাত্র পেটাতে হবে। তাই পুলিশকে চ্যাটের বাল ভূমিকায় অবতীর্ণ করে সরকার আগেই গেমটা খেলছে। যার ফলে পুলিশের সামনেই ওই ছ-ল অদ্যাক্ষরের দলকে মাঠপর্যায়ে ডিফেন্স করতে নামাইছে। এছাড়াও আইন-প্রশাসন ও মিডিয়ার মাধ্যমেও ডিফেন্স করছে। এতেই ক্ষ্যান্ত নয়, ডিফেন্সের আরো কিছু চিত্র দেখেন-
চিত্র - ১
অভিনেত্রী কাজী নওশাবাকে দিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তাকে গ্রেফতার। আন্দোলনের মোটিভ চেঞ্জ করতে সরকারের এহেন কৌশল পুরোপুরি ব্যর্থ।
চিত্র - ২
বিআরটিসি কর্তৃক থ্রিজি, ফোরজি ইন্টারনেট গতি বিচ্ছিন্ন। উদ্দেশ্য, সোস্যাল মিডিয়ার অস্ত্রকে ভোতা করে দেয়া।
চিত্র - ৩
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার ধোয়াশাপূর্ণ গুজব। যদিও কোথাও লিখিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি সরকারের।
চিত্র - ৪
শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজকে সরকার কর্তৃক পাঁচটি বিআরটিসি বাস প্রদান।
চিত্র - ৫
নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান। সরকারের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণে দুই পরিবারই খুশি। প্রেস বিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে যার যার ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফিরে নেয়ার আহ্বান জানায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার। জগতে কার জন্য কী করবেন, যার জন্য চুরি করবেন সেই বলবে চোর!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: এইটা সুন্দর বলেছেন।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: যে কোন সংকটকাল মানুষ চেনার সুযোগ তৈরি করে দেয়। অনেককে চিনলাম।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: এমন অনেক কিছুই চিনবেন, যা চেনেননি আগে।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হুম কথাটি রাইট। "যার জন্য করি চুরি সে কয় চোর!।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: পুলিশ কে ঢাল বানিয়ে দেশে অন্য চক্রান্তই বিরাজমান করছে।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
হাঙ্গামা বলেছেন:
হুম, দুই শিক্ষার্থীর বাবা মায়ের বলা উচিত ছিল "২০ লাখ পাইয়া গেছি, এবার তোমরা আন্দোলন করে দেশ জ্বালায়া দাও"
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: তা না বলুক। তবে বলতে পারত, আজকে আমাদের সাথে যেভাবে বাংলাদেশের সকল ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে, এক ছেলে/মেয়ে হারিয়েছি। লক্ষ ছেলেমেয়ে পেয়েছি। তাহলে রাস্তায় আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা খুশি হত।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
বাকপ্রবাস বলেছেন: চিত্র ৫ : ওদের কথামতো কাজ না করলে জিন্দা লাশ, তায় ওদের শেখানো বুলি আওড়াতেই হবে।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বিশ্লেষন!
সরকার ভুল পথে হাটছে।
আঘাতের ফলে কি হল আজ সব বিম্ববিদ্যায়ের ছাত্ররাও যুক্ত হলো।
সারা দেশৈর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় উপস্থিতর পর কি করবে?
সব ছাত্র মেরে ফেল???
সরকারের একটা কার্যকরী আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং যৌথ ঘৌষনাই পারে সমস্যার সুস্ঠু সমাধান করতে।
আর এটা প্রয়োজন এ জন্যে - এরকম অমীমাংসিত অবস্থায় পরিবহন মাফীয়ার কাছৈ আত্মসমর্পন করা মানে আত্মহত্যাসম।
পরবর্তীতে শ্রমিক/মালিক আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
এমনিতেই নিত্যদিনের হাফভাড়া এবং ষ্টুডেন্ট উস্যুতে বাস উত্তপ্ত হয় প্রতিদিন।
তখন পরিবহন মাফীয়ারা আরো উগ্র হয়ে উঠবে। মানুষ মৃত্যুতো এর মাঝেও থেমে ছিল না।
তাই পরিবহন খাতে শৃংখলা এবং ছাত্রদের দাবী ন্যায্যতার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের উইন উইন সিচুয়েশনে আসতে
নেগোসিয়েশনের বিকল্প নেই।
তাই তাদের প্রতিনিধী দলকে নিয়ে বসে ১০০ তে ৮০ ভাগ দাবী মেনে নিলেও তারা বোধকরি শান্ত ভাবেই ক্যাম্পাসে ফিরে যেত।
আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বোকার মতো কথা বলবেন না।আপনি নিজে কি পারতেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে যে তারা যেন ঘরে ফিরে যায়?
আপনজন হারানোর বেদনা কি মানুষ টাকা পেলেই ভূলে যায়?
০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বলতে পারত, আজকে আমাদের সাথে যেভাবে বাংলাদেশের সকল ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে, এক ছেলে/মেয়ে হারিয়েছি। লক্ষ ছেলেমেয়ে পেয়েছি। তাহলে আনন্দে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা খুশি হত।
এছাড়াও এই আন্দোলনে আরো যে কতগুলোর প্রাণ ঝড়ে গেল, সেগুলোর ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
রাকু হাসান বলেছেন: আজকের অবস্থাও খারাপ
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কে জানে ঘটনা কোন দিকে মোর। আজকে দেখি আমার বন্ধু ছোট্ট ছেলেরাও রাস্তায় নেমেছে। তারা মা বাবাকে বাধ্য করেছে । আমার পোস্টে দেখতে পারেন ।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই আন্দোলনে আরো যে কতগুলোর প্রাণ ঝড়ে গেল, সেগুলোর ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
তাতো অজানাই রয়ে গেল!!
১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা মিলিটারীর সাথে মরনপণ যুদ্ধ করে এখানে এসেছেন; উনার বাবাকে হত্যা করার পর, যারা মিলিটারীকে সাহায্য করেছে, যারা তাদের ভোট দিয়েছে, সেই লোকগুলো সম্পর্কে, শেখ হাসিনা ও আপনার দৃষ্টিভংগি এক নয়; মিলায়ে দেখেন
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
এটম২০০০ বলেছেন: Chatro League,
Have a look at the “children in movement for stopping murders by the drivers” on Bangladeshi road.
Do not try to commit any hard to them as per advise of your leader. It is a caution for you.
REMEMBER: They are the dearest sons and daughters of Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats and so on.
Do something to them, and you will face the consequences.
DEFINITELY THE Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats ARE WORRIED FOR THEIR CHILDREN ENGAGED IN JUST MOVEMENT. But they cannot say anything because they cannot breach discipline. But if any of their dear children are lost ....... they would see. .
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
শায়মা বলেছেন: চিত্র- ৫
তার ছেলেমেয়ে আর তার নেই।
তারা এখন এই দেশের ছেলেমেয়ে। সবার ভাই ও বোন।