নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যতক্ষণ আপনি টেস্ট করাবেন না, ততক্ষণ আপনি করোনা আক্রান্ত নন

২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

ঘুম থেকে উঠে প্রথমে জ্বর জ্বর অনুভব হলো। তারপর দেখলাম গলাটাও শুকিয়ে কাঠ, ব্যথা অবশ্য বেশি নেই। তবে খড়ায় চৌচির অবস্থা। শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থিতে মৃদুব্যথাও আছে। তার উপর লেগে আছে সর্দি। যার অনিবার্য কারণে একটু পর পর হাঁচি তো আছেই। এই যে এতটুকু লিখছি, দুই বার হাঁচি দিলাম।

এমনি দিন হলে এগুলো আমলে নিতাম না। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন কাজের প্রতিফল-প্রতিক্রিয়া হিসেবে মেনে নিতাম। যেমন, গতকাল রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশ ছিল শীতল, সাততলার জানালা খোলা আর ফ্যান ছিল ফুল স্পিডে। রাতে শীত শীত লাগলেও কাঁথা পাইনি হাতের কাছে। এই কারণে জ্বর জ্বর ভাবনা খুবই স্বাভাবিক।

গলা শুকিয়ে যাবার কারণ ধরা যায় সর্দি। নিঃশ্বাস নিতে হয়েছে মুখ দিয়ে। যার কারণে গলা শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া এই সর্দির কারণে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতে না পারায় রাতে মনে করেছিলাম শ্বাসকষ্টের জটিলতা।

কয়েক দিন চোখে ঘুম নেই। বিভিন্ন আতঙ্ক আর পেরেশানিতে দিন গুনছি। এই কারণে সর্দি বেধে যাওয়া আমার নিত্যকার ব্যাপার।

এসব তো গেলো শরীরের বাহ্যিক উপসর্গ। কিন্তু মনের ভেতরের খবর জানেন?

মনের ভেতরে রয়েছে আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। তাই শরীরে কিছু হেরফের দেখা দিলেই ওই আতঙ্কের সাথে মেলাতে শশব্যস্ত হয়ে পড়ছি।

এটা হচ্ছে আমাদের স্পিরিটের কারণে। স্বাভাবিক গতির চেয়ে আমাদের অনুসন্ধিৎসু মন আরো বেগপ্রবণ এবং তড়িৎক্ষরণ।

উদাহরণ দিয়ে বুঝাই, একটা লোক ২০ বছর পর জানতে পারলো, সে বিগত বিশটি বছর ধরে ক্যান্সার পুষে আসছে। আরেকটি লোক তার ক্যান্সার হয়েছে শোনার চার মাসের মাথায় মারা গেলো। জানি উদাহরণটি যুৎসই নয়, সবার ক্যান্সারের স্তর যদিও এক থাকে না। তবে কথা হলো, দ্বিতীয় ব্যক্তি ক্যান্সারের খবর শোনার পর আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল৷ অথচ প্রথম ব্যক্তি ২০ বছর অনায়াসে ক্যান্সারের সাথে বসবাস করছেন, কোনো ধরনের আতঙ্ক ছাড়াই। কারণ, তিনি তা জানতেনই না।

ইন্টারনেট আমাদের অনুসন্ধিৎসু আর কৌতুহলী করে তুলছে। যার কারণে হাতের মুঠোয় পুরো বিশ্বকে পেয়ে যাচ্ছি আর এই কৃত্রিম বিশ্বকে নিয়ে ভাবছি। তার উপর এখন তেমন কাজের চাপ নেই। তাই সারাদিন পড়ে আছি এই ইন্টারনেটের মাগনা দুনিয়ায়। ফলে ইতালির খবরটাকেও মনে হচ্ছে আমাদের বাড়ির পাশের ঘটনা। একারণে আমরা যত দ্রুতগতিতে খবর পাচ্ছি, তারচেয়ে বেশি দ্রুত আতঙ্কিত হচ্ছি। এই আতঙ্কিত হওয়া আপনাকে ধীরে ধীরে কবর নিতে পারে। কারণ, ধরুন আপনি হয়ত করোনা আক্রান্ত। কিন্তু ভাইরাসটি আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে পেরে উঠছে না, কিন্তু যখনই আপনি আতঙ্কিত হবেন ভাইরাসটি তখন আপনার মাঝে জেঁকে বসবে।

তাই একটু নির্ভার থাকুন। ভাবুন, বাংলাদেশে কোনো করোনা শনাক্তের মেশিন নাই। মনে রাখবেন, যতক্ষণ আপনি টেস্ট করাবেন না, ততক্ষণ আপনি করোনা আক্রান্ত নন। ঘরের ভেতরে থাকুন, নিয়ম মেনে চলুন। অযথা আতঙ্কিত হবেন না। দেদারছে বেঁচে চলুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুষের অভ্যাস খারাপ।
তারা ঘরে থাকতেই চায় না।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.