নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
চীন হচ্ছে একটি একদলীয় শাসনাধীন সরকার ব্যবস্থায় পরিচালিত দেশ। অর্থাৎ মিলেটারি ডিক্টেটরশিপ চলে এদেশে। চাইনিজরা খুব একটা বৌদ্ধও নয়। এরা ঠিক কোনো ধর্মের ধারে কাছে ঘেষে না, নাস্তিকমতো চালচলন এদের। এদের অভিধানে 'রিলিজিয়ন' শব্দটি নেই। ধর্ম কী জিনিস, সেটা এরা না জানে, না জানায়। এরা শুধু বুঝে 'টাকা' বা 'রিনমিমবি' (আরএমবি/ ইউয়ান)।
এখানে জনমত প্রকাশ করা নিষেধ। প্রকাশ্যে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা একটি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। দেয়ালে কোনো পোস্টার সাটকানো বা দেয়াল লিখনও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। এমনকি চীনে 'উচ্চস্বরে কথা বলা' বা 'সাউট' করাও একটা ফৌজদারী অপরাধ। রাষ্ট্রে যে কোনো নির্দেশনা বিনাবাক্য ব্যয়ে পালন করা 'ফরজ'। চাইনিজরা রাষ্ট্রের নির্দেশের বাইরে কোনো কিছু বলা বা করার কথা চিন্তাও করতে পারে না। সেদেশে আইন ও তার বাস্তবায়ন হয় লিখিত আকারে অক্ষরে অক্ষরে।
যখন উপর্যুক্ত গুণাবলীর দেশটিতে করোনা মহামারীরূপে ছড়িয়ে পড়ে এবং সরকারও বুঝতে পারে এটি একটি বড় মহামারী; সঙ্গে সঙ্গে চীন সরকার কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল করোনার প্রাদুর্ভাব দমনে। চলুন, দেখে নেয়া যাক :
১। ১৫০ কোটি মানুষ এবং বিদেশীরাও যে যেখানে যে স্থানে যে অবস্থায় রয়েছে সেখান থেকে কেউ মুভ করতে পারবে না। মূল ভবন থেকেই বাইরে বের হতে পারবে না; প্রয়োজনে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে বলা হলো।
২। ঘোষণা দেয়া হলো, কার বাসায় কী কী খাবার প্রয়োজন, তার একটা ফিরিস্তি দিতে। এবং প্রতিটি বাড়িতে যার যা দরকার তা সরকারিভাবে পৌঁছে দেয়া শুরু হলো। অর্থাৎ জনগণের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান নিরাপদ করা হলো; বিদেশীদেরও। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ নির্ধারিত স্থানে 'অবরুদ্ধ' হয়ে গেল। ইতিমধ্যে লাখ লাখ কোম্পানি, ফ্যাক্টরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছুই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
৩। অসংখ্য অস্থায়ী হসপিটাল তৈরি হয়ে গেল সপ্তাহান্তে। অতিরিক্ত ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দেয়া হলো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হলো। ঘরের বাইরের পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীও নামানো হলো। আর চাইনিজরা যেহেতু সরকারি নির্দেশের বাইরে খুব একটা যায় না এবং সরকারও জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করছে; সেহেতু মানুষও সরকারকে সহায়তা করলো সর্বাত্মকভাবে।
৪। অসুস্থদের হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে এবং বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হলো। মৃতদের পুড়িয়ে দেয়া হলো। চীনে পুড়িয়ে দেয়ায় বা কবর দেয়ায় কিছুই যায় আসে না, ধর্মহীন মানুষের আবেগ কম থাকে।
করোনা ভাইরাসকে নির্মুল করতে চীন প্রথম মাসেই এই জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কাজেই আক্রান্তের সংখ্যাটি কমতে শুরু করলো। ৮২ হাজারের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা সীমিত হয়ে গেলো। যদিও ৩ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে, তবুও রিকভার হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে অনেকেই।
এবার যখন নতুন করে আর আক্রান্ত হবার সুযোগ থাকলো না, তখন তারা নিশ্চিত করলো যে, বিদেশ থেকে কেউ চীনে ঢুকলে তাকে এয়ারপোর্টেই প্রথমে করোনা টেষ্ট করা হবে। এই প্রেক্ষিতে যদি তার টেস্টে করোনা পজেটিভ হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওখান থেকেই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে তাকে হয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় অথবা ব্যক্তিগত উপায় থাকলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৪-দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে আবদ্ধ থাকতে হবে। এভাবে তার ঘরে তালা মেরে দেয়া হলো, যেন সে বাইরে যেতে না পারে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের ব্যবস্থা করা হলো সরকারি পর্যায় থেকে।
এভাবে চীন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলো। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ আমেরিকা কেন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলো না?
উত্তরটি খুব সহজ। প্রথমত, আমেরিকায় গণতন্ত্র, পূর্ণ নাগরিক অধিকার এবং মানবাধিকার অত্যন্ত বেশিমাত্রায় ভোগ করা যায়। সরকার চাইলেই জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। সরকারি নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তাকে 'জরিমানা' করা হয়; কিন্তু গ্রেফতার করা যায় না, গায়ে হাত তোলার কোনো নিয়ম নেই- এতে পুলিশেরই চাকুরি চলে যাবে।
২। ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে 'টাকা ছাড়া আর কিছু বুঝে না' বিধায় সে আমেরিকাকে 'অচল' করতে চায় না; সে সিদ্ধান্তহীনতা অথবা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে ভাইরাসটি স্প্রেড হবার সুযোগ করে দিয়েছে।
৩। যখন ওয়াশিংটন স্টেট বা ওরগেন স্টেটে করোনা ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা দিলো, মানুষ আক্রান্ত ও মরতে শুরু করলো- তখনও ট্রাম্প নীরব। জনবহুল নিউইয়র্ক সিটিতে যখন আক্রমণ শুরু হলো; তখনই গভর্নর চিপায় পড়ে সে বাধ্য হলো প্রথমে একটা হসপিটাল শীপ পাঠাতে; এরপর অত্যন্ত আস্তে আস্তে সে বিভিন্ন কাজকর্ম করা শুরু করলো।
৪। যে করোনা ভাইরাসটি এতটা মহামারী রূপ নিতে পারে, সেটাকে নিয়ে গবেষণা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ টিকা আবিস্কারের জন্য ট্রাম্প কংগ্রেসের কাছে চাইলো মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার; কিন্তু কংগ্রেস মুহুর্তেই তার হাতে তুলে দিলো ৮.৬ বিলিয়ন ডলার; তারপরই গবেষণা শুরু হলো। সব কিছুতেই তার দেরি ও ভাড়ামী ভাব আছেই।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন সবচেয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: দেখা যাক...
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: টিভিতে স্ক্রল দেখলাম, ঢাকাতে বেশ কয়েকটি মসজিদের ইমাম সাহেব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আক্রান্তের মধ্যে মসজিদ কমিটির সদস্যও আছে। এরই মধ্যে অনলাইন নিউজপোর্টালে দেখলাম আরেক ভংয়কর সংবাদ : ১৫ জন মওলানা সারাদেশে মসজিদ উন্মুক্ত ক'রে দেবার জন্য বিবৃতি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদে দেখলাম, সৌদি রাজপরিবারের ১৫০ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মসজিদে যেদিন প্রথম বলেছিল, এই ছোট্ট করোনা ভাইরাস কাউকে চেনে না। না গরিব, না ধনী। সে তার এটাও বলা উচিত ছিল, এই ভাইরাস কোনো জায়গাও চেনে না। না মসজিদ, না বাজার।
এসব মাওলানাদের একটা তালিকা করে করোনা পরবর্তী কালের জন্য ঝুলায়া রাখার ব্যবস্থা করা দরকার।
রাজতন্ত্রের নিয়ম এইটা, বাপের পরে ছেলে, ছেলের পরে নাতি...
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমাদের দিন দিন যে অবস্থা হচ্ছে তাতে এখন আসলে অন্যদের নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই ।
তবে আক্তান্ত দেশগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যেন আমাদের অবস্থাও তাঁদের মত না হয় । এখনও সময় আছে মহামারী ঠেকানোর ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অন্যদের থেকে শিক্ষা নেয়াটাই আসল কথা।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
rezaul827 বলেছেন: যুক্তিযুক্ত কথা।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চীনে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা কত?
লাশ পোড়ানর চেয়ে কবরস্থ করা অধিক স্বাস্থ্যকর।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৭
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: চীনে মৃতদের সরকারি পরিসংখ্যান মতে প্রায় ৪ হাজার। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা অজানা।
চাইনিজরা যা খায়, সেটাও খুব বেশি স্বাস্থ্যকর না।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩২
অনল চৌধুরী বলেছেন: সব সমাজতান্ত্রিক দেশের মতো চীনের রাষ্ট্রধর্ম নাস্তিক্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হ্যাঁ। তবে তারা নাস্তিক্যটাও ধর্মের মতো করে পালন করে না। তাই এটা কতটুকু রাষ্ট্রধর্ম, প্রশ্ন রেখে যায়...
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৩
রাফা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন আমার কাছাকাছি । মোটামুটি ধারনা দিতে পেরেছেন। ফেব্রুয়ারীর কোন এক সময় আমি একটি মন্তব্যে বলেছিলাম ।করোনা বিষয়ে ভারত কিংবা আমেরিকাকে অনুসরণ না করে এখনি চিনের নীতি অনুসরণ করা উচিত বাংলাদেশের।
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ন্যুনতম প্রস্তুতি গ্রহণ করে নাই।এতদিন শুধুই টেলিভিষনের পর্দায় উপস্থিত কথার ফুলঝুরি ছরিয়েছে সবাই।যথাযথ কতৃপক্ষ এটাকে আর দশটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মত মনে করে কিছুই করে নাই।সেই আল্লাহর উপর ভরসা করে মনে করেছে কি আর হবে ।ঝড়ের মতই কেটে যাবে মনে করেছে।
আত্মহত্যা করার সকল প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে প্রিয় বাংলাদেশ।সরা দেশে একশত আইছিইউ কিংবা ৫০টা ভেন্টিলেটরও কার্যকর নেই।টেস্টকিট'তো বাদই দিলাম।পিপিই ও নেই সাপ্লাই করার মত।অথচ হাজার হাজার গার্মেন্ট'স রয়েছে বাংলাদেশে।এমনকি বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানিগুলোও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।আসলে বলে শেষ করা যাবেনা।পুরো হ য ব র ল অবস্থা করে রেখেছে।
এখন ঐ কাঠমোল্লাদের পথেই যাচ্ছে দেশ ।আল্লাহ ভরসা বলে বসে থাকাই তাদের কর্তব্য বলে সঠিক পদক্ষেপ মনে করছে।এটাই তাদের সর্বোচ্চ এবং সর্ব নিম্ন প্রস্তুতি।এই সংগ্রামে ব্যাক্তিগতভাবে যারা ভালো করবেন তারাই ভালো থাকবেন এমন কোন গ্যারান্টিও নেই।আপনি শতভাগ প্রিকশন নিলেও অন্যের জন্য বিপদে পরতে পারেন।
ধন্যবাদ,আপনার উপলব্দি-মূলক পোষ্টের জন্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: একটা ভালো পদক্ষেপ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকে। একটা ভুল পদক্ষেপ সমাজের কালো অধ্যায় হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২০
বংগল কক বলেছেন: পোষ্ট করোনাপটিক সোসাইটি নিয়া কিছু লিখতে পারেন।