![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন আগের কথা। আমরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কি একটা অনুষ্ঠানে ফেনি জেলার বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ ঢাবি ক্যাম্পাসে এসেছে। হঠাৎ একটা স্লোগান আমাদের কান আকর্ষণ (!!!) করল। তা হলো “হেনি কলেজের টিয়া লই ছুদুরবুদুর ছইলত্য ন্য” (মানে ফেনি কলেজের টাকা নিয়ে চুদুরবুদুর চলবে না। আমাদের ফেনির একজন বন্ধু ছিল (এখনও আছে)। ওকে আমরা ঐ কথা বলে খুব ক্ষ্যাপাতাম।
আজ অনেকদিন পড়ে আবারও ‘চুদুরবুদুর’ শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে বিএনপি সাংসদ রেহানা আখতার জাতীয় সংসদে ফেনির আঞ্চলিক ভাষায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। কথাটি সংসদে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। মজা এখানেই শেষ নয়। ঝামেলা বেঁধেছে এই কথাটি সংসদীয় কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেয়া হবে কি না তা নিয়ে। সরকারদলীয় সংসদেরা অসংসদীয় ভাষা হিসেবে করে এটাকে এক্সপাঞ্জ করার দাবী তুলেছিলেন। এদিকে স্পীকার পরেছেন মহাবিপদে। চুদুরবুদুর শ্লীল না অশ্লীল, এখনও মীমাংসা করতে পারেনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। শব্দটি নিয়ে অধিবেশন লাটে ওঠার উপক্রম হওয়ায় স্পিকার শীরিন শারমিন চৌধুরী গত রোববার জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা করে দেখা হবে, চুদুরবুদুর অশ্লীল হলে কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বিএনপি সাংসদ আশিকা আশরাফি পাপিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, “কলকাতার আনন্দবাজার পড়ুন। দেখুন ওই শব্দের অর্থ সবিস্তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিশিষ্ট ভাষাবিদরা জানিয়েছেন, চুদুরবুদুর আদৌ অশালীন ভাষা নয়।” পাপিয়া বলেন, তার সতীর্থ রেহানা আখতার ফেনির আঞ্চলিক ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে যে আক্রমণ শানিয়েছেন, কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেয়া অযৌক্তিক।
স্পিকারকে সে সময়ে মুচকি হাসতে দেখা যায়। শাসক পক্ষের প্রবল দাবির পরেও শব্দটি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ না পড়ায় চুদুরবুদুর শব্দটি বিএনপি মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বুধবার ঢাকায় বিএনপি-র জনসভায় একাধিক নেতা তাদের বক্তৃতায় শব্দটি ব্যবহার করেন।
তাই আমাদেরও দাবী, ‘জনগণের স্বার্থ নিয়ে চুদুরবুদুর চলবে না’।
লিঙ্ক দেখুনঃ Click This Link
©somewhere in net ltd.