![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরিয়া গত দুবছর হলো গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। হাজার হাজার মানুষ মরছে সেখানে। সিরিয়ার মানুষ একনায়কতন্ত্রের অবসানে আরবের অন্যান্য দেশের মত আন্দোলন করে আসছে বছর দুই হলো। কিন্তু তারা কোন সুবিধে করে উঠতে পারছে না। কেননা বিশ্ব মোড়লদের রুটি ভাগাভাগি এখনো ফাইনাল হয়নি। মানে সিরিয়া আক্রমণ করলে কার কতটুকু লাভ হবে এটা এখনো ঠিক হয়নি। এদিকে মিঃ আসাদ তার নিজের দেশের মানুষগুলোকে কচুকাটা করেই যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গণতন্রের বাঁশিওয়ালাদেরকে দূর থেকেই বুদ্ধি-শুদ্ধি ও অস্ত্র বিক্রি করেই ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে। তবে ইদানিং যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে মনে হয়। গণতন্তের মহান মোড়ল (???) আমেরিকা মানবতার এ হেন লংঘন কিছুতেই বরদাশত করতে পারছে না! কেননা বিষাক্ত গ্যাস, পারমানবিক বোমা মেরে মানুষ মারার অধিকার একমাত্র তাদের!! কার এত হিম্মত তাদের এ অধিকারে (!!!) ভাগ বসায়? নাহ! কিছুতেই ছাড়া হবে না অর্বাচীন বাসারকে?? এর উচিত জবাব তাকে দিতে হবে। এবার যুদ্ধ শুরু হবে…কিন্তু সবসময়ের পা-চাটা ব্রিটিশ সরকার তাদের একটু ঝামেলায় ফেলে দিল। এখন কি করবে আমেরিকা?? না না। এর উত্তর সময়ই বলবে। আমার আলোচনা রাজনীতির প্যাচ নিয়ে নয়। আজ বলব ইসলাম ধর্মের কিছু অবিশম্ভাবী ঘটনা নিয়ে।
নবী করিম (সাঃ) এর যুগে বর্তমান লেবানন, জর্ডান ও অধিকৃত ফিলিস্তীন সমন্বিত রাস্ট্রকে এক বাক্যে শাম বলা হত। শাম নবীদের ভূমি, শাম পুনরুত্থানের ভূমি। শামের মুসলমানদের জন্য আভিজাত্যের কথা বর্ণিত হয়েছে। নবী করিম (সাঃ) বলেন, “শাম-বাসী যখন বিনাশের সম্মুখীন হবে, তখন উম্মতের জন্য কোন কল্যাণ বাকী থাকবে না। আমার উম্মতের একদল লোক সর্বদায় বিজয়ী থাকবে, কেয়ামত অবধি বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোন-ই ক্ষতি করতে পারবে না”।
এ কারণেই নবীজী (সাঃ) শামে বসবাসের ফযিলত বর্ণনা করেছেনঃ আবু দারদা রাঃ থেকে বণিত নবী করিম (সাঃ) বলেন, “বিশ্ব-যুদ্ধকালে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠংশ শামের দামেস্ক শহরের আল গুতা প্রান্তরে থাকবে”। (মুসনাদে আহমদ)।
হাদিসে বিশ্বযুদ্ধ বলতে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যকার সর্বশেষ বৃহৎ যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে।
বর্তমানে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের প্রসিদ্ধ একটি শহরের নাম হচ্ছে আল-গুতা। বিশ্বযুদ্ধটি ইমাম মাহদীর কিছু পূর্বে, মাহদী জামানায় বা ততপরবর্তীকালেও সংঘটিত হতে পারে। এক সাহাবী হিজরতের পরামর্শ চাইলে নবীজী (সাঃ) শামের দিকে ইংগিত করেছিলেন।
বাহয বিন হাকীম, তার পিতা-পিতামহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বললাম হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে কোন দিকে হিজরতের আদেশ দিবেন? নবীজী (সাঃ) বললেন- ওই দিকে!!(হাত দিয়ে শামের দিকে ইশারা করলেন)”। (তিরমিযী)
কেয়ামতের পূর্বে অধিকাংশ মুসলমান হিজরত করে শামে চলে যাবে। আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) বলেন, “এমন এক কাল আসবে যখন সকল মুমিন-মুসলমান শামে গিয়ে মিলিত হবে”। (ইবনে আবি শাইবা)
ঈসা আঃ এর আগমন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইবনে কাছির রহঃ বলেন, “প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে ঈসা আঃ দামেস্কের পূর্বাঞ্চলে সাদা মিনারের সন্নিকটে অবতরণ করবেন”...। এটি কোন মসজিদের মিনার নয়; বরং শহরের প্রবেশদ্বারে এটি নির্মিত। যে কয়েকটি মত আছে তার প্রায় সবগুলোতেই দেখা যায় ঈসা আঃ দামেস্কেই অবতরণ করবেন। তবে আল্লাহই ভাল জানেন। আর একটি তথ্য হলো ঈসা আঃ দাজ্জালকে এই শাম দেশেই কতল করবেন।
এমন এক মহান দেশ শাম। আজ সেখানে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আল্লাহই জানেন কি হবে এর ভবিষ্যত। কেয়ামতের বড় বড় লক্ষণ অনুযায়ী বলা যায় কেয়ামত এখনো দূরে আছে। তবে খুব বেশী দেরি-এটাও বলা যায় না।
সকল পাপাচার, ফেতনা-ফাসাদ, অনিস্ট থেকে আল্লাহ পাক সকল মুমিন-মুসলমানদেরকে হেফাযত করুন- আমিন! আমিন!! আমিন!!!
(লেখাটি কিং সউদ ইউনিভার্সিটি শিক্ষক ডঃ মুহাম্মদ বিন বিন আব্দুর রহমান আরীফী-র লিখিতি “মহাপ্রলয়” বইয়ের অনূকরণে লিখিত।)
©somewhere in net ltd.