নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন তো হলো। এখন কি হবে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

...অবশেষে সমাপ্ত হলো ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিভাবে হলো, কত শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করল, বেশীরভাগ মানুষ কেন অংশগ্রহণ করল না, কত প্রাণ অকালে ঝড়ে গেল, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না, আওয়ামী লীগ কতদিন থাকবে ক্ষমতায়, বিএনপি-র কৌশল এখন কি হবে, বাংলাদেশের মানুষ তথা গোটা দেশের ভাগ্যে আরো কত যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে-ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়েই গ্রামের ছোট্র চায়ের দোকান থেকে গুলশান হয়ে খোদ গণভবন-বঙ্গভবন পর্যন্ত আলোচনা-সমালোচনা-পর্যালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এদের মাঝে আছে বিভিন্ন ক্ষমতাধর দেশ বা সংস্থা। এরাও তাদের হিসেব মেলাতে ব্যস্ত।



আমি খালি ভাবছি, ‘আমাদের এই ছোট্র সোনার বাংলাদেশ কত বুভুক্ষ মানুষের মরণ ক্ষিধা মিটাবে?’

চলুন দেখি অনুমান করি নির্বাচনের পরে কে কি ভাবছে।



আওয়ামী লীগ ও তার জোট তথা সরকারীদল তথাঃ



দলে মহান নেতাদের কথা শুনে মনে হলো নির্বাচন ক্যাম্নে হলো এটার চেয়ে বড় কথা হলো, নির্বাচন হলো তো! যেন অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচা। এখন তাদের প্রথম পরিকল্পনা ও চেস্টা হবে কতদিন টিকে থাকা যায় তা নিয়ে। খুব সহজে যে তারা নামবে না তা তাদের কথা, তাদের আচরণ, তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। কেন আমার এমন মনে হচ্ছে? এটা দিবালোকের মত পরিস্কার যে, কাল সারাদিন ভোটার উপস্থিতি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের কম। সঠিক হিসেব হলে এটা কোনমতেই ১৫%-১৮% এর বেশী হবে না। কিন্তু নেতারা পরিস্কার বলে দিলেন, ‘সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিতে আমরা সন্তুস্ট। তোফায়েল সাহেব মোটামূটি বলেও দিলেন, (বিবিসি কে)’৪০% এর উপরে ভোট পড়েছে’। ব্লগার ভাই-বোনেরা আপনারা কি তার কথার সাথে একমত? শতকরা হারের কথা এমনি এমনি বলা হয়নি। বিশেষ একটা উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে। উদ্দেশ্যটা একটাই, তাহলো অনেক দিন থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করে রাখা।



একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, সাংবিধানিকভাবে হয়ত নির্বাচনকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। করলেও বের হয়ে আসা যাবে। তাই আমার মনে হয় সংবিধানের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকারী দল আত্বরক্ষা করার প্রাণান্ত চেস্টা চালাবে। ঠিক যেমনটি তারা এতদিন করে আসছিলেন।



বিএনপি ও তার জোট তথা বিরোধী দলঃ



তারা মোটামুটি খুশি নির্বাচন নিয়ে। খুশি দু’টি কারণে। প্রথম কারণ, অবশ্যই খুব সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতির কারণে। এটা তাদেরকে আরো জোরদার আন্দোলনের খোড়াক জুটাবে। দ্বিতীয়তঃ নোংরা রাজনীতির কলঙ্ক আওয়ামী লীগের গায়েও লাগিয়ে দেয়া। যেটা এর আগে এরশাদ ও তাদের ছিল। যাইহোক, তাদের বক্তব্য, ‘জনগণ ঘৃণাভরে নির্বাচন প্রত্যাক্ষান করেছে’। তবে তাদের যে জনগণ খুব ভালবাসে এটাও কিন্তু ঠিক না। জীবনের মায়া কার নেই! সরকারী দলের মতিগতি বুঝতে পেরে তাদের খুশি বেশীক্ষণ থাকেনি। একটা কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন ‘সরকার পতনের’ আসল কাজ বাকী। তাই জাবর কাটার মত সময় তাদের হাতে নেই। সরকারী দলকে বিরতিহীনভাবে চাপে রাখার কৌশল নেবে এরা। এর প্রমাণস্বরুপ তারা অবরোধের পাশাপাশি হরতালও দিয়ে দিয়েছে। তারা পুরো দেশকে আরো অস্থির করে তুলবে। এসব করার কারণ ওই একটাই। ক্ষমতায় যাওয়া। জামায়াতের উদ্দেশ্য অবশ্য ভিন্ন। তারা তাদের নেতাদের নিশ্চিত মরণ থেকে বাঁচানোর জন্য শেষ কামড় দিবে। আমার ধারণ সফলতার মুখ তারা দেখবে না।



বিদেশী বন্ধু(?)রাস্ট্র ও সংস্থাগুলোঃ



মাশাআল্লাহ, বাংলাদেশের এখন অনেক বন্ধু রাস্ট্র হয়েছে। যদিও বন্ধুত্বের মূল্য আমরা চুকাচ্ছি ভালভাবেই। যাইহোক, এই অংশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কুশিলব যথারীতি আমেরিকা। অন্যান্য দেশ বা সংস্থা মোটামূটি আমেরিকার কথা শুনবে বলে মনে হয়; একমাত্র ভারত ছাড়া। ভারত নাকি আবার অন্যান্যদের চেয়ে আমাদের বেশী বোঝে! আমাকে মাফ করবেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল।

এক বন্ধু আরেক বন্ধুর সাথে আলাপ করছে। প্রথম বন্ধুঃ জানিস দোস্ত, আমার বউয়ের লিপস্টিক-এর গন্ধ খুব মিস্টি। ২য় বন্ধুঃ কেমন যেন কমলার মত, তাই না?

যাইহোক, নির্বাচন তো হয়ে গেল। কিন্তু এটা হজম করার কাজ এখনো বাকী আছে। এখন চলবে হজম প্রক্রিয়ার কাজ। গুরুপাকের পর হজম করার জন্য কেউ কেউ ‘হাজমলা’ খেয়ে থাকেন। এখানে আমেরিকা নামক মহাশক্তিধর ঐ হাজমলা হিসেবে কাজ করবে। গত কিছুদিন ধরে ইয়াঙ্কিদের আচার-আচরণে মনে হয়েছে এরা আওয়ামী লীগের প্রতি খুবই নাখোশ। এদের বশে আনা খুব একটা সহজ হবে না। নো চিন্তা। বন্ধু আছে না? শুধু তো লিপস্টিকের গন্ধ নিলেই হবে না। কিছু কাজও তো করতে হবে। তারা সরকারী দলের জন্য হজমের দাওয়াই যোগাড় নিশ্চিত করা এবং লিপস্টিকের গন্ধ পাওয়া চালিয়ে যেতে একাট্রা হয়ে দেন-দরবার করবে। এর মধ্যে খবরে প্রকাশ হয়েছে যে, বন্ধুটি ইতিমধ্যে তা শুরু করে দিয়েছেন (বিবিসি)।



একটা বিষয় খেয়াল করতে হবে। আওয়ামী লীগ কিন্তু বিএনপি-র আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছে না। শিবির রাস্তায় না নামলে হরতাল-অবরোধের চিহ্নই থাকে না। তাই শুধু তাদের ‘ব্যবস্থা’ তারা করতে পারবে বলে তারা বিশ্বাস করে।



তাদের সবচেয়ে বড় চিন্তা বৈধতা নিয়ে। সরকারী দল কি পারবে বৈধতা আনতে? এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যদি তারা যেকোন উপায়ে ভারতের সাহায্যে এটা করতে পারে তবে বিএনপি-র কপাল পুড়বে। আর জামায়তের অবস্থা কি হবে এটা অনুমান করার প্রয়োজন নেই।

বাংলাদেশের আর কি কি দিতে হবে নির্বাচনকে বৈধতা দানের বিনিময়ে? এখানেই সব রহস্য লুকিয়ে আছে। এখানেই হবে আসল দেনদরবার। আমেরিকা এটার জন্য আগেই প্রস্তুত হয়ে আছে। তৈরী আছে ভারতও। আরো আছে ইইউ। আরো আছে...



জনগণ কি করবে?



খুব সাধারণ উত্তর হলো, গ্রামের অসহায় কুলবধূ যখন এলাকার ‘রাজা’দের দ্বারা ধর্ষিত হয় তখন তারা ‘লোকলজ্জার’ ভয়ে পুরো ব্যাপারটি চেপে যায়। আর নিরবে, নিভৃতে চোখের জল ফেলে এবং মহান রাজাধিরাজের কাছে ফরিয়াদ করে ‘হে প্রতিপালক, জালিমদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করো’।



‘সবাইকে অনেক ধন্যবাদ’ কথাটি লেখা দরকার। কিন্তু কেন যেন লিখতে ইচ্ছে করছে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: সঠিকভাবে ভোট হয়েছে: যারা সাহসী নাগরিক তারা ভোট দিয়েছে। ৩ জন নাগরিক প্রাণ হারায়েছেন; খালেদা-তারেক এর ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

দেশ কোথায় যাবে, তা নির্ভর রবে শেখ হাসিনা ও তার দল এবং সাহসী নাগরিকরা ঠিক করবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনি আমার অতিথি। অতিথিকে অসম্মান করা জঘন্য কাজ।

তবু আপনাকে বলছি, "আপনি কি সত্যি আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন?" আমার কিন্তু সন্দেহ আছে। দলকে ভালবাসার মানে ভুল করলে তা ধিরিয়ে দেয়ার চেস্টা করা। ভালবাসার মানুষকে আপনি নিশ্চই ভুল পথে যেতে দিবেন না। ভুলে যাচ্ছেন কেন, এটাই শেষ নির্বাচন নয়। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। তাদের কাছ থেকে আরো ভাল কিছু আশা করি আমরা।

ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ বলতে শিখুন।

আপনাকে কস্ট দেয়ার জন্য বলছি না, ভাই। আমরা জনগণই কিন্তু আমাদের দুঃখের সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

মোঃ উরমান বলেছেন: লজ্জা থাকলে কেউ এমন কমেন্ট করতে পারে না।

আমার মতে আওয়ামী লীগও এই ভোট বর্জন করেছে। কারণ দেশের ৩৪টি কেন্দ্রে কোন ভোট পড়েনি। তার মানে সেখানে কোন আওয়ামী লীগ নেতা বা কর্মী বা সমর্থক নাই। এটা বিশ্বস করা জায়না। প্রয়োজনে আর্মি, র্যব, বিজিবি, পুলিশ, আনছার এর ১০০ প্রাটুন ফোর্স নিয়ে একটি ভোট দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনতো। কিন্তু কেউ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। তার মানে তারাও ভোট বর্জন করেছে।

এক জোটিও নির্বাচনেও ভোট চুরি করে জিততে হলো।
যা লাইভ দেখিয়েছে অনেক চ্যানেল।

তারপরও বাকবাকুম, প্রধান মন্ত্রীর ভাষায়: চোরের মার উচু গলা।

নামের পাশে ৭১ লাগিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চাও, কারণ তোমরাই প্রকৃত রাজাকার ১৯৯১ এর।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করা জন্য।

এমন নির্বাচনকেও কেউ কেউ হাততালি দিচ্ছে!!!

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মোঃ উরমান বলেছেন: নামের পাশে ৭১ লাগিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চাও, কারণ তোমরাই প্রকৃত রাজাকার ১৯৭১ এর।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কি আর করা যাবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.