|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ডিজিটাল দৈত্য 
নিজের সুন্দর পরিপাটি বিছানায় নিদ্রা যাচ্ছিলেন মিসেস অনামিকা; একটি বিকট শব্দ শুনে তার নিদ্রাভঙ্গ হলো। তিনি যা দেখলেন তাতে তার ভিমরি খাবার যোগার। ইয়া বড় বিকট চেহারার আস্ত এক দৈত্য শিয়রে দাঁড়িয়ে। তিনি ভয়ে মূর্ছা যাবার উপক্রম হলেন। কিন্তু দৈত্যের কথায় তিনি সম্বিৎ ফিরে পেলেন। কারণ তিনি পরিস্কার শুনতে পেলেন দৈত্য মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করে তাকে উদ্দেশ্য করেই বলছে, “হুকুম করুন আমার মালকিন”। মিসেস অনামিকা নিজেকে সামলে নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? দৈত্য হো হো করে অট্রহাসি দিয়ে বলল, আমিই গল্পের চেরাগের দৈত্য। মিসেস অনামিকা কিছুটা অবিশ্বাসের সুরে তাকে জিজ্ঞেস করল, আমি তো কোন চেরাগে ঘষা দেইনি। তুমি আসলে কিভাবে? দৈত্য এবার আরো বিকট অট্রহাসি দিয়ে বলল, সম্মানিত মালকিন, আমি ডিজিটাল দৈত্য। আমার ঘষা লাগে না। যাকে পছন্দ হয় তার ঘরে ঢুকে পড়ি। মিসেস অনামিকা থতমত খেয়ে বলল, আচ্ছা, আচ্ছা ঠিকাছে। এখন কি চাই বলুন? দৈত্য সহাস্যে বলল, বলেন কি মালকিন! আমি আপনার হুকুমের গোলাম। আমাকে হুকুম করুন। আপনার পছন্দের তিনটি জিনিষ আমার কাছে চান। আপনি যা যা চাইবেন তাই দেয়া হবে। তবে একটা শর্ত আছে। তাহলো, আপনি যাই চাইবেন আপনার স্বামী তার দশগুণ পাবে। শর্ত শুনে মিসেস অনামিকা কিছুটা হতাশ হলেও ভাবলেন, নিজের স্বামীই তো, অসুবিধা নেই। 

এবার চাওয়ার পালা।   
মিসেস অনামিকাঃ আমার প্রথম চাওয়া হলো, আমি বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সুন্দরী হতে চাই। 
দৈত্যঃ জো হুকুম মালকিন। আর নিমেষেই তিনি তা হয়ে গেলেন। মিসেস অনামিকা আয়নাতে নিজেকে দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন। নিজেরই চোখকেই তার বিশ্বাস হচ্ছিল না। সীমাহীন আনন্দে তার নাচতে, গাইতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু তিনি তা করলেন না। কারণ আরো দু’টো জিনিষ চাওয়ার বাকী আছে। 
এদিকে শর্ত অনু্যায়ী তার স্বামী তার চেয়েও দশগুণ সুদর্শন হয়ে গেলেন। মিসেস অনামিকা খুশি হলেও মনের মধ্যে কি একটা খচখচানি তিনি তীব্রভাবে অনুভব করতে লাগলেন। 
মিসেস অনামিকাঃ আমার দ্বিতীয় চাওয়া হলো, আমি বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ধনী হতে চাই। 
দৈত্যঃ তাই হবে মালকিন। মিসেস অনামিকা দেখলেন তার ব্যাংক একাউন্টে এত্ত পরিমাণ টাকা ব্যালান্স দেখাচ্ছে যে, তিনি সঠিকভাবে নিরুপণ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। সীমাহীন আনন্দে তার অক্কা পাবার দশা হলো।
এদিকে শর্ত অনু্যায়ী তার স্বামী তার চেয়েও দশগুণ ধনী হয়ে গেলেন। মিসেস অনামিকা দিব্য চোখে দেখতে পেলেন যে, তার স্বামী পুরো দেশের সকল নারীর আরাধ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি ভয়ানক গোস্বা অনুভব করলেন। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন এর একটা বিহিত তাকে করতেই হবে।  
মিসেস অনামিকাঃ আমার তৃতীয় চাওয়া হলো, আমার যেন মৃদু হার্ট এটাক হয়। 
দৈত্যঃ (কিছুটা অবাক হলেও) জো হুকুম মালকিন! 
অতঃপর……………… 
মিসেস অনামিকার মৃদু হার্ট এটাক হয়ে গেল। তিনি ত্বরিত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলেন। অল্প সেবা শুশ্রূষাতেই তিনি পুরো সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরলেন। 
মিসেস অনামিকা তার স্বামীর কথা ভেবে পুলকিত অনুভব করলেন।  
সম্মানিত নারী ব্লগারদের আর নিচের দিকে স্ক্রল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। পুরুষ ব্লগারগণ বাকী অংশটুকু পড়া চালিয়ে যান।  
   
- 
-
-
-
-
-
- 
- 
-
-
-
-
মিসেস অনামিকার স্বামী তার বিস্ময়কর উত্থানকে সেলিব্রেট করতে দেশের সবচেয়ে নামকরা পাঁচতারা হোটেলে এক বিশাল পার্টির আয়োজন করেছেন। তার চারপাশে অসাধারণ সুন্দরী নারীদের ছড়াছড়ি। তিনি গোটা আসরের মধ্যমণি হয়ে আছেন। 
সবাই আমাকে অমন ভ্রু কুঁচকে দেখছেন কেন? তার হার্ট এটাকের খবর জানতে চান? 
আসলে ব্যাপার হলো, শর্ত অনু্যায়ী মিসেস অনামিকার স্বামীরও হার্ট এটাক হয়েছে-এটা তো জানা কথাই। তবে তার হার্ট এটাক মিসেস অনামিকার চেয়ে দশগুণ কম মাত্রার। এজন্য তিনি টেরও পাননি। 
গল্পের নৈতিক শিক্ষাঃ সাধারণত প্রতিটি গল্পের নৈতিক শিক্ষা একটাই হয়ে থাকে। তবে আমাদের এই গল্পের নৈতিক শিক্ষা দুটি। তাহলোঃ
 
১. মেয়েরা স্বভাবতই খুবই ঈর্ষাকাতর হয়।
২. মেয়েরা কোন কথা শোনে না (কেননা আমি নিশ্চিত জানি নারীরা গল্পের নিষিদ্ধ প্যারাও অবশ্যই পড়েছেন)।  
 ১৪ টি
    	১৪ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০০
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। 
২|  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:২০
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকে নারী  অবমাননা মামলায় ফাসানো হোক !
আপনি নারীতান্ত্রিক দেশে নারীকে অবজ্ঞা করেছেন কৌতুক করে!!!!! 
আপনার নারী এটা দেখেনিতো!!! তাহলে আজকে খবর আছে  
 
সামলাইয়েন নিজ দায়িত্বে 
  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০২
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: 


সামলানোর দরকার নেই। কারণ এমন প্যাচ মেরেছি যে, নারীরা আমাকে কিছুই বলতে পারবে না। তাহলে 'নৈতিক শিক্ষার' প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া যাবে। 
৩|  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:২৯
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:২৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:   
   
   
   
   
 
  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০২
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:০২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: 


৪|  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:৩০
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা!
  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ২:৩১
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ২:৩১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: হাহা!
৫|  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৮
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৮
আমি ইহতিব বলেছেন:   
   
   
   
 
  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ২:৩২
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  দুপুর ২:৩২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: গল্পের নৈতিক শিক্ষাঃ
২। হাহাহাহা
৬|  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  দুপুর ১২:১০
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  দুপুর ১২:১০
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন মজা পেলুম।
  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  দুপুর ২:৪৬
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  দুপুর ২:৪৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭|  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  বিকাল ৩:১২
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪  বিকাল ৩:১২
sumit বলেছেন: 
  ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪  সকাল ৯:৩০
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪  সকাল ৯:৩০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: টেরাই করবো।  হাহাহাহাহা
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:০১
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪  সকাল ১১:০১
মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: হা হা হা............খুব মজা পাইছি