নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্র্যাভেল করতে ভালো লাগে আর ভালো লাগে ট্যুর থেকে এসে রিভিউ করতে আর মাঝে মাঝে টুকটাক লেখালেখি করি ।

রিংকু সি বিশ্বাস

রিংকু সি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানালি । (প্রথম পর্ব )

১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩



( যারা অল্প খরচে মানালি ঘুরে আসতে চান , এটা তাদের জন্য না কিন্তু যারা ফ্যামিলি নিয়ে , বাচ্চা নিয়ে যাবেন তাদের জন্য হয়ত উপকারি হতে পারে , এই পোস্ট )

নামটি শুনলেই মনের মধ্যে ভেসে উঠে পাহাড় ঘেরা ছোট একটি শহর যার চারিদিকে অপার সৌন্দর্য , যেখানে শ্বেত-শুভ্র তুষার স্বাগত জানায় । মানালি যাবার ইচ্ছা ছিল অনেকদিনের । এই ঈদের ছুটিতে প্রথমে ঠিক করেছিলাম যে , কাশ্মির যাবো কিন্তু ওখানকার অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ মনকে সায় দিলো না , তাই বহুদিনের স্বপ্ন , মানালিই যাবো বলে ঠিক করলাম । মিতুকে বলতেই মিতুও রাজি ।
এরপর প্লানিং । ফেসবুক ও tripadviserর বিভিন্ন লেখা ঘেঁটে মানালি নিয়ে মনের মধ্যে একটি ট্যুর প্ল্যান করে ফেললাম । তারপর টাকার হিসাব করে দেখলাম যে , কি পরিমাণ টাকা লাগতে পারে । ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে অনেক ডিটেইস দেয়া থাকে , তাই ধারনা হয়ে গেল । তবে আমার বাজেটে বুঝতে পারলাম যে , কষ্ট হলেও বাই রোডেই যেতে হবে । কষ্টকর প্ল্যান কিছুটা কিন্তু আমার আজীবনের সাথি মিতু আমাকে ভরসা দিল , ব্যাপার না , পারবো আমরা ।

দিন ১ ঃ
অফিস শেষ করে রাত ১০.১৫ বাসে উঠলাম , কলকাতার উদ্দেশে । শ্যামলীর সৌহার্দ বাসে থাকা পাটুরিয়া ঘাটের কোন জ্যাম পাইনি । বেনাপোল পৌঁছলাম পরেরদিন সকাল ৬টায় । সৌহার্দ বাসের ভাড়া ১৯০০ টাকা / জন ।

দিন ২ ঃ
বেনাপোল পৌঁছে কাস্টমসের কাজ শেষ করতে করতে প্রায় সকাল ৭.৩০ । আমি ঢাকা থেকে ১০০০ রুপি নিয়ে গিয়েছিলাম , ওটা দিয়ে রাস্তায় নাস্তা করে নিয়েছিলাম , ২৬০ রুপি দিয়ে ।কলকাতা পৌছুলাম সকাল ১১টায় । ১০০০ রুপিতে একটি হোটেল রুম নিলাম একবেলার জন্য । স্নান করে , পাশের একটি মুসলিম হোটেলে গিয়ে গরুর মাংস দিয়ে লাঞ্চ করলাম ৩০০ রুপি দিয়ে । এর আগে ২০০ রুপি দিয়ে অল-ইন্ডিয়া রোমিং সিম কিনে নিয়েছিলাম আর ৭৬০ রুপি দিয়ে গ্রিন লাইন বাসের রিটার্ন টিকেট করে নিলাম । দুপুরে ঘুমিয়ে বিকাল ৬টায় গেলাম শিয়ালদাহ রেল স্টেশনে , হোটেল থেকে ট্যাক্সি ভাড়া ১২০ রুপি । সন্ধ্যা ৬.৩০ ট্রেন ছাড়ল । বলে রাখা ভালো যে , ট্রেনের টিকেট আমি ঢাকায় থাকতেই করে নিয়েছিলাম , প্রায় ৪০০০ টাকা প্রতিটি টিকেট । (2A) TWO TIRE AC সিট অর্থাৎ প্রতিটি কামরায় ৪টি করে স্লিপার সিট । আমাদের আপার আর লোয়ার মিলিয়ে দুটি স্লিপার ।
এবার আসি ট্রেনের বর্ণনায় । আমরা নিয়েছিলাম , দুরন্ত এক্সপ্রেসের ট্রেন । উঠতেই আমাদের সিটে দেখতে পারলাম যে ,একটি করে প্যাকেট রাখা আছে , যার ভিতরে আছে , দুটি করে বেডসিট , একটি টাওয়াল আর আছে , একটি বালিশ ও কম্বল । সবকিছু অনেক পরিষ্কার এবং ধোয়া । উঠতেই ওয়েটার জেনে নিলো যে , রাতে কি খাবো , ভেজ নাকি ননভেজ । আমরা ননভেজের অর্ডার দিলাম । একটি পরেই দুই বোতল পানি দিয়ে গেল । ট্রেন ছাড়ার পরে প্রথমে দিলো , একটি করে ঠাণ্ডা লেমন জুস । তারপর দুটি করে ব্রেড বিস্কুট ও বাটার । তারপর আসলো এককাপ সূপ । এগুলো খাবার পরে রাত ৮.৩০ পরে আসলো ডিনার । :D । ডিনারে তিনটা আটার রুটি , ভাত , ডাল , মুরগীর মাংস , মিষ্টি দই এবং সবশেষে আইসক্রিম । সে এক এলাহি অবস্থা । আর , রোদের জন্য আমরা একটা মুরগীর তরকারি চেয়ে নিয়েছিলাম ।
খেয়েদেয়ে , আমরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম । আমাদের কামরায় একটি ফ্যামিলি ছিল , তারা দিল্লির । রোদের সমান একটি ছেলে ছিল তাদের । আমাদের এই খাওয়া-দাওয়ার মাঝে ,রোদ ও ওই ছেলেটি তাদের খেলনা দিয়ে খেলতে খেলতে নিজেদের মধ্যে ভাই পাতিয়ে নিল । মজা লাগছিলো যে , রোদ কথা বলে বাংলায় আর ওই ছেলেটি হিন্দিতে, কেউ কারো কথা বোঝে না কিন্তু বাচ্চাদের মনে হয় একটা ইউনিভার্সেল ভাষা আছে , যা তারাই শুধু বুঝতে পারে । তো দু’ভাই মিলে খেলা করছিল । আমরা মোটামুটি ক্লান্ত ছিলাম , তাই ১০টার মধ্যেই শুয়ে পড়লাম । মিতু আর রোদ লোয়ার বার্থে আর আমি আপার বার্থে ( এখানে বার্থ বলতে একটি সিঙ্গেল বিছানা , চেয়ার না কিন্তু ) । পর্দা টেনে দিয়ে লাইট নিভিয়ে দিতেই ঘরের পরিবেশ মনে হল । এসির ঠাণ্ডায় কম্বল শরীরে নিতেই চোখে ঘুম নেমে আসল ।

দিন ৩ ঃ
ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৮টার দিকে । মিতু আর রোদ তখনো ঘুমাচ্ছে , নিচের বার্থে । নিচে লাগোয়া টেবিলে আমাদের জন্য বেড টি রাখা । আমি বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে , সকালের দাত মেজে নিলাম । এসে দেখি , মিতু ঘুম থেকে উঠেছে । মিতু আর আমি সকালের চা খেয়ে নিলাম । রোদ উঠলো , প্রায় ৯টার দিকে । তখন সকালের নাস্তা দিতে বললাম , সকালের নাস্তায় ছিল , চা , দু-স্লাইস পাউরুটি , ডিম অমলেট , বাটার , জেলি । রোদের জন্য আমরা একটা এক্সট্রা চেয়ে নিলাম । ট্রেন কিছুটা লেট ছিল , তাই আমাদের দুপুর হয়ে গেল দিল্লি যেতে যেতে । অবশ্য এই দেরির জন্য , দুপুরে খিচুড়ি দেয়া হল ।
স্টেশন থেকে বের হয়ে , ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম , DELHI YMCA’তে যেখানে , Jony Hubert Rozario'র সৌজন্যে একটি রুম রাখা ছিল । মিতু আর রোদকে আমি ওখানে রেখে আমি একটি অটো নিয়ে চলে গেলাম , কাশ্মির গেট বাস স্ট্যান্ড । ওখানে গিয়ে মানালির জন্য , সন্ধ্যা ৭টার বাসের টিকেট কাটলাম , ১৪২০ রুপি প্রতিটি ।
দুপুরে কিছুটা রেস্ট নিয়ে , সন্ধ্যা ৬.৩০ চলে আসলাম , কাশ্মির গেটে । বাস খুজে নিয়ে সিটে বসলাম ।সিটগুলো বেশ আরামদায়ক ছিল । ৭.১৫ তে বাস ছেড়ে দিলো , মানালির উদ্দেশে । রাতে একটি পাঞ্জাবী ধাবায় (ভেজ রেস্টুরেন্ট) বাস থামাল ডিনার করার জন্য । এখানে খাবারের অনেক দাম , আমরা সাধারন সব্জি/ রুটি / ভাত খেতেই প্রায় ৬৯০ রুপি বিল । খেয়ে দেয়ে বাসে দিলাম ঘুম ।

দিন ঃ ৪ ঃ
আমার ঘুম ভেঙ্গেছিল একটু সকাল সকাল । দেখলাম যে , আমাদের বাস পাহাড়ি রাস্তা একেবেকে চলছে । রাস্তা পাহাড় কেটে বানানো । তাই প্রায়ই ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল । সকাল ৮টার দিকে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দিল , লাস্ট বাস স্টপেজে , মানালি। তবে মানালি এখান থেকে প্রায় ১কিলো দূরে । তাই একটি ট্যাক্সি নিয়ে নিলাম , ১২০রুপি । আমি আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম । ট্যাক্সিড্রাইভারকে বলাতে বুঝলাম যে , আমার বুক করা হোটেল , শহরের মেইন পয়েন্ট অর্থাৎ মলরোড থেকে আরও ভিতরে তা ড্রাইভারের পরামর্শে , মল রোডের একদম পাশে , মডেল টাউনে গেলাম । এখানে সারি সারি অনেক হোটেল আর মল রোড , পায়ে হাটার তিন মিনিটের রাস্তা । দুটি হোটেল দেখে , আমরা তৃতীয় হোটেলে গেলাম । “হোটেল মঙ্গলদ্বীপ” । ওদের ওখানে রুম ছিল আর ওরা আমাকে একটা প্যাকেজ অফার করলো , টোটাল মানালি ট্যুর , দুদিনের । আমি দামাদামি করে ৯০০০ রুপিতে ঠিক করে নিলাম । রুমে উঠেই আগে স্নান করে নিলাম আর হোটেল থেকে নাস্তা খেয়ে নিলাম । পুরী(লুচি) আর সব্জি । আমরা তিনজন খেয়ে দেয়ে একটা শর্ট ঘুম দিলাম । উঠলাম , দুপুরে । উঠে বের হয়ে গেলাম , মানালি দেখতে । লাঞ্চ করেই , একটি অটো নিয়ে নিলাম । গন্তব্য ঃ হামিন্দাদেবী মন্দির / ক্লাব হাউস ।
হামিন্দাদেবী মন্দির ঃ অটো ভাড়া করে চলে আসলাম এখানে । এই জায়গাটা মানালির একটা ট্রেডমার্ক । অনেক পুরাতন এবং সুন্দর । বিশাল বিশাল গাছ দিয়ে ঘেরা মন্দিরটি । আমরা ঘুরেফিরে কিছু ফল খেলাম , এপ্রিকট ও আলুবোখরা । মানালির ফলের স্বাদ ভালো ।
ক্লাব হাউস ও ওল্ড মানালি ; মন্দির থেকে বের হয়ে , পায়ে হাটার ১০মিনিটের রাস্তা । ক্লাবহাউসে ঢুকতে ২০রুপি করে টিকেট লাগে । এখানে , বাচ্চাদের খেলার কিছু জায়গা আছে আর শপিং করার জন্য আছে অনেক দোকান । ওখান থেকে বের হয়ে হেঁটে হেঁটে ওল্ড মানালি দেখছিলাম । আমার কাছে , ওল্ডমানালি অনেক ভালো লেগেছে । পরেরবার গেলে , এখানেই থাকবো । বেশ ছিমছাম উচুনিচু শহর । রাস্তার পাশে অনেক অনেক খাবারের দোকান । আমার ভালো লেগেছিল ।
মলরোডে ব্যাক করে , কিছুটা খিদে লাগছিলো , তাই চিকেন মম (১০০রুপি) আর চা(১০রুপি) খেয়ে নিলাম । হোটেলে ব্যাক করলাম তারপর । সন্ধ্যার সময় জুয়েল/পাপিয়া/অদ্রিকা এসেছিলো মলরোডে । ওদের সাথে আড্ডা দিয়ে আমরা ডিনার করার জন্য রেস্টুরেন্ট পছন্দ করছিলাম । ওরা চলে গিয়েছিলো কারন ওদের ডিনার ছিল , হোটেল থেকে ।
মানালির খাবার আমাদের তেমন ভালো লাগে নি , কারন , অনেক বেশি মসলা ব্যাবহার করে আর স্বাদটাও খুব আহামরি না । দ্বিতীয় কারন হল , দাম । সাধারন চিকেন খেলেও , ৭০০/৮০০রুপি বের হয়ে যায় অথচ খেয়ে মন ভরে না ।
আমরা খেয়েদেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম কারন , পরেরদিন সকাল ৪.৩০’এ রওয়ানা দিতে হবে , রোথাং পাসের জন্য । যেখানে দেখা মিলবে বরফের । যা দেখতে আমাদের এখানে আসা ।

দিন ,৫ ঃ
ঘুম থেকে উঠলাম , ভোর ৪টায় , কারন , ৪.৩০ গাড়িতে উঠতে হবে , রোথাং পাসের জন্য । রোদকে , ঘুম অবস্থাতেই নিয়ে নিলাম । আমাদের জন্য একটি জিপ অপেক্ষা করছিল । আমাদের সাথে আরও দুটা ফ্যামিলি ছিল , এক ফ্যামিলি ছিল, মুম্বাই থেকে , স্বামী-স্ত্রী , তাদের ৪বছরের ছেলে ও তাদের মা । অন্য পরিবার ছিল আগ্রা থেকে , তারা ছিল স্বামী-স্ত্রী ও একছেলে , একমেয়ে ( রোদের সমান ) । জিপ মানালি শহর থেকে বের হতেই একটি দোকানের সামনে দাঁড়ালো , যেখান থেকে বরফে পরার উপযোগী পোশাক ভাড়া করার জন্য । আমরা , আমাদের কাপড় , হ্যান্ডগ্লাভস ও জুতা ভাড়া করে নিলাম ( ১৪৫০রুপি ) । এর পরের যাত্রাটা বিরক্তিকর ছিল কারন , গাড়ির অনেক লম্বা লাইন । এই জ্যামটা মুল কারন হচ্ছে , গুলাবা পয়েন্টে গাড়ির পারমিট চেক হয় । বলে রাখা ভালো যে , রোথাং পাসে যেতে গাড়ির পাস লাগে । এখানে প্রতিদিন ৬০০ডিজেল এবং ৭০০ পেট্রোল চালিত গাড়ি পারমিট পায় । তাই স্বভাবতই এখানে যেতে ভাড়া বেশি পরে । রাস্তায় সময় কাটছিল , সবার সাথে কথা বলে । আমি মোটামুটি হিন্দিতে কাজ চালিয়ে নিতে পারি । ওরাও , বাংলাদেশ সম্বন্ধে অনেককিছু জেনে নিচ্ছিল । সবার সাথে সম্পর্কটা এমন হল যে , কেউ কিছু কিনলে তা সবার জন্য কিনতে হচ্ছিল । ওরা সবাই ধর্মের দিক ছিল , জৈন । এরা নিরামিষভোজী এবং মাটির নিচের কোন সব্জি খায় না , যেমন , আলু , গাজর , পেয়াজ , রসুন ইত্যাদি তবে মাঝে মাঝে অল্প আদা খায় । আমরা সকালের নাস্তা হিসেবে খেলেছিলাম , ভুট্টা ও চিকেন মম ।
প্রায় ৪ঘন্টা জার্নি করে , গুলাবা পয়েন্ট পার হলাম । তারপরের দৃশ্য চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ । পাহারগুলো মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে , আকাশের বুক চিরে। দূর থেকে মেঘ আর পাহাড়ের চুরায় বরফ দেখা যায় । এই বর্ণনা দেয়া অসম্ভব , যা শুধু উপলব্ধি করতে হয় । রোথাং পাসে নেমেই ঠাণ্ডার দাপট বুঝতে পারলাম । পাশে জমাট বাধা বরফ । যা দেখতে আমরা সুদূর বাংলাদেশ থেকে এসেছি । তাড়াতাড়ি ভাড়া করা পোশাক পরে নিলাম সবাই । তারপর বরফে লুটোপুটি । রোদ মজা করেছে অনেক । আমরা বরফের গোলা বানিয়ে ছুড়ে মেরেছি । বেশ খানিকক্ষণ পরে দেখলাম যে , আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামছে । বৃষ্টি নামার সাথে সাথে মনে হল যে, তুষারপাত হচ্ছে । ঠাণ্ডা বেড়ে গেল আরও অনেক । ঠাণ্ডার দাপটে টিকতে পারছিলাম না । তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে পড়লাম । রোদের হাত পা গরম করে দিচ্ছিলাম । সবাই তাদের বাচ্চাদের হাত-পা গরম করে দিচ্ছিল । এরপর ফেরার পালা । ফেরার পথে এক জায়গা আছে যেখানে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম । তারপর আবার সেই মুগ্ধ করা জার্নি ।
আমার আফসোস হচ্ছিল যে , বৃষ্টির কারনে আমি যথেষ্ট ছবি তুলতে পারিনি । আমি অনেক প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে , একটা ডকুমেন্টরি করবো আমাদের ভ্রমনের উপর , যাতে আমার ডকুমেন্টরি দেখে সবাই জানতে পারে , কোথায় ঘুরতে হবে , কি করতে হবে । কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে গেল । বৃষ্টির কারনে আমাদের সোলাং ভ্যালী যাওয়া হল না । হোটেলে ফিরতে ফিরতে বিকাল । তাই আর তেমন কিছু করার ছিল না । সন্ধ্যাটা বাতিল হল বৃষ্টির কারনে । তাই মলরোডে ঘুরে , রাতে খেয়ে বাইরের শীত শীত আবহাওয়ায় দিলাম এক ঘুম ।


(এখানে মিতু আমার অর্ধাঙ্গিনী ও রোদ আমার ৪বছরের ছেলের নাম

লেখা চলবে , আরও অনেক কাহিনী বাকি আছে )

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

রক বেনন বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য!

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে ভাল লাগল। আরও কিছু ছবি দিতে পারতেন।
আশা করি সামনের পর্বে তা পাব।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সাথে একটা মাত্র ছবি দিয়ে কাজটা অন্যায় করছেন।
মানালি ভ্রমনের নানন রকম ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট দেন। সাথে অবশ্য'ই ক্যাপশন দিবেন।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সাথে একটা মাত্র ছবি দিয়ে কাজটা অন্যায় করছেন।
মানালি ভ্রমনের নানন রকম ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট দেন। সাথে অবশ্য'ই ক্যাপশন দিবেন।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

রানা আমান বলেছেন: ভালো লেগেছে । অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.