নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকীয় কবিতা ঃ

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৪

বৃষ্টি ভেজা পদ্য



১।

ভুলগুলো সব এমন করেই জড়িয়ে থাকে গায় ..

ভালোবাসার রাঙা শেকল পড়িয়ে আমার পায়।।

মিথ্যে সুখের স্বপ্ন ভেলা চোখের তারায় মেশে ;

উপেক্ষারী জল ছোঁয়া রোদ নিত্য জ্বলে হেসে।।

২।

ভালোবাসা এক বিশুদ্ধ পাপ ;

অন্তর দহন -

ব্যক্তিত্ব হরণ –

বিষাক্ত সুন্দরী সাপ।

৩।

শুক্র অথবা শনি-

আলাদা করে বিশ্লেষন করবার মতোন দিন আমার কাছে এখন আর নেই।

সব কয়টা দিন কেই মনে হয় একটাই দিন।

মেঘের আলিঙ্গনে ভাসতে থাকা ঝির ঝির বৃষ্টি যখন আলতো করে

উন্মুক্ত চোখ ছুঁয়ে যায় মনে হয় কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে খুব নিবিড়ে।

ইচ্ছে করলেই আমি তার হাত ধরতে পারি;

ইচ্ছে করলেই হেঁটে পেরোতে পারি পিচ্ছিল জালাবদ্ধ পথ।

এ শহরে প্রান খুলে বাতাস নেবার এত টুকু জায়গা খালি নেই-

আমি তার নিশ্বাসে প্রশ্বাস নিতে চাই-

ওখানেই ভীড় করে থাকে হাজারো অক্সিজেন,

আমাকে আবার বাঁচতে শেখায়।

ওখানেই ভীড় করে থাকে উম্মাতাল ঢেউ-

গুনতে গুনতে প্রহরগুলো রাত্রি ছুঁয়ে যায়।

আমি আর একটা রাত্রি নামবে বলে সারাটা দিন জেগে থাকি।

৪।

কষ্টগুলোর নাম দেব কী

আমার আকুলতা?

নাকি নিপূন হাতে তৈরী করা

তোমার বিষন্নতা।



সময়, সেতো তোমার হাতেই

আজ হয়েছে বন্দী;

ইচ্ছে নামক শব্দগুলো

আর করেনা সন্ধি।



স্বপ্ন, কেবল উড়তে থাকে

মেলতে পারে ডানা;

সাধ্য কীবা মানব জনম

করবে তারে মানা।

৫।

আমায় তুমি বান্ধো সখা

সজল দুই খান চক্ষে ...

তারো অধিক বাইন্ধা রাইখো

তোমার শুঠাম বক্ষে ।

৬।

ব্যস্ত শহরের পীচঢালা পথ ধরে

চলো আজ হারিয়ে যাই ;

হুড খোলা তিন চাকা টুং টাং বেজে চলা -

সেই সুরে নিজেকে মাতাই।



রকমারি খাবারে মৌ মৌ গন্ধে

উৎসব মাতানো অপরুপ সন্ধ্যে ;

ঢাক আর ঢোলকের সুনিপূন বাজনা

বর্নিল আলোকের রংছড়া জ্যোতস্না ,

সেই তালে নিজেকে মাতাই ।



নদী আর পাহাড়ের সবুজ ঘেরা

দুটি মন মিশে যাক তন্দ্রাহারা ;

নতুন জীবনের অবিরাম হাতছানি

চুপি চুপি ইশারায় ডাকছে জানি ,

সেই ডাকে নিজেকে হারাই ।



পসরা সাজিয়ে আছে সারিবাঁধা বিপনন

দুই হাতে তুলে নাও মনের মোতন ;

শাড়ি-চুড়ি নূপুরের রিনিঝিনি তালেতে

বধূয়া রাঙ্গাবে ঘর বর্নিল শোভাতে

সেই রঙ্গে এসোনা রাংগাই ।

-----------------------------------

একলা পথের কাব্য



১।

ভালো থাকা সঙ্গায়িত হয় না কোন বাক্য বিন্যাসে।

ভালো আছি আমার লেখার খাতায়,বইয়ের প্রতি ভাঁজেতে।

ইথারের চঞ্চল ঘূর্নিতে, না বলা কথার মৌন ছায়ায়।

আমি ভালো আছি,খুব বেশী ভালো আছি

চির চেনা এই বেঁচে থাকায়।

২।

আমার ঘরের দীনতা তোকে ভীষন রকম চোমকে দেয় জানি;

এও জানি ,ড্রইং রুমে বিশাল একটা এল সি ডি না দেখে তোর ছোট্ট মনটা

ব্যাপক নিরাশ হয়েছে।

তুই খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে চাস--মাস গেলে মায়ের কতো টাকা মায়নে ।

আমার মুখে মিষ্টি হাসি দেখে কৌতহলটা যেন আরো দ্বি-গুন বেড়ে যায় ,

তুই কি করে জানবি-আত্ম মর্যাদার ওজন কোন বেতন ভুক্ত কর্মচারী নয়।

এর কোন পরিমাপ হয় না।



তোর চকচকে চোখে কেবল আভিজত্য খেলা করে,

আমার ছোট সংসা্রে তুই কোন দামী জিনিস পাস নি,টেবিল ভরা বাহারী রঙের খাবার নেই,

গেটের সামনে প্রিমিও বা মার্সিডিজ নেই।

অর্থের প্রাচুর্যের কাছেও হয়তো মায়ের ভালোবাসা হার মেনে যায়,

তবু মনে রাখিস সে হার একেবারেই ক্ষনিকের।



তোর জন্যে ডিজিটাল বাড়ী বানাতে পারিনি হয়তো,

শুধু বুক ভরা জমিয়ে রেখেছি আকাশ ভরা তারা।

যখন সময় হবে দেখিস-একটা একটা করে তারা খসে তোর মাথার উপর কেমন আশীর্বাদ হয়ে ঝোড়ে পড়ে।

৩।

একের পিছনে তিনটার বেশী শূন্য বসালে সত্যি আমি খেই হারিয়ে ফেলি।

অঙ্কের ছাত্রী হলেও বড় অঙ্কের সংখ্যা দেখলেই ভয় পাই।

আমাকে ছোট ছোট অঙ্ক কষতে দাও-

আমি বন বেড়ালের মতো গুটি শুটি থাকতে চাই,

হিংস্র বাঘিনী হবার ইচ্ছে আমার নেই।

কাতান বা সিল্ক নয়;

আমি নিজেকে সূতি শাড়িতে দেখতেই বেশী ভালোবাসি।

আমাকে ছো্ট্ট একটি খোলা জানালা দাও-

তোমাদের শীত বাক্সে ভীষন রকম ঠান্ডা ;

আর কিছুই যদি না দাও,তবে মুক্তি দাও।

পুনরায় বিহংগী হয়ে সাজাতে চাই আকাশের নীল।

৪।

মেঘের কাছে লিখেছিলাম

ছোট্ট একটা পত্র ;

সেই সুবাদেই পেয়ে গেলাম

বৃষ্টি এক ছত্র।

৫।

তুমুল দহন আগুন লাগা রোদের সারা গায় ;

গহীনে তার বারি ঝরা , তপ্ত রাঙ্গা পায় ।

৬।

শুন্য প্রহর হাতছানিতে ডাকছে আমায় ...

কোন সে পানে ?

হঠাত করে ছুটতে চাওয়া।

হাজার রকম বাঁধার ভীড়ে একলা আমি

সেই সুরে কি মিলতে পারি ;

যাচ্ছে সময় যাক না এমন।

থাকনা পড়ে মিথ্যে সুখের প্রহর গোনা।

আমি না হয় স্নৃতির মাঝেই হারিয়ে যাবো,

মিষ্টি কোন অনুভবে সেই আমিকে খুঁজে নেব।

৭।

আঁধারের বুক চিরে ঝরে পড়া জ্যোতস্না ;

আনমনে একা থাকা এলোমেলো ভাবনা ,

সব কথা রয়ে যায় মেঘেদের আড়ালেই ;

কাছে কি সে ধরা দেবে হাতদুটো বাড়ালেই ,

নির্জনে নিশ্চুপে কতো কথা রয়ে যায়।

(সন্ধ্যার আলো তখন নিভু নিভু।হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠলো-ওপাশ থেকে একজন লেখব বন্ধুর কন্ঠ ভেসে এলো। তার ইচ্ছা আমার কবিতা গুলো নিয়ে ছোট্ট করে একটা বই বের করবে। আমিতো হেসেই অস্থির,কারন আমার লেখার যা গতি তাতে একসাথে এতো কবিতা পাওয়া অসম্ভব।তখন সে বললো, তাহলে গুটি কয়েক প্রেমের কবিতা দাও-তাতে করে একটা দ্বৈত কবিতার বইতো হয়। ভাবতে বসলাম -এই বছরে লেখা সমস্ত স্ট্যাটাস জমা করে দেখি-নাহ শুধু প্রেম নয়,জীবনে চলার পথের নানান মূহুর্তে লেখা কথা গুলো এক সাথে পড়তে মন্দ লাগছে না।এইগুলো কোথাও আলোর মুখ দেখেনি। একে দুটো ভাগে ভাগ করে দিয়ে দিলাম। দেখা যাক,আমার প্রতিদিনকার ভাবনা গুলো নিয়ে লেখক বন্ধু কি করে।)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

আলম 1 বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

রোদেলা বলেছেন: এতো বড় লেখা পড়লেন,ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বৃষ্টি ভেজার ৫ নম্বরটা বেশি ভাল লেগেছে ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

রোদেলা বলেছেন: অফিসে বসে বসে বৃষ্টি দেখছিলাম,আর লিখে ফেললাম।কি হলো জানিনা।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

রোদেলা বলেছেন: খুব খুশী হলাম।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর। প্লাস।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

রোদেলা বলেছেন: :)

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো কবিতাগুলো। দ্বিতীয় প্লাস।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

রোদেলা বলেছেন: :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.