নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের বাসযোগ্য একটা সুন্দর পৃথিবী চাই যেখানে থাকবেনা জঙ্গি সন্ত্রাসী.।.।.।.।।।

কুহুক

আমি অসাম্প্রদায়িকতাতে বিশ্বাস করি

কুহুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম বিজ্ঞান ও মানবতা পর্ব ১

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০০

Part 2 ধর্ম না বিজ্ঞান কোনটা ঠিক ? প্রথমেই বলে নিতে চাই এর বিচার করা সম্ভাব নয় কারণ কতকগুলো প্রশ্নের উত্তর কখনো বিজ্ঞান দিতে পারবে না আর কতকগুলো কখনো ধর্ম কখনই দিতে পারবে না । এবং আমি এটা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে সৃষ্টিকর্তা এক জন আছেন তাই তিনি ঈশ্বর আল্লাহ ভগবান যে নামেই থাকেন না কেন ।
যাইহোক একটা গল্প দিয়ে শুরু করি সেদিন দেখলাম আমার তিন বন্ধু এয়াথিনা , সাব্বির আর সুব্রত প্রচুর ঝগড়া করছে । ওরা আমার ছোট বেলার বন্ধু এক সাথে বড় হইছি । আমি তখন কাছে গিয়ে জানতে পারি তারা আম নিয়ে ঝগড়া করছে । সাব্বির বলছে আমার গাছের আম খুবি সুন্দর ও মিষ্টি এয়াথিনা বলছে তার গাছের আম সবচেয়ে ভালো তোদের গাছের আম অনেক খারাপ । তখন সুব্রত বলছে আম শুধু মিষ্টি হলে হয় না তোদের গাছের আমে পোকা ভরা । আমার গাছের আমই সেরা । তখন আমি বললাম তোরা কি সবাই সবার গাছের আম খেয়ে দেখেছিস ওরা সবাই মাথা নাড়ল তখন আমি সবার গাছের আম খেয়ে দেখলাম । এখন কেবল আমি বলতে পারবো কোন গাছের আম ভালো । জন্মের পর থেকে আমরা যা কিছু পাই সব কিচুই নিজের যোগ্যতা অনুসারে পাই বা কোন কিছুর বিনিময়ে পাই । এক মাত্র ধর্মই আছে যা আমরা জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত করি । পৃথিবীতে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০ টার মত ধর্ম আছে । তাদের প্রত্যেকেই বিশ্বাস করে তাদের ধর্মই ঠিক । তার মানে কি ৯৯% মানুষ ভুল ধর্ম নিয়ে চলে । কিন্তু বিষয়টা এমন হলে ভালো হতো না যে জন্মের পর সবাই সব ধর্মের বই পরবে তার পর তার বয়স যখন ১৮ হবে তখন সিধান্ত নিবে সে কি করবে । কারণ আমাদের দেশে ভোটার হইতে গেলেও ১৮ বছর বয়স লাগে ।অনেকে বলবে যে ধর্ম সবার শেষে এসেছে সেটাই ভালো এটা অনেক অংশে ঠিক আর অনেক অংশে ঠিক না কারণ প্রথমে যে জিনিষ টা তৈরি হয় তাতে ভেজাল কম থাকে আবার এটাও সত্য শেষের তাতে সুযোগ বেশি থাকে । এই যদি সত্য হয় এর পর যে ধর্ম আসবে সেটা কি বেশি ঠিক হবে ?
এই পর্যন্ত যত প্রান হানি হইছে বেশির ভাগ কিন্তু ধর্মীয় হানাহানি নিয়ে । এখনো জঙ্গি আই এস যা করছে তা মানবতা বিরুদ্ধ । আবার কেউ বলেন না যে তুমি কয়টা ধর্ম পড়ে এসে বলছ । আসলে কোন ধর্ম ভালো আর কোনটা খারাপ এটা বোঝার জন্য সব পড়া লাগে না দেখলেই বোঝা যায় । তরকারি ভালো হইছে না খারাপ হইছে এটা বলার জন্য তরকারি রান্না শেখা লাগে না খাইলেই বুঝা যায় । এখন আসি ধর্মের শুরুটা নিয়ে । সব ধর্মেই প্রায় শুরুর গল্প একই । হিন্দু ধর্মে বলা হইছে প্রথমে ঈশ্বর যে ২ জন মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠান তাদের নাম মনু ও শতরূপা ইসলাম ও খ্রিস্টান রা বলে আদম ও হওয়া । তার পর এদের থেকেই পৃথিবীতে বংশ বৃদ্ধি হইছে । আমার প্রশ্ন হল যে আমরা সবাই জানি ভাই বোনের মধ্যে কোন শারীরিক সম্পর্ক হতে পারে না । এটা কোন ধর্মই সমারথন করে না । এটা পাপ তাহলে তখন বংশ বৃদ্ধি হইছিল কি ভাবে ? আবার কেউ বলেন না যে আগে মানুষের মধ্যে আচার আচারন ছিল না তখন করা যেত । তখন পাপ ছিল না ।
এইটা কেমন কথা কারণ পাপ কি ভালো তার বিচার সৃষ্টিকর্তাই করেন । তিনি তো তখন একাধিক পরিবার সৃষ্টি করে দিতে পারতেন তবে এই বিতর্ক হতো না তার কাছে তো কিছুই অসাম্ভাব না । না তিনি পরবর্তীতে বুঝেছিলেন এটা অন্যায় ছিল । আমরা আরবি বা সংস্কৃত তে লেখা কোন কিছুতে পা লাগলে ব্যাতিত হই । কারণ হিসেবে বলি এটা পবিত্র ভাষা । ভাষা কি ভাবে পবিত্র হয় । এগুলো তে তো গালাগালি ও লেখা থাকতে পারে । এক হুজুর আমাকে একদিন বলল নন মুসলিম রা কখনো বেহেশতে যেতে পারবে না । আমি বললাম গোলাম আজম ইয়াইয়া খান লাদেন যারা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে এরা কি বেহেশতে যেতে পারবে । তিনি বললেন এরা কোন না কোন সময় যেতে পারবে । আমি আবার প্রশ্ন করলাম তবে কি নিউটন, আইনস্টাইন জগদীশ চন্দ্র বসু , মাদার ত্রেসা সহ আরও অনেকে আছেন যারা না থাকলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যেত বা পৃথিবী এতো উন্নতি হতো না । এরা কি বেহেস্তে যাবে । হুজুর আমাকে বললেন তুই নাস্তিক এরা কখনো বেহেস্তে যাবে না । আমার অবাক লাগলো যুক্তিতে না পেরে উঠে উনি আমাকে নাস্তিক বললেন । পাল্টা যুক্তি দিতে পারতেন । আর আমি এটাও মানতে পারলাম না যে এই লোক গুলো শুধু মাত্র তাদের ধর্মের জন্য বেহেস্তে যেতে পারবে না । আমিতো রবিন্দ্রনাথ কে পছন্দ করি সাচিন কে পছন্দ করি তবে এদের কি সারা জীবন নরকে থাকতে হবে ? তবে কি স্বর্গ নরক একটা সম্প্রদায়ের লোকের জন্য । দুনিয়াতে ভালো খারাপ কাজের কোন মূল্যায়ন নেই ।
পরবর্তী পর্ব গুলোতে আমি আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো বিজ্ঞানের ব্যারথতা বা সফলতা মানবতা ও ধর্ম নিয়ে । আজ এই প্রশ্ন গুলোর যুক্তি পূর্ণ উত্তর আশা করছি । শুভ কামনা রইলো সবার প্রতি

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খ্রেস্তান্দের ৫ ভাগ করলেন মোসলমানদেরটা বাদ দিলেন কেন? নাকি সবাই এক?
চীন, দুইকোরিয়া, জাপান, মঙ্গোলিয়া এই দুশকোটি মানুষ, এদের কোন ধর্ম নাই। এদের বাদ দিলেন কেন?

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

কুহুক বলেছেন: যাদের ধর্ম নেই তারা ১১.৭৭ % ভালো করে দেখেন ? আর প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিলে ভালো হয়

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

সম্রাট৯০ বলেছেন: কিন্তু বিষয়টা এমন হলে ভালো হতো না যে জন্মের পর সবাই সব ধর্মের বই পরবে তার পর তার বয়স যখন ১৮ হবে তখন সিধান্ত নিবে সে কি করবে

এখানে আমি আপনার সাথে একমত, ধর্ম বিষয়টা জন্মগত অধিকার থেকে না এসে যার যার বুদ্ধি বিবেচনার মাধ্যমে আসা উচিৎ,বিশ্বাস জিনিসটাই ব্যাক্তির বিবেচনার প্রেক্ষিতে আসে এবং তাই হওয়া উচিৎ। সবাইকে পড়ে জেনে বুঝে মেনে নিবে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক, যুক্তিক কিংবা অযুক্তিক,


তবে কি স্বর্গ নরক একটা সম্প্রদায়ের লোকের জন্য । দুনিয়াতে ভালো খারাপ কাজের কোন মূল্যায়ন নেই ।

এমনটা হতে পারেনা,হওয়া উচিৎনা বলেই আমার মনে হয়, দুনিয়াতে ধর্ম যেহেতু আসছে ভালো মন্দের ব্যবধান সৃষ্টি করতে সেহেতু ভালোতে থাকা সকল মানুষই ধার্মিক আর মন্দতে থাকা মানুষ গুলোই হলো অধার্মিক।

চালিয়ে যান আলোচনায় আসবো আবার

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পৃথিবীতে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০ টার মত ধর্ম আছে ।

পৃথিবীতে ১০০টি নয় ২৫০০০ হাজারেরও বেশি ধর্ম রয়েছে।
বানানের দিকে যত্নশীল হউন। শুভ কামনা। পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

আর হ্যা, সবার মন্তব্যের উত্তর দিন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

কুহুক বলেছেন: ভাইয়া বানানের দিকে খেয়াল রাখি । কিন্তু অভ্রতে সব ঠিক মত আসে না

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

কুহুক বলেছেন: সবাই পারলে সৃষ্টির শুরুর উত্তর টা দিবেন আদম হাওয়ার বিষয়টা । কার কাছে এর সঠিক উত্তর পাইনি ।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: এই পর্যন্ত যত প্রান হানি হইছে বেশির ভাগ কিন্তু ধর্মীয় হানাহানি নিয়ে [/sb

দ্বিমত পোষণ করি ভাই কুহুক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মঙ্গোল অভিযান কোনটিই ধর্মের জন্য ছিল না। একটা সার্ভেতে পড়েছিলাম জাতীয়তাবাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। তবে হ্যাঁ, উৎসটা মনে নেই বলে উল্লেখ করতে পারছিনা।

আমার মনে হচ্ছে আপনি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছে তার যা ইচ্ছা তাই করবেন এটাই স্বাভাবিক। আর তাকে যারা উপাসনা করবে না তারা যতই আবিষ্কার করুক না কেন আর যতই মানবসেবা করুক না কেন ঐ সত্ত্বা তাদেরকে শাস্তি দেবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে হ্যাঁ, সৃষ্টিকর্তা কাদের ক্ষমা করবেন বা করবেন না সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

ঈশ্বরের ইচ্ছা নিয়ে না ভেবে আমাদের উচিৎ ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবা। কেননা তিনি যদি থাকেন তবে আমাদের জীবন হবে একরকম আর যদি না থাকেন আমাদের জীবন অন্যরকম হবে।

দ্বিতীয় পর্বের আশায় রইলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

কুহুক বলেছেন: @ চন্দ্রদ্বীপবাসী আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি । দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় অনেক লোক মারা গেছে একথা সত্য কিন্তু ধর্মীয় হানা হানি তে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৪ ৫ জন করে তাই জঙ্গি আই এস করুক বা মায়ানমারে বৌদ্ধরা করুক । এটা চলছেই । আর এই প্রশ্নটার উত্তর দেন পৃথিবীতে বংশ ব্রিধি কিভাবে হইছিল ? তখন কি ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ক হইছিল ?

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

নির্ভীক সত্যান্নেষী বলেছেন: মুনাফিকরা জাহান্নামে সবার আগে যাবে এবং মুনাফিক থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। আর মুনাফিক হওয়ার জন্য মুসলমান হতে হয়। শিরক করলে জাহান্নামে যাবে। মুনাফিক এবং শিরক এই দুইটা থাকলে স্থায়ী জাহান্নাম।
মুসলমানের ঘরে জন্মালাম, মসজিদে গেলাম, রোজা রাখলাম আর জান্নাতে গেলাম আর অমুসলিমের ঘরে জন্ম নিলাম ধর্ম মানলাম তার পরও জাহান্নামে গেলাম বিষয়টা এমন নয়। যারা এটা মনে করো তারা যেন কোরআন পড়ে দেখে যে তাতে কি লেখা আছে।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

কুহুক বলেছেন: এই প্রশ্নটার উত্তর দেন পৃথিবীতে বংশ ব্রিধি কিভাবে হইছিল ? তখন কি ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ক হইছিল ?

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: হ্যাঁ প্রতিদিন ধর্মের জন্য মারা যাচ্ছে, তবে প্রতিদিন কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যও মারা যাচ্ছে, মারা যাচ্ছে কলোম্বিয়ান বিদ্রোহেও। পৃথিবীতে প্রেমের জন্যও প্রেমিক প্রেমিকাকেও কুপিয়ে হত্যা করছে, হত্যা করছে শিশুর গুহ্যদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে। একচেটিয়াভাবে ধর্মকেই দোষারোপ করা ঠিক না বলে আমার মনে হয়। তবে এটি সম্পূর্ণই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। আপনার হয়তোবা অন্য কিছু মনে হতে পারে।

যাহোক আপনার প্রশ্নের উত্তরটা আমি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দিতে পারব। তবে অন্যকোন দৃষ্টিকোণ থেকে দিতে পারব না।

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আদম (আঃ) এর কউমের জন্য ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ বৈধ ছিল। ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি হয়। কিন্তু সেই আইনটি পরবর্তী নবীদের জন্য রহিত হয়ে যায়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

কুহুক বলেছেন: তাহলে এখন কেন ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হয় না ? না সৃষ্টিকর্তার নিয়ম এক এক জনের জন্য এক এক টা । তিনি তো ওই সময় একাধিক পরিবার সৃষ্টি করেতে পারতেন তবে এই বিতর্ক হতনা ? তার কাছে তো কোন কিছুই অসম্ভাব না তবে তিনি কেন এই অনৈতিক কাজ কে তখন বৈধতা দিছিলেন ?

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: তাহলে এখন কেন ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হয় না?

ভাই কুহুক! আপনি আবারও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তিনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয়। আমি এতটুকু বলতে পারি যে হয়ত এটা তার ইচ্ছা।

না সৃষ্টিকর্তার নিয়ম এক এক জনের জন্য এক এক টা । তিনি তো ওই সময় একাধিক পরিবার সৃষ্টি করেতে পারতেন তবে এই বিতর্ক হতনা?


এখানেও সেই একই কথা বলব। তিনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয়। আমি এতটুকু বলতে পারি যে হয়ত এটা তার ইচ্ছা। ও হ্যাঁ হয়তোবা এই বিতর্কটা তোলা তার প্ল্যানের অংশ। যাতে করে তিনি আপনার আমার মধ্যে তাকে নিয়ে চিন্তা করার খোরাক মেলায়।

তার কাছে তো কোন কিছুই অসম্ভব না তবে তিনি কেন এই অনৈতিক কাজ কে তখন বৈধতা দিছিলেন?


আবারও বলব এটা তার ইচ্ছা। এবং তিনি যদি এটা করে থাকেন তাহলে আমাদের এখানে কিছুই করার নেই। আর কোনটা নৈতিক কোনটা অনৈতিক সেটা ঈশরই ঠিক করে দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। তিনি যেহেতু সবকিছু সৃষ্টি করেছেন সেহেতু কার জন্য কোনটা নৈতিক আর কার জন্য কোনটা অনৈতিক সেটা তিনিই ঠিক করে দেবেন। ধরুন যেমন স্যামসাং ফোন নির্মাতা ঠিক করবেন তাতে কি কি সাপোর্ট করবে, প্রায় তেমনি ভাবে সৃষ্টিকর্তাই ঠিক করবেন আমাদের মানদণ্ড কি হবে।

সর্বোপরি বলতে চাই যদি ঈশ্বর থেকে থাকে তাহলে তিনি আমাদের যেভাবে বানিয়েছে, যেভাবে রেখেছে, যেমনটি করতে বলেছে তা বিনা দ্বিধায় আমাদের মেনে নিতে হবে। আর যদি না মানি তাহলে শাস্তি পেতে হবে। আমাদেরতো আর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কিংবা বিদ্রোহ করা সম্ভব না।

তাই আমি বলব আমাদের ঈশ্বরের ইচ্ছা নিয়ে না ভেবে তার অস্তিত্ব নিয়ে ভাবা। যদি তিনি থেকে থাকেন তাহলে তার কথাই শেষ কথা আর যদি না থাকেন তাহলে এসব প্রশ্নেরও কোন মূল্য কিংবা প্রয়োজন থাকবেনা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

কুহুক বলেছেন: আপনি যেটা বলছেন আমি বুঝতে পারছি । এই গুলো ধর্ম গ্রহন্তে লেখা । কিন্তু এই কোরআন বাইবেল বা গীতা এর সব লেখা কি ১০০ % ঠিক ? ঈশ্বর আছে আমি ও স্বীকার করছি । কিন্তু এই গ্রহন্ত গুলো তো পুরোপুরি ভাবে একে অন্যের সাথে মিলবে না তাই আমরা কখনো বলতে পারবনা যে এই গুলোতে সবই ঈশ্বরের বানী আছে পুরোপুরি ভাবে । আপনি হয়ত বলতে পারেন কোরআন বা গীতা যেটা বলছে সেইটাই ঠিক কিন্তু এটা তো শুধুমাত্র ঈশ্বরই জানেন । যাইহোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

নকীব সরকার বলেছেন: আপনার কথাবার্তায় বোঝা যায় আপনি নাস্তিক।তাহলে শুনুন আপনি সব কিছু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করবেন না।এ সম্পর্কে একটা ঘটনা বলি।
এক যুক্তিবিদ গাড়ি নিয়ে গ্রামে যাচ্ছিলেন।হঠাৎ সামনে একটা দিঘী পড়ল।সে বেরিয়ে এসে ড্রাইভার কে বলল গিয়ে দেখ মাঝখানে গভীরতা কত।ড্রাইভার মেপে এসে বলল গলা সমান।যুক্তিবিদ কিনারায় মেপে দেখলেন পায়ের আঙুল পর্যন্ত পানি।তিনি উভয়ের গড় বের করে বললেন এটা গড়ে হাঁটু সমান পানি।সুতরাং নেমে পড়।ড্রাইভার কথা মত নেমে পড়ল।কিছুদূর যাওয়ার পর যখন পানিতে গাড়ি ডুবতে শুরু করল তখন ড্রাইভার বলল হুজুর গাড়ি তো ডুবে যাচ্ছে।আপনি ই তো বললেন নামতে।যুক্তিবিদ বারবার হিসাব করে বলে হিসাব তো ঠিকই আছে।তাহলে সমস্যা হল কোথায়???? কিন্তু বোকা জানতোই না যে সব জায়গায় যুক্তি চলে না
এবার বুঝেছেন???
কোন প্রশ্ন থাকলে ফেসবুক এ মেসেজ দিন

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৬

মোঃ সোহেল আনোয়ার বলেছেন: আপনার ধারণা একেবারে ভুল। ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে সকল বিষয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। হয়ত আপনি বিশ্বাস করবেন না। তাই প্রমানও দিয়ে দিলাম। প্রমানটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

জে আর সিকদার বলেছেন: "এক মাত্র ধর্মই আছে যা আমরা জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত করি " বাক্যটির সাথে দ্বিমত পোষন করছি। ধর্ম কখনই জন্ম সূত্রে পাওয়া যায় না, বুঝতে চাইলে ধর্ম কি জানুন। তবে আপনার লেখায় ধর্মান্ধের নানান বিষয় ফুটে উঠেছে ।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

কুহুক বলেছেন: জে আর সিকদার আমাদের দেশের কত % লোক সবগুলো ধর্ম গ্রন্ত পরে তারপর সিধান্ত নেয় কোন ধর্ম ঠিক ? প্রায় সবার মায়ের পেতে থেকেই সিধান্ত নেওয়া হয়ে যায় সে মুসলিম হয়ে জন্মাবে না হিন্দু হয়ে জন্মাবে

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

জে আর সিকদার বলেছেন: "এক মাত্র ধর্মই আছে যা আমরা জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত করি " বাক্যটির সাথে দ্বিমত পোষন করছি। ধর্ম কখনই জন্ম সূত্রে পাওয়া যায় না, বুঝতে চাইলে ধর্ম কি জানুন। তবে আপনার লেখায় ধর্মান্ধের নানান বিষয় ফুটে উঠেছে ।

১৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০০

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: যতগুলো প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রত্যেকটার উত্তর অতীতে দিয়ে এসেছি, গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রমান থেকে, উদ্ধৃতিসহ। প্রাথমিক কিছু ধারনা পেতে Click This Link এটা দেখেন আর Click This Link

১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

বাবাজান বলেছেন: প্রাথমিক সময়ে জুড়াই জুড়াই সন্তান জন্ম নিতো
মা হাওয়ার গর্ভ থেকে এক সাথে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্ম হয়,
আবার কিছুদিন পর একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হয়,
আর তাদের বিয়ের সিস্টেম বা নিয়ম ছিলো,
আগে যে ছেলের জন্ম হয়েছে, সেই ছেলের সাথে,পরে যে মেয়ে হয়েছে তার সাথে বিয়ে হবে।
আবার আগে যে মেয়ের জন্ম হয়েছে সেই মেয়ের সাথে,পরে যে ছেলে জন্ম হয়েছে সেই ছেলের সাথে বিয়ে হবে।
এটা শুধু মা হাওয়ার বেলায় চালু ছিলো, জুড়া সন্তান একজন নারী ও আরেকজন পুরুষ হওয়া।
জুড়া সন্তানের ধারা তারপর বন্ধ হয়ে যায়, ও আগে পরে জন্ম নেয়া ভাই বোনের মাঝে উলট পালট করে বিয়ে হয়, উপরে যেমন বলেছি
এটাও বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই সময়ের নিয়ম এমনই ছিলো, যেমন করে জুড়া সন্তান হতো,
এভাবে মানুষ বংশ পরাস্পরায় বৃদ্ধি হয়,এবং এই আত্মীয় অর্থাৎ মানব জাতের পুরুষের সাথেই মানব জাতের নারীর বিয়ে হয়।
এভাবেই এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আত্মীয় মানুষের সাথেই মানুষের বিয়ে হয়, যেমন ধরুন আমি মানুষ হিসেবে আপনার নানার আত্মীয়, আপনার নানার মেয়েও মানুষ হিসেবে আমার আত্মীয়, কিন্তূ বর্তমানে জন্মগত ভাবে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় নই, এই হিসেবে আপনার নানার মেয়ের সাথে আমার বিবাহ চলবে, কিন্তূ সরাসরিভাবে শরিক বা আত্মীয়র মাঝে তা চলবেনা,এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন তৈরি করেছেন প্রভু, এখন প্রশ্ন করতে পারেন, এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন আসলো কেনো,?উত্তর নৈতিকতা বা বৈধতা বোধ তখনকার জন্য প্রযোজ্য যখনকার যে আঈন,সে সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয় নৈতিকতা বোধ যখন, একজন নারী ও একজন পুরুষ এক সাথে জন্ম নিতো।
তখন নৈতিকতা বোধ এটাই ছিলো, যে এক সাথে যে একটি ছেলে ও মেয়ে জন্ম নিবে এরা হবে প্রকিত ভাই বোন, কারন এরা এক সাথে জন্ম নিয়েছে, এদের দুজনের মাঝে বিয়ে হবেনা, সেই আদি যুগে এটাই স্রষ্টা কর্তৃক বিধীবিধান ছিলো, সুতরাং যে সময়ের যে ভাও উক্তা কইরা নাও বাও..
তো আমি আপনার নানার মেয়েকে বিয়ে করে আপনাকে জন্ম দিলাম, আপনি জন্মের সময় একা আসছেন, আমি দেখছি, হেঁ হেঁ হেঁ
তার কিছু দিন পর আপনার বোনকে জন্ম দিলাম, এখন যেহেতু সেই আদি যুগ নেই যেই সময় দুইজন কইরা দুনিয়াতে আসতো, উভয় লিঙ্গের, তাই তাদের এই নিয়ম
আর আপনি ও আপনার বোন যেহেতু দুই সময় দুজন একা একা জন্ম লইছেন দুইজন কইরা জন্ম নেওয়ার সিস্টেমও নাই তাই আপনাদের নৈতিকতা বজায় রেখে চলতে হবে নয়তো মাইর খাইবেন....[মাত্রাতিরিক্ত রসিকতার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত]
আপনার বুঝা উচিৎ যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান নেই সেই বিষয়ের পিছনে পড়া উচিৎ নয়

১৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ৥নকীব সরকার
বিশ্বাসে মুক্তি মেলে তর্কে বহুদূর!!!!

১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা-১(এক)/প্রামান্য ব্যখ্যা

১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ৥নকীব সরকার
আপনি যদি কাউকে চরম হাদারাম বানাতে চান-------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.