![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
—শুভ জন্মদিন! একটু বাইরের দরজাটা খুলে দেখুন তো?
-কেন? তুমি আসছো
—খুলেই দেখুন না!
আবির দরজা খুলে একটা বেশ বড় প্যাকেট দেখতে পায়।
-এতো বড় প্যাকেটে কি পাঠিয়েছ? বলব না!
— কেমন অলস আপনি, প্যাকেট টা খুলে দেখতে পারছেন না?
-এই মেয়ে আমার সাথে আজকে ঝগড়া করলে কিন্তু কেঁদে দিব!
—কাইন্দা রাঁধেন! আপনাকে কাঁদতে দেখার খুব শখ আমার।
-নাহ! এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। ঃজু হুকুম, আপনার যেকোন ধরনের শাস্তি আমি মাথা পেতে নিতে রাজি আছি!
- আবার দুষ্টামি? তোমার শাস্তি হচ্ছে, তোমাকে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আসতে হবে। কোন এক্সকিউজ চলবে না।
—হাহাহা, এই কথা? আচ্ছা চিরদিনের জন্য চলে আসবো।
-হুম, আবার যেন আকাশে উড়ে যেও না। এইবার আসতেই হবে।
—প্রমিজ করছি, আসবো।
-তোমার ওখানে তো অনেক রাত হয়ে গেছে। তুমি এখনো ঘুমাচ্ছ না যে?
— না, আজকে ঘুমাব না ভাবতেছি।
-কেন? মন খারাপ নাকি?
—ধুর, আমার মন খারাপ হবে কোন দুঃখে?
-তাই? তাহলে একটু হাসো।
—কেনো? হাসতে পারছি না তো।
-তুমি হাসলে আমার খুব ভালো লাগে।
—হিহিহি, পরীদের হাসিতে জাদু আছে তাই হয়তো...
-আচ্ছা, এখন ঘুমাও তো।
—আমি বলেছি না আমি ঘুমাবো না।
- তাহলে নাঁচো।
—নাহ। কেনো? রাতের বেলায় কেউ নাঁচে নাকি? তাছাড়া আমি নাঁচতে পারি না!
-রাতের বেলায় তো সবাই ঘুমায়, তাই ঘুমিয়ে পড় প্লিজ। আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
—ওকে...
এরপর আবির প্যাকেট টা খুলে তার মধ্যে কিছু কলম, কিছু বই, কিছু পেইন্টিং, আর পরীর কিছু ফ্রেমে বাঁধা ছবি পায়। পরীর কাছে এই জিনিসগুলো খুব মূল্যবান ছিল কারণ এর সবগুলোর সাথেই পরীর কিছু মেমোরেবল ঘটনা জড়িয়ে আছে। পরীও একমাসের মধ্যে ওর শাস্তি হিসেবে এসেছিল বাংলাদেশে। কিন্তু রাস্তায় পরী যে গাড়িতে করে আবিরের বাসায় যাচ্ছিল সে গাড়িতে অবরোধকারীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। আবির এখনো পরীকে ফ্রেমে বাঁধা ছবি এর মধ্যে দেখতে পায় হাসতে কিন্তু হাসির শব্দ পায় না। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির কবলে পড়ে আবির হয়ত কোনদিন আকাশের সেই পরীটিকে ভুলে যাবে আবার হয়তো কখনো ভুলতে পারবে না...
©somewhere in net ltd.