![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই ২০১৭ তে শেষবার দেখা হয়েছিল তার সাথে। তার এমনই মায়া , একবার যে তার রুপ দেখবে ,তাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকবে।বলছিলাম সারা পৃথীবীর টুরিস্টদের অন্যতম পছন্দের দেশ থাইল্যান্ডের কথা।
কভিডের কারনে মাঝে দুবার প্লান কেন্সেল হলে অবশেষে ২০২৩ এর নভেম্বরে যাওয়ার সুযোগ হল। ভিসা পাওয়ার পর তরিঘড়ি করে টিকেট করায় দামটাও একটু বেশীই পড়ল। আগেরবার রিজেন্ট এয়ারে ১৭ হাজারে গিয়েছিলাম যা এবার ৩৮ হাজার পড়ল রিটার্ন। যদিও এয়ারএশিয়াতে ৩০ এর ভিতর টিকেট করা সম্ভব। সকালে এয়ারপোর্ট তাড়াতাড়ি চলে গেলাম স্কাই লাউন্জে নাস্তা করব বলে । কিন্ত টার্মিনাল ১ এর ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রবেশ করায় বেশ দেরী হয়ে গেল। এদিকটায় বেশীর ভাগ মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের ফ্লাইট থাকায় বেশ সময় নিচ্ছিল ইমিগ্রেশনে। । যাইহোক , ৯ঃ৩০ এর ফ্লাইট যথাসময়েই ছেড়ে গেল ,দেড়টায় পৌছালাম সুবর্নভুমি এয়ারপোর্ট। এখানেও ইমিগ্রেশনে বিশাল লাইন , সবাই বিভিন্ন দেশের ভ্রমনপিয়াসী। সন্ধ্যায় চাও ফ্রা রিভার ক্রুজে ডিনার বুকিং থাকায় ডিউটি ফ্রিতে বেশীক্ষন ঘুরতে পারলাম না।ইমিগ্রেশন পার
হতেই মনে হল যেন সাময়িক মুক্তি পেলাম সবকিছু থেকে। সিম কিনেই বেসমেন্টে চলে গেলাম শহরের ট্রেন ধরতে । সোলো ট্রাভেলার হলে আর লাগেজ বেশী না থাকলে এই এয়ারপোর্ট রেল লিংক খুবই উপকারী । মাত্র ৪৫ বাথ দিয়ে চলে আসলাম পায়া থায় স্টেশনে ,ওখান থেকে আরেক মেট্রো করে চলে গেলাম নানা স্টেশন যেখানে আমার হোটেল। ব্যাংককে চলাচলের জন্যে মেট্রো অত্যন্ত উপকারী । এখানে বেশ কয়েকটি মেট্রো রুট রয়েছে, একটির সাথে অন্যটি লিংক করা । কম খরচে ও সময় বাচানোর জন্যে মেট্রো বেশ উপযোগী। নানা স্টেশন থেকে আমার হোটেল ওয়াকিং ডিসটেন্সে। হোটেলের নাম গ্রান্ড প্রেসিডেন্ট, সুকুমভিট সয় ১১ তে ।যদিও আমার প্রথম পছন্দ ছিল হোটেল এমবাসেডর , কিন্ত খালি না থাকায় প্রথম দুই দিনের জন্যে নিতে হল এই হোটেল। সয় ১১ এই এলাকায় থাকার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত নানা স্টেশন থেকে এটা একদমই কাছে। ভারতীয় ও বাংলাদেশী বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে , যদিও বাংলা খাবারের দাম অত্যাধিক । ৪০০ বাথের কমবেশী খরচ হয় জনপ্রতি । আমার পছন্দ অবশ্য চেইন রেস্টুরেন্টগুলা যেহুলা তে ১৫০/২০০ বাথে ভালই ফুল মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও এই রাস্তায় দুপাশে অনেকগুলা বার রয়েছে যার ফলে সারারাতই জমজমাট থাকে এই এলাকা । হোটেলে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে গেলাম রিভারক্রুজে যাবার জন্যে । আমাদের গন্তব্য আইকন সিয়াম । যা একাধারে একটি মার্কেট ও জাহাজের ঘাট। এপল স্টোর ও মার্কেটে কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে চলে গেলাম ঘাটে । আমাদের শীপের নাম চাও ফ্রা প্রিন্সস ক্রুজ ৬। যাতে প্রতিজনের জন্য খরচ পড়েছে ৩৪ ডলার করে । ২ ঘন্টার এই ক্রুজ আপনাকে ব্যাংককের অনেকগুলা দশ্রনীয় স্থানের পাশ দিয়ে নিয়ে যাবে যেমন গ্রান্ড প্যালেস, ওয়াট অরুন, এশিয়াটিক রিভারফ্রন্ট।বুফের পাশাপাশি লাইভ শো চলতে থাকবে। বুফেতে ২টা অপশন থাকে - ইন্ডিয়ান ও কন্টিনেন্টাল। আমি ইন্টারনেশনাল টা নিয়েছি যদিও বেশীরভাগ আইটেম খেতে পারিনি। সীফুড লাভার হলে ইন্টারন্যাশনাল টাই নেয়া বেস্ট অন্যথায় ইন্ডিয়ান বুফে। উন্ষ আতিথেয়তা ও লাইভ শোর সাথে সাথে সবাই নেচে গেয়ে মজা করতে লাগল । ২ ঘন্টা বেশ অনন্দে কাটল ,বলতেগেলে ব্যাংকক শহরের অনেকটাই নদীপথে দেখা হয়ে গেল। হোটেলে ফিরে রাত ১১টার দিকে বের হলাম বিখ্যাত নানা প্লাজার উদ্দেশ্যে । নানা প্লাজা এলাকাটা বার,ক্লাব, গো গো বার , মাসাজ সেন্টারে ভরপুর । এটাই ব্যাংককের নাইটলাইফ হাব।বার ক্লাবগুলোতে উপচে পড়ছে মানুষ, বেশীরৰাগই ইউরোপিয়ান। রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা মেয়েরা দৃষ্টি আকর্ষেনর চেস্টা করছে টুরিস্টদের । মাসাজ সেন্টারের সামনে সিড়িতে বসে থাকা নারীরা হাকছে “মাসাজ , মাসাজ” ।এ যেন এক অন্য জগত । ক্লাবগুলার ভিতর গানের তালে তালে সঙ্গী নিয়ে নাচছে বিভিন্নদেশের টুরিস্টরা । দেশ ভিন্ন হলেও বেশীরভাগের সংগী দেখলাম থাই মেয়েরা। অনান্য স্থানগুলোতে মানি একচেন্জ বন্ধ হয়ে গেলেও নানা প্লাজার গুলো গভীর রাতেও খোলা , যাতে করে ফুর্তির জন্যে বাথের অভাব না হয়। নানা প্লাজার মূল ভবনের গো গো ক্লাব গুলাতে কি হয় তা গুগল সার্চ করলেই বুঝতে পারবেন।
রংগিন দুনিয়া ছেড়ে হোটেলে ফিরলাম মধ্যরাতে।হোটেল এলাকায় দেখি দেহপশরা সাজিয়ে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে আছে রমনীরা ।
পরের দিন আমার গন্তব্য হল সাফারি পার্ক । যা ব্যাংকক থেকে ৩০ কিমি দুরে । আমি ক্লুক এপ থেকে ট্রান্সফার সহ প্যাকেজ বুকিং দেই। সকালে সেন্ট্রাল ওয়াল্ড থেকে বাস নিয়ে যায় সাফারি ওয়াল্ডে। এখানে মূলত দুটা পার্ক ।মেরিন পার্ক ও সাফারি পার্ক। মেরিন পার্কে মূলত বেশকিছু শো হয় এন্টারটেন্টমেন্টের জন্যে যেমন ডলফিন শো , ওরাংওটাং শো, কাউবয় শো।এলিফেন্ট শো। ডলফিন শো ছাড়া বাকিগুলা সার্কাসের মত মনে হল অনেকটা। বিকেলে ১০০ বাথে বাসের টিকেট করে প্রবেশ করলাম সাফারি পার্কে । এটা মূলত জাংগাল সাফারি যেখানে জীব জন্ত স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়ায় আর দর্শকরা বাসে করে তাদের দেখতে যায়। সাফারি পার্কে যেতে হলে অবশ্যই যাওয়া আসার ব্যাবস্থ সহ প্যাকেজ নিবেন অন্যথায় আসার সময় ট্যাক্সি পেতে বেশ সমস্যা হবে।
পরের দিন আমাদের গন্তব্য হল গ্রান্ড প্যালেস , ওয়াট পু , ওয়াট অরুন ও মাকা নাহন স্কাইওয়াক ।
হোটেলে ব্রেকফাস্ট করে ট নিয়ে সকাল সকাল টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম গ্রান্ড প্্যালেস । গ্রান্ড প্যালেস নিয়ে কমন একটা স্কাম প্রচলিত আছে । গ্রান্ড প্যালেসের অনেকগুলা গেট । প্রায় গেটই বন্ধ থাকে । টেক্সিওয়ালা বন্ধ গেটের সামনে নিয়ে বলে আজকে ছুটির দিন , প্যালেস বন্ধ , আপনাকে আরো সুন্দর প্লেসে নি্য়ে যাই। কিন্ত এ ধরনের কিছুই কখনও থাইলান্ডে ফেস করা লাগে নি আমার । গুগল ম্যাপ আমাদের ভ্রমনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। গ্রান্ড পেলেসে বিদেশীদের প্রবেশ ফি ৫০০ বাথ , যা অনেকটাই বেশী মনে হয়েছে সরকারী স্থাপনা অনুপাতে। ১৭৮২ সালে কৌশলগত কারনে চাও ফ্রা নদীর তীরে এ প্যালেস স্থাপন করেন রাজা রামা ১। রাজার বাসভবন চকোরি প্যালেস ছাড়াও এখানে রয়েছে অনিন্দ সুন্দর ফ্রা মন্ডপ ও বিখ্যাত এমারাল্ড বুদ্ধা।
গ্রাম্ড প্যালেসের পাশেই রয়েছে ওয়াট ফু বা আধশোয়া বুদ্ধ মূর্তি। ২০০ বাথ ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হবে ব্যাংকেকের অন্যতম আইকনিক এই মন্দিরে। এদিকটায় ঘুরাঘুরি শেষ করে চলে গেলাম ব্যাংককের সব্বোর্চ ভবন মাকানাহন স্কাইটাওয়ার। ৩১৫ মিটার উচ্চতার এর ভবন যে কাউকেই মোহিত করবে ।এর অন্যতম আকর্ষন হল ৭৮ তালা ছাদের উপরে থাকা স্কাইওয়াক । ৩০ ডলার প্রবেশ ফি দিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া এলিভটেরের সাহায্যে আপনাকে ৯০ সেকেন্ডে নিয়ে যাবে ৭৫ তলা অভজারবেশন ডেকে। সেখান থেকে লিফট অথবা সিড়ি দিয়ে যেতে হয় ৭৮ তলার ছাদে যেখানে রয়েছে কাচের তৈরী স্কাইওয়াক। এখান থেকে আপনি ব্যাংকক শহরের সম্পুর্ন বার্ডস আই ভিউ দেখতে পারবেন। দেখতে পাবেন অনিন্্দ সুন্দর ফ্রাও নদী বয়ে গেছে শহরের মধ্যে দিয়ে। প্রবেশের জন্যে বিকেলের স্লট বুকিং দিলে সূর্যাস্তসহ দিন ও রাতের ভিউ একসাথে দেখতে পারবেন।যাদের উচ্চতাভীতি রয়েছে তাদের জন্যে প্রথমবার স্কাইওয়াকে উঠা কস্টকর হয়ে যাবে , তবে একবার ভয় ভেংগে উঠে গেলে বেশ উপভোগ্য লাগবে ব্যাপারটা।
পরের দিন আমাদের গন্তব্য ফুকেট । ডং মুয়াং এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের ফ্লাইট সকাল ১১টায় এয়ারএশিয়া। ডং মুযাং এয়ারপোর্ট থেকে সাধারনত লো কস্ট ডমিস্টিক ফ্লাইটগুলা পরিচালনা করা হয়। মাত্র ৫ দিন আগে বুক করা এ টিকেট পড়েছে ৪৫০০ টাকা প্রতিজন। আকাশ পরিস্কার থাকার পরেও আমাদের এই ফ্লাইটে যথেস্ট টারবুলেন্স হচ্ছিল। ফুকেটের কাথাকাছি আসতেই নীচে দেখা যাচ্ছিল নীল জলরাশী আর ছোট ছোট দ্বীপসমূহ যাগুলার টানে মানুষ দুর দুরান্ন্ত থেকে ছুটে আসে। ফুকেট এয়ার পোর্ট থেকে ১০০ বাথ করে বাসে আমরা চলে গেলাম পাতং এরিয়াতে যেখানে আমাদের হোটেল। পাতং এরিয়াটি থাকার জন্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এর বীচ ও বিখ্যাত বাংলা রোডের কারনে ।বাংলা রোড হল পাতায়ার ওয়াকিং স্টীটের ছোট একটি সংস্করন। এর নাম কিভাবে বাংলা রোড হল তা নিয়ে নানা মত । কথিত আছে মালয় এলাকা থেকে বাংগালী টিন মাইন শ্রমিকদের এখানে সেটেল্ট করা হয় ১৯ শতকে ।টিন মাইনিং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় তারা ধীরে ধীরে পেশা পরিবর্তন করে এবং এখানে বিভিন্ন বার , ক্লাবসমূহ গড়ে উঠে।
আমরা বিকেলে বীচ এলাকায় ঘুরাঘুরি করে স্ট্রীটফুডের টেস্ট নিলাম । রাতে কিছুক্ষন বাংলা রোডে ঘুরাঘুরি করে হোটেলে চলে এলাম কারন কাল ভোরে আমাদের ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুর। ট্যুর আমরা ক্লুক থেকে বুক করেছিলাম জনপ্রতি ৫২ ডলার করে। হোটেলের ঠিকানা বুকিং করার সময়ই লিখে দিয়েছিলাম। পরের দিন যথাসময়ে হোটেলের সামনে এসে হাজির হয় পিকআপ মাইক্রোবাস। আরও ২ টি হোটেল থেকে ৫/৬ জনকে পিকাপ করে আমরা নিয়ে গেল পু ফুকেটের রাসাদা ঘাটে যেখান থেকে আমাদের জার্নি শুরু হবে। ইয়াচ মাস্টার নামক একটি প্রতিশ্ঠান এই ট্যুর পরিচালনা করে যারা অত্যন্ত প্রফেশনাল।পিকআপ , প্রি ট্যুর ব্রিফিং, সেফটি ব্রিফিং সব এত সুন্দরভাবে সপ্পন্ন করল যা খুবই ভাল লাগল। আমাদের হাল্কা নাস্তাও পরিবেশন করল তারা জার্নি শুরুর আগে। বিভিন্ন দলে ভাগ করে হাতে বিভিন্ন কালারের রিস্টব্যন্ড পরিয়ে দিল যাতে কে কোন দলে তা বুঝা যায়। ঠিক ৯টায় আমরা ক্যাটারম্যন স্পীডবেটে করে যাত্রা শুরু করলাম হলাম আন্দামান সাগরের মাঝ দিয়ে। প্রথম গন্তব্যা কোহ খাই বা খাই আইল্যান্ড । মাত্র ৫০০ মিটার দীর্ঘ এ দ্বীপ যেন সাগরের বুকে একটুকরো নিসর্গ।ছবির মত সুন্দর এ দ্বীপ যে কাউকে মোহিত করবে। সাগরের পানি এতটা স্বচ্ছ হতে পারে জানা ছিল না। খাই আইল্যান্ড থেকে আমরা রওনা দিলাম ফি ফি আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। যাত্রা পথে আমাদের গাইড জ্যাক স্পা৫রো নানাভাবে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছিল আমাদের । ফি ফি দ্বীপের উত্তরপাশটা দেখে আমরা চলে গেলাম ফি ফি লী যেখান থেকে ঐতিহ্যবাহী লংটেল বোট ট্যুর করা যায়। গ্রুপের কেউ কেউ লংটেল বোট নিয়ে ঘুরতে চলে গেল কেউ কেউ পানিতে নামল সমুদ্রস্নানে।লংটেল বোট টুর শেষে আমরা চলে আসলাম মাংকি বে, বেশকিছু বানরের দেখা পেলাম সেখানে । এরপর মুল আইল্যান্ডে নামিয়ে দিল আমাদের । কিছুক্ষন ঘুরে ফিরে লান্চ করে নিলাম ফি ফি ক্লিফ বীচ রিসোর্টে । বুফে লান্চ আমাদের প্যাকেজেই অন্তভুক্ত ছিল । ফি ফি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সকল খাবারই এখানে হালাল। লান্চ শেষ করে বীচে কিচুক্ষন সময় কাালাম। যথাসময়ে আমাদের স্পীডবোট রওনা দিল ভাইকিং কেভের দিকে। এই এলাকায় আমাদের স্নুকেলারিং করানো হবে। সবাইকে গগলস মাস্ক দেয়া হল এবং কিৰাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে তার ব্রিভিং দেয়া হল। যারা সাতার জানে তাদের কো আগে যাওয়ার সুযোগ করে দিল। এরপর গাইডরা বাকিদের ধীরে ধীরে পানিতে নামাল এবং সাথে থেকেই হাতেকলেমে দেখিয়ে দিচ্ছিল কিভাবে কি করতে হবে । যাক আমাদের পালা এল । পানিতে নিঃস্বাস নেয়ার বা্যাপারটা রপ্ত করতে একটু সময় লাগলেও শিখে যাওয়ার পর খুব মজাই লাগল। ভেসে ভেসে পানীর নীচের সৌন্দয্য লিখে প্রকাশ করার যাবে না। নানা রংয়ের কোরাল , মাছের ঝাক , জলজ উদ্ধিদ দেখতে দেখতে অন্য এক জগতে চলে গিয়েছিলাম। প্রতিদিন এত লোকের সমাগম হওয়ার পরেও পানিসহ সবকিছু এত পরিস্কার কিৰাবে থাকে তা আমার কাছে বিস্ময়ই থেকে গেল।প্রথমবার স্নুকেলারিং অৰিগ্গতা সবাই খুব উপভোগ করল। তারপর আমরা রওনা দিলাম পরবর্তী গন্তব্য মায়া বে এর উদ্দেশ্যে।লিওনার্দো দ্যা ক্যাপ্রিও এর দ্যা বীচ সিনেমার শুটিং হয়েছিল এ সৈকতে। তখন থেকেই জনপ্রিয়তা পেতে থাকে সমুদ্র সৈকতটি। প্রাকিতিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকায়২০১৯ সাথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এ এলাকাটি । পুনরায় ২০২১ এ চালু র্যকরা হয় তা পর্যটকদের জন্যে । এখানকার পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপসমূহ চোখে পড়ার মত। কোন প্লাস্টিক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ নিষেধ এবং ঘাট থেকে মূল বীচে যাওয়ার জায়গাটিতে কাঠের ব্রীজের মত করে দেয়া হয়েছে যাতে পর্যটকদের পদচারনায় গাছপালা নস্ট না হয়। মায়া বীচের সৈন্দয্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সৃস্টিকর্তার সৃস্টির অপরুপ নিদর্শন এ মায়া বে। এর মায়াবী সৌন্দর্য্য যে কাউকে মোহিত করে রাখবে বহুক্ষন । সাদা মিহি বালির এ সৈকতে পা ডুবিয়ে দাড়ালে আর আসতে ইচ্ছা করবে না ওখান থেকে। কথায় আছে শেষ ৰাল যার , সব ৰাল তার। সারাদিনের অসাধারন কিছু অভিগ্গতা ও সর্বশেষ মায়া বে র মনোমুগ্ধকর স্মৃতি নিয়ে আমরা ফিরে আসার জন্যে রওনা দিলাম ফুকেটের দিকে। সময় স্বল্পতার কারনে আমরা যদিও ডে ট্যুর নিয়েছিলাম , তবে পরামর্শ থাকবে ফি ফি তে দু রাত অথবা নুন্যতম ১ রাত থাকার জন্যে । নাহয় এর মূল সৌন্দয্য উপভোগ করা যাবে না। (রিপোস্ট ).চলবে.
©somewhere in net ltd.