নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লাক ক্যাট

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯

তুর্য রাসেল

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯২৫-১৭৩৪৫৪ এই নাম্বারে।

তুর্য রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আমার কিছু কথা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

(আমার এ লেখাটি একটু কষ্ট করে হলেও পড়ুন;আমার বিশ্বাস আপনার একটু হলেও উপকার হবে)



আগামীকাল বিশ্বভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা আল্লাহ প্রদত্ত এক উপহার। প্রত্যেক ধর্মে ভালোবাসাকে পবিত্র বলে গন্য করা হয়। ভালোবাসা নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক কল্পকাহীনি, রচিত হয়েছে ইতিহাস। আমরা যেমন জানি সম্রাট শাহজাহান এর ভালোবাসার অমর কাহিনী তেমনি জানি আদম-হাওয়া, ইউসুফ-জুলেখা, রাধা-কৃষ্ণ, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, রোমিও-জুলিয়েট এর কাহিনী। এরা অমর হয়ে আছে। আমরা যেমন ভালোবাসি আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, আর ভালোবাসি আমাদের প্রিয় মানুষটিকে। এই প্রিয় মানুষটি হতে পারে আমাদের জীবনসঙ্গী, হতে পারে ভালো কোন ফ্রেন্ড। তবে এই আকাশ সংস্কৃতির অগ্রাসনের যুগে ভালোবাসা দিবস বলতে যা আমরা বুঝি, তা হলো উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীর প্রেম-ভালোবাসাকে। কালের বিবর্র্র্র্র্র্র্তনে আজ ভালোবাসা দিবস আমাদের দেশে একটি মূল্যবান দিন সময় ও আধুনিক ফেস্টিভ্যাল ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে, যা রবিঠাকুরের ভাষায়- সখি ভালোবাসা কারে কয়, সেকি শুধুই যাতনাময়।’

প্রেমের কবি নজরুলের ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোঁপায় তারার ফুল।’ রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কথায়, ‘ভুলে যাবো বলে এত দূর আসা তবু ভুলে গেছি কিন্তু ভুলে থাকতে পারেনি।’ রফিক আজাদের- ‘যদি ভলোবাসা পাই- পাহাড় ডিঙাব আর সমুদ্র সাঁতরাব।’ গানের সম্রাজ্ঞী মমতাজের ভাষায়- ‘বুকটা ফাইট্যা যায়’, কণ্ঠশল্পী ন্যান্সির ভাষায়-‘আমি তোমার মনের ভিতর একবার ঘুরে আসতে চাই অথবা পাগল তোর জন্য রে মন পাগল এ মন।’ অথবা অন্যান্য শিল্পীর কণ্ঠে ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না ও আমার প্রাণ পাখি ময়না’, ‘ভালোবেসে হলাম অপরাধী’, ‘কেন যে বোঝ না আমাকে তুমি’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো সে কথা তুমি যদি জানতে’, হিন্দতে- ‘দিল তো পাগল হ্যায়, আউ শুনাহু পেয়ার কি এক্কাহানি’, ইংরেজিতে- ‘আই ক্যান ফিল ইউর হার্টবিট’ বা ‘ডিপ ইন মাই হার্ট- ইউ আর মাই হার্ট- ইউ আর মাই সোল’, নতুবা মফিজের মতো ঘরে বসে বসে একাকী গাইতে হবে- ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু ভালোবাসা পেলাম না, প্রেমের মরা জলে ডোবে না’।

আর এই ভালোবাসা দিবসের তাৎপর্য আমাদের কাছে কতটুকু তা আমার কাছে অজানা ও রহস্যময়। এই ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মাঝে যে প্রভাব পড়েছে তা হলো নিজের সব কিছুকে সমর্পণ করা। আর এই সমর্পণ করা আমাদের সমাজের কাছে একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের ইয়ং জেনারেশনকে দিন দিন ধাবিত করছে পশ্চিমা বিশ্বের নগ্নতার দিকে। এরই ফলে আমদের পরিবার, সমাজ ও দেশকে মাঝে মাঝে কলঙ্কিত হতে হচ্ছে এবং বিব্রত হতে হচ্ছে সুধী ও নারী সমাজকে।

এখন ভালোবাসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শারিরীক সম্পর্কের দিকে গড়াই। এই ঢাকা শহরে অনেকদিন থেকেই থাকতেছি। এখান থেকেই কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলে মেয়েদের একাধিক গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড থাকে। বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসে তাদের ক্ষেত্রে। স্কুল বা কলেজ লাইফের বয়ফ্রেন্ড গার্লফেন্ড এবং এই ভার্সিটি লাইফের আরেকটা ফ্রেন্ড। আর এর পরিণতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় খুব ভয়াবহ।

বর্তমানে প্রেম ভালোবাসা শরির নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পার্কে বা উদ্যনে গেলে সহজেই চোখে পড়ে। আর এইসব প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য ঢাকা শহরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফ্লাট বাড়ি। যেখানে টাকার বিনিময়ে নির্বিঘ্নে প্রেমিক প্রেমিকারা সময় কাটাতে পারে। কিছুদিন আগে এদের কাছে জনপ্রিয় ছিল বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। কিন্তু এইসব হোটেলে অত্যান্ত রিস্ক থাকে। যেমন হিডেন ক্যামেরা আর পুলিশি ঝামেলা। তাই বর্তমানে ফ্লাট বাসাগুলোই প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে খুব জনপ্রিয়।

আমি বলবো না সবাই এ ধরণের কাজ করে তবে বেশিরভাগই এসব করে থাকে। আমরা সবাই জানি এসব অবৈধ। আমরা এটাও জানি ধর্ম এসব ব্যাপারে কি বলে। আমরা এও জানি এসব অবৈধ রিলেশনের ফলে কি পরিমান পাপ হয়। কিন্তু আমাদের শারিরীক চাহিদার কাছে আজ ধর্ম তুচ্ছ।

তাই আমি আপনাদের একটা বুদ্ধি দিতে পারি এই পাপ থেকে বাঁচার জন্য। যদিও এটা ঠিক না। কারণ বাবা মা এতে প্রচুর কষ্ট পাই। কারণ পিতা মাতা তার সন্তাকে তার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে বড় করে। তার সন্তানের উপর অগাধ বিশ্বাস নিয়ে তাকে বাইরে পাঠায়। কিন্তু সন্তান তার পিতা মাতার ভালোবাসা আর বিশ্বাসের মূল্য যখন এভাবে দেয় তখন তা সত্যি সহ্য করা কষ্টকর হয়ে উঠে। উনারা তো আর নিজের সন্তানকে ফেলে দিতে পারেন না। তাই হয়তো এক সময় সব কিছু মেনে নেয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সারাজীবন এক চাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করে। অনেক ক্ষেত্রেই বাবা মা একেবারেই মন থেকে সবকিছু মেনে নেয়। যদি আপনি একজন সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচন করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে মেয়েরা জীবনসঙ্গী নির্বাচনে বড় ভূলটা করে থাকে। তাই আপনি যার সাথেই প্রেম করেন না কেন আপনাকে প্রথমেই চিন্তা করতে হবে আপনার বাবা মার কথা। উনারা ছেলে বা মেয়েটাকে কিভাবে নিবে। এই কথাগুলো লিখার পর বুদ্ধিটা আর দিতে ইচ্ছা করলো না। আমার উপরের লিখাগুলো পড়লেই আপনি অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন। আপনি নিজেই অনেক সুন্দর সুন্দর সমাধান বের করতে পারবেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

মোরশেদুজ্জামান বলেছেন: বর্তমান সমাজে যৌন চাহিদা নিবারণের নাম-ই ভালোবাসা। সবার মুখেই শুনা যায় "ভালোবাসা পবিত্র জিনিস"। কিন্তু কোন ভালোবাসা তা কেউ বলে না। অবৈধ ভাবে যেটা অর্জন হয় তার নামই ভালোবাসা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.