নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লাক ক্যাট

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯

তুর্য রাসেল

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯২৫-১৭৩৪৫৪ এই নাম্বারে।

তুর্য রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ডাকাতির ঘটনা

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

একদিন রাতের ঘটনা। তখন অনেক রাত। প্রায় ১২ টা বাজে। ছাদের উপর কিসের যেন শব্দ। ক্রমেই শব্দের পরিমান বাড়ছে। আমার দাদি দাদাকে ঘুম থেকে জাগালো। দাদাকে বলল, "দেখ তো ছাদে কিসের শব্দ হচ্ছে, চলতো দেখি কিসের শব্দ।" তারপর দাদি আর দাদা একটা টর্চ লাইট নিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো। দাদি প্রচুর সাহসী। তাই দাদী সামনে আর দাদা পিছনে। দাদির হাতে টর্চ লাইট। ঠিক যখন ছাদে পা দিবে ঠিক সেই মূহুর্তে দাদি দেখলেন ছাদের উপর প্রায় ৮-১০ জন মানুষ। সবাই মুখোস পড়া। দাদী আর কালবিলম্ব না করে দাদাকে বললেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। তাড়াতাড়ি নিচে চলো। দাদা ঠিক বুঝতে পারেনি দাদির কথা। তাই দাদা দাদিকে বললো কই কি হয়েছে দেখি? তাই বলে দাদা দাদির হাত থেকে টর্চটা নিয়ে সামনে আলো ফেললো। কিন্তু ততক্ষনে ডাকাতরা দাদা-দাদিকে দেখে ফেলেছে। ডাকাতরা দাদা-দাদিকে ধরার জন্য দৌড় দিল। আর দাদিও এক ছুটে নিচে। কিন্তু ডাকাতরা দাদাকে ধরে ফেললো। তারপর দাদার হাত থেকে টর্চটা নিয়ে দাদাকে সেই টর্চ দিয়ে উপুর্যপরি মারতে থাকলো। মারতে মারতে নিচে নিয়ে আসলো। আর এই দিকে আমাদের উত্তর দিকের বারান্দায় আমার বড় আব্বা(অর্থাৎ আমার আব্বার দাদা) বসা ছিলেন। দাদি বড় আব্বাকে নিয়ে উত্তর দিকের একটা ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিলেন। আর পশ্চিম দিকের ঘর গুলোতে আব্বা চাচা ফুফুরা থাকতেন। উনারা নিজেদের ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এদিকে তো দাদা ডাকাতদের হাতে বন্দি। ডাকাতরা হুমকি দিল যদি দরজা না খোলা হয় তবে দাদাকে মেরে ফেলবে। তাই বাধ্য হয়ে দরজা খুলতে হল। দরজা খোলার পর আব্বা, চাচা আর ফুফুরাকে একটা খাটের উপর বসালো। ডাকাত দলের একজনকে তাদের পাহারা দেওয়ার জন্য রাখল। এদিকে দাদাকে একটা বিছানার সাথে বেধে ফেললো। বড় আব্বাকে অন্য একটা বিছানার উপর বসিয়ে রাখলো। উনার পাহারায় একজন ডাকাত। শুধু দাদিকে মুক্ত রাখা হল কোথায় কি আছে জানার জন্য। এরপর শুরু হল গোটা বাড়ি সার্চ করা। বড় আব্বা যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরেই ছিলো বড় আব্বার প্রিয় 'তলোয়ার'। ডাকাতরা সেই তলোয়ার দিয়ে বড় আব্বাকে একটা কোপ দিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো উপরে মশারি ছিলো। যার কারণে আঘাত সরাসরি বড় আব্বাকে লাগেনি। হাতটা সামান্য কেটে গিয়েছিল। এদিকে দাদিকে দিয়ে টাকার আলমারিটা খুলালো। আলমারি ভর্তি প্রচুর টাকা। তাই ডাকাতরা সেই টাকার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো। এমনকি যারা বিভিন্ন যায়গায় পাহারায় নিয়োজিত ছিল তারাও লোভ সামলাতে পারলো না। দাদিকে যে পাহারা দিচ্ছিল সেও ঐ টাকার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো। দাদি ভাবলো এইতো সুযোগ.... একদৌড়ে দাদি পশ্চিম দিকের স্টোর রুমটিতে ঢুকে মই দিয়ে জানালায় উঠে প্রতিবেশীদের নাম ধরে ডাকতে থাকলো। ততক্ষনে ডাকাতরা খেয়াল করলো দাদি নাই, কোথায় পালিয়েছে। ডাকাতরা মনে করলো দাদি হয়তো বাড়ির বাইরে চলে গেছে। তাই তারা বাড়ির বাইরে দৌড় দিল কিন্তু ততক্ষনে গ্রামের অনেকেই আমাদের বাড়ির দিকে আসতে শুরু করেছে। তাই ডাকাতরা যে যেভাবে পারলো পালিয়ে গেল। এভাবেই সেইদিন দাদির সাহসীকতার কারণে পরিবারের সবাই বেঁচে গিয়েছিল। নাহলে হয়তো বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Hasina khaleder bodole amra apner Grand mother chai

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.