নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লাক ক্যাট

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯

তুর্য রাসেল

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯২৫-১৭৩৪৫৪ এই নাম্বারে।

তুর্য রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুণদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ মনোভাব বাড়ছে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বর্তমানে তরুণদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ মনোভাব দিন দিন বাড়ছে। যার প্রমাণ দেখা যায় গত টি২০ বিশ্বকাপে। সাধারণত দেখা যায় বিজয়ী দল উল্লাসিত হয়। আনন্দ মিছিল করে। কিন্তু গত ফাইনাল খেলায় দেখা গেল পুরো উল্টো চিত্র। ভারতের পরাজয়ে দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে মিছিল হয়েছে। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি অনেক পাড়া মহল্লায় আনন্দ মিছিল করা হয়েছে হয়ছে। কিন্তু কেন?

ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত। আমদের দেশের বেশিরভাগ সীমান্ত জুড়েই রয়েছে ভারতের অবস্থান। কিন্তু ভারত এই ৪৩ বছরে একজন ভালো প্রতিবেশী প্রমাণে ব্যার্থ হয়েছে। উপরন্তু ভারত সবসময় আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। যা তরুণ সমাজ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এ সরকারকে বলা হয় ভারতের খুব কাছের বন্ধু কিন্তু এ সরকারও ব্যার্থ হয়েছে নায্য দাবি আদায়ে। তিস্তার পানির কোন সুরাহা হয়নি। একের পর এক নদীতে বাধ দেওয়া হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নদীগুলো পরিনত হচ্ছে মরা গাঙ্গে।

ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে স্থল পথ ও নৌপথ ট্রনজিট। তারা আদায় করে নিয়েছে বিদুৎ ট্রানজিট। কোলকাতার পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে সুন্দরবনে বন ধ্বংস্ব করে রামপাল কয়লা বিদুৎ স্থাপন করেছে।

বাংলদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য শান্তি বাহিনিকে অস্ত্র দিয়েছে, প্রশিক্ষন দিয়ে সাহায্য করেছে। যা তরুণ সমাজ এখনো মনে রেখেছে।

বাংলাদেশের সীমান্তে গড়ে তোলা হয়েছে হাজার হাজার ফেনসিডিল কারখানা। যা বাংলাদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস্ব করার একটা নীল নকশা।

প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণী পাচার হচ্ছে ভারতের পতিতালয় গুলোতে।

প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে পাখির মত। যা তরুণ সমাজের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।

তারা অন্যায়ভাবে দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ। বাংলাদেশের পাওনা তিন বিঘা করিডোর তো দেয়নি, উপরন্ত ছিটমহলবাসীদের উপর করা হচ্ছে নির্মম নির্যাতন।

তারা এমনও বলেছে বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেট খেললে তাদের খেলার মান কমে যাবে। ব্যাস্ত সূচির ওজুহাতে তারা বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেট খেলতে চায় না।

ক্রিকেটে ভারতের দাদাগিরি মনোভাব তরুণদের পছন্দ হয়নি। শুধু ক্রিকেটে নয় বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে ভারতের দাদাগিরি মনোভাব তরুণদের পছন্দ হয়নি।

এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে তরুণদের কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে তা হচ্ছে খেলা চলাকালিন সময়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা অন্য দেশের পতাকা বহন করতে পারবে না। কিন্তু ফাইনাল খেলায় অনেক বাংলাদেশী ভারতের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছে। তরুণদের কাছে মনে হয়েছে মূলত পাকিস্তানি সমর্থকদের ঠেকানোর জন্য এ নিয়ম করা হয়েছে।

ভারতের প্রতি তরুণদের বিদ্বেষ যে তুঙ্গে তা প্রমাণ হয়ছে এই বিশ্বকাপে। অনেক ভারত সমর্থককেও এবার ভারত বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। তারাও উপরোক্ত যুক্তিগুলো দেখিয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.