নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লাক ক্যাট

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯

তুর্য রাসেল

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। লেখার সকল ভূবনে বিচরণ করতে আমি ভালোবাসি। চেষ্টা করবো নতুন কিছু দেওয়ার। আপনারা অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আমাকে মেইল করতে পারেন: [email protected] অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯২৫-১৭৩৪৫৪ এই নাম্বারে।

তুর্য রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিলবুবস(Jilboobs)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬



জিলবুবস(Jilboobs), যার ঢেউ এসেছে লেগেছে বাংলাদেশে। জিলবুবস শদ্বটি দুইটি শব্দ নিয়ে গঠিত। জিল (Jil) মূলত ইন্দোনেশিয়ান শব্দ যার অর্থ হিজাব। আর বুবস(Boobs) স্তনের অপশব্দ। জিলবুবস সেই ধরণের পোষাককে বলে যা দ্বারা মাথা ঢেকে রাখা হয় কিন্তু বুক এবং পিছন সাইড বের হয়ে থাকে। এধরণের পোষাক ইন্দনেশিয়ায় খুব প্রচলিত। সম্প্রতি ইসলামিক স্কলাররা পোষাকটিকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে। যদিও এটার পক্ষে বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নারীবাদী লেখক জুলিয়া সুরিয়াকুসুমা জাকার্তা পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে মুসলিম স্কলারদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, জিলবুবস হচ্ছে ধর্ম বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বায়িত চেতনার সংমিশ্রন....একটা ফ্যাশন ট্রেন্ড৷ অন্যদিকে জিলবুবসের বিপক্ষেও অনেকে কথা বলছেন। কেউ আবার এটা থেকে মজা নিচ্ছে। যাইহোক এ পোষাকটা বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে দেখা যায় থ্রি কোয়াটার বোরখা, সাথে স্কিন টাইট চিপা প্যান্ট তাও আবার টাখনুর অনেকটা উপরে। আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মুসলিম নারীদের মাঝে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা এমন এক কৌশল অবলম্বন করেছে যেটাতে "সাপও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবে না" আর তারই প্রতিফলন হচ্ছে এই থ্রি কোয়াটার বোরখা, সাথে স্কিন টাইট চিপা প্যান্ট। আমাদের জেনে রাখা উচিৎ পর্দা করা একটি ইবাদাত, পর্দা করতে হবে একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। আমি পর্দা করব যাতে আমার রবকে সন্তুষ্ট করতে পারি। কিন্তু ঐ সমস্ত মুসলিম নারীরা আসলে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে হিজাব পরে না, তারা সম্ভবত বাবা-মায়ের চাপে, স্বামীর ভয়ে অথবা স্টাইল করার লক্ষ্যে ঐ ভণ্ডামিমূলক হিজাব পরে থাকে। এতে করে বাবা-মায়ের বা স্বামীর কথা অনুযায়ী হিজাবও পরা হল সাথে সাথে নিজের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির/সৌন্দর্য্য প্রদর্শনীর কাজটাও হয়ে গেল। বাবা-মায়ের বা স্বামীকেও সন্তুষ্ট করা গেল এর পাশাপাশি আমার উদ্দেশ্যও ঠিক থাকল। এটাই হচ্ছে- "সাপও মরল লাঠিও ভাঙ্গল না"। কিন্তু এই ফাঁকিবাজি সে কার সাথে করল? কার সাথে প্রতারণা করল?



সে কি নিজেকেই নিজে ঠকাল না?

এই হিজাব এখন অধিকাংশ মুসলিম নারীরাই গ্রহন করছে। তাদের নিকট এই হিজাবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।



কিন্ত অধিকাংশ লোক যদি এই হিজাবের পক্ষে থাকে তাহলে কি এই ভন্ডামীর হিজাব ইসলামে বৈধ হয়ে যাবে?



"আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। (সুরা আন'আমঃ ১১৬)

এটি একটি প্রহসন।

এর নাম ইসলাম নয়।

অথচ কুরআনে রয়েছে-

"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আন নুরঃ ৩১)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

বাতি-ঘর বলেছেন:

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: X(

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কাঠ পাতা বলেছেন: সময় উপযোগী পোস্ট।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.