নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল আস্থায় পথ চলা

রুবেল ১৯৮৪

প্রমাণ্যচিত্র নির্মাতা

রুবেল ১৯৮৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমানের দুর্নীতির প্রমাণ পত্র

২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দু'সন্তান তারেক রহমান ও কোকোর দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে 'সম্পূরক তথ্যে'।

তারেক-কোকোর দুর্নীতি :
জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর টেলিভিশনে ভাঙা স্যুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জি দেখানো হয়। তাকে সততার মূর্ত প্রতীক বানানো হলো। কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা গেল, জিয়া পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। লঞ্চ, টেক্সটাইল মিলস, বিদেশে বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালান্স- এগুলো হঠাৎ কোথা থেকে এলো? সততার মুখোশ পরিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে সহানুভূতি আদায় করা হয়। হঠাৎ করে এত টাকার মালিক হলো কীভাবে? পুরো জিয়া পরিবার, অর্থাৎ খালেদা জিয়া, তারেক, কোকো সবাই শুধু অসৎ নয়, তারা চরম দুর্নীতিবাজ, জিঘাংসাপরায়ণ, ক্ষমতালোভী। আদালতে খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের দুর্নীতির প্রমাণ হয়েছে এবং সাজা হয়েছে। তারা শুধু দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস তারেক রহমানের ১২ কোটি টাকা আটক করেছিল। আমরা ২০১২ সালে সেই টাকা দেশে ফেরত নিয়ে আসি। বাংলাদেশের কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর আট কোটি টাকা ফেরত দেয়। তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। আমেরিকার এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে। ২০১২ সালে এফবিআইর উবনৎধ খধঢ়ৎবাড়ঃঃব ঢাকায় বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এ মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের সাত বছরের সাজা ও ২১ কোটি টাকা জরিমানা হয়। একইভাবে লন্ডনের ঘধঃ ডবংঃ ব্যাংকে প্রায় ছয় কোটি টাকা পাওয়া গেছে। সেই টাকা জব্দ করা হয়েছে। মামলা চলছে টাকা ফেরত আনার জন্য। এ ছাড়া বিশ্বের আরও অনেক জায়গায় খালেদা জিয়ার ছেলেদের টাকা ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার। দুবাইতে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি (বাড়ির ঠিকানা :স্প্রিং ১৪, ভিলা :১২, এমিরেটস হিলস, দুবাই)। সৌদি আরবে মার্কেটসহ অন্যান্য সম্পত্তি।

খালেদা জিয়ার দুর্নীতি :
১. জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা :রমনা মডেল থানা মামলা। টাকা আত্মসাৎ :দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা, মোট কার্যদিবস :২৬১ কার্যদিবস। মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্ট এবং আপিল কোর্টে আবেদন :৮০ বারের বেশি। বেগম জিয়ার সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন :একটানা ছয় দিন। আইনজীবীদের সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন :১০ দিন। অনাস্থার কারণে আদালত বদল :তিনবার। গ্রেফতারি পরোয়ানা :তিনবার। খালেদা জিয়া সময় চেয়েছেন :১০৯ কার্যদিবস। সশরীরে উপস্থিত ছিলেন :৪৩ দিন।
মূলত টাকাটা এসেছিল এতিমদের জন্য। এতিমদের জন্য একটি টাকাও ব্যয় করা হয়নি। কোনো এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়। ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় মামলা হয়। মামলা করেছে দুদক। পরবর্তীকালে দুদক মামলা পরিচালনা করেছে। দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত। সরকার এবং দুদক সম্পূর্ণ আলাদা এনটিটি। এই দুটোকে এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগও স্বাধীন। যারা বলছেন, খালেদা জিয়ার শাস্তির ব্যাপারে সরকারের হাত রয়েছে, তারা অযথা সরকারের ওপর দোষ দিচ্ছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকলে দু-তিন বছরের মধ্যে মামলা শেষ হয়ে যেত। দুর্নীতি করলে সাজা হবে, এটাই স্বাভাবিক। দুর্নীতির মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি দুর্নীতির মামলা :
১. জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা। টাকার পরিমাণ :তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ২. নাইকো দুর্নীতি মামলা; রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি। ৩. বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা। শাহবাগ থানা মামলা নম্বর ৫৩, তারিখ :২৬.২.২০০৮। ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৪ টাকার ক্ষতি। ৪. গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা। দুর্নীতি/প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের মূল্যবান সম্পদ তথা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ। ৫. সম্পদ বিবরণী দাখিলের মামলা। দুদক তারিখ :১৭.৭.২০০৭। ট্যাক্স ফাঁকি :৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে কোটি টাকা সাদা করেছেন। খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সব সদস্য কালো টাকা সাদা করেছে।

বিএনপি-জামায়াতের হত্যা-সন্ত্রাস :
২০০১ সালের নির্বাচনে গভীর চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়। সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজউদ্দিন, খুলনার অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা। বাংলাভাই, হরকাতুল জিহাদসহ নানা জঙ্গিগোষ্ঠী সৃষ্টি। দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে রাজশাহী-নওগাঁ অঞ্চলে মানুষ হত্যা। ২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় একসঙ্গে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়। পিরোজপুরে দু'জন বিচারককে হত্যা। জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন বারে বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের র‌্যালিতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ৫৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫- এই তিন বছরে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায় ৫০০ নিরীহ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাড়ি, ২৯টি রেলগাড়ি ও নয়টি লঞ্চ পোড়ানো হয়। ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপন ভাংচুর এবং ছয়টি ভূমি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। মসজিদে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় পবিত্র কোরআন শরিফ।
লিংক : WHITE AND BLUE CONSULTANTS LIMITED-এর মালিক তারেক জিয়া
wikileaks-এর তারেকের তথ্য
লন্ডনে তারেক জিয়া জামায়াত শিবির নিয়ে ফারজানা রুপার প্রতিবেদন


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আচ্ছা,
এদেশে দুর্নীতি করেনি কোন নেতা???
কোনটা চোর, আর কোনটি ডাকাত! পার্থক্য এই যা?

২| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: খালেদার দুর্নীতি মামলা দেখে খুশি হলাম।
আরও খুশি হতাম ফকরুদ্দিনের সময় দুর্নীতি
মামলায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখহাসিনার
দুর্নীতির মামলার হিসাব বিবরন দিলে।
যে মামলায় দুই নেত্রী জেলে গিয়েছিলেন।
ডাকাত কয় চোরের তুই দা খন্দা নিয়ে চুরি
করিস,হা হা আমি অস্ত্র হাতে ডাকাতী করি
তুই সিঁদেল চোর আমি ডাকাত।
দেশে ব্যাংক হ্যাকার থেকে শুরু করে শিয়ার
মার্কেট আরও কত হাজার হাজার লোপাট
একটাও দুদকে মামলা নাই। আওয়ামী দুদক
দলকানা। ভাল দিক তুলেছেন।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

রুবেল ১৯৮৪ বলেছেন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা :তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছিল, সেগুলো যথাযথভাবে কনটেস্ট করার পর কোর্ট মামলাগুলো খারিজ করেছে। সরকারি আদেশে কোনো মামলা তুলে নেওয়া হয়নি। ফেরিতে প্লেট চুরির মামলা। সাবেক বিমানবাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে ঘড়ি চুরির মামলা। জেলখানায় মাত্র দুটা কম্বল দেওয়া হয়। ভূমিশয্যা।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

রুবেল ১৯৮৪ বলেছেন: শেখ হাসিনার বন্দিত্ব :১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এরশাদের সামরিক সরকার আটক করে ১৫ দিন বন্দি রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরে দু'বার আটক করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২ মার্চ আটক করে প্রায় তিন মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন গৃহবন্দি। ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার করে এক মাস আটক। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আবারও গৃহবন্দি করা হয়। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরের সাবজেলে কারারুদ্ধ করে। প্রায় এক বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভ।

হত্যাচেষ্টা :মোট ১৯ বার হত্যাচেষ্টা হয়। উল্লেখযোগ্যগুলো :১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় ক্রেন দিয়ে গাড়ি তুলে নেওয়ার চেষ্টা। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে।

৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন। লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে দু'বার গুলিবর্ষণ করা হয়। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন চলাকালে গ্রিন রোডে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালানো হয় এবং পাথর ছোড়ে। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে ৭৬ কেজি এবং জনসভাস্থলে ৮৪ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২২ নেতাকর্মী নিহত। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাড়িতে হামলা করে। নওগাঁ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে আক্রমণ। সিলেটে দু'দফায় গুলিবর্ষণ।

৩| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

রেযা খান বলেছেন: শেয়ার বাজার টাকা কোথায় গেলো একটু খোজ নিয়ে জানায়েন প্লিজ!

৪| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এরা ক্ষমতা থেকে যাক, তখন দুর্নিতির লিস্ট করতে গিয়ে দেখবেন ৫/৭ টা পোস্ট শেষ হয়ে গেছে।

৫| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১

কাইকর বলেছেন: কেউ ভাল নয়, ভাল কে?

৬| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.