নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন দ্বিচারিণীর গল্প

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০



“শিখা…তুমি কি এখানে আসার আগে গাড়ি চালাতে?” “নাহ!! পি এইচ ডি শেষ করে যখন চাকরী শুরু করলাম তখন ড্রাইভিং শুরু করেছি…তার আগে গাড়ি চালাতে জানতাম না।“ ল্যাব ক্লাসে প্রশ্ন করা জনের পাশে বসা ববি আস্তে করে বললো “তোমাকে বলেছিলাম না ওইসব দেশে সবার শোফার থাকে!!” ববি হচ্ছে বিশ্বজিৎয়ের আমেরিকান ডাকনাম। ববির বাবা মা ভারতীয় হওয়ার সুবাদে তার এইসব তথ্য জানা আছে।

“তুমি কি খুব ধনী ছিলে তোমার দেশে? শোফার ছিলো!!” “আরে না!! বাংলাদেশে যাদের গাড়ি আছে তাদের গাড়ী চালানোর মানুষ রাখারও সামর্থ্য আছে। আর পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশনতো আছেই। তাই অনেক মানুষই ড্রাইভিং করে না।“ ববি আবারো বিজ্ঞ মুখে ফোঁড়ন কাটে “ওদের দেশে না বাসায় রান্না করার লোকও থাকে…নিজেদের রান্না করতে হয় না…ঠিক না শিখা?” হেসে সায় দিতেই জনের বিস্ময় আকাশ স্পর্শ করলো “And you left that country!! Why the hell would you want to be here?” আসলেইতো আমি এখানে কেন? উত্তর এড়িয়ে আবারো হাসলাম। এই হাসি অবশ্য অন্যরকম; কোথাও একটু বেদনা আছে, একটু অপরাধবোধ। একজন পলায়নপর মানুষের হাসি!!

দু’দশক পরেও কেন যেন প্রবাসে শেকড় ছড়াতে পারলাম না। আজও “My country” বললে ছাত্র ছাত্রী সহকর্মীরা বুঝে নেয় বাংলাদেশের কথাই বলছি। আমেরিকা এখনো শুধু বাসভূমি হয়েই থাকলো; ‘আমার দেশ’ হয়ে উঠতে পারলো না। দেশের কথা ভাবলেই বুকের মাঝে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে; ভুলে যাওয়া নামের সারি; ভুলে থাকার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা প্রিয় মুখেরা। সমুদ্রের বিশালতার সামনে বাতাসের নোনাগন্ধ বেয়ে ছুটে আসে পাহাড়ের মৌন অনুভূতি। কষ্ট বাড়লে বিশ্বাসঘাতক মন কখনো কখনো ভুলে যাবার মন্ত্র জপে।

“All this delusion in our heads
Is gonna bring us to our knees…
Everything that's broke
Leave it to the breeze
So come on, let it go
Just let it be…”

কোন কোন কাজের দিনে অফিসে, সারা শহরে শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াই; কপালে দু’ভুরুর মাঝে ছোট্ট বিন্দুতে আমার দেশ; শাড়ির কোমলতায় আমার সারা শরীরে দেশ জড়িয়ে থাকে। এমনই কোন একদিনে ডাক্তারের অফিসে চার বৃদ্ধার পাশে বসে গল্প শুনছিলাম। টেরেসার মেয়ে ট্রুডি, আইরিন আর লেসলি। ট্রুডির বয়স ষাটের কাছাকাছি হলেও বাকী তিনজনের বয়স আশী থেকে নব্বুয়েই কোঠায়।
“আচ্ছা!! তুমি কি কপালে ডট দিয়েছো কারণ তুমি বিবাহিত?” প্রশ্ন শুনে তাকালাম “উহুউউ...আমাদের দেশের সাজের অংশ এটা...অবিবাহিত হলেও দিতাম!!” “তুমি কোন দেশের?” “বাংলাদেশ!!” দক্ষিনীদের তুলনায় পশ্চিম উপকূলের মানুষদের ভৌগলিক জ্ঞান ভালো; বাংলাদেশ কোথায় সেটা বোঝাতে গলদঘর্ম হতে হয় না।

ট্রুডি বললো “আমার ছেলে রেসেন্টলি ডিসিতে মুভ করেছে...he loves the multicultural environment there!! আন্ডার গ্রাজুয়েট পড়ার সময়েই অন্য দেশের অনেক মানুষের সাথে তার পরিচয় হয়েছে, বন্ধুত্ব হয়েছে। অন্য দেশের মানুষগুলো বেশ ভালো!!” একটু মজা লাগলো কথার ভঙ্গী দেখে; যেন অন্য দেশের মানুষগুলোর ভালো হওয়ার কথা নয় বা ভালো হওয়াটা আশ্চর্য একটা ব্যাপার। কথা গায়ে মাখলাম না; আমি দ্বিতীয় সারির মানুষ এখানে, শিকড়হীন; তাছাড়া এই মানুষগুলো অন্য শতাব্দীর। মনে পড়লো যে বছর আটেক আগে আমেরিকা কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পরে আমার এক ছাত্র বলেছিলো “শিখা!! ইদানিং আমার দাদা যখন টিভিতে খবর দেখে তুমি তার আশেপাশে থাকতে চাইবে না…He constantly swears…hard for my racist Grandpa to accept an African American as the President!!”

আইরিনের চোখে একটু বিষন্নতা “জীবনে ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলাম না!! মাঝে মাঝে খুব সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছা করে।“ ট্রুডি সাথে যোগ দিলো “তোমার মতো মানুষদের দেখে অবাক লাগে…কতো দেশ ঘুরেছো…কতো কিছু দেখেছো। মাঝে মাঝে এইসব মানুষদের খুব ঈর্ষা হয়!!” ট্রুডির দিকে তাকিয়ে আমি আবারো হাসলাম; সেই পলাতক মানুষের হাসি। মনে মনে বললাম “সারা পৃথিবী ঘুরলেও তুমি এখানেই ফিরে আসতে চাইতে…তুমি ঠিক জায়গাতেই আছো!! আমিই পথ ভুল করেছি…আমিই দিকভ্রষ্ট!!”

চেনা পরিচিত অথবা গল্প উপন্যাস নাটকে কোন কোন মেয়ে থাকে যারা অনেক দিন প্রেম করে; আবেগী কথা দেয় যে সারাজীবন একসাথে পথ চলবে। তারপরে সময় সুযোগ আসতেই মোটা বেতনে চাকরী করা কোন ছেলের হাত ধরে অভিজাত এলাকার বাড়িতে সংসার পাতে। মেয়েটা সেই প্রত্যাখ্যাত ছেলেটির কাছে থেকে অকাতরে সুবিধা নিয়েছে, দরকারে অর্থ সাহায্য, সময়; আর সেই সামান্য চাকুরে ছেলেটির সমস্ত ভালোবাসা!!

আমিই সেই সুবিধাবাদী মেয়েটা!! দেশ আমার কাছে এক প্রেমিক পুরুষ; যাকে পেছনে ফেলে আমি অন্য কোথাও সংসার পেতেছি। সাতমহলা বাড়িতে “শ্বেত পাথরে পা। সোনার পালঙ্কে গা...” অথচ “বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে/ রক্তের রাঙ্গা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে/ একটা সাপ...” আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকে আমাকে। ভুলতে পারিনি এখনো সেই ফেলে আসা প্রেমিককে; একান্ত গোপন সময়ে সে আমাকে অধিকার করে।

ভোররাতে যখন চাঁদ ডুবু ডুবু করে; নক্ষত্রেরা ফিকে হয়ে আসে, আনমনে ভাবি সন্ধ্যাগাঙ্গে ডুব সাঁতার দিয়ে দিগন্তরেখার ওপারে তার আকাশে কি এই একই চাঁদ উঠেছে! প্রেমিকের পুরোনো প্রেমপত্রের মতোই রাতের গভীরে বাংলা বইয়ের পাতা উল্টে পালটে দেশকে খুঁজি; প্রচন্ড হাওয়ার দিনে বাতাসে চুল উড়িয়ে মনে মনে রিক্সার হুড ফেলে ঢাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়াই।

চারপাশে মানুষের কণ্ঠস্বর, প্রত্যাহিক ব্যস্ততার মাঝে আমার দেশ হঠাৎ হঠাৎ কোথাও কিভাবে যেন এক গভীর নৈঃশব্দের খাদ তৈরী করে; ভিড়ের মাঝে আচমকা খুলে দেয় একটা রঙিন ছাতা। ঠিক যেমন ফেলে আসা ভালোবাসার সাথে হঠাৎ কোথাও মতিঝিল বা মৌচাকে জনারন্যে মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়, দেশের মুখ তেমনটাই প্রবাসের ব্যস্ততার মাঝে উঁকি দেয়।

কোনো বৃষ্টি আসি আসি ভোরবেলা, কোনো এক ব্যস্ত দিনে ঝলসে ওঠা রোদের মধ্যে, হেমন্তের মরে আসা বিকেলে উল্টে যায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পেছনের দিকে। একজনকে মনে মনে ভালোবেসে আরেকজনের ঘর করার মতো কষ্ট আর কিছুতেই নেই। দ্বিচারিণী আমি!! সেই হাহাকার নিয়ে ঘরে ফেরা, ফেরা সেই একই বৃত্তাবদ্ধ জীবনে!!

মন আসলে হয়তো এমনটাই! ফুরিয়ে যাওয়া সম্পর্ককে একটা দরজা-জানালা ছাড়া ভাঙা বাড়ির মতো করেই দেখতে চায়; শুনতে চায় সেই অস্তিত্বের মাঝে হাওয়ার একটানা আর্তনাদ। মাঝে মাঝে মন খুব বেশি করে বুঝে নিতে চায় জীবনের হিসেব নিকেশ। কিন্তু ভালোবাসার কি কোন পাটিগনিত থাকে?

“What am I supposed to do when the best part of me was always you,
And what am I supposed to say when I'm all choked up and you're OK
I'm falling to pieces, yeah,
I'm falling to pieces...”

আসলেই “What am I supposed to do when the best part of me was always you?”

শিখা (৯ই মে, ২০১৭)

বিঃ দ্রঃ লেখায় দুটো গানের কথা ব্যবাহার করেছি। প্রথমটা “Let it go” by James bay আর শেষের কথাগুলো “Breakeven” by The Script থেকে নেয়া। ছবি আমার তৈরী।

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন পলায়নপর মানুষের হাসি! - নিখুঁত বর্ণনা।
আমিই পথ ভুল করেছি, আমিই দিকভ্রষ্ট! - হায়!
আপাততঃ এটুকুই। আযান দিচ্ছে। নামায পড়ে আবার এখানে ফিরে আসবো।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান ধন্যবাদ পোষ্ট করার সাথে সাথেই পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনি খুব মন দিয়ে পড়েন আর সুচিন্তিত মন্তব্য করেন। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার ফিরে আসার।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

সকাল রয় বলেছেন: খুব সুন্দর প্রচ্ছদ।
লেখাটিও পড়লাম। সাবলীলতায় ভালো লাগা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: সকাল রয় ধন্যবাদ। আপনার ব্লগে একটু উঁকি দিয়েছি। আপনি নিজেও কিন্তু দারুণ সব লেখার প্রচ্ছদ দিয়েছেন। লেখা পড়িনি, তবে সময় করে পড়ে ফেলবো।

ভালো লেগেছে শুনে মন ভরে গেলো। শুভকামনা আর ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আচ্ছা ! মনে হচ্ছে আপনি অনেকদিনের প্রবাসী।
প্রবাসীদের অবশ্য আমি পরবাসী বলি।
নজরুল তার গানে লিখেছেন, " পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে। বলিও আমার পরদেশী রে।" এই গানটা শুনতে পারেন।

যদি আরও একটু মন খারাপ করতে চান, তাহলে এই গানটাও শুনতে পারেন, সাড়ে আট হাজার মাইল দূরে

মন খারাপের গল্প ভালো লাগলো।

ওহ আর একটা গান,
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক হুউউউ…ঠিক ধরেছেন, প্রায় দু’দশকের কাছাকাছি। মনখারাপের সুরতো যখন তখন এমনিতেই বাজে!! গানগুলো আগেই শুনেছি। তবে আপনার মন্তব্য পড়ে আবার চমকের গানটা শুনলাম। একই ইউনিভার্সিটির মানুষ বলে কথা :)

কবিকে কবিতা দিয়ে ধন্যবাদ দিলাম, অবশ্য ধার করে।

“মাঝে মাঝে মনে হয়
অসীম শূন্যের ভেতর উড়ে যাই।
মেঘের মতন ভেসে ভেসে, একবার
বাংলাদেশে ঘুরে আসি।
মনে হয়,মনুমেন্টের চূড়ায় উঠে
চিৎকার ক’রে
আকাশ ফাটিয়ে বলি;
দেখো, সীমান্তে ওইপাশে আমার ঘর
এইখানে আমি একা, ভীনদেশী।“ --- দাউদ হায়দার

ভালো থাকবেন। শুভকামনা আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ, গানগুলোর জন্যেও।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: যারা শিখা রহমান এর লেখার সাথে পরিচিতি, তারা হয়তো শিরোনামটা দেখে প্রথমে একটু অবাকই হতে পারেন, তবে লেখাটা শেষ করে বুঝতে পারবেন, দেশের প্রতি কতটা গভীর ভালবাসা এবং মমত্ববোধ থাকলে কেউ নিজেকে এভাবে দ্বিচারিণী ভাবতে পারেন। "দেশ আমার কাছে এক প্রেমিক পুরুষ; যাকে পেছনে ফেলে আমি অন্য কোথাও সংসার পেতেছি। ...... ভুলতে পারিনি এখনো সেই ফেলে আসা প্রেমিককে; একান্ত গোপন সময়ে সে আমাকে অধিকার করে।" - এই অনুভূতির সাথে দ্বিচারিণী ছাড়া অন্য কোন শব্দের কথা আমি ভাবতে পারছিনা।
James Bay এর Let It Go এবং breakeven (the script) এর গান দুটো শুনলাম। অত্যন্ত চমৎকার এবং আবেদনময়।
ছবিটাও দারুণ তৈরী করেছেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান অনেক অনেক ধন্যবাদ আর এত্তো ভালোলাগা আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার কিন্তু আসলেই নিজেকে "দ্বিচারিণী" মনে হয়। একজন দিকভ্রষ্ট মানুষ, যে তার নিজের থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, একজন পলায়নপর মানুষ।

গল্পটা আমার একান্ত নিজস্ব পলাতক গল্প!! দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা এবং মমত্ববোধ থাকলেও জীবনের প্রয়োজনে অন্য কোথাও যে ভুল সংসার পেতেছি তাতো ঠিক।

গান দুটো যদিও ভালোবাসার গান, নরনারীর ভালোবাসার কষ্ট নিয়ে গান....কিন্তু গানগুলো বাজলেই আমার দেশের কথাই মনে পড়ে। ওই সে বললাম "দেশ আমার কাছে এক প্রেমিক পুরুষ; যাকে পেছনে ফেলে আমি অন্য কোথাও সংসার পেতেছি।"

আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়, লেখার জন্য আর ভালোমানুষ হওয়ার জন্যেও। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার লিখাটি পাঠে ভাল লাগল।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন এলোমেলো কথামালা, আমার একান্ত পলাতক গল্প পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ডাবল প্লাস দেয়ার সিস্টেম থাকলে তা-ই দিতাম। খায়রুল আহসান ভাই মোটামুটি যা বলার বলে দিয়েছেন। আমি আর কী বলব? শুধু এতটুকু- আপনার আবেগ আর অনুভূতিকে স্যাল্যুট।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট " শুধু এতটুকু- আপনার আবেগ আর অনুভূতিকে স্যাল্যুট।" ধন্যবাদ। আসলে স্যালুট পাওয়ার মতো আমি কিছু করিনি, আসলেই!! শুধু আমার কষ্ট আর দেশকে ছেড়ে আসার অপরাধবোধ অক্ষর বন্দী করেছি মাত্র।

আপনি আমার কষ্ট বুঝতে পেরেছেন সে জন্য ধন্যবাদ আর ভালোলাগা। ডাবল প্লাস লিখে দিয়েছেন এতেই আমি সম্মানিতবোধ করছি।

ভালো থাকবেন। সুন্দর সব কবিতায় ভরিয়ে দেবেন এই ব্লগ আর আমাদের জীবন এই শুভকামনা রইলো।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: প্রবাসীদের জীবন তো অন্য রকম তাই তাদের মনে বেশি আবেগ কাজ করে । কি সত্যি বলিনি ভাইয়া #শিখা রহমান ভাইয়া।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: কামরুননাহার কলি আমাকে 'আপু' বলতে পারো। :) তোমার ব্লগ একটু ঘুরে এলাম। ছোট্ট একটা মিষ্টি মেয়ে। তুমি করে বললাম তাই। কিছু মনে করনি তো?

প্রাবাসীদের জীবন অন্যরকম কিনা বলতে পারছি না তবে জীবন একটা সময়ের পরে সবখানেই বড় পৌনঃপুণিক হয়ে যায়। আর প্রাবাসী মাত্রই আবেগী কিনা তেমন সরলীকরণ করাটাও বোধহয় সমীচীন হবে না।

শুধু বলতে পারি আমি আবেগী, কখনোবা একটু এলোমেলো। আমার আবেগী আর এলোমেলো লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর ভালবাসা।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবিটি অনেক সুন্দর করে বানিয়েছে, লেখাটিও ভাল লিখেছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার আন্তরিক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ছবিটি ভালো লেগেছে শুনেও ভাল লাগলো। শুভকামনা। আর আমার ব্লগে স্বাগতম।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

করুণাধারা বলেছেন: খুব মন খারাপ লাগছে?

এতটাই যে রাত তিনটাতেও না ঘুমিয়ে বসে মন্তব্যের প্রত্যুত্তর করতে ইচ্ছা করছে? মনে হচ্ছে কি মুখোমুখি বসে দেশি ভাইদের সাথে কথা বলছি?

এত মন খারাপ করার দরকার নেই। শুধু ভাংগা- গড়া, মানিয়ে নেয়া, ভুলে যাওয়া এই তো আমাদের জীবন। মাঝেমাঝেই কি জানি কিসেরও লাগি প্রাণ হায় হায় করে উঠবে। তবু দিন চলে যাবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: করুণাধারা রাতজাগার অভ্যেস আছে। মনখারাপের জন্য যে রাতজাগা হয় তা নয়। সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে শুধু রাতের অন্ধকারই যে আমার নিজস্ব। তবে জেগে ছিলাম বলে ভাবলাম কিছু মন্তব্যের উত্তর দেই। সবাই এমন ভালোবেসে সুন্দর মন্তব্য করেছেন যে উত্তর দিতে ভালো লাগছিলো।

ধন্যবাদ আপনার কাব্যিক মন্তব্যের জন্য। ওই যে বললেন "তবু দিন চলে যাবে।" এটাই সত্যি!! জীবন থেমে থাকে না।

ভাল থাকবেন আর শুভকামনা।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

করুণাধারা বলেছেন: [(century /2 + oab stories/1- dozen /4 - pair/1)= ! 

- a week.] 

HAPPY  B' DAY 

B HAPPY !

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: করুণাধারা আপনি যে বুয়েটের সেটা oab stories পড়ে বুঝে ফেলেছি আর তার ওপরে বয়স হিসেবের এমন জটিল সমীকরণ!! :)

জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। আমি কি আপনাকে চিনি? আপনি আমার জন্মদিন জানেন কিভাবে বলুনতো? আমার মনে পড়ে না যে আপনি আমার কোন লেখায় এর আগে মন্তব্য করেছেন।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

কালীদাস বলেছেন: হোম, সুইট হোম :(
জেমস বের গানটা ভাল লেগেছে। সাজেশনের জন্য থ্যাংকস :)
লেখাটা সুন্দর :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: কালীদাস আপনার নামটা ভালো লেগেছে। আমার লেখায় প্রথম আপনার মন্তব্য। ধন্যবাদ। :)

আপনি যে গান ভালোবাসেন তা আপনার ব্লগে একটু চোখ বুলিয়েই বুঝতে পেরেছি। শুভকামনা রইলো। আর জানেনেতো?

"একটি দুঃখের কথা, পথে ও বিপথে ঘুরে,
প্রত্যাখ্যাত হতে হতে, গান হয়ে মিলায় আকাশে" --- রণজিৎ দাশ

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

জেন রসি বলেছেন: দেশ ছেড়ে দূরে থাকার গল্প। দেশকে, দেশের স্মৃতিতে মনের ভেতর রেখে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: জেন রসি আপনি সবসময়েই আমার লেখা পড়েন এবং সুন্দর মন্তব্য করেন। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। আর দেশ যে স্বত্বার অংশ, চাইলেই কি আর নিজের থেকে পালিয়ে থাকা যায়? ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাতাসের ভিতর থেকে আমরা যেমন বাতাসের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারিনা, অনুরূপ দেশে থেকেও দেশ প্রেম উপলব্ধি করা যায়না । প্রবাসীরা দেশকে নিয়ে অন্তর দিয়ে ভাবেন।
সেরকম ভাবনাই গল্পে ফুটে উঠেছে।
খায়রুল আহসান ভাই চমৎকার বলেছেন!

(আমি শিউর নই, সম্ভবত আপনাকে নিয়ে আমার লাস্ট পোস্টে 'করুনাধারা'র সাথে আলাপ হচ্ছিল)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

শিখা রহমান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন আপনার সাথে আগে কখনো কথা হয়নি। আমার ব্লগে স্বাগতম আর চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ব্লগে নিয়মিত নই বলে অনেক লেখাই চোখ এড়িয়ে যায়। আমিও তাই বুঝতে পারছি না ঠিক কোন লেখায় আমাকে নিয়ে কথা হয়েছে কিনা। খুঁজে দেখে নেবো।

শুভকামনা রইলো। ব্লগে এলে কখনো হয়তো দেখা হবে। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




শুরুতেই শেষের কবিতা দিয়ে শুরু করি ----
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও ।
তারি রথ নিত্যই উধাও
.............................
............................................।
ওগো বন্ধু,
সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিলো মোরে ফেলি তার জাল-
তুলে নিলো দ্রুত রথে
দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে
তোমা হতে বহু দূরে ।


কালের যাত্রায় দেশ হতে বহু দূরের এক লেখিকা নিজেকে চিত্রিত করছেন একটি দুঃসাহসী শিরোনামে , "দ্বিচারিণী" । স্বদেশ প্রেমে তাঁর এই দ্বিচারিণী হয়ে ওঠার যে কাব্য তাঁর এই লেখায়, তার সবটুকু শোক শেষের কবিতার এই লাইনগুলিতেই যেন ঝংকৃত ------
কোনদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে
বসন্ত বাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,
সেই ক্ষনে খুঁজে দেখো - কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রানের প্রান্তে ; বিস্মৃতিপ্রদোষে …..
…………..........
……………………....
সে আমার প্রেম
তারে আমি রাখিয়া এলেম ........


কবিতাটির এই স্তবকের শেষে ছিলো --- কালের যাত্রায় , হে বন্ধু বিদায় ।
লেখিকা তাঁর স্বদেশকে বিদায় জানান নি । বিদায়ের বদলে এক অবসরক্ষনে পিছনে রেখে যাওয়া তাঁর প্রেম "স্বদেশ"কে বুকে জাপটে বলে গেছেন ----ভালোবাসার কি কোন পাটিগনিত থাকে !

সুন্দর লেখা ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনার মন্তব্য পড়ে আমি বাকরুদ্ধ এবং মুগ্ধ। "লেখিকা তাঁর স্বদেশকে বিদায় জানান নি । বিদায়ের বদলে এক অবসরক্ষনে পিছনে রেখে যাওয়া তাঁর প্রেম "স্বদেশ"কে বুকে জাপটে বলে গেছেন ----ভালোবাসার কি কোন পাটিগনিত থাকে!"
আমার কোন লেখায় এমন সুন্দর করে কেউ বলেনি, এমন আশ্চর্য শব্দমালায় আমার বেদনাকে চিত্রিত করেনি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালোলাগা। আপনার মনটা আসলেই কবি!! কবিকে এত্তো ভালোলাগা আর শুভকামনা।

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি সুন্দর লেখা !!!
আপনার করা ছবি টা ও দারুন !!!

শুভ কামনা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: মনিরা সুলতানা অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। নিগ্ধ সুন্দর মনের নীরার জন্য অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা থাকলো।

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

-

দাউদ হায়দার এর কবিতার জন্য ধন্যবাদ। উনিও আপনার মতই অনেক দিনের পরবাসী তাই স্বদেশের হাহাকার ওনার মধ্যেও আছে।


ধন্যবাদ রইলো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনি সবসময় পড়েন এবং মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেন। আমার মতো অনিয়মিত আর ফাঁকিবাজ ব্লগারের আপনার মতো একজন দারুন পাঠক আছে (যে কিনা নিজেও দুর্দান্ত এক লেখক ও কবি) ভাবতেই মন ভালো হয়ে যায়। শুভকামনা।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নষ্টালজিয়া , জীবনের সুখের সময়ে ভেসে উঠে,
আমরা বিভ্রান্ত হই, কোনটা সঠিক ছিলো?

নাইবা রইলো, শরত রাতের গানের সুর
এই দেখনা প্রতি প্রাতে
পাখিরা সব মেলছে ডানা, অচেনা সেই সমুদ্দুর!!
দৃষ্টি ফেরাও , দৃষ্টি মেলাও
ভালোবাসা নেইকো দুর.....!!!


উত্তরটা দিলাম আমার কবিতার ভাষায়........

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল "নষ্টালজিয়া , জীবনের সুখের সময়ে ভেসে উঠে, আমরা বিভ্রান্ত হই, কোনটা সঠিক ছিলো?" হয়তোবা!! অথবা কে জানে হয়তো ভালোবাসা কখনোই মরেনি, হয়তো বিভ্রান্তি নয়।

সুন্দর কবিতা!! আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য তাই না? আপনার কবিতার জন্য ধন্যবাদ। আর ছবিটা খুব খুব মিষ্টি, দেখলেই মন একটু ভালো হয়ে যায়।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি যেন গল্প না, পড়ছি এক নাড়ি ছেড়া মানুষের ডায়রী।। ছোটবেলায় শুনতাম, যার নাড়ি যেখানে পোতা আছে, তা তাকে অলক্ষে ডাকতে থাকে।। একসময় কেউ সাড়া দেয় কেউ বা পারে না।। যারা পারে না তাদের মুখেই থাকে পরাজিত হয়েও বিজয়ীর মেকি হাসি আর লোক দেখানো!
তবে "দ্বিচারিণী"র ব্যাপারে আমি মনে করি, যারাই প্রবাসে যেয়ে অহরহ নজ দেশকে ছোট করছে।। যাদের কাছে জন্মভূমির কাঁদা,বৃষ্টি চেয়ে প্রিয় তুষার আর তুষার!!
অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এই মানসিক (লেখাটি পড়ার পর) অবস্থায় আর না বলাই ভাল।।
শুধু বলবো আমার সংজ্ঞ্যায়, "দ্বিচারিণী"দের ফিরে এসে মনের চোখ দিয়ে দেখ আবার দেশটাকে.....

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপী কেন যেন এখানে আমার অন্য একটা লেখার লিঙ্ক দিতে পারলাম না। তাই নীচে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি। আচ্ছা আপনাকে ট্যাগ করতে হলে কিভাবে করবো বলুনতো? ট্যাগ করার নিয়মটা কি?

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এর চেয়ে বেশি সুন্দর করে হয়তো বলা সম্ভব না , যতটা আপনি বলেছেন ।
দেশের প্রতি আপনার তীব্র প্রেম আর হাহাকার প্রকাশ পাচ্ছে । যা আপনি সুন্দর উপমায় সাজিয়েছেন ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: নূর-ই-হাফসা দেশের জন্য ভালোবাসা আর হাহাকার হয়তোবা সুন্দর শব্দমালায় আর উপমায় সাজিয়েছি। কিন্তু তারপরেও শূন্যতা কি আর শব্দ দিয়ে পূরণ করা যায়?

ভালো থাকবেন। আমার সামান্য এই লেখা আপনার হৃদয় ছুঁয়েছে দেখে ভালো লাগছে। শুভকামনা।

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় শিখা রহমান : আমি সব সময়ই লেই লতিফ ব্লগে | সব সুন্দরের খোঁজ পাই পরে পরে | আপনার লেখাটাও তাই পরেই পড়া হলো | অবশ্য জোর দিয়েই বলছি ভালো লাগাটা অন্যদের মতোই আমার, এতটুকু কম নয় | আপনার ডিলিমমাটা বুঝতে পারছি অনেক বছর আমেরিকা প্রবাসী বলে | জীবনের সবচেয়ে আগ্রহ নিয়ে যে কাজগুলো আমি করেছি তার মধ্যে অন্যতম একটা কাজ হলো রাজশাহী ইউনিভার্সিটি তে পড়ানো | আমার জীবনের সেরা চারটে বছর ! মনে প্রাণে এখনো সেই বাংলাদেশীই আছি | এদেশের এতো উন্নতি দেখে আমার দেশটা কেন এতো পিছিয়ে সেটা মনে করে প্রথম দিনের খারাপ লাগাটা এতো দিন পরেও কমেনি | থার্টি ফার্স্ট নাইটে ম্যানহাটনের টাইমস্কয়ারে এক রাতে নিউ ইয়ারের প্রথম প্রহরে অতো আনন্দের মধ্যেও আমার মন খারাপ হয়েছে এটা ভেবে যে আহা আমাদের দেশের মানুষও যদি নিশ্চিত নির্ভরতায় একটা নতুন বছর পাবে সেটা ভেবে এদের মতো এমন খুশিতে আত্মহারা হতে পারতো ! আমেরিকায় মাস্টার্স করে, পিএইচডি করে যে আর দেশে ফেরা হয়নি সেটা নানা কারণেই | তবে এরমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিক্ত রাজনীতিও একটা বড় কারণ | আমার দিন কাটে এখানে অনেক মন খারাপ করে, দেশের জন্য যা ভেবেছিলাম তার অনেক কিছুই করতে না পাড়ার কষ্টের কথা মনে করে |তবুও আপনার লেখার শিরোনামটা দেখে মনে হলো খুব কঠিন হয়েছে | আপনার অনুভুতিগুলো আমি সত্যিই বুঝেছি |তবুও ভাবছি সত্যিকি আমিও কি এমন দ্বিচারী হয়েছি প্রিয় দেশের সাথে ? যেই রাজনীতির জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এইঅবস্থা এগুলো না থাকলে কি এই বিদেশে পরে থাকতাম ? তাহলে কি ফিরে যেতাম না দেশে? সত্যিই এর উত্তর আমি জানি না সব ঠিক থাকলে আমি এখানে পরে থাকতাম কিনা | আপনার লেখা নিয়ে আর কি বলবো?সবাইতো ওপরেই বলেছে,লেট্ লতিফের খুব বেশি নেই কথা যোগ করার | শুধু অসম্ভব ভালো লাগার কথাই আজ জানালাম | ভালো লেখার একটা শিখা ছড়িয়ে পড়েছে নিজের ভেতর আপনার লেখাটা পড়েই | ভালো থাকবেন |

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি লেট লতিফ কোথায়? লেখা দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেইতো পড়ে এতো সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করে ফেলেছেন। :)

দেশে ফেরা হয়নি আমারও নানা কারণে। প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব কিছু গল্প থাকে। আপনার মতো আমিও আসলে জানি না দেশে ফিরে গেলে কি হতো। তবে ভালোবাসা রয়ে গেছে তা জানি। হিসেব করলে হয়তো জমার খাতায় প্রবাসই এগিয়ে থাকবে। তারপরেও হৃদয় তো আর হিসেব মেনে চলে না। ওই যে বললাম "ভালোবাসার কি কোন পাটিগনিত থাকে?" থাকে না।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। আর "ভালো লেখার একটা শিখা ছড়িয়ে পড়েছে নিজের ভেতর আপনার লেখাটা পড়েই।" এই বাক্যটা আমার অনেক অনেক দিন মনে থাকবে। অনুপ্রেরণার জন্য এত্তো ধন্যবাদ।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রথমেই স্যরি বলব আপনাকে।
প্রথম পাতায় দেখার পরও শুধুমাত্র শিরোনামের কারণে লেখাটি আমার পড়তে ইচ্ছা হয়নি।
(আপনার লেখার শিরোনাম নিয়ে কিছু বলার এবং ভুল বোঝার ধৃষ্টতায় ক্ষমাপ্রার্থনা করছি)
আপনার লেখা আগে কখনো পড়িনি তাই বুঝতে পারিনি ভেতরটা যে এমন ভাবে লেখা থাকতে পারে।
সত্যিই ভাবতে খারাপ লাগছে যে এখন না পড়লে কি যে মিস্ করতাম আমি!
একজন মায়াবতীর দেশপ্রেম আর তীব্র হাহাকার খুঁজে পেলাম এখানে।
কি চমৎকার সব উপমা দিয়ে আমাদের বুকটাও ভারী করে দিলেন আপু।
মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম।
অনেক অনেক ভালবাসা আপনার জন্য।
সেইসাথে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।(উপরের একটি কমেন্ট থেকে জেনেছি)



০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: মিথী_মারজান মিথী মনি মন্তব্যের উত্তর দিতে একটু দেরী হলো। সময় উল্টো, তোমার দিন আর আমার রাত। কাজের ফাঁকে চেষ্টা করছি মন্তব্যগুলোর প্রত্যুত্তর দিতে।

শিরোনাম নিয়ে ভুল বোঝায় ক্ষমাপ্রার্থনা করার কিছু নেই মেয়ে। ভাগ্যিস পড়েছো!! আমি একটু অনিয়মিত এই ব্লগে, সময়ের অভাব। তবে শীতের ছুটি শুরু হচ্ছে। এখন হয়তো মাসখানেক লেখা দিতে আর লেখা পড়তে পারবো। আর তুমি কিন্তু খুব ভালো লেখো; তোমার লেখায় বড্ড মায়া জড়িয়ে থাকে। শব্দের মিছিলে দেখা হবে মেয়ে!!

জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



গল্প নয়; এ যেন দেশমাতৃকার প্রতি অসাধারন ভালবাসা, হৃদয় নিংড়ানো আবেগ আর বিমুর্ত হাহাকার অন্যরকম দ্যোতনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে।

ধন্যবাদ, শিখা রহমান।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: নতুন নকিব বাহ!! কি সুন্দর করে বললেন!! কাব্যিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মনোবেদনার এ রাগ আরো কতো কতো প্রাণে সুরঝঙ্কার তুলে চলেছে, দেখুন সবার মন্তব্য পড়ে!
আহমেদ জী এস, মিথী_মারজান, মলাসইলমুইনা, সচেতনহ্যাপী, করুণাধারা, জাহিদ অনিক - এঁদের মন্তব্যগুলোতে আমি আপনার সে রাগেরই অনুরণন শুনতে পেয়েছি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আমি আসলেই ভাগ্যবান যে আমার সামান্য লেখা এতো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এই একাকী প্রবাসে আপনাদের ভালোবাসা আমার জন্য যে কতো বড় পাওয়া তা শব্দে ধারণ করা সম্ভব নয়। শুধু বলতে পারি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং অন্য সব পাঠক/ লেখকদের। আপনাদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: কিভাবে জন্মদিন জানলাম? অনেক বছর আগে এক কন্যা গর্বে গর্বিত বাবা (আবার কি মন খারাপ করে দিলাম?) ধাঁধা বলেছিলেন, 'আমার মেয়ের প্রথম জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে থেকে ঢাকায় পটকা ফুটছিল, পরের এক সপ্তাহ জুড়ে তা চলে। জন্মদিনের সন-তারিখ কত?' উত্তরটা অবশ্য উনিই বলে দিয়েছিলেন, সেই থেকে তারিখটা মনে রয়ে গেছে। মন খারাপের লেখা পড়ে মনে হল জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই, আর জটিল হিসাব করার কারণ আমার বিস্ময়, ছোট মেয়েটা এত বড় হয়ে গেল!

মন্তব্য তো করেছি মাঝে মাঝে। কেন, ভুঁইয়া চাচীর গল্পে?

তুমি আমাকে চেন, কিন্তু এখন নাহয় আমার ছদ্মনামেই নতুন করে চেনো। কত কষ্টে, সামুতে নাম লেখাতে এই নামখানা নিয়েছি!

শুভকামনা অশেষ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০০

শিখা রহমান বলেছেন: করুণাধারা আমি কিন্তু ভেবেছিলাম যে আপনি আমার বাবা বা মাকে চেনেন। কেন মনে হয়েছিলো কে জানে!! আব্বু আমার জন্মদিন নিয়ে আপনাকে এমনটা বলেছে জেনে ভালো লাগলো আর মন খারাপও হলো। মানুষটাকে কখনো দেখতেই পাবো না। এই যে আমার লেখাগুলো উনি দেখবেন না, এই যে আপনার সাথে কথোপকথন তাকে বলা হবে না.....ভাবতেই চোখে জল আসে।

বাবা মায়ের বন্ধু হলেও অন্য সম্বোধনে ডাকলাম না। এখানে আপনি 'করুণাধারা' হয়েই না হয় থাকলেন।

আমার লেখা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন। শুভকামনা থাকলো।

২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

অন্তরন্তর বলেছেন: দেশের বাইরে (নাকি দেশ থেকে পালিয়ে হবে ) প্রায় ৩ দশক থাকা হয় তাই আপনার লিখা পড়ে কিছুক্ষন স্তম্ভিত ছিলাম। এমন করে কিভাবে আপনি যেন আমারও মনের কথা লিখে ফেললেন? অপূর্ব একটি মন খারাপের লিখা পড়লাম। ভাল থাকা হউক নিরন্তর।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: অন্তরন্তর আপনার নামটা ভালো লাগলো। আমার লেখায় প্রথম মন্তব্য। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আপনার মনের কথার অনুরণন আমার এই সামান্য লেখায় শুনে মনে হলো কিছুটা হলেও পেরেছি....লেখাটা সার্থক!!

আপনিও ভালো থাকবেন। দেখা হবে এমনটাই কোন মন খারাপের শব্দমালায় হয়তোবা আবারো। শুভকামনা।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: সচেতন হ্যাপী আপনি কি রেগেছেন বা বিরক্ত হয়েছেন লেখাটা পড়ে? মন্তব্য পড়ে ঠিক বুঝতে পারিনি। কেন যেন মনে হলো আপনাকে একটু এলোমেলো করে দিয়েছে গল্পটা। কোথাও আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।

আর অন্যদের কথা বলতে পারছি না তবে গল্পের 'দ্বিচারিণী' কিন্তু দেশকে বড্ড ভালোবাসে আর দেশের বরষাকেও। সময় পেলে কোন এক বৃষ্টিভেজা দিনে পড়ে জেনে নেবেন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

সুমন কর বলেছেন: লেখায় মুগ্ধতা। ভালো লাগা রইলো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর কবিদের মুগ্ধতা অনেক বড় পাওয়া। ভালো থাকবেন কবি। শুভকামনা।

২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

কাতিআশা বলেছেন: একুশ বছর হয়ে গেল প্রবাসে, তাও মনে হয় ঘুম ভেঙে দেখবো বুয়েটের সেই লেডিজ হলের কোনার বিছানায় শুয়ে আছি, ক্লান্ত আমি, সারারাত জেগে ডিজাইন করতে করতে ..রুম নং ১২৩...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: কাতিআশা আমারও প্রায় একুশ বছরের প্রবাস জীবন। মাঝরাতে ট্রেনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে এখনো নিজেকে কিশোরী মনে করে বিভ্রম তৈরী হয়। সেই রাত জেগে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া...আর মহাখালীর রেললাইন ছুঁয়ে যাওয়া ঝমঝম শব্দ!!

ভালো থাকবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না ভাই, মন্তব্য পরে নিজের কথাটি আবার দেখলাম।। বুঝিয়ে বলার ভুল, আমাারই।।যারাই প্রবাসে যেয়ে অহরহ নজ দেশকে ছোট করছে।। যাদের কাছে জন্মভূমির কাঁদা,বৃষ্টি চেয়ে প্রিয় তুষার আর তুষার!!
অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এই মানসিক (লেখাটি পড়ার পর) অবস্থায় আর না বলাই ভাল।।
শুধু বলবো আমার সংজ্ঞ্যায়, "দ্বিচারিণী"দের ফিরে এসে মনের চোখ দিয়ে দেখ আবার দেশটাকে.....
এমন লেখায় ভুল বুঝাবুঝি হতেই পারে।।।
আসলে বলতে চেয়েছি, যারা প্রবাসে যেয়ে, দেশের এটা ভাল না। সেটা ভাল না।। এমনকি লোকগুলিও ভাল না, বলে প্রচার করতে চায়।। আবার দেশকে নিয়ে তাদের ঘুম নেই :( তাদের কথা।। দ্বিতীয় প্যারায় শুধু টাইপিং মিসটেকে "দ্বিচারিণী"দের মত", এই "মত" কথাটি নাা আসাায় "...তোমাার কপাালে আমার পা" হয়ে গেছে :-P ।।
শুধু বলবো আমিও ২৬বছর ধরে প্রবাসে!!
শুধু বলবো আমার মত একজন যদি আমার চেয়েও সুন্দর করে বলে, তাার কথা, তাতে শুধু শুধু কেন ভুল থাকবে??!!
ভাল থাকুন।।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপীে কেন যেন মনে হয়নি আপনি প্রবাসী....কেন কে জানে!! "শুধু বলবো আমার মত একজন যদি আমার চেয়েও সুন্দর করে বলে, তার কথা, তাতে শুধু শুধু কেন ভুল থাকবে?" আপনার এই কথাটা আমার অনেক দিন মনে থাকবে। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আর দেখাতো হবেই এখানে, শব্দের মিছিলে, গল্পে বা কোন কবিতায়। শুভকামনা।

৩০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সরি আপু বুঝতে পারিনি রহমান সাথে ছিলো তাই ।
আর বললেন না যে প্রবাসীরা আবেগী হয় না সবাই হয়তো বা হয়না। তবে আমি বলতে চেয়েছি অন্য ভাবে যেমন-
যারা প্রবাসে থাকে তাদের দেহেটা প্রবাসে থাকলেও মনটা কিন্তু ঠিকই দেশের জন্য কাদে। সব সময় নিজের দেশটিকে খুব মিস করে, ছোট্ট বেলার অনেক স্মৃতি তখন মনে পরে যায়। আবার যখন তারা একাকীত্ব অনুভব করে তখন তারা প্রিয়জনদের দেখতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারেনা। তাই সেই কষ্টে অনেকে আবেগী হয়ে পড়ে।
তাই আমি তাদের মনের কথাটি ঐ ভাবে উপস্থাপনা করলাম। আপু ভালো থাকবেন। কিছু মনে করবেন না আমার কথায়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: কামরুননাহার কলি তোমার কথায় কিচ্ছু মনে করিনি মেয়েটা!! :) আর হুউউউ...ঠিক বলেছো দেশ মানেই আমাদের কাছে প্রিয়জন আর সুখ স্মৃতি। দেশের কথা মনে পড়লেই আবেগ জড়িয়ে ধরে, বড্ড একা লাগে ভীনদেশে।

ভালো থেকো। প্রিয়জনেরা সারাজীবন ঘিরে থাকুক তোমায়। শুভকামনা আর অনেক ভালোবাসা মিষ্টি মেয়েটা। :)

৩১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আর আমি কিচ্ছু মনে করিনি আপু। তুমি বলাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে আমিও বড়দের তুমি করে কথা বলি। হাহাহাহহা

৩২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: লেখাটি পড়ে একটা ঘোরের বৃত্তে আটকে ছিলাম। খুবই ভাল লিখেছেন ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: পার্থ তালুকদার আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে হৃদয় খুঁজে কষ্ট দিয়ে লেখাটা সার্থক মনে হলো। শুভকামনা।

৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




কাব্যিক স্তবকগুলো বেশ গভীর থেকে নিঙড়ানো মনে হয়েছে । চমৎকার বর্ণনা দেশপ্রীতিকে জীবন্ত করে তুলেছে ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন আপনার নামটা বেশ। যদিও আপনার নিকটা একটু আলাদা তারপরেও পত্রীকে মনে পড়ে গেলো। পত্রীর 'কথোপকথন" আমার খুব খুব প্রিয়।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর চমৎকার মন্তব্যের জন্যেও। শুভকামনা আর আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকবেন।

৩৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

ইমরান নিলয় বলেছেন: সুন্দর প্রকাশভঙ্গি আপনার।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর মন্তব্যের জন্যেও। শুভকামনা আর আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকবেন।

৩৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আফা।বাংলাদেশ রয়ে গেছে, বাংলাদেশ রয়েই যায় 'নামক পোস্টে মন্তব্যসূত্রে এই সুন্দর পোস্টের সন্ধান দিলেন।অসাধারন অনুভুতি! দেশ তো মা, আর সেই মায়ের সহচার্য্ থেকে বঞ্চিত হলে,বোধহয় এমন অভিজ্ঞতা সম্ভব। আর এ কারনেই দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটালেও মায়ের পথপানে চেয়ে, সেটা শুধু বাসভূমি হয়ে থাকলো দেশ হতে পারলো না।

ব্লগে আমার বয়স মাত্র দেড়মাস।কাজেই এই পোস্টটি তখন পড়ার সৌভাগ্য আমার ছিলনা।স্বভাবতই এত পরে পড়েও মন্তব্য করার সুযোগ হাত ছাড়া করলাম না।ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা পুনশ্চঃ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২২

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য ও সুন্দর মন ছোঁয়া মন্তব্যের জন্যেও। ভালো থাকবেন। শুভকামনা। আশা করছি ব্লগে এখানে ওখানে দেখা হয়েই যাবে।

৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: ফেলে যাওয়া হতভাগাকে নিয়ে আরেকদিন কিছু বলবেন, নিশ্চয় ?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০

শিখা রহমান বলেছেন: মাহের ইসলাম এই লেখাগুলো অনেকটাই দিনলিপির মতো। অনেককিছু লেখা হলেও ব্লগে দিতে অস্বস্তি লাগে। তবে চেষ্টা করবো প্রবাসের আর দেশের গল্প লিখতে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার ব্লগে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আপনি বেশ সুন্দর লেখেন। শুভকামনা। ব্লগে পথ চলতে দেখা হবে আশাকরি।

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার অস্বস্তির ব্যাপারটা কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারছি।
আমিও মনে করি, বেছে বেছে শেয়ার করাই শ্রেয়।

আপনার লেখার একটা স্বকীয়তা আছে।
তাই, দিনলিপি হোক বা ইস্যু ভিত্তিক কমপ্লিট কোন গল্প বা কাহিনীই হোক, আমাদের জন্যে ব্লগে নিয়ে আসতে পারেন।
আশা করছি, ব্লগের পথে দেখা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.