![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
ছোট্টবেলার সন্ধ্যাগুলো অন্যরকম ছিলো। তখনতো আর চব্বিশ ঘণ্টা টেলিভিশন চলতো না, একটাই মোটে টিভি চ্যানেল ছিলো, সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন। সন্ধ্যাবেলায় পড়া না থাকলে সমস্যা…কি করি কি করি!! কাজ না থাকলেই দুষ্টুমি; রান্নাঘরে গিয়ে কাজের মাঝে বিরক্ত করা; অথবা মাঝে সাঝে বাবা মায়ের চোখ এড়িয়ে জানালার বা বারান্দার গরাদ বেয়ে ওঠা নামা করা; বারান্দার এমাথা ওমাথা দৌড়াদৌড়ি করে ফুলদানী বা ঘরসাজানোর জিনিষ ভাঙ্গা। মোটকথা আমার কাজ না থাকলে আমার চাইতেও বাসার অন্যান্যদের বিশাল সমস্যা!!
বাবা তাই পড়া না থাকলে কবিতা পড়তে দিতেন। মাঝে মাঝে মু্খস্থ ধরতেন; হাত পা নেড়ে চোখ বড় বড় করে বাবার কাছে আবৃত্তিও শিখতাম কখনো। সত্তরের দশকে শৈশব পেরোনো সবারই দুটো কবিতা মুখস্ত আর আবৃত্তি বাঁধা ছিলো; রবি ঠাকুরের “বীরপুরুষ” আর নজরুল ইসলামের “কাঠবেড়ালী।“
“বীরপুরুষ” আবৃত্তি করতে আমার বেশ লাগতো। “মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে/ মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।“ সামনে হাত ঘুরিয়ে “অনেক দুরে…” বলামাত্র কিভাবে যেন মন আসলেই অনেক দূরে কোন তেপান্তরের মাঠে চলে যেত। গহীন কোন অরন্যে মায়ের পালকির পাশে আমি, একটু গা ছমছম। টগবগিয়ে রাঙ্গা ঘোড়ায় সওয়ার; পাগড়ি মাথায় আর কোমরে তরবারী।“রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে/ রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।“ আবৃত্তি করার সময় আসলেই কোথাও ঘোড়ার খুরের শব্দ, ধুলোর গন্ধ পেতাম।
“হারে রে রে রে রে।“ করে আসা ডাকাত দলকে মহা উদ্যমে কচুকাটা করার পরেই একটু মনখারাপ হতো। মা বলছেন “ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল! কী দুর্দশাই হত তা না হলে।" কেউ বলেনি কিন্তু তারপরেও জানতাম মাকে রক্ষা করার জন্য কোন খুকীদের সাথে পাঠানো হয় না; খুকীরা মায়ের সাথে পালকিতে থাকে। খোকারাই মাকে রক্ষা করে, খোকাদেরকেই পাড়ার লোকে বলে “ভাগ্যে খোকা ছিল মায়ের কাছে।“
হাত পা নেড়ে মাথা দুলিয়ে আবৃত্তি করা সেই ছোট্ট মেয়েটা আজ দু’জন বীরপুরুষের মা। 'বীরপুরুষ' কবিতায় হিরো ছোট্ট ছেলেটি, সেই কেন্দ্রে, মা পরিধিতে৷ লেখালেখি ব্যাপারটাকে যতোটা ভাবতে পছন্দ করি ততোটা সরল কোন প্রক্রিয়া নয়। প্রতিটি লেখার পেছনে থেকে যায় পশ্চাৎপট, থেকে যায় সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী বা নিজস্ব অভিজ্ঞতা, ধরা পড়ে সময়।
সময় বদলেছে, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী খুব ধীরগতিতে বদলাচ্ছে। হয়তো তাই এই বিংশ শতাব্দীতে মল্লিকা সেনগুপ্তের কবিতায় পরিধি থেকে কেন্দ্রে এসে দাঁড়ান বীরপুরুষের মা।
“একলা মা আর একলা ছেলে
ডাকাতগুলো দেখতে পেলে
কী হবে বল্ বীরপুরুষ খোকা?
তুই করবি যুদ্ধ, আর আমি রইব বোকা!
স্পষ্ট বলছি তা হবে না আর
তুই ওদের তির ছুঁড়লে আমিও দেব মার৷”
এখনও দেয়াল ভাঙ্গেনি; তবে ছোট্ট ঘুলঘুলি দিয়ে কয়েদখানার অন্ধকারে আলো এসেছে। আজ জানালার ফ্রেমে আটক চৌকনা টুকরো আকাশ; কোন একদিন ছাদ ভেঙ্গে আকাশ এসে দাঁড়াবে কয়েদখানায়। সন্ধ্যা বেলায় বাবার সামনে আবৃত্তি করার সময়ে কোন ছোট্টমেয়ে আসলেই টগবগিয়ে ঘোড়ায় চড়ে মাকে বা বাবাকে আগলে রাখবে; তরবারী খেলায় হারিয়ে দেবে “হারে রে রে রে রে…“ করে আসা ডাকাত দলকে। ভাবতে ভালো লাগে অদূরেই সেই দিন যখন কবিতার কেন্দ্রে এসে দাড়াবে ছোট্ট কোন মেয়ে...পাড়ার লোকে মাকে অথবা বাবাকে বলবে “ভাগ্যে খুকী ছিলো তোমার সাথে...”
© শিখা (১৬ই অক্টোবর, ২০১৭)
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৫
শিখা রহমান বলেছেন: সুজন কবিতাটা এখনো আমার খুব প্রিয়। রবিঠাকুরের প্রিয় কবিতার লিস্টে এ কবিতাটা সবসময় থাকবে। এখনো কবিতাটা পড়লে কল্পনা তেপান্তরের মাঠে দৌড়ে বেড়ায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মায়ের কথা মনে পড়লো । সুন্দর +
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১
শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা কবি। ভালো থাকবেন।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপু, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার মতো "বীরপুরুষ" ও "কাঠবিড়ালী" আমারও প্রিয় কবিতা। তবে ছোট বেলা আমি কবিতা পড়ার চেয়ে বেশি লেখতাম!! এগুলো আদৌ কবিতা হতো কী না জানা নেই!! তবে লেখতাম মনের ইচ্ছায়।
আপনার বীরপুরুষ দুই ছেলের গল্প শুনে ভাল লাহলো। ছেলেদের তো বীরের মতো সাহস, তেজ আর সব কিছু জয় করার ইচ্ছা থাকতে হয়। অনেক শুভ কামনা আপনার দুই বীর পূরুষের জন্য।
আর বিটিভিকে নিয়ে বলার শেষ নেই। বিটিভি নিয়ে আমার একটি চমৎকার রম্য আছে, সময় থাকলে পড়ে দেখবেন আপু।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনি যে একসময় দারুন লেখক, প্রাবন্ধিক হবেন সেটা দেখি ছোটবেলা থেকেই বোঝা যাচ্ছিলো। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখি আপনার লেখালেখির ঝোঁক।
আমার ছেলেদের জন্য দোয়া করবেন যেন ওরা ভালো মানুষ হয়। মানুষকে সম্মান করতে জানে।
আপনার রম্যটা পড়ে দেখছি। আমি সাধারনত আপনার লেখাগুলো মিস করি না। মন্তব্য না করলেও সবসময় পড়ি। এটা কিভাবে মিস হলো বুঝলাম না।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপুমণি, খুবই সুন্দর লাগলো আপনার লেখা। আমি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। আমাদের কোন টিভি ছিল না। অন্যের বাসায় যেতাম টিভি দেখতে । কি যে মজা লাগতো সেই সময়ের সব অনুষ্ঠান। এখন আর সেই রকম কোন মজা পাই না।
বীরপুরুষ কবিতাটি আমাদের পঞ্চম শ্রেনীতে পাঠ্য ছিল। সুতরাং মুখস্থ ছিল আমার।
আপনার পোস্টে অনেক অনেক ভালো লাগা।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১০
শিখা রহমান বলেছেন: সাজ্জাদ কেন যেন শৈশবের আনন্দ খুঁজে পাই না। হয়তো আমরা বড় হয়ে গেছি অথবা কে জানে হয়তো বা পৃথিবীটাই বদলে গেছে।
আপনাকেও অনেক ভালোলাগা। আমার সামান্য লেখা আপনাকে অনেককিছু মনে করিয়ে দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন অনেক। শুভকামনা।
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
২/১ টা দর্শককে মার টার দেন, তারপর দেখা যাবে।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
শিখা রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মার দেয়া হয়ে গেছে তো
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
মৌরি হক দোলা বলেছেন: অনেক ভালো লাগল শুভকামনা...
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
শিখা রহমান বলেছেন: দোলা মনি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা মিষ্টি লেখিকা।
৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
শিখা রহমান বলেছেন: প্রামানিক আপনি ব্লগে আমার প্রিয় ছড়াকারদের একজন। এই সামান্য লেখা আপনাকে প্রিয়তম মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছে এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। একটুকরো শৈশবকে মনে করালেন। আমরা আবার প্রচন্ড খেলা পাগলা ছিলাম।তবে প্রশ্ন কবিতাটা নিয়ে মাকে বেশ বিরক্ত করতাম। আচ্ছা বলুন দেখি, সারাক্ষণ পড় পড় পড়, ভালো লাগে? একবারও বলবেনা যে যাও এবার একটু খেলে আসো। যাক এই ভাবেই হারানো দিনের মধুর স্মৃতি ফিরে পাওয়া বেশ উপভোগ্য।
শুভ কামনা আপনাকে।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২১
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক শুভ সকাল। তবে আমার এখানে একটু পরেই শুভ রাত্রি বলতে হবে।
আমি লেখাটা পোষ্ট করার সময়ে "প্রশ্ন" কবিতাটার কথা ভাবছিলাম। আমার আরেকটা প্রিয় কবিতা। "যাক এই ভাবেই হারানো দিনের মধুর স্মৃতি ফিরে পাওয়া বেশ উপভোগ্য। " আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পেরে লেখাটা সার্থক মনে হলো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
নাজিম সৌরভ বলেছেন: ভাবতে ভালো লাগে অদূরেই সেই দিন যখন কবিতার কেন্দ্রে এসে দাঁড়াবে ছোট্ট কোন মেয়ে... সেই দিন কিন্তু অদূরে নেই আপু, দেখতে পাচ্ছি সেই দিন দরজায় করা নাড়ছে ।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
শিখা রহমান বলেছেন: নাজিম সৌরভ আমার ব্লগে স্বাগতম আর খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য এত্তো ধন্যবাদ।
"সেই দিন কিন্তু অদূরে নেই আপু, দেখতে পাচ্ছি সেই দিন দরজায় করা নাড়ছে।" তাই যেন হয়!! আপনি আমার লেখার মেসেজটা ধরতে পেরেছেন দেখে মন ভরে গেলো।
শুভকামনা। আর আশা করছি আপনাকে মাঝে মাঝে ব্লগে পাবো। ভালো থাকবেন সৌরভ।
১০| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: ছোটবেলা আমার পছন্দের কবিতা ছিল 'মামার বাড়ি!' যখন মন চাইতো তখন আবৃতি করতাম! আর 'মামার বাড়ি ঝড়ের দিন আম কুড়াতে সুখ' লাইনটা আবৃতি করার সাথে সাথেই হারিয়ে যেতাম কল্পনার জগতে...
আসলে ঝড়ের দিনে মামার বাড়িতে থেকে আম কুড়ানোর অনেক স্মৃতি ছিল তো, সেজন্য যখনই লাইনটা পড়তাম তখনই সেই সব স্মৃতি মনের ক্যানভাসে ভেসে উঠতো!
আপনার লেখাটা সুন্দর হইছে! লেখাটা পড়ে সেই কুট্টিকালে ফিরে গিয়েছিলাম! ধন্যবাদ সুন্দর স্মৃতিচারণের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!
১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
শিখা রহমান বলেছেন: সাহসী সন্তান শৈশবের আরেকটি কবিতা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। যতোদূর মনে পড়ে 'মামার বাড়ি!' কবিতাটা আমাদের স্কুলের টেক্সট বইয়ে ছিলো। "'মামার বাড়ি ঝড়ের দিন আম কুড়াতে সুখ' লাইনটা আবৃতি করার সাথে সাথেই হারিয়ে যেতাম কল্পনার জগতে..." আসলেই মনে মনে আম কুড়াতে শুরু করতাম শিলাবৃষ্টি আর ঝোড়োয়া বাতাসের মাঝে।
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। "লেখাটা পড়ে সেই কুট্টিকালে ফিরে গিয়েছিলাম! " আমার লেখাটা সার্থক। আমি একটু নস্টালজিক মানুষ। আমার ব্লগে স্মৃতিচারণমূলক লেখা অনেক।
আপনাকেও শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই কবিতাটা আজও আমার খুব প্রিয়।
বোন, একজন অর্থমন্ত্রী যার ব্যক্তিগত সিন্ধান্তের কারনে বছরের পর বছর আটকে আছে নন- এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়া। এই ব্যাপারে কিছু লিখুন।
১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব 'বীরপুরুষ' কবিতাটা প্রিয় না হয়ে উপায় নেই।
আপনি যে বিষয়ে লিখতে অনুরোধ করেছেন সে বিষয়ে আমার জ্ঞান সীমিত। ব্লগে এই বিষয়ে নিয়ে লেখার মতো বিশ্লেষন ক্ষমতা ও পড়াশোনা অনেকেরই আছে। আপনি বরং তাদের কাউকে বিষয়টি নিয়ে লিখতে অনুরোধ করুন। দুঃখিত যে আপনার অনুরোধ রাখতে পারলাম না।
শুভকামনা। আপনার সুন্দর পরিবারের সবাইকে ও আপনাকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন ভালোবাসার মানুষদের সাথে।
১২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ লিখেছেন, অনেক ভাল লাগল।
১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল। আপনার মন্তব্য সবসময়েই অনুপ্রাণিত করে।
শুভকামনা। পরিবারের সবাইকে ও আপনাকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।
১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
কাইকর বলেছেন: বাহ........সুন্দর।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২
শিখা রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ কাইকর। আশা করি ভালো আছেন। পরিবারের সবাইকে ও আপনাকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।
১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: সংশপ্ত, এই সব দিন রাত্রির কথা আপনার মনে আছে কিনা জানিনা তবে আমাকে মনে করিয়ে দিলেন সে সময়ের বিটিভির কথা।ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
শিখা রহমান বলেছেন: ইকবাল আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!! সংশপ্তক এবং এই সব দিন রাত্রির কথা মনে না থেকে উপায় আছে? সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকতাম পরের পর্বের জন্য। প্রিয় নাটকগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
শুভকামনা ও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে দেখা হবে।
১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
কুসুম কানন বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই। ছাদ ভেঙ্গে আকাশ এসে দাঁড়াক কয়েদখানায়! সেই অপেক্ষায় রয়েছি।
মল্লিকা সেনগুপ্তের পুরো কবিতাটি পড়ার আগ্রহ হচ্ছে।
শুভকামনা জানবেন।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
শিখা রহমান বলেছেন: কুসুম কানন "ছাদ ভেঙ্গে আকাশ এসে দাঁড়াক কয়েদখানায়! সেই অপেক্ষায় রয়েছি।" সুন্দর কথাটার জন্য ধন্যবাদ। আমিও অপেক্ষায়!!
শুভকামনা ও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সুমন কর বলেছেন: পুরনো স্মৃতি আপনার লেখার মাধ্যমে খুঁজে পেলাম। ধন্যবাদ।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
শিখা রহমান বলেছেন: সুমন আমার সামান্য লেখা আপনাকে পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
শুভকামনা ও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন কবি।
১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিটিভির কথায় আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়লো।
সম্ভবত বিকাল তিনটায় টিভির অনুষ্ঠান অন হত। দেখার মত জিনিস ছিল খুব কম, সারাদিন ইংলিশ ছবি। তারপরও পর্দা থেকে ছোখ সরতো না।
শেষের ভাবনা গুলিও ভাল লেগেছে।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
শিখা রহমান বলেছেন: লিটন অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম। বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
"শেষের ভাবনা গুলিও ভাল লেগেছে।" শেষের কথাগুলোই স্মৃতিচারণের মাঝে বলতে চেয়েছি। আপনি খুব মনোযোগী পাঠক। খেয়াল করেছেন দেখে ভালো লাগলো অনেক।
শুভকামনা ও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এখনও দেয়াল ভাঙ্গেনি; তবে ছোট্ট ঘুলঘুলি দিয়ে কয়েদখানার অন্ধকারে আলো এসেছে। আজ জানালার ফ্রেমে আটক চৌকনা টুকরো আকাশ; কোন একদিন ছাদ ভেঙ্গে আকাশ এসে দাঁড়াবে কয়েদখানায়। সন্ধ্যা বেলায় বাবার সামনে আবৃত্তি করার সময়ে কোন ছোট্টমেয়ে আসলেই টগবগিয়ে ঘোড়ায় চড়ে মাকে বা বাবাকে আগলে রাখবে; তরবারী খেলায় হারিয়ে দেবে “হারে রে রে রে রে…“ করে আসা ডাকাত দলকে। ভাবতে ভালো লাগে অদূরেই সেই দিন যখন কবিতার কেন্দ্রে এসে দাড়াবে ছোট্ট কোন মেয়ে...পাড়ার লোকে মাকে অথবা বাবাকে বলবে “ভাগ্যে খুকী ছিলো তোমার সাথে...”
কী যে সুন্দর করে তুমি মনের কথা গুলো লিখো !!!
সেই খুকী টা আমি হতে চেয়েছি সবসময়,আমার বাবা ও তাই চাইতেন;কতটুকু আমরা পেয়েছি জানি না-
তবে সেই খুকী'টা এখন আমার ঘরে সেটাই বিশ্বাস করি।
ভালোবাসা।
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: নীরা ঈদের শুভেচ্ছা। উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। একটু ব্যস্ততা ছিলো।
"সেই খুকী টা আমি হতে চেয়েছি সবসময়,আমার বাবা ও তাই চাইতেন" আমার বাবাও। তোমার মত আমিও ভাবি মাঝে মাঝেই পেরেছি কি!!
"তবে সেই খুকী'টা এখন আমার ঘরে সেটাই বিশ্বাস করি।" তোমার মেয়ের এত্তো দোয়া আর ভালোবাসা। ধন্যি মায়ের ধন্যি মেয়ে
ভালো থেকো। ভালোবেসো। অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হারে রে রে রে রে....
এই যে আমি আসনু তেড়ে!
আমিঃ সিপাহীও! বন্দি করো ঐ ডাকাতকে! নিক্ষেপ করো ঐ অন্ধকার কারাগারে!
"একলা মা আর একলা ছেলে
ডাকাতগুলো দেখতে পেলে
কী হবে বল্ বীরপুরুষ খোকা?
তুই করবি যুদ্ধ, আর আমি রইব বোকা!
স্পষ্ট বলছি তা হবে না আর
তুই ওদের তূর ছুঁড়লে আমিও দেব মার৷”
আমি হনু বীরপুরুষ খোকা
ঘোড়ার পিঠে চড়ে আছে
বাচ্চা একটা খুকি
মাকে বাঁচাবে সে?
নিয়ে জীবনের ঝুঁকি??
তবেই হয়েছে রে.....
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৩
শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম তোমার সাথে যুদ্ধে না নেমেতো দেখছি উপায় নেই। তুমি হচ্ছো ডাকাত সর্দার
আশাকরি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছো। নো মারামারি, কাটাকাটি, ঝগড়াঝাটি।
ভালো থেকো। ঈদের শুভেচ্ছা। আমি একটু ডুব দেবো। ভাসলেই কথা হবে আবার।
২০| ১৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখার পরে পেপারটাকে মায়ার পুকুরে ভিজিয়ে আনলে যা হয় আপনার লেখাগুলো তাই!
ঈদ মোবারক শিখা আপু!
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৫
শিখা রহমান বলেছেন: ঈদ মোবারক পাগলী রাজকন্যা। তুমি মায়াবতী বলেই সবকিছুতে মায়া খুঁজে পাও।
আদুরে মন্তব্যের জন্য অনেক ভালোবাসা। ভালো থেকো সবসময়।
২১| ১৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৪
সোহানী বলেছেন: আরে আপনি দুই বছর ধরে সামুতে লিখছেন এবং এতোটা চমৎকার করে লিখছেন অথচ আমি অাপনার লিখা পড়িনি তা মনে পড়তেই মেজাজ খারাপ লাগছে। অসম্ভব ভালো লিখেন আপনি.......... ঠিক আমি যা বলতে চেয়েছি তাই আপনার লিখায় দেখতে পাচ্ছি আরো চমৎকার রং তুলির ছোয়ায়।
যাহোক ফলো করলাম যাতে আর কিছু মিস না হয়। কারন গড়পড়তা লেখা পড়ার সময় করতে পারি না।............
ভালো থাকুন আর লিখতে থাকুন সবসময়।
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৮
শিখা রহমান বলেছেন: সোহানী আপু আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব খুব ভালো লাগছে। মন্তব্য পড়ে মন এত্তো ভালো হয়ে গেলো।
একটু ব্যস্ত থাকবো সামনের কিছুদিন। তবে লেখা দেবার চেষ্টা করবো। মাঝে মাঝে গ্যাপ হলেও ব্লগে সময় পেলেই পোষ্ট দেই। সাথে থাকবেন শুনে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও ঈদের শুভেচ্ছা।
২২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হায় হায়!
আমিতো ভাবলাম এই কয়দিন তুমি ডুব মেরে ছিলে, আজকেই উদয় হলে! আবার ডুব মারবে??
এবার কয়দিন ডুব মেরে থাকবে??
শায়মা আপা কিন্তু ফিরে এসেছে!
১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১৫
শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম একটু শহরের বাইরে যাবো। তাই হয়তোবা ব্লগে সময় দেয়াটা কঠিন হয়ে যাবে। সপ্তাহ দুয়েক ডুব দেবো।
শায়মা ফিরে এসেছে। খুব খুব ভালো খবর। তাহলে আর কি? তোমারতো খুনসুটির মানুষ চলে এসেছে।
আশাকরি ও ভালো আছে।
কথা হবে আবার। ব্লগের সবাইকে দেখে শুনে রেখো। ফিরে এসে যেন না দেখি তোমার নামে এত্তো নালিশ!!
ভালো থেকো। শুভকামনা।
২৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:০০
কাছের-মানুষ বলেছেন: বীরপুরুষ কবিতাটি আমারো ছোট বেলায় ভাল লাগত।
লেখায় আপনার শৈশবের স্মৃতি এবং জীবনবোধ বেশ সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে, এক সময় পাড়ার লোক নিশ্চই বলবে ভাগ্যে খুকি ছিল সাথে।
লেখায় আমার ভাল লাগা রইল।
২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
শিখা রহমান বলেছেন: কাছের মানুষ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
"মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে, এক সময় পাড়ার লোক নিশ্চই বলবে ভাগ্যে খুকি ছিল সাথে।" আপানার এই আশাবাদের জন্য ভালোলাগা রইলো।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
২৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪২
মেহবুবা বলেছেন: মিষ্টি একটা লেখা।
২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩২
শিখা রহমান বলেছেন: মেহবুবা আমার ব্লগে স্বাগতম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ও পড়ার জন্য। উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে আপনাকে পাবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
২৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১৬
রাকু হাসান বলেছেন: মনে পড়লো ,অনেক কিছু ...........ভাল লাগছে ++++
১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১১
শিখা রহমান বলেছেন: রাকু হাসান ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ও পড়ার জন্য। উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
অনেককিছু মনে করিয়ে দিতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। ধরে নিচ্ছি সুখস্মৃতিই মনে করিয়ে দিয়েছি।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছোট্ট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন আপুনি। এই কবিতাটি আমারো ভাল লাগত আবৃতি করতে।