নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তায় চলেছি একা।

ডাকে পাখি, খোলো আঁখি। দেখো সোনালী আকাশ, বহে ভোরেরো বাতাস।

দিগন্তের পথিক

দিগন্তের এক পথিক আমি, মোর দিগন্তপানেই যাত্রা। আকাশের নীলে খুঁজে ফিরি, সেই অনন্তলোকের মাত্রা।

দিগন্তের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাকের বর্ণ পরিবর্তন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুরূপ করা হলো কোন উদ্দেশ্যে? X((X((X((

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৩





আজকে দুপুরে টেলিভিশনে খবর দেখছিলাম, খবরে সংবাদ উপস্থাপন করা হচ্ছিলো গতকালই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল ইকবাল করিম ভুইঁয়া এবং আজকে তাকে জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে আজ নতুন সেনাপ্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে জেনারেলের ব্যাজ পড়িয়ে দেন নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান। এই বিষয়ে টিভি রিপোর্টটা শুরু হওয়া মাত্র মোটামুটি বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেলাম। টিভিতে এ কোন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে দেখছি! গাঢ় সবুজ রঙের ইউনিফর্ম পড়া সেনা কর্মকর্তাদের আর যাই হোক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে এক ঝটকাতেই মনে হয় নি। কারণ, ঠিক এই রকম রঙের একই ধাঁচের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় এতোদিন দেখে এসেছিলাম ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার বলতেই এতোদিন বুঝতাম চিরচেনা খাকি রঙের ঐতিহ্যবাহী দাপ্তরিক পোশাক পরিহিত কর্মকর্তাদেরকে। কিন্তু আজ হঠাৎ কোন মন্ত্রবলে এতোদিনের চিরচেনা সেই খাকি রঙটা উধাও হয়ে তার পরিবর্তে গাঢ় সবুজ রঙের ইউনিফর্মের আগমন ঘটলো?

নেট ঘেটে জানতে পারলাম যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনবাহিনীর পোশাকের বর্ণ এবং বৈচিত্র্য পরিবর্তন হয়েছে। আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুই ধরনের পোশাক পড়তো। একটা হলো যুদ্ধকালীন সামরিক পোশাক বা কমব্যাট ইউনিফর্ম এবং আরেকটা হলো সেরিমনিয়াল ড্রেস বা আনুষ্ঠানিক পোশাক। এতোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কোন ওয়ার্কিং ড্রেস বা দাপ্তরিক পোশাক ছিলো না, যার কারণে যে কোন আবহাওয়াতেই সেনা সদস্যদেরকে ভারী কমব্যাট ইউনিফর্ম পড়ে কাজ করতে হতো। সেটা পরিবর্তন হয়ে এখন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তিন ধরনের পোশাক পড়বেন। একটা হলো যুদ্ধকালীন সামরিক পোশাক বা কমব্যাট ইউনিফর্ম (যেটা পরিবর্তন করার সাহস কেউ করে নি), দাপ্তরিক পোশাক বা ওয়ার্কিং ড্রেস এবং আনুষ্ঠানিক পোশাক বা সেরিমনিয়াল ড্রেস। এর মধ্যে নতুন সংযোজন করা দাপ্তরিক পোশাক হিসেবে গাঢ় সবুজ রংয়ের প্যান্ট, হালকা খাকি রঙের শার্ট এবং শীতকালের জন্য শার্টের ওপর গাঢ় সবুজ রঙের সোয়েটার নির্বাচন করা হয়েছে। সেই সাথে আনুষ্ঠানিক পোশাক হিসেবে আপাদমস্তক গাঢ় সবুজ রঙের পোশাকই মনোনয়ন করা হয়েছে।



তথ্যসূত্র:



সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক পোশাক পরিবর্তন



সেনাবাহিনীর জন্য নতুন পোশাক



আসুন, কিছু ছবি দেখা যাক:



কমব্যাট ইউনিফর্ম বা যুদ্ধকালীন পোশাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী:















নব সংযোজিত ওয়ার্কিং ড্রেস বা দাপ্তরিক পোশাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী:

(এই ছবিগুলো গত ডিসেম্বরের শীতকালে তোলা বলে সেনা কর্মকর্তাদেরকে শার্টের উপর সোয়েটার পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে)























সেরেমনিয়াল ড্রেস বা আনুষ্ঠানিক পোশাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী:



















(আগের আনুষ্ঠানিক পোশাকে বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ক্যাডেটদের পুরস্কার বিতরণ)





(পরিবর্তিত নতুন আনুষ্ঠানিক পোশাকে বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ক্যাডেটদের পুরস্কার বিতরণ)





(আগের ও বর্তমানের নতুন আনুষ্ঠানিক পোশাকে সদ্য বিদায়ী সাবেক সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন)





এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাপ্তরিক ও আনুষ্ঠানিক পোশাক:













(ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, এই ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার শার্ট হালকা খাকি রঙের এবং প্যান্ট গাঢ় সবুজ রঙের, প্রায় কাছাকাছি যে বর্ণ সমন্বয়ের শার্ট-প্যান্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্যেও দাপ্তরিক পোশাক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে)






(হালকা রঙের খাকি শার্ট, গাঢ় সবুজ প্যান্ট)













এবার বাংলাদেশ ও ভারতের সাবেক ও বর্তমান সেনাপ্রধানদের কিছু গ্রুপ ছবি:





















কিছু প্রশ্ন:



স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে পোশাক এবং বর্ণ-বৈচিত্র্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে হঠাৎ সেটাতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন কি ছিলো?



দাপ্তরিক কাজের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের যে আলাদা একটা পোশাকের প্রয়োজন সেটা না হয় মানলাম, কিন্তু তাই বলে সেই দাপ্তরিক পোশাকটা প্রতিবেশী একটা দেশের সেনাবাহিনীর দাপ্তরিক পোশাকের রঙের সাথে হুবুহু মিল রেখে মনোনীত করার উদ্দেশ্যটা কি? দাপ্তরিক পোশাকের বর্ণ হিসেবে এতোদিন থেকে চলে আসা আগের খাকি রঙটা ঠিক রাখলে কি খুব বেশী অসুবিধা দেখা দিতো?



বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য আনুষ্ঠানিক পোশাক বা সেরেমনিয়াল ড্রেসের বর্ণ এবং ডিজাইন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেরেমনিয়াল ড্রেসের সাথে একেবারে পরতে পরতে মিল রেখে প্রনয়ন করার হেতুটা কি?









আমরা দেখেছিলাম বিডিআর হত্যাকান্ডের পর গোটা বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছিলো, এবার সেনাবাহিনীর পোশাক পরিবর্তন করে প্রতিবেশী একটা দেশের (যে দেশটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের একমাত্র শত্র ও হুমকি হিসেবে গণ্য করা হয়) সেনাবাহিনীর পোশাকের সমান সমান করার প্রচেষ্টাটা আসলে কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: লোল ........ মাইনাস পোষ্ট ।

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০২

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ওকে.....আপনাকে প্লাস।

২| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৯

কাজী রাসেল বলেছেন: হাসিনা দিদি দেশ টাকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য বানাতে চায়রে ভাই

৩| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৫

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ভাই এখানে একটু তথ্যগত ভুল আছে। ভারতীয় আর্মী না বলে পাকি আর্মি বলা উচিত ছিল। কারন সোয়েটারটা পুরোই পাকি আর্মি দের মত হইসে। কিন্তু শার্টটা ইউনিক। আপনার ছবিতেও পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে। আর ড্রেস পরিবর্তন সরকার করে না। এটা সেনা বাহিনীর নিজস্ব হাই কমান্ডের সিধান্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় শুধু সেটাকে অনুমোদন দেয়। হাসিনা আর খালেদার হ্যাডম নাই যে সেনা বাহিনীর গায়ে নতুন ড্রেস চাপাবে।

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:২৭

দিগন্তের পথিক বলেছেন: খালি সোয়েটারটার কথাই বললেন, শার্ট আর প্যান্টের কালার কম্বিনেশন নিয়ে কিছু বললেন না। সোয়েটারের রঙ সবুজ না করে খয়েরী বা অন্য কোন উপযুক্ত কালারের করলে সেটা পাকিস্তান আর্মির সাথে মিলতো না, তখন আমাদের আর্মির পোশাক ডিজাইনটা আরও বেশী সুন্দর ও অনন্য হতো বলে আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু, শার্ট আর প্যান্টের কালার কম্বিনেশন দিয়ে যে ভারতীয় আর্মির ইউনিফর্ম ডিজাইনের কাছাকাছি ঘেঁষতে চাচ্ছে সেটার কারণটা কি?

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৫

দিগন্তের পথিক বলেছেন:

এই ছবিটা থেকে যতটুকু বুঝা যাচ্ছে পাকিস্তান আর্মির সোয়েটারের কালার খুব সম্ভবত খয়েরী, সেই হিসেবে সবুজ কালার অন্তত পাকিদের সাথে মিলবে না বলেই মনে হয় আমার। যদি ভারতীয় আর্মির সোয়েটারের কালার সবুজ হয়ে থাকে তাহলে সবুজ-খয়েরী বাদে খাকি কালারের সোয়েটারই রাখা যেতে পারতো। এক্ষেত্রে আমি মনে করি কোন সেনাবাহিনীর ড্রেস প্রতিবেশী দেশসমূহ এবং শত্রুভাবাপন্ন অন্য কোন দেশের (যেমন পাকিস্তান) সাথে যথেষ্ট অসঙ্গতি ও অমিল রেখে ডিজাইন করা উচিত যেন এটা নিয়ে কখনো বিব্রত ও বিপাকে পড়তে না হয়।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৮

সোজা চাদ বলেছেন: আরে ভাই বুঝেন নাই, বাংলাদেশ তো কয়দিন পর ভারতের রাজ্য হইতেছে। পোশাক তো পরিবর্তন করতেই হবে। তাই আগেই করলো

৫| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৯

অবান্তর অন্ধকার বলেছেন: একজন ভাদা সরকার প্রধানের কাছ থেকে আর কি আশা করেন??

৬| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি একটা কথা কমু. আর্মি ড্রেটা এমন একটা পোশাক যা ভৌগলিক কারনে কাছাকাছি রং এর হয়ে যায় ।

পৃথিবীর অনেক দেশেরই পোশাক গুলি কাছাকাছি । আমাদের রেব যেমন যেমন বাহিরের কোবরার মত তেমনি ।

আপনারে বুঝানো যাবে না.. আপনার মাথা পাক ভারত ঘুরতাছে । :)


আর হাসিনা প্র মন্ত্রী এমনিতেই ভারতের তোষামুদি করে তাতে পোশাক পরিবর্তন করে কোন কারণ দেখছি না ।

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:১৬

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ভৌগলিকভাবে সীমান্ত-সংলগ্ন এবং শক্তি প্রয়োগে আগ্রাসী এমন সব প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক স্বাতন্ত্র বজায় রাখা অনেকটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। রাশিয়ার সাথে ভারতের সামরিক ড্রেসের মিল থাকতে পারে, কারণ এটা প্রতিবেশী না। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে ভারতের সামরিক পোশাক-পরিচ্ছদে মিল থাকাটা সমীচীন না, কারণ এরা একে তো বিভিন্ন পারস্পরিক ইস্যুতে সবসময় টানাপোড়েনে ভোগা প্রতিবেশী তার উপর বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে শক্তির পার্থক্য অনেক বেশী। এক্ষেত্রে শক্তির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশটার সেনাবাহিনী যদি নিজেদের সামরিক পরিচ্ছদ হঠাৎ করে পরিবর্তন করে তাদের শক্তিশালী কিন্তু শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলে তাহলে অবশ্যই "দুর্বল কি তবে নতি স্বীকার করে ফেললো" ধাঁচের কানা-ঘুষ ও প্রশ্ন উঠতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, পরিবর্তন করতে হলে করুক কিন্তু তাই বলে প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে মিল রেখে পরিবর্তন করতে হবে কেন? অন্তত প্রতিবেশী দেশের নিজস্বতা টুকু এড়িয়ে কি নিজের জন্য ব্যতিক্রম কিছু বাছাই করে যেতো না?
আর '৫৮, '৬৫ তে বাংলাদেশে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের কাছে বেদম মার খাওয়া, '৬৫ তে লাহোরে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে নাকাল হওয়া এবং ২০০১ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের পরবর্তী সাংগঠিক রূপ বিডিআরের কাছে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাওয়া ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মোটেও ভালো চোখে দেখে না সেটা আপনি বাংলাদেশী সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণগুলো পড়লে ভালো করেই বুঝতে পারবেন।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই: "দিল্লী এবং ভারতীয় মিডিয়া মনে করে যে '৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বীজ বপন করে দিয়েছে নাকি আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী!!"

৭| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই দাপ্তরিক পোশাকটা প্রতিবেশী একটা দেশের সেনাবাহিনীর দাপ্তরিক পোশাকের রঙের সাথে হুবুহু মিল রেখে মনোনীত করার উদ্দেশ্যটা কি?

সবই বইলা দিতে হবে!!!???

সেই গল্পের মহিলা হইছেন নিকি। মাইর খাইয়া যে স্বামীরে বলে- অত মার কেন? আমারে লইয়া কি সংসার করতে চাও না।
স্বামী বলে- মাইরের ধরন দেইক্যাও বুঝস না!!!

আপনি সরকারের ধরন দেইক্যাও কি কিসুই বোঝেন না? =p~ =p~ =p~ =p~

৮| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:১২

কেএসরথি বলেছেন: সবাই কও "জয় বাংলা...জয় ভারত মাতা!"

৯| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:১৪

শিপু ভাই বলেছেন:

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৩

দিগন্তের পথিক বলেছেন:

১০| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:১৯

মরু প্রান্তর বলেছেন: নতুন ইউনিফর্মের সাথে ইন্ডিয়ার সাথে মিল নেই।
তবে মিয়ানমার এবং পাকিস্থানের সেনা ইউনিফর্মের সাথে যথেষ্ট মিল আছে। আপনার চোখের সমস্যা আছে। ভাই দয়াকরে চোখের ডাক্তার দেখান। অবহেলা কইরেন না।

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৫৪

দিগন্তের পথিক বলেছেন: দাপ্তরিক পোশাক বা ওয়ার্কিং ড্রেসের কেবলমাত্র হালকা খাকি রঙের শার্টটা বাদে আর কোন দিক থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন পোশাকের পাকিস্তান আর্মির মিল আছে, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
আর বাংলাদেশী ওয়ার্কিং ড্রেসের হালকা খাকি শার্ট ও গাড় সবুজ প্যান্টের সাথে প্রায় সদৃশ ভারতীয় সেনাদের ওয়ার্কিং ড্রেস ডিজাইন-থিমের বেসিক পার্থক্য এবং বাংলাদেশী সেরিমনিয়াল ড্রেসের সাথে ভারতীয় সেরিমনিয়াল ড্রেসের স্পষ্ট প্রভেদসৃষ্টিকারী অমিলগুলো কি কি, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
এখন আগে পাকিস্তান আর্মির সাথে সদৃশ খাকি পোশাক কেন ছিলো, এটা প্রশ্ন করবেন তো? এটার সম্ভাব্য কারণ অনেকের মন্তব্যের জবাবে আমি আগেও বলেছি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সেনা-নেতৃবৃন্দ হয়তো বাজেটের অভাবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের পুরানো খাকি পোশাক পরিবর্তন করার সুযোগ পান নি। কিন্তু এতোদিন পর যখন পোশাক পরিবর্তনের বাজেট হলো, সুযোগ হলো তখন সেই পোশাক পরিবর্তনটা বিতর্কমুক্তভাবে এবং স্বতন্ত্রভাবে হলো না কেন? খাকি থেকে দায়-মুক্তি যদি নিতেই হয় তাহলে ভারতীয় সবুজের প্রতি ঝুকে পড়া কেন? আমার প্রশ্ন ছিলো মূলত সেটাই।

১১| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:২৪

রাহি বলেছেন: তাইলে তো সব ড্রেসেই পরিবর্তন আনা দরকার। কারন প্রত্যেকটাই অন্য কোনো না কোনো দেশের সাথে মিলে। হাসিনার ভারত প্রীতির আরো অসংখ্য উদাহারন আছে। যা মেজাজ বিলা করার জন্য যথেষ্ট। যেমন ট্রানজিট, টিপাইমুখ বাধ ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্ননা শুরু করলে শেষ করা যাবেনা।

কিছু ছবি দেখাইতে চাইছিলাম। বাট শিপু ভাই আইসা একটা ছবি দেখাইয়া গেলেন। আর কিছু বলার দরকার নাই |-)

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:১৪

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ভৌগলিকভাবে সীমান্ত-সংলগ্ন এবং শক্তি প্রয়োগে আগ্রাসী এমন সব প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক স্বাতন্ত্র বজায় রাখা অনেকটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। রাশিয়ার সাথে ভারতের সামরিক ড্রেসের মিল থাকতে পারে, কারণ এটা প্রতিবেশী না। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে ভারতের সামরিক পোশাক-পরিচ্ছদে মিল থাকাটা সমীচীন না, কারণ এরা একে তো বিভিন্ন পারস্পরিক ইস্যুতে সবসময় টানাপোড়েনে ভোগা প্রতিবেশী তার উপর বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে শক্তির পার্থক্য অনেক বেশী। এক্ষেত্রে শক্তির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশটার সেনাবাহিনী যদি নিজেদের সামরিক পরিচ্ছদ হঠাৎ করে পরিবর্তন করে তাদের শক্তিশালী কিন্তু শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলে তাহলে অবশ্যই "দুর্বল কি তবে নতি স্বীকার করে ফেললো" ধাঁচের কানা-ঘুষ ও প্রশ্ন উঠতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, পরিবর্তন করতে হলে করুক কিন্তু তাই বলে প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে মিল রেখে পরিবর্তন করতে হবে কেন? অন্তত প্রতিবেশী দেশের নিজস্বতা টুকু এড়িয়ে কি নিজের জন্য ব্যতিক্রম কিছু বাছাই করে যেতো না?
আর '৫৮, '৬৫ তে বাংলাদেশে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের কাছে বেদম মার খাওয়া, '৬৫ তে লাহোরে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে নাকাল হওয়া এবং ২০০১ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের পরবর্তী সাংগঠিক রূপ বিডিআরের কাছে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাওয়া ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মোটেও ভালো চোখে দেখে না সেটা আপনি বাংলাদেশী সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণগুলো পড়লে ভালো করেই বুঝতে পারবেন।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই: "দিল্লী এবং ভারতীয় মিডিয়া মনে করে যে '৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বীজ বপন করে দিয়েছে নাকি আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী!!"

১২| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩০

তিতাকথা বলেছেন: ‌ডাল মে কুছ কালা হ্যায়!!!

১৩| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুদ-মাখন খাইয়া এগুলার পাছা মোডা হইয়া গেছে।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৩

েসাফী বলেছেন: May Be a new garments have been established named Alhasina & co. garments which shipments shell be to produce clothes for uniform of the Bangladesh Army.

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৩

মরু প্রান্তর বলেছেন: মিয়ান্মারঃ







পাকিস্থানঃ

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৯

দিগন্তের পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পোশাকের ব্যাপারে অভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি নি। আপনার শেয়ার করা ছবি গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে আমাদের আর্মির নতুন পোশাকের সাথে মিয়ানমারেরটারও তেমন অমিল নাই! :|| :|| :||

১৬| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৫

cuetleaks বলেছেন: রাহি বলেছেন:হাসিনার ভারত প্রীতির আরো অসংখ্য উদাহারন আছে। যা মেজাজ বিলা করার জন্য যথেষ্ট। যেমন ট্রানজিট, টিপাইমুখ বাধ ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্ননা শুরু করলে শেষ করা যাবেনা।

একমত!!!!!!!!!!!!!!


ভাইজান সব জায়গায় ভারত খুজেন ক্যান????
নাকি পাকিস্তানেরটা চেনজ করায় মাইন্ড খাইলেন???? :P

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৬

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ভাইজান সব জায়গায় ভারত খুজেন ক্যান????

কি করমু কন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আর ভারতের মাসোহারা-পালিত দালালরা যেভাবে সব জায়গায় ছড়াইয়া ছিটাইয়া পড়ছে তাতে সব জায়গায় কষ্ট কইরা আর ভারত খুঁজার কোন দরকার নাই। ভারতই সব জায়গায় উপস্থিত থাইকা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে স্বাগত জানাইয়া যাইতেছে। :) :)

নাকি পাকিস্তানেরটা চেনজ করায় মাইন্ড খাইলেন????

মাইন্ড খাওয়ার প্রশ্নই আসে না, পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেই বরঞ্চ আমি খুশি। তবে পোস্টে খাকি নিয়ে কিছুটা পক্ষপাতিত্ব দেখাইছি আমি, সেটার কারণ জিজ্ঞাস করবেন, তাই তো?
আসলে স্বাধীনতার পর থেকে খাকি কালারটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব পোশাক বর্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো, যদিও এই বর্ণটা আমাদের শত্রু পাকিস্তান সেনাবাহিনীরও পোশাকের রঙ। আমি মানছি, স্বাধীনতার পরে যদি অনেক সুচিন্তিতভাবে পাকিস্তানের খাকি ও ভারতের সবুজ রঙ ব্যতিরেকে আমাদের আর্মির ব্যতিক্রম ইউনিফর্ম কালারটা (যেমন: খয়েরী) নির্ধারণ করা হতো তাহলে সেটাই সব চাইলে ভালো ও অনিন্দনীয় হতো। তবে এতো বছর পর যখন ইউনিফর্ম পরিবর্তন করাই হলো তখন সেটা বিতর্কমুক্তভাবে করা হলো না কেন সেটা নিয়েই মূলত আমার জিজ্ঞাসা। পাকিস্তানের কালার থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের কালারের দিকে যদি ঝুঁকেই পড়লো তাহলে পোশাক পরিবর্তনটা কতোটুকু স্বার্থক হলো? আমার প্রশ্নটা কিন্তু মূলত সেই দিকে ইঙ্গিত করেই। ফাকিস্তানের মতো একটা বেজন্মা রাষ্ট্রের সাথে আমাদের যতো অমিল থাকবে ততোই উত্তম, তবে আমি পোস্টে খাকি অক্ষুন্ন রাখার কথা বলেছিলাম অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। স্বাধীনতার পর আমাদের মুক্তিবাহিনীর সেনাধ্যক্ষরাই কিন্তু খাকি কালারটা অপরিবর্তিত রেখেছিলেন। কারণ খুব সম্ভবত একটাই, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের ড্রেসের কালারও খাকিই ছিলো, তারা হয়তো চাইছিলেন না যে নবগঠিত দেশে অনেক অনটনের মধ্যে সেনাবাহিনীর ড্রেসের কালার পরিবর্তন করার ব্যয়-সাপেক্ষ প্রজেক্টটা চটজলদি শুরু হোক। সেই কারণে বহু দিন যাবত খাকি কালারটাই আমাদের আর্মির আনুষ্ঠানিক ড্রেসের কালার হিসেবেই রয়ে গেছিলো, খাকির প্রতি আমার সামান্য পক্ষপাতিত্ব ছিলো মূলত আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সেনাধ্যক্ষদের প্রতি সম্মান রেখেই, খাকিটাকে তারাই রেখে গিয়েছিলেন। তবে পরিবর্তন করলে শ্রেষ্ঠ ও বিতর্কমুক্ত পরিবর্তনের পক্ষেই আমি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি কোন সেনাবাহিনীর ড্রেস প্রতিবেশী দেশসমূহ এবং শত্রুভাবাপন্ন অন্য কোন দেশের (যেমন পাকিস্তান) সাথে যথেষ্ট অসঙ্গতি ও অমিল রেখেই ডিজাইন করা উচিত যেন এটা নিয়ে কখনো বিব্রত, বিপাকে পড়তে না হয় কিংবা আত্মসম্মানবোধ ও আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়

১৭| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৬

রিস্টার্ট রিফাত বলেছেন: বেকুব কি আর গাছে ধরে? ;)

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৩

দিগন্তের পথিক বলেছেন: জ্বী না, গাছই বেকুবের মধ্যে ধরে। ;)

১৮| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৮

নিয়ানডার্থাল বলেছেন: কিন্তু খাকী পোষাকে যে পাকি দের মতন লাগে এইটা তো বললেন না।





জেনারেল মুশারফ

জেনারেল মইন

অফটপিকঃবিকেল বেলায় অন্য একটা নিকে একই পোষ্ট দেখলাম, এখন দেখি ঐ পোষ্ট উধাও, আল্লাহ ই জানে এক বিষয়ে কয়জন পোষ্ট করে নাকি একই ব্যক্তি ভিন্ন নাম - একটু পরিষ্কার করেন

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৯

দিগন্তের পথিক বলেছেন: আসলে স্বাধীনতার পর থেকে খাকি কালারটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব পোশাক বর্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো, যদিও এই বর্ণটা আমাদের শত্রু পাকিস্তান সেনাবাহিনীরও পোশাকের রঙ। আমি মানছি, স্বাধীনতার পরে যদি অনেক সুচিন্তিতভাবে পাকিস্তানের খাকি ও ভারতের সবুজ রঙ ব্যতিরেকে আমাদের আর্মির ব্যতিক্রম ইউনিফর্ম কালারটা (যেমন: খয়েরী) নির্ধারণ করা হতো তাহলে সেটাই সব চাইলে ভালো ও অনিন্দনীয় হতো। তবে এতো বছর পর যখন ইউনিফর্ম পরিবর্তন করাই হলো তখন সেটা বিতর্কমুক্তভাবে করা হলো না কেন সেটা নিয়েই মূলত আমার জিজ্ঞাসা। পাকিস্তানের কালার থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের কালারের দিকে যদি ঝুঁকেই পড়লো তাহলে পোশাক পরিবর্তনটা কতোটুকু স্বার্থক হলো? আমার প্রশ্নটা কিন্তু মূলত সেই দিকে ইঙ্গিত করেই। ফাকিস্তানের মতো একটা বেজন্মা রাষ্ট্রের সাথে আমাদের যতো অমিল থাকবে ততোই উত্তম, তবে আমি পোস্টে খাকি অক্ষুন্ন রাখার কথা বলেছিলাম অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। স্বাধীনতার পর আমাদের মুক্তিবাহিনীর সেনাধ্যক্ষরাই কিন্তু খাকি কালারটা অপরিবর্তিত রেখেছিলেন। কারণ খুব সম্ভবত একটাই, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের ড্রেসের কালারও খাকিই ছিলো, তারা হয়তো চাইছিলেন না যে নবগঠিত দেশে অনেক অনটনের মধ্যে সেনাবাহিনীর ড্রেসের কালার পরিবর্তন করার ব্যয়-সাপেক্ষ প্রজেক্টটা চটজলদি শুরু হোক। সেই কারণে বহু দিন যাবত খাকি কালারটাই আমাদের আর্মির আনুষ্ঠানিক ড্রেসের কালার হিসেবেই রয়ে গেছিলো, খাকির প্রতি আমার সামান্য পক্ষপাতিত্ব ছিলো মূলত আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সেনাধ্যক্ষদের প্রতি সম্মান রেখেই, খাকিটাকে তারাই রেখে গিয়েছিলেন। তবে পরিবর্তন করলে শ্রেষ্ঠ ও বিতর্কমুক্ত পরিবর্তনের পক্ষেই আমি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি কোন সেনাবাহিনীর ড্রেস প্রতিবেশী দেশসমূহ এবং শত্রুভাবাপন্ন অন্য কোন দেশের (যেমন পাকিস্তান) সাথে যথেষ্ট অসঙ্গতি ও অমিল রেখেই ডিজাইন করা উচিত যেন এটা নিয়ে কখনো বিব্রত, বিপাকে পড়তে না হয় কিংবা আত্মসম্মানবোধ ও আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়।

বিকালে কে বা কারা একই বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলো সেটা নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই। পোস্টের কনসেপ্টটা আমি কোথায় এবং কিভাবে পেয়েছি সেটা আমি পোস্টেই ইতোমধ্যে বর্ণনা করেছি।

১৯| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪১

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি বুঝিনা , আপনারা সবকিছুতে এত ভারত ভারত করেন ক্যান । ড্রেসের রঙ্গে মিলে গেলেই , কোন একটা সেনাবাহিনী নস্ট ঐ দেশের হয়ে যায়না , নিচে আমেরিকান আর্মীর ড্রেস দেখেন


ইন্দোনেসিয়ান আর্মীর ড্রেস দেখেন



নেপালের আর্মী



এতগুলা দেশের সাথে মিললেও ,আপনি শুধু ভারত ভারত করেন ক্যান ।

আমাদের দেশের আর্মীর ড্রেসের কথা প্রথম তুলছে ,পাকিস্তানী ডিফেন্স ফোরাম , ফাকিস্তানী গাধারা নয় , এইসব উলটাপালটা কথা বলে আমাদের দেশকে ছোট করে , তাই বলে আপনারা সেই গাধাদের সাথে তাল মেলাচ্ছেন ক্যান?

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৫

দিগন্তের পথিক বলেছেন: একটা সেনাবাহিনীর ড্রেস আদ্যিকাল থেকে একটা নির্দিষ্ট ডিজাইনে বজায় থাকার পর সেটার সাথে যদি পরবর্তিতে অন্য আরেকটা সেনাবাহিনীর ড্রেসের ডিজাইনের সাদৃশ্যতা পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেটা এক কথা, কিন্তু একটা সেনাবাহিনী যদি অনেকদিন পর তার ড্রেসের ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রতিবেশী এবং প্রভুত্ব-বিস্তারকারী একটা দেশের সেনাবাহিনীর ড্রেসের সমান করে ফেলতে চায় তাহলে সেটার আরেক কথা। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সেনা-নেতৃবৃন্দ হয়তো বাজেটের অভাবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের পুরানো খাকি পোশাক পরিবর্তন করার সুযোগ পান নি। কিন্তু এতোদিন পর যখন পোশাক পরিবর্তনের বাজেট হলো, সুযোগ হলো তখন সেই পোশাক পরিবর্তনটা বিতর্কমুক্তভাবে এবং স্বতন্ত্রভাবে হলো না কেন? আমার প্রশ্ন মূলত সেটাই। ভারতের দালালগোষ্ঠী যখন বেশ আয়েশ করে বলবে: "তোরা তো চাল ডাল থেকে শুরু করে নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রহরী সেনাবাহিনীর ড্রেস-ডিজাইনটাও পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করে এনেছিস, তোরা তো ভারত ছাড়া বাঁচিস না, ভারত ছাড়া তোদের কোন মূল্য নেই, ভারত ছাড়া তোরা অচল ইত্যাদি ইত্যাদি ", তখন আমাদের আত্মসম্মান আর আত্মমর্যাদা যতোটুকু অবশিষ্ট ছিলো ততটুকু সুদে আসলে বেড়ে বহু গুন হয়ে ফুলে ফেঁপে উঠবে, তাই না?
পাকিস্তান ডিফেন্স ফোরামে বাংলাদেশ আর্মির পোশাক পরিবর্তন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে না হয়েছে সেটা নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই। পোস্টের কনসেপ্টটা আমি কোথায় এবং কিভাবে পেয়েছি সেটা আমি পোস্টেই ইতোমধ্যে বর্ণনা করেছি।

২০| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৬

cuetleaks বলেছেন: রিস্টার্ট রিফাত@এই পোষ্ট দাতা না হয় বেকুব!!!!!!!!!কিন্তু যারা হেরে সাপোর্ট দিতাছে তারা কি???????

২১| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৬

সাদা কলো বলেছেন: সমস্যাটা কোথায়?সেরেমনিয়াল ড্রেস পরে ত আর যুদ্ধ করতে যাবে না।কমব্যাট ড্রেস ত আলাদাই আছে।

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০১

দিগন্তের পথিক বলেছেন: সেরেমনিয়াল ড্রেস পড়ে যুদ্ধ করতে না গেলেও সেরিমনিয়াল ড্রেস পড়েই কিন্তু বাংলাদেশী সেনাপ্রধান ও ভারতীয় সেনাপ্রধান একে অপরের সাথে দেখ করবে ও অফিসিয়াল সফরে যাবে। তখন বিশ্ব-মিডিয়া যখন দেখবে দুই সেনাপ্রধানের পোশাক প্রায় একই রঙের ও একই ধাঁচের এবং যখন তারা খোঁজ নিয়ে জানতে যে মাত্র কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজেদের আগের ড্রেস পরিবর্তন করে ভারতীয়দেরটার মতো করে ফেলেছে তখন তারা নানান রকম গাল-গল্প ফাঁদতে পারে (উদাহরণ: দ্যা ইকোনমিস্ট)। তখন বাংলাদেশের ভাব-মূর্তি কোন হিমাদ্রি শিখরে উন্নীত হবে?

২২| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:২৯

এস এইচ খান বলেছেন: ভাদা ভাকুরা দেখছি লাফ মাইরা পাকি ড্রেস বানাইয়ালাইলো আর এতেই সব জায়েজ!! তা অগোরে জিগানতো! এই সরকার মানে আওয়ামি লীগ তাদের আওয়ামী কবে মুছবে? ওদের পাকিজাত আওয়ামী বাদ না দিয়া বিডিআররে ইন্ডিয়ান আদলে বিজেপি আর এই ড্রেসের অর্ধাংশ ইন্ডিয়ান আদলে করার কোন এক্তিয়ার তাদের নেই।

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১২

দিগন্তের পথিক বলেছেন: তীব্রভাবে ঝাঁঝা প্রদান করা হইলো আপনাকে খান ভাই। B-) B-) B-)

আওয়ামী শব্দটা পুরাই উর্দু শব্দ, এবং পাকিস্তান আমলেই পাকিস্তান-কেন্দ্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। এমন কি, পাকিস্তানে এখনো আওয়ামী মুসলিম লীগ নামক একটা রাজনৈতিক দল আছে।
আমাদের আওয়ামীরা বলে ওরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি পাকিস্তানের উর্দু নামটা কেন ওরা এখনো মাথায় নিয়া নিয়া হাঁটতেছে? :) :) :)

২৩| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৪

এস এইচ খান বলেছেন: correction: please read BGB instead of BJP.

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৮

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ খান ভাই।

২৪| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৫২

মোঃ জোবায়ের বলেছেন: শোনেন ভাই। আগে কমব্যাট পরে অফিস করতো। কিন্তু কমব্যট এর খরচ অনেক বেশি। তাই এখন অফিসিয়াল কাজ করার জন্য নতুন পোষাক এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সব বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক না। এটা একদম তুচ্ছ একটা বিষয়।

২৫| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৫৮

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন:
আরও একটি লেখার শেয়ার করার জন্য আহবান জানাই>>>>>>>>>

দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর নতুন পোষাক এবং অন্যান্য কথা

২৬| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:০৫

অনিক আহসান বলেছেন: @ নিয়ান্ডার্থাল

ঐ পোস্টটা আমার ছিলো.. সেখানে লেখা ছিলো সাময়িক পোস্ট এবং আমার ডুব্লি নিক নাই।

পোস্ট প্রসঙ্গেঃ সনাতন খাকি ড্রেস ক্যানো চেঞ্জা করা হলো সেটা প্রশ্ন করার অধিকার নিশ্চই আছে। আর এই প্রশ্ন করতে পাকি ফোরামের সহযোগিতা দরকার হয় না।

২৭| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:২৬

তারেক হক ১৯৮৬ বলেছেন: রাহি বলেছেন:হাসিনার ভারত প্রীতির আরো অসংখ্য উদাহারন আছে। যা মেজাজ বিলা করার জন্য যথেষ্ট। যেমন ট্রানজিট, টিপাইমুখ বাধ ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্ননা শুরু করলে শেষ করা যাবেনা।

একমত!!!!!!!!!!!!!!

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৫

দিগন্তের পথিক বলেছেন: ১৭ নং মন্তব্যের উত্তর দ্রষ্টব্য।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:২৭

সুন্দর খাঁ বলেছেন: ইসলামী বাংলাদেশের ইসলামী আর্মির উচিত ইসলামী পোশাক পরে যুদ্ধ করা, পাজামা পান্জাবী ও পাগড়ি

২৯| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:২৬

মামদোভুত বলেছেন: ভাইরে,

আপনি সেনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।



প্রধানমন্ত্রী বা তার সরকারের কোনই ক্ষমতা নেই সেনার ড্রেস পরিবর্তন করার।


সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নিজস্ব ক্ষমতাবলে সেটা চেইঞ্জ করে থাকে।


আর সেনার ড্রেস হয় সাধারণত ভৌগলিক দিক মাথায় রেখে। আমাদের দেশটা সবুজে ভরা। এই রঙ্গের সাথে সবুজ সহজেই মিশে যায়। যাতে করে যুদ্ধের সময় সহজেই লুকিয়ে থাকা যায় শত্রুর দৃষ্টি লুকিয়ে।



আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে সেনার বেশীরভাগ গাড়ীই কিন্তু জলপাই বা প্রায় সবুজের কাছাকাছি কালারে রং করা। ভারতের বি এস এফ এবং আর্মির গাড়ীর কালারো হুবহু এক।



কারণ, সেই একই। সবুজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা যাতে সহজ হয়।





পাকিস্তানের সেনা ড্রেসের কালার খাকি, কারণ, মরুর বালিতে খাকি কালার লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে।




এখানে পাক-ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই।




বিঃ দ্রঃ লেখককে অনুরোধ করছি NDC (national defence college) এর কোনো অভিজ্ঞ স্টাফের কাছে এসব বিষয়ে জেনে নিতে।




এসব বিষয় নিয়ে কোনো কিছু লিখার আগে তিনবার ভাববেন। কারণ, খুবই সেনসিটিভ বিষয় এগুলো।




শুভকামনা রইলো!

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:১৫

দিগন্তের পথিক বলেছেন: আপনি সম্ভবত কমব্যাট ইউনিফর্মের কথা বলছেন, যে ইউনিফর্ম পরে যুদ্ধে যায় সেনারা। তবে আমি কিন্তু কমব্যাট ইউনিফর্ম ব্যতিরেকে অন্য দুটো ড্রেসের কথা বলছিলাম, ওয়ার্কিং ড্রেস বা দাপ্তরিক পোশাক এবং সেরিমনিয়াল ড্রেস বা আনুষ্ঠানিক পোশাক। বাংলাদেশের কমব্যাট ইউনিফর্ম যে পরিবর্তন হয় নি সে কথা আমি পোস্টেই বলেছি। শেষ দুটো পোশাকের সাথে যুদ্ধের বা নিজ দেশের ভূ-প্রকৃতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই, এই দুটো প্রকারভেদ পরিধান করে দপ্তরে কাজ করে নয়তো কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করে সেনারা। শেষ দুটোর ডিজাইন নির্ধারণ করা হয় যথাসম্ভব যুদ্ধের বাইরে অন্য কিছু ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে। এই দুটো প্রকারভেদের পোশাকের সাথেই কিন্তু ভারতেরগুলোর বেশ মিল পরিলক্ষিত হচ্ছে, যদিও সাধারণ ধ্যান-ধারনা বলে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ভারতেরটার সাথে যথাসম্ভব পার্থক্য রেখেই ড্রেসগুলোর ডিজাইন করার কথা ছিলো। কিন্তু সেই রকম কোন চিহ্ন পাওনা যায় নি। এই উদাসীনতার কারণটাই কিন্তু প্রশ্নের মূল লক্ষ্য।
হ্যাঁ, এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রস্তাবেই করা হয়েছে। সিজিএস লে. জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, "এটা সেনাবাহিনীর দাবি নয়, প্রস্তাব ছিল। সরকার সে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেএ কথাটা কিছুটা হতাশাজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি এখনও প্রতিবেশী বিদেশী শত্রুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত আছে কিনা সেই ব্যাপারে অন্তত বেসামরিক সমাজ যথেষ্ট দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে আছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র অফিসার কর্তৃক দেশের সেনা-কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ, সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে গ্রেফতারকৃত কাশ্মিরী ছাত্রদের ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কিছু খবর বাতাসে হরহামেশাই ভেসে বেড়ায়। তার উপর ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবরে সম্ভাব্য অভ্যুত্থান হতে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ বিমান ঘাঁটি হতে ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃক বিনা বাঁধায় সামরিক অভিযান চালানোর উল্লেখ, বিডিআর হত্যাকান্ডের পর থেকে সীমান্তে বিডিআরের নিস্পৃহ ভূমিকা ইত্যাদি ইত্যাদি সবকিছুর সামনে আরো অনেক গুলো প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৩০| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৪৫

তীর্থযাত্রী বলেছেন: শালার আবাল কনহানকার।

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:১৭

দিগন্তের পথিক বলেছেন: লাভ নাই, আমি ক্যাচালের ফাঁদে জড়াই না.....অন্য কোথাও গিয়া ট্রাই লইয়া দেহো।

৩১| ২৭ শে জুন, ২০১২ ভোর ৬:০১

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ল্যাঞ্জা ইস ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড। যাই হোক। আমাদের সেরেমনিয়াল ড্রেসের সাথে ভারত, মিয়ানমার, আমেরিকা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া আর মন্তব্যের ছবি অনুসারে পাকিস্তানের মিল পাওয়া গেসে। এরপরেও আমাদের ছাগু সাহেব বলেই যাচ্ছেন ভাঙ্গা রেকর্ডের মত ভারত ভারত ভারত।
ভারতের দালাল গালিও কয়েকজন দিয়ে গেসেন। তো আমার কথা ছিল ভারতের দালাল এই গালিটা কারা দিত? রাজাকাররা দিত মুক্তিযোদ্ধাদের। জামাত শিবিরের সেই গালি যখন দেখি ব্লগে সবার মুখে মুখে ফিরছে তখন আর কিছু বলার থাকে না। আপনি এত বড় দেশ প্রেমিক , পারলে এর আগে পাকিস্তানি খাকি পোষাকের সাথে মিল আছে বলে সেনাবাহিনীর ড্রেস পরিবর্তনের নিয়ে একটা পোস্ট দিতেন। সেটা তো দেন নাই। বরং এরপরে যারা ভাদা ভাদা বলে গালি দিচ্ছে তাদের কমেন্টে ঝাঝা দিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তি দিয়ে বোঝানোর পর এখন বাল সাল লজিক দেখাচ্ছেন যেন তালগাছ টা আপনার। আপনার তাল আপনি খান, আমাদের ভালো করে বোঝা হয়ে যাচ্ছে এই পোস্ট এর উদ্দেশ্য কি?
তবে ভাই পেমেন্টের রেটটা একটু বলেন, এই অধম কিঞ্চিত কষ্টে আছে।

২৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

দিগন্তের পথিক বলেছেন: সত্যি বলছি, আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে করা আমার ওই মন্তব্যের কারণে আপনি যে এতোটা কষ্ট পাবেন সেটা আমি একটুও বুঝতে পারি নি। যদি বুঝতে পারতাম যে আপনি এমন ভয়াবহ কষ্ট পাবেন তাহলে আওয়ামী লীগের গোমর ফাঁস করে অতটা নির্দয়ভাবে ওভাবে মন্তব্য করতাম না, আমি কখনোই চাই না যে কেউ আমার ব্লগ বা মন্তব্য পড়ে এভাবে কষ্ট পাক। :( :( :(
আপনি শুধু একবার আমাকে পরিষ্কার করে কমেন্ট ডিলিট করে দিতে বলুন, দেখবেন আমি সাথে সাথে আমার কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছি। যে করেই হোক আমি চাই যে আমার করা মন্তব্য থেকে মনে এতো বড় যে ব্যথাটা আপনি পেয়েছেন সেটা যেন অন্তত লাঘব হয়। :( :(
আওয়ামীদের হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গলাম সেটা খুব ভালো করে লক্ষ্য করলেন, কিন্তু তারও উপরে যে ফাকিস্তানরে উদ্দেশ্য করে ঘৃণা উগড়ে দিয়ে গালি দিলাম সেইটা খেয়াল করলেন না! এই না হইলে একেবারে আদর্শ আওয়ামী! :) :)
ভালো কথা, রাজাকার গালিটা তো '৭১ এ ফাকিস্তানের দোসর ওই বেজন্মাগুলোকে উদ্দেশ্য করে লোকে গালি দিতো, তাই না? তো এই রাজাকার গালিটা যখন কাদের সিদ্দিকীর মতো লোককে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে দেওয়া হয় তখন আপনার বা আপনাদের অনুভূতিটা কেমন হয় সেটা খুব জানতে ইচ্ছা করে।
ভারতের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুললেই যদি 'ছাগু' ট্যাগিং করে মামলা ডিসমিস করে দিতে চান তাহলে কিন্তু সেই সুযোগটা ব্যবহার করে আসল 'ছাগু' রা নিজেদেরকে 'দেশদরদী' হিসেবে প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে। যদি সত্যি সত্যিই ছাগু ফাইটার হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যাপারটাতে কিঞ্চিত সজাগ হবেন বলে আশা করি।

৩২| ২৭ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫২

জানকিরান বলেছেন: তুই কি পাবনা থেকে আসলি নাকি হালা বলদের বাচ্চা।

২৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

দিগন্তের পথিক বলেছেন: কেন, তুমি কি এইখানে পাবনার তোমার 'জ্ঞাতি ভাই' দেরকে খুঁজতে আসছো? এইখানে খুইঁজ্যা কোন লাভ নাই, পারলে অন্য কোথাও গিয়া খুঁজাখুঁজি কইরা দেহো। দোয়া করি, পাবনা থেকে খোয়া যাওয়া তোমার 'জ্ঞাতি ভাই' দেরকে যেন তুমি খুব তাড়াতাড়িই খুইঁজ্যা পাইয়া যাও।

৩৩| ২৭ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

মামদোভুত বলেছেন: দুঃখিত, আমি সেরেমনিয়াল পোষাকের ব্যাপারটা খেয়াল করিনি। এনিওয়ে, এটাকেও মূল ড্রেসের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়। পৃথিবীর সব দেশই এটা করে থাকে। আর শুধু ইন্ডিয়া নয়, অনেক দেশের সাথেই এর মিল আছে।


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি এখনও প্রতিবেশী বিদেশী শত্রুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত আছে কিনা সেই ব্যাপারে অন্তত বেসামরিক সমাজ যথেষ্ট দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে আছে।

এটা সত্যি যে, ভারত এখন চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশেকে সরাসরি আক্রমণ করতে পারে ওদের দেশে থেকেই। সেই ক্ষমতা ওদের আছে।


কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে কোনোদিনই এটাক করবে না। অন্তত আগামী ৫০ বছরে।


বাংলাদেশে এটাক করার জন্য ভারতের দরকার ২১ রেজিমেন্ট সৈন্য। সেই সৈন্য ওদের আছেও। কিন্তু এটা নিয়ে বাংলাদেশকে এটাক করতে গেলে, পাকিস্তান এবং চীন সীমান্ত পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যাবে!



আর বিশ্বের কোনো দেশই নিরাপদ না এখন। আমেরিকা, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিজ দেশে থেকেই বিশ্বের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।


২৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬

দিগন্তের পথিক বলেছেন: (কমব্যাট ইউনিফর্মে ফরাসী সেনাবাহিনী)


(সেরেমনিয়াল ড্রেসে ফরাসী সেনাপ্রধান)


কাজেই, আশা করি বুঝতে পারছেন যে সেরেমনিয়াল ড্রেসের ডিজাইনটা যে মূল কমব্যাট ইউনিফর্মের সাথে মিল রেখেই করতে হবে এমন কথা অলিখিত নিয়ম নেই। আর আমি তো আগেও বলেছি, ভৌগলিকভাবে সীমান্ত-সংলগ্ন এবং শক্তি প্রয়োগে আগ্রাসী এমন সব প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক স্বাতন্ত্র বজায় রাখা অনেকটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। রাশিয়ার সাথে ভারতের সামরিক ড্রেসের মিল থাকতে পারে, কারণ এরা পরস্পর প্রতিবেশী না। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে ভারতের সামরিক পোশাক-পরিচ্ছদে মিল থাকাটা সমীচীন না, কারণ এরা একে তো বিভিন্ন পারস্পরিক ইস্যুতে সবসময় টানাপোড়েনে ভোগা প্রতিবেশী তার উপর বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে শক্তির পার্থক্য অনেক বেশী। কাজেই, বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সামর্থ-সীমার মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভারতীয় সেনবাহিনী থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র ও আত্মমর্যাদা বজায় রাখা। এক্ষেত্রে শক্তির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশটার সেনাবাহিনী যদি নিজেদের সামরিক পরিচ্ছদ হঠাৎ করে পরিবর্তন করে তাদের শক্তিশালী কিন্তু শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলে তাহলে অবশ্যই "দুর্বল কি তবে নতি স্বীকার করে ফেললো" ধাঁচের কানা-ঘুষা ও প্রশ্ন উঠতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, পরিবর্তন করতে হলে করুক কিন্তু তাই বলে প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে মিল রেখে পরিবর্তন করতে হবে কেন? অন্তত প্রতিবেশী দেশের নিজস্বতা টুকু এড়িয়ে কি নিজের জন্য ব্যতিক্রম কিছু বাছাই করে যেতো না?
আর বাংলাদেশকে সামরিকভাবে আক্রমণ করাটা ভারতের জন্য প্রয়োজন হয়ে দেখা দিলেই তো ভারত সেটা করবে, নাকি? ভারতের সেটা প্রয়োজন হবে বলেই মনে হয় না, কারণ ভারত বেসামরিকভাবেই বাংলাদেশকে কুক্ষীগত করে ফেলতে বদ্ধ-পরিকর। ভারতীয় সংবাদপত্র আপনি নিয়মিত পড়ে থাকলে এ কথা এতোদিনে বুঝে ফেলতে পারতেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় চীন-পাকিস্তান জোটের বিরুদ্ধে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে ভারত একটা পাল্টা জোট গঠন করতে চাচ্ছে। সেই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের এতো আগ্রহ। আমি আগেও বলেছি যে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও তাতে বাংলাদেশের কারো কোন মাথাব্যথা হওয়ার কথা না, কিন্তু চীনের সাথে সম্পর্কের অবনতি করলে সেটা বাংলাদেশের জন্য হবে চরম আত্মঘাতী। কারণ, বাংলাদেশের সাথে চীনের যে সামরিক সম্পর্কটা আছে সেটা বিনষ্ট করলে যে কোন সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্র শস্ত্র যা আছে তার প্রায় পুরোটাই চীনা। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে দৃঢ় এবং সুসংহত সুসম্পর্ককে ভারত সব সময়েই ভয় এবং সমীহের চোখেই দেখে এসেছে, বাংলাদেশ-চীন সুসম্পর্ককে ভারত সব সময়েই বাংলাদেশের উপর নিজের নিরঙ্কুশ একচ্ছত্রতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের প্রতি বড় ধরনের একটা হুমকি হিসেবে দেখে এসেছে। শুধু তাই-ই নয়, ভারতের ক্রমাগত সামরিক ও আঞ্চলিক চাপকে মোকাবেলার জন্য ২০০২ সালে খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একটা সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়, যেখানে নিশ্চিত করা হয় যে যে কোন যুদ্ধকালীন অবস্থায় (বুঝে নিন, কোন প্রতিবেশীর সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে ) চীন বাংলাদেশের পক্ষাবলম্বন করবে, বাংলাদেশকে সর্বাত্মকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করবে এবং বাংলাদেশের পক্ষে চীন সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। সেই থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র হুমকি ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক চ্যালেঞ্জে চীনই বাংলাদেশের একমাত্র রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আছে। বাংলাদেশের সাথে চীনের এই সামরিক সম্পর্কটি সেই থেকে ভারতের জন্য যথেষ্ঠ মাথাব্যথার কারণ বয়ে এনেছে এবং চীনের ভয়েই ভারত সমসময় বাংলাদেশের উপর যেকোন সামরিক চাপ প্রয়োগে ভারত সবসময় দুশ্চিন্তা এবং আতঙ্কে ভুগে।
একটা দেশকে সার্বভৌমত্ববিহীন করতে চাইলে প্রথমত বেসামরিক প্রশাসন ও দ্বিতীয়ত সামরিক প্রশাসনকে নিজের কব্জায় আনতে হয়। বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসন যে ইতোমধ্যে ভারতের দখলে সেটা আশা করি কারো বুঝতে বাকি নেই, বাকি রইলো কেবল সামরিক প্রশাসন। সেটা সম্পন্ন করতেও ভারত বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কখনোই ভালো চোখে দেখে নি ভারত, ভারত তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কোন স্বাধীন সেনাবাহিনী থাকুক সেটাই চায় নি। ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো সব সময় প্রচার-প্রচারণা চালায় যে '৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বীজ ঢুকিয়েছে আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভারতের সার্বভৌমত্ব-বিনাশী আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য বেসামরিক প্রশানের পর বাংলাদেশের মানুষের সর্বশেষ ভরসা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আর বাংলাদেশের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি হলো চীন, সেই কারণেই ভারতের প্রয়োজন আগে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে নষ্ট করা, সেই পথেই এগুচ্ছে তারা। বাংলাদেশের ভেতর যদি করিডোর পায় ভারত তাহলে অরুনাচল প্রদেশে চীনের সাথে বিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে সামরিক সংযোজকের কাজ সারতে পারবে ভারত, যেটাতে বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলে। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদও সক্রিয়। কারণ, আনন্দবাজারে খবর দেখেছিলাম যে সেভেন-সিস্টারস বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ভারতীয় বিদ্রোহীরা কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে ভারতকে সাহায্য করবে মোসাদ।
কাজেই বুঝতেই পারছেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের গভীর ষড়যন্ত্রের আওতায় পড়তেই পারে এবং বাংলাদেশের মানুষের এই শেষ আশ্রয়স্থলটিতেও ভারতীয়করণ করার চক্রান্ত চলছে।

৩৪| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

মামদোভুত বলেছেন: আর হ্যঁ, এটা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত। অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা সব দেশেই হয়ে থাকে।

২৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

দিগন্তের পথিক বলেছেন: সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে আটক করা কাশ্মিরী ছাত্রদেরকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন যেভাবে বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে গেছে অনুরূপ ভাবে ভারতের ভেতর গিয়ে বঙ্গ-সেনা বা পার্বত্য-চট্রগ্রামের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী গ্রুপগুলোকে ধরে আনার মতো কোন এখতিয়ার বাংলাদেশ নিশ্চয়ই পাবে না, পাবে কি? তাহলে সমমর্যাদা-সম্পন্ন অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা কি করে হলো?
আর নিয়ন্ত্রনের প্রশ্নে আপনার করা ৫৩ নং কমেন্টের প্রত্যুত্তর দ্রষ্টব্য।

৩৫| ২৮ শে জুন, ২০১২ সকাল ৮:১৫

মেসি০০৭০০৭ বলেছেন: আদিম যুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এমন কোন ব্যক্তি, জাতি, দেশ, জায়গা/স্থাপনা নেই যেখানে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি বা আধুনিকায়ন হয়নি। ব্যতিক্রম দেখলাম শুধু আপনাকে। আপনি কিনা সেই মান্দাতার আমলেই রয়ে গেলেন। আমি একজন সাধারণ জনগন হিসাবে বলতে চাই, সব খানেই যেহেতু আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, সেখানে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আমাদের গর্ব, জাতির কর্ণধর সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী পিছিয়ে থাকবে কেন? স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে পোশাক এবং বর্ণ–বৈচিত্র্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে অবশ্যই সেটার পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল হয়তোবা। তানাহলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এত বড় ঐতিহ্য বাদ দিতেন না। সেনাবাহিনীর জন্য বর্তমানে নির্ধারিত পোশাকটি আমিও টিভিতে খবরের সময় বর্তমান সেনাপ্রধানের পরিহিত দেখলাম, পাশেই কিন্তু বিদায়ী সেনাপ্রধান ছিল পূর্বের পোশাক পরিহিত অবস্থায়। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বর্তমানের নির্ধারিত পোশাক । আমাদের লাল-সবুজ পতাকার সবুজ রং টা এ পোশাকে ফুটে ওঠেছে। আমার মনে হয় দেশ মাতৃকায় নিয়োজিত আমাদের সৈনিক ভাইয়েরাও এ পোশাক সাদরে গ্রহন করেছে বিধায় তাদের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি শোনা যায়নি। কিন্তু আপনার সমস্যা কোথায় বুঝলাম না। আপনি বলেছেন ভারতের সেনাবাহিনীর পোশাকের মত দেখতে। আপনি মনে হয় ঐ দল/ গোষ্ঠীর একজন সদস্য যারা প্রতিবেশীদের সহ্য করে না। রং কিছুটা এক হলেই যে এটা ভারতের সেনাবাহিনীর পোশাক হয়ে গেল এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে আপনার বের হয়ে আসা উচিত। তাছাড়া আপনি মনে হয় ভালভাবে জানেননা ভারতীয় সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বা অন্যান্য বিভিন্ন বর্ণ বা ডিজাইনের পোশাক রয়েছে যার সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান পোশাকগুলোর কোন মিল নেই। আপনার উদ্দেশ্যে বলছি প্রত্যেকটি দেশের সেনাবাহিনীর পোষাকে তার নিজ দেশের প্রকৃতির সাথে মিলিয়েই করা হয়। তাই বলি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত পবিত্র এ বাহিনী নিয়ে কোন গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করলে দেশ ও জাতি অন্তত একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।

২৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১

দিগন্তের পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য যে প্রথমবারের মতো কোন ওয়ার্কিং ড্রেস বা দাপ্তরিক পোশাক নির্ধারিত হয়েছে সেটা ভেবে তো আমিও আনন্দিত, তবে ড্রেসের কালার নির্ধারণ নিয়েই কিন্তু আমি অসন্তোষ ব্যক্ত করেছি, আশা করি সেটা খেয়াল করেছেন।
আপনি বলছেন আমি সেই গোত্রের যারা প্রতিবেশীকে সহ্য করে না, তো ভারত কি তার এই প্রতিবেশী বাংলাদেশকে নূন্যতম সহ্য করতে পারে কিনা সেটাও কিন্তু একটা যাচাই করে দেখবেন। ভারতীয় সংবাদপত্র বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ইতিবাচক খবরও কখনো ঠিক মতো ছাপায় কিনা সেটা একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন। দক্ষিণ এশিয়াতে মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দমনে বাংলাদেশ সব চাইতে সফল হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় মিডিয়াতে বাংলাদেশকে 'ভারতের জন্য ক্ষতিকর একটা মুসলিম সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় কি হয় না সেটা একটা অনুসন্ধান করে দেখবেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয়রা কিভাবে কতোটা অমার্জনীয় ভাষায় কুত্সা রটায় ও অপদস্থ করার চেষ্টা করে সেটা একটু খেয়াল করে দেখবেন। তারপর যাচাই করবেন, আসলে কোনদেশটা তার প্রতিবেশীকে একদম সহ্য করতে পার না?
কোন ধরনের গুজব ছড়ানোর কোন আগ্রহ নেই আমার, তবে বাংলাদেশের সেনাপ্রশান ও ভারতীয় সেনাপ্রধান যখন সাক্ষাত করবে তখন দুই সেনাপ্রধানের একই কালারের ড্রেস (বিশেষ করে কিছুদিন আগে এক সেনাবাহিনী তার আগের ড্রেস চেঞ্জ করে ভারতের টার মতো করে ফেলেছে) পড়ে আছে সেটা দেখলে একজন বাংলাদেশী হিসেবে যে যথেষ্ট হীনমন্যতা ও আত্মমর্যাদাহীনতায় ভুগবো তাতে কোন সন্দেহ নেই।

৩৬| ২৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোহাম্মদহারুন বলেছেন: অদ্ভুদ আমাদের মানসিকতা, সত্তি এখনো কত বড় বেকুপ দুনিয়াতে আছে লেখক তার একটি বড় দৃষ্টান্ত। পোষাক বা রং বড় কথা নয়, পোষাক বা রং এর মিল থাকতে পারে,

দুনিয়াতে সব মানুষের রক্তের রং লাল। এটাকে আপনি কি ভাবে নিবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.