![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
All time young and well ইমেইল করুন: [email protected] @লেখক কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
আজকের পত্রিকা থেকে জানা গেল, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ইজরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে শান্তি প্রিয় মানুষ একাট্টা হয়েছেন। তাদের প্রতিবাদী মন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। বিষয়টা অত্যান্ত ষ্পর্শকাতরও। পশ্চিমা তথা ইহুদী নাসারারা ইসলামের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, কুরান হাদীসে তাদের সাথে আমরণ লড়াই করার কথা বলা হয়েছে। তাই মুসলিমরা চিরকাল বিশেষ করে ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করে যাবে, এটাই ন্যায় সংগত। কিন্তু ইজরাইল কিছু বললে সেটা হবে বর্বরতা। সুতরাং প্রতিবাদ করতেই হবে।
শান্তি প্রিয় মুসলিমরা যে এর প্রতিবাদে একাট্টা হচ্ছে পত্রিকায় এই খবরের পাশাপাশি আরও একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে তা হলো, ইরাকে ’ইসলামী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে। ইরাকের সুন্নী গোষ্ঠি আইএসআইএল এই মহান কাজটি করেছেন। তারা প্রায় ইরাকি ভূখন্ড করতলগত করে ফেলেছে, খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছে। মারহাবা।
শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা নির্বিচারে হত্যা, অপহরণ করে যাচ্ছে। বিষয়টা ন্যায় সংগত কেননা, একমাত্র সুন্নীরাইতো সঠিক পথে রয়েছে। তারাই বিশ্বে পুনরায় খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। এমন কি এই কিছুদিন আগে ইরাকে শ্রমিক হিসেবে যাওয়া ১২জন নিরিহ নেপালিকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করেছেন। নিশ্চই সেটা ছিল মানবিকভবে হত্যা করা। কেউ যদি অবিশ্বাস করে থাকেন তবে, সেই মুহুর্তের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা আছে দেখে নিতে ভুলবেন না। তবে জনাব আপনার নিজ দায়িত্বে বিষয়টি গোপন রাখবেন, কেননা এইসব খবরাখবর প্রকাশ হয়ে গেলে নাস্তিকেরা হৈচৈ শুরু করবে।
আমাদের কাজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং ইরাকে যে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার জন্য নিরিহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়াই হলো, সত্যিকার ন্যায় এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করার লড়াই। এ ছাড়া ইজরাইলি তিন তরুণকে অপহরণ করে হত্যা করা ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজেরই অংশ। আবার যখন ইজরাইলিরা এর পাল্টা এক কিশোরকে পুড়িয়ে হত্যা করে তখন তার প্রতিশোধ গ্রহণও ধর্মীয় কাজেরই অংশ। অপরদিকে ইজরাইলি বিমান হামলা অযোচিত এবং বর্বরতায় পূর্ণ। কারণ ওরা ইহুদী, ওদের তো বেঁচে থাকারই অধিকার নেই। আজ থেকে ১৪শ বছর আগে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদের বিতাড়িত করা হয়েছিল। ঠিক সেভাবেই তাদের আবার বিতাড়িত করতে হবে।
তাই বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মুসলিম জনতা ইজরাইলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ করবে আর ইরাকের ’ইসলমী খেলাফত’কে ও নাইজেরিয়ার ’বোকো হারাম’কে সমর্থন করে যাবে। কেননা তারা তো হত্যা ও অপহরনের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করছে। এবং শান্তির পথ তো এটাই।
কিভাবে তারা এই ন্যায় প্রতিষ্ঠা করছে তার একটি ভিডিও চিত্র সংযোজন করলাম। ইরাকি রাস্তায় আইএসআইএল-এর সদস্যরা ইসলামের শত্রুদের (নিরিহ পথচারীদের) গুলি করে হত্যার ভিডিও-
http://www.youtube.com/watch?v=RTosGni1BwA
©somewhere in net ltd.