![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংসার নামক বিশেষ একটি প্রক্রিয়ার যাত্রা শুরুর খুব অল্প দিনের মধ্যে আমি একটা জিনিস বুঝেছি যে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা উপলব্ধি। যারা সংসার এর বাইরে তাদের সংসার কি ব্যাখা করে হয়ত কখনই বুঝানো যাবে না।তার চেয়েও বড় কথা এই উপলব্ধি সবার জন্য এক নয়। যার কাছে সংসার ভালো তার জন্য ভালো। যার কাসে ভালো না তার জন্য হয়ত নিছকই মেনে নিয়ে জীবন যাপন এর একটা অসহায় পন্থা।
আমি এত কিছু তো আর নিজের বেলায় বুঝব না। তবে আমার জন্য সংসার অতি অবশ্যই মেনে নেয়া কিছু না। আমার কাসে সংসার নামক দীর্ঘ প্রক্রিয়া বেশ ভালই মনে হয়। অধিকাংশ মানুষ এর ক্ষেতরেই হয়ত সংসার ভালো কিছুই। যদি সংসার অসহনীয় মনে না হয় তবে সেই সংসারে সবচেয়ে আশ্চর্য একটা বাপার লক্ষ্য করলাম। সেটা হল এইখানে ভালবাসা নামক কিছু থাকুক আর নাই থাকুক, একটা বিশেষ জিনিস সেখানে থাকে......'মায়া'। সংসার মায়া এক আজব জিনিস। এই খানে জীবনের সাথে যে বাক্তিটি নতুন করে যুক্ত হয়, তার অনেক কিছুতেই কি যেন একটা মায়া তৈরি হয়। তার ভালো মন্দ, উত্থান-পতন, এমন কি খাওয়া-দাওয়া সব কিছুতেই নিছক একটা অপ্রয়োজনীয় চিন্তা চলে আসে। কেন আসে জানিনা, সে না থাকলে কি হবে এই শঙ্কা নাকি অন্য কিছুই কারনে তার জন্য এই মায়া জানিনা। তবে মায়া যে থাকে তা ঠিক। শুধু যে মানুষ তাও কিন্তু না। মানুস তো বটেই সেই সাথে সংসার এর সকল কিছুর প্রতিও কেমন যেন মায়া জন্মে যায়, এমন কি নির্জীব আসবাবপত্রের জন্যও।
এখন বুঝি, কেন অনেক বাবা মা জোর করে ছেলে মেয়ের অমত সত্তেও তাদের পছন্দ করা পাত্র বা পাত্রির সাথে বিয়ে দেয়। তারা জানে, যদি সংসারটা শুধু মাত্র অসহ্য মনে না হয়, তাহলেই ঝামেলা শেষ। সংসার নামক প্রক্রিয়ায় একবার ঢুঁকে গেলে এর মায়ার বেরা-জালে একবার আটকালেই সব ঠিক। তাহলেই জীবনটা পার হয়ে যাবে। প্রথমে নতুন মানুষটির জন্য মায়া, তার পর বাচ্চাদের জন্য মায়া, এই সব এর মধ্যে কখন যে সংসার এর মায়ায় পরে যাবে কেউ বুঝবেই না।
এখন আসি ভালোবাসা ব্যপারটা নিয়ে আমার একান্ত নিজের মতামত। জীবনের এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় ভালোবাসা ব্যাপারটিকে আমার অনেক অসহায় একটি ব্যাপার মনে হয়েছে। কেউ যদি কাউকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসে, তাহলে বিরাট সমস্যা। তার মনে হবে তাকে একটু দেখি, একটু কথা বলি, মনের অজান্তে কখন যে তাকে মনে পরবে মনও তা মনে হয় জানে না। এইটা কোন কথা! নিজের জীবন, সেখানে এক জন বাক্তি বিশাল এক জায়গা দখল করে রেখে দেয়। হুমায়ুন আহমেদ যেমনটা বলেছিলেন, ভালবাসার মানুষ যখন মরে যায়, তখন সে মনের ভিতর তার জন্য রাখা স্থানের সব টুকু নিয়ে ওই জায়গাটা ফাঁকা করে দিয়ে যায়। ঠিক তাই। সেই মানুষ, তার জায়গা শুধুই তার জন্য। এই বার আসি ভালবাসার আর এক জন্ত্রনার কথা। সামনে না পেলে, কথা বলতে না পারলে তো কষ্ট আছেই। নিদারুণ কষ্ট। আবার যদি সামনে পাওয়াও যায় তাহলে যতক্ষণ সামনে থাকে ততক্ষণ থাকে হারানর ভয়......এই বুঝি চলে গেলো। আর চলে গেলে মনে হয় কেন চলে গেলো। কি অসহায় জীবন।
সংসার এর সাথে ভালবাসা থাকলে কি হয় ঠিক জানি না। আমার খুব জানার ইচ্ছা। কেউ কাউকে তিব্র ভাবে ভালবাসে, এবং তাকেই বিয়ে করে সংসার মায়াতেও জড়ায়, বাপারটা আসলে কেমন হয়? সেই সামনে থাকলে হারানর ভয়, চলে গেলে নাই কেন......এই ব্যাপারগুলো তো তখন আর থাকে না। অনুভুতিটা তখন কেমন হয়? অনেক বেশি ভালো? নাকি আম জনতা যে সংসার করে সেই রকমই? আমি জানি না। কিন্তু আমার জানার অনেক ইচ্ছা।
আমার এও জানার ইচ্ছা, যারা কাউকে তিব্র ভাবে ভালোবাসতো, কিন্তু ভাগ্য নামক প্রভাবক তার জীবনে সেই মানুষটিকে জীবনে চলার সঙ্গি করেনি, তাদেরই বা কেমন লাগে? আমার মতে কাউকে তিব্র ভালবাসলে তাকে মনে পড়বে, তার জন্য কখনো না কখনো মনের কোণে অসহায় বোধও হবে। কিন্তু সংসার এ তো সংসার মায়াও থাকবে। সেখানে কি জীবনটা তাহলে স্বাভাবিক হয়, নাকি মানুষ এক কৃত্রিম কল্পনায় জীবন যাপন করে। আচ্ছা, হঠাৎ সেই মানুষটাকে দেখলে কেমন লাগে? ভালো নাকি অসহায়? এমন জীবন যেন কারো না হয়!
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
ভারসাম্য বলেছেন: সব মায়া।
+++
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৩০
হতাস৮৮ বলেছেন: অসাধারণ ভাই..
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১৪
সংগ্রামী বালক বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
রোহান খান বলেছেন: অসম্ভব ভালোলাগা....
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
মুগ্ধ মানুষ বলেছেন: সংসার নিয়ে আপনার ভাবনাটা ভাল লাগল অনেক। মাঝে মাঝে আমার মনেও এমন ভাবনা চলে আসে।