নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় রে মেকাপ!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮



সেদিন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছি। আমি যে বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছি সেটা হলো কনের বাড়ি অর্থাৎ আমি ঐ বাড়িতে কনে পক্ষ। কনের বাড়ি বলে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে একটু বেশি। যেহেতু বিয়ে বাড়ি তাই লোকজনও ভুড়িভুড়ি।

গ্রাম বাংলার বিয়ে তাই আমি আগ্রহ নিয়ে প্রতিটা বিষয় অতিশয় উপভোগ করি।

রাত হওয়ার আগে এক সময় বর তার সহদর এবং সহচরদের সাথে নিয়ে কনের বাড়িতে মাইক্রো গাড়িতে আগমন করে। কিশোর-কিশোরীরা বর আসার সাথে সাথে দৌড়ে হুড়োহুড়ি করে গেটের কাছে যায়। রীতি অনুযায়ী নীতি না মেনে গেটে প্রবেশ মূল্য নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে কিছু সময় দর কষাকষি হলেও সম্প্রীতির ইতি হয় না। কারণ, দু'পক্ষের লোকদেরই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভক্তি থাকে। কনে পক্ষের দাবি নিষ্পত্তি করে গেট দিয়ে প্রবেশ করে আয়েশ করে খেতে বসে যায়। সবার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর বিয়ের মূল আকর্ষণ অর্থাৎ কলমা পড়ানো এবং কন্যা সম্প্রদান।

রীতি অনুযায়ী আগে মেয়েকে কলমা পড়ানো হয়। ছোট বেলায় দেখেছি, বিয়ের কলমা পড়ানোর সময় বিয়েরপাত্রী কেঁদে একেবারে অস্থির হয়ে গেছে। কলমা পড়াতে আসা মৌলভি সাহেব, শুনতে আসা দু'জন সাক্ষি আর দেখতে আসা দু'পক্ষের দর্শকেরাও অতিষ্টে অস্থির হয়ে গেছে। কারণ, তিনটা কবুল তিনঘণ্টা ধরেও বলেছে অনেকে। কিন্তু এখন অতি আধুনিকতার কারণে বিয়েরপাত্রী কলমা পড়ার সময় কাঁদে না বা বলতে বিলম্ব করে সময়ও নষ্ট করে না।

তাই আমাদের শিক্ষিত কনেও কলমা পড়ানোর সময় কেঁদে বা বলতে বিলম্ব করে সময় নষ্ট করে না। এতে নানী-দাদীরা "ওরে ছিঃ, কলমা পড়ানোর সময় একটু কাঁদলেও না। টপাটপ বলে দিল।" এমন অনেক কটুকথা বলে কটাক্ষের সুরে আড়ালে আড়ালে নিকুচি করে। দাদি-নানী বা বড় ভাবী কিংবা পাশে বসে থাকা কাজিন বা বান্ধবীরা এমন অনেক কথাই কনেকে অহেতু লজ্জা দেওয়ার জন্য বলে থাকে। এমন লক্ষ্য অকথা অকারণে অযথা অপব্যয়ের পর বাদ মাগরিব কন্যা সম্প্রদানের সময় নির্ধারণ করে বাড়ির মুরুব্বি কনের দাদাজান দবির মন্ডল।

নির্দিষ্ট সময়ে বর আসন থেকে বরকে এবং কন্যা আসন থেকে কন্যাকে এনে সম্প্রদান আসনে একত্রিত করা হয়। মৌচাকে যেমন মৌমাছি ঘিরে রাখে ঠিক তেমনি ভাবে বর-কনের চারপাশে বিয়ে বাড়িতে অবস্থানরত ছোট-বড় নারী-পুরুষ সকল লোকজন কন্যাসম্প্রদান দেখার জন্য বর-বউকে ঘিরে রাখে।

কন্যা সম্প্রদান দেখতে আমিও সেই ভিড়ে কষ্ট করে অবস্থান করি সম্প্রদান আসনের পাশে।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নীতি মেনে বর-কনের সম্প্রীতির বাঁধনে বাঁধার জন্য কনের বাড়ির সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তি কনের দাদা দবির মন্ডল এসে চোখের পানি ছেড়ে বর মেহেদী হাসানের হাতে কনে আঁখি আক্তারের হাত রেখে টলমল চোখে বলে..........
- "ধর্ম মতে আজ হতে আমার নাতনির পতি তুমি; এখন তোমরা একে অপরের জন্য হালাল। সেহেতু আজ থেকে আমার নাতনির সমস্ত দায়দায়িত্ব তোমার। নিজে ধর্মকর্ম করবে এবং তাকেও করার জন্য উৎসাহ দিবে। সুখ-দুঃখ আনন্দ-উল্লাস কোনটা থেকেই হতভাগীকে বঞ্চিত করো না।"
চোখের পানি মুছে আবার বলে.....
"- ভাই রে, বিধির বিধান অনুযায়ী আমার কলিজার একপাশ ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছো। ওরে কোনো সময় কষ্ট দিওনা।"
"- দোয়া করবেন"
বর মেহেদী হাসান অত্যান্ত সরল সুরে নম্রভাবে বলে।

চোখের পানি হাতের আঙুল দিয়ে মুছতে মুছতে দবির মন্ডল নাতনি আঁখিকে উদ্দেশ্য করে বলে..........
-"শ্বশুর বাড়িতে এমন কোনো আচরণ করিস না যার কারণে আমাদের বদনাম হয়।

মনে রাখিস, স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত। লাল শাড়িতে জড়িয়ে আজকে তোকে যেখানে পাঠাচ্ছি কাফনের সাদা কাপড় না পড়া পর্যন্ত ঐ বাড়ি থেকে বের হবি না।

জানিস-ই তো, তুই মন্ডল বাড়ির মেয়ে; আর মন্ডল বাড়ির মেয়েদের বিয়ে একবারই হয়।"

আঁখি কিছু বলে না; শুধু ফ্যালফ্যাল করে দাদাজানের দিকে চেয়ে থাকে। মুখে বিরক্তির ছায়া পড়ে আঁখির। তবে দাদাজানের কথাগুলো মনোযোগসহই শ্রবণ করে সে।

বাবা আজগর মন্ডল আর মা শাহানা বানু থাকে পাশেই। আজগর মন্ডল মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলে........
- "মা রে, এই আঠারটি বছরে তুই হয়তো অনেক সময় অনেক কষ্ট পেয়েছিস। বেশি কিছু চাসনি। যেগুলো চেয়েচিস সেগুলোও অনেক সময় দিতে পারিনি। দোয়া করি, স্বামী সংসারে তুই যেন রাজরাণী হোস।"

আজগর মন্ডল আর কিছু বলতে পারে না। আঁখিকে সম্প্রদান করতে আঁখিজলে আঁখি ঝাপসা হয়ে যায়। বুকের ভেতর দম জমাট বদ্ধ হয়ে থাকে। তাই কিছু বলতে না পেরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে। আজগর মন্ডলের স্ত্রী শাহানা বানু কান্নায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মেয়ের গলা জড়িয়ে ধরে রোদন করে।

কন্যাসম্প্রদানে আজগর মন্ডলের চেয়ে শাহানা বানুর কষ্টটা সবচেয়ে বেশি। আঁখি জন্মগ্রহণের পূর্বে শাহানা বানুর ইকলামশিয়া হয়। উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তার বলে, "মৃত্যু বাচ্চা হবে আর না হয় মা-সন্তানের দু'জনের একজন মারা যাবে।" সন্তান প্রসবের পর ডাক্তারেরা শাহানা বানুকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

হাসপাতালে উপস্থিত তার বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। মৃত্যু শাহানা বানুকে স্টেচারে করে যখন অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় তখন মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় পা নাড়া দিয়ে ওঠে শাহানা বানু।

ডাক্তারদের মৃত্যু ধারণা ভুল হলেও তিন মাস শাহানা বানু প্রায় মৃতের মতই হাসপাতালের বেডে অবস্থান করে। আঁখিকে জন্মদানে জীবনের ঝুঁকিতেও আঁখিকে সম্প্রদানে আজকের মত এত কষ্ট হয়নি তার। যেহেতু মেয়ে তাই শ্বশুর বাড়িতে তো যেতেই হবে। শাহানা বানুও তো একদিন এমনি ভাবে সকল মায়া-মমতার বাঁধন ছিঁড়ে নতুন বাঁধনে আবদ্ধ হয়েছিল। জগতের এই ধ্রুব সত্য মেনে নিয়ে নিরব ভাবে শাহানা বানু নাড়ি ছিঁড়া ধন আঁখির গলা জড়িয়ে ধরে রোদন করতে থাকে।

এতে আঁখি মনে মনে খুবই অসন্তুষ্ট হয়। মুখে বিষন্নতার ছায়া স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। কারণ, আঁখি তার মেকাপ নিয়ে খুবই সচেতন। যদি কোনো কারণে মেকাপ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো এখন আর পার্লারে যাওয়া যাবে না। দাদাজান দরিব মন্ডল, বাপজান আজগর মন্ডল আঁখি ভিজিয়ে আঁখিকে তার স্বামীর হাতে সম্প্রদান করলেও আঁখির আঁখিতে জল আসে না। চোখের জলে যেন মুখের মেকাপ নষ্ট না হয় তাই আঁখির আঁখি শুষ্কই থাকে।


-সোহাগ তানভীর সাকিব
তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বেয়াদপ মেয়ে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
লেখাটি পড়ে মতামত প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মোরাল অব দ্যা স্টোরি তাহলে এইটা,যত যাই হোক মেকাপ নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না।আখির আর দোষ কোথায়? ;)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নাই।

লেখাটি পড়ে সুন্দর মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

শায়মা বলেছেন: হা হা হাসতে হাসতে মরলাম।

তবে ভাইয়া আজকাল ওয়াটার প্রুফ মেকাপ বেরিয়েছে।

আচ্ছা এটা তো বৈদেশেই বানানো হলো। বৈদেশের মেয়েরা তো বিবাহের সময় কান্দে না তবে কেনো তারা এমন মেকাপ বানালো!!!!!! :|

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৩

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
গল্পটি পড়েছেন, হেসেছেন জেনে আমি আনন্দিত।

কেন তারা এমন মেকাপ বানালো সে উত্তর আমার জানা নাই।

আশা করি, আমার পোষ্টগুলি পড়ে আমার মতামত প্রদান অব্যাহত থাকবে। আপনার জন্য শুভ কামনা।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

কে ত ন বলেছেন: দাদাজানের জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। প্রথমত, স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেশত বলে একটা ফালতু ডায়ালগ মারল। দ্বিতীয়ত, মন্ডল বাড়ির মেয়েদের বিয়ে একবারই হয় - এরকম কথা বলে মেয়ের দাম একদম কমিয়ে ফেলল। তৃতীয়ত, ওই বাড়িতে গিয়ে এমন কিছু করিসনা যাতে মন্ডল বাড়ির বদনাম হয় - এরকম বলে বরকে চান্স দিল বউকে নিয়ে যা খুশি তাই করার।

ধিক্কার এই ফালতু বংশ গৌরবের ধারক বাহক কুলাঙ্গারকে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
লেখাটি পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি, আমার পোষ্টগুলিতে এমন গঠনমূলক সমালোচনা অব্যাহত থাকবে।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: আজকাল দেখি কনে ষ্টেজে বসে হাসে, ছবি তুলে খুব মজা পায়, আগে যেমন কেঁদে বুক ভরাতো এখন হেসো তোলপাড় করে। আর মেকআপ এর কথা কী বলিব.....

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
মতামত প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি, এটা অব্যাহত থাকবে। আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের বেশির ভাগ মেয়েরা কান্নাকাটি করে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
আমি যুগ বা সময়ের কোন দোষ দিব না। দোষ আমাদের। মানুষের। আমাদের মাঝে থেকে পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, মায়া-মমতা সব উঠে যাচ্ছে।

আপনি হয়তো খেয়াল করলে দেখবে, গণপরিবহনে চলাচলের সময় একজন বয়োজেষ্ঠ্য বা প্রবীণ ব্যক্তি সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরও কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কেউ নিজের সিট ছেড়ে ঐ ব্যক্তিকে বসার সুযোগ দেয় না।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: দারুণ হয়েছে
অনেক ধন্যবাদ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় তানভীরভাই,

প্রথমে বলি, বিয়েটা সত্যিকার কার হয়েছে? এদিকে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতি ব্লগে মোটামুটি কানাঘুষো শুরু হয়েছে, তার উপরে এমন পোস্ট। কপাল মন্দ আমাদের। না আছে কোনও খাবা দাওয়া বা বিয়ের নেমন্তন্ন । কাজেই, আমরা রব নিষ্ফলে হতাশার দলে।

এবার বলি, দোরধরার সময় কোথায় ছিলেন? সেখানে টাকার হিসাব দিলেননা কেন? বিয়েবাড়ি খাবার মেনু কোথায়? তাহলে কী ধরে নেবো গোটা মুরগি খাঞ্জাতে ছিলনা? দেনমোহর কত ছিল, সেটাও উল্লেখ করলেন না। আমরা নিরাশ হলাম অন্তত খাঞ্জার ছবিটা পেলেও কিছুটা খুশি হতাম।

এবার বলি দাদা দবির মন্ডলের প্রসঙ্গে, ইতিমধ্যে একজন ওনার বিদ্যাবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমারও একই প্রশ্ন, শুধু ব্লগের মন্ডল পোলা যেন না শোনে। কিসের ভিত্তিতে উনি এতলোকের সামনে নিজের ফাঁটা কলসির বাদ্য বাজালেন ? ওনার ও ওনার ছেলের পেশা কী? মেয়েদের পায়ের নিচে বেহেস্ত - আজকের দিনে কথাটির বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে। স্বনামধন্য মন্ডলবাড়ির মেয়ের যোগ্যতা কী? যেখানে অষ্টাদর্শীর বিয়ের কথা বলে বোঝা গেল, বড়জোর উচ্চ মাধমিক উত্তীর্না । আজকের দিনে এমন মেয়ে ও সেই পরিবার নিয়ে এমন হমবড়া ভাব নেহাত ছোট্ট জগৎ ভিন্ন আর কিছু নয়।

এবার আমিও কনে পক্ষে হয়ে গেলাম। আচ্ছা বলুনতো, আঠেরো বছরের একটি মেয়ে বা ছেলে কতটা পরিনত বুদ্ধি ধরে যে চার - পাঁচ ঘন্টায় তৈরী মেকআপ নষ্ট হবার ভয়ে নিজে যেমন কাঁদছে না, তেমনি মা যখন তার গলা জড়িয়ে কাঁদছে তখন সে বেশ বিরক্ত, তার মেকআপ নষ্ট হবার ভয়ে। সত্যি কী এ ঘটনার বাস্তবতা বোঝার বয়স তার হয়েছে? বুড়োদাদা, বাবা সবাই চাপিয়ে দিচ্ছে, নুতন জীবনের নির্দেশকা দিতে সবাই ব্যস্ত । কেউ কী তাকে তার মনের জায়গায় গিয়ে বোঝার চেস্টা করেছে? কেন সে সব কিছু থেকে বেশ উদাসীন।
উত্তর একটাই, না। এই একমুখী চিন্তা সুবোধ বালক বা কন্যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ব্যতিক্রম হলেই সমাজের চোখে সে চারিত্রিক দোষে দুষ্ট হবে।
শুভকামনা আঁখিকে, সঙ্গে প্রিয় তানভীরভাইকে।
( বছরে একবার ব্লগে এলে এমন বড় বড় কমেন্ট করবো। ♥♥♥)






১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
চৌধুরি ভাই শুভেচ্ছা নিবেন।
আসলে কি ভাই, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইদানিং নিয়মিত ব্লগে আসতে পারছি না। এজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
আর ভাই, আমি শুধু বুঝাতে চেয়েছি, একটা মেয়ে জন্মের পর থেকে বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত আদর আর ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করার পর সেই মেয়ে বাবা-মা ভাই-বোন দাদা-দাদী ছেড়ে এমন কি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ও তার একটুও খারাপ লাগলো না।
আমি মূলত এটাই বুঝাতে চেয়েছি।

চৌধুরি ভাই, আপনার মন্তব্যে আমি উৎসাহ এবং সাহস পাই। আশা করি, আরো বেশি বেশি গঠন মূলক সমালোচনা করে আমার ভুলগুলো সংশোধন করে দিবেন।

আপনার জন্য সব সময় শুভ কামনা।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: এ জন্যই বিয়েতে কনে দেখতে চাই না মেকাপের কারণে আসল চেহারাই বুঝা যায় না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হয়তো বা।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মেকাপ সামগ্রী।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: কনের হিসাব পাকা, প্রথম দর্শণে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যেন তাকে সুন্দর দ্যাখে, তাহলে কেঁদে কেঁদে কেন সে চেহারা নষ্ট করবে ?

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কেঁদে আর কি লাভ।
যা হবার তাই হবে।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
আপনার পোস্ট খুব সুন্দর।

আমার ব্লগে এক বার ঘুরে আসার দাওয়াত রইলো।
দয়া করে আসবেন।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগল।
শুভ কামনা।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গল্প না সত্যি ঘটনা? কারণ, বিদায় বেলায় কিছু ডায়ালগ অতি নাটকীয় মনে হল...
স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেশত নাই। এটা ভুল কথা...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
"বিচার মানেন কিন্তু তালগাছ আপনার হওয়াতে সত্য একটা ঘটনাকেও আপনার নাটকীয় মনে হয়েছে।

যাই হোক, লেখাটি পড়ে মতামত দিয়েছেন বলে আমি খুশি। আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৪

চাঙ্কু বলেছেন: মেকাপই সৌন্দর্য, বাকিসব গুজব!

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: লেখাটি যে ভাবে লেখেছেন যতটা মেয়েটাকে মেকাআপ নিয়ে সমলোচনা করেছেন সেটা একেবারেই ভুল। কারণ মেয়েরা কখনো এতোটা পাষাণ হয় না। তার থেকে ছেলেরা অনেক পাষাণ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
আসলে কি আপু, ছেলে বা মেয়ে দিয়ে কোন কথা নয়। যে পাষাণ সে এমনিতেই পাষাণ। শুধু যে ছেলে পাষাণ হয় কিন্তু মেয়েরা হয় না এটা সঠিক নয়।

যাই হোক, আমার লেখাটি পড়ে মতামত প্রদানের জন্য অান্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি, এটা অব্যাহত থাকবে।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

ওমেরা বলেছেন: আগের দিনে ১৫/১৬ মেয়েদের বিয়ে হত শশুর বা স্বামী তাদের অপরিচিত থাকত , দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে ও একটা ভীতি থাকত সবকিছু মিলিয়ে কান্না আসত। বর্তমানে মেয়েদের ২০/২৫ বছরে বিয়ে হয় আর এখন কোন মেয়েই অপরিচিত ছেলেকে বিয়ে করে না, লিখা পড়া শিখে মেয়েরা অনেক কিছু জানে, তাহলে কান্না করবে কেন !!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
আসলে, আমি আমার লেখায় বুঝাতে চেয়েছি যে, অনেক কষ্ট করে বাবা-মা একটা মেয়ে জন্ম দেওয়ার পর বড় করে বিয়ে দিচ্ছে। মেয়ে চলে যাওয়ার সময় বাবা মা কেঁদে অস্থির হলেও মেয়ের কোন ভাবলেশ নাই।
হুম ঠিকই বলেছেন। এখন সবাই লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত এবং আধুনিক। তবে একটা কথা কি, মানুষ দিনে দিনে যত আধুনিক হচ্ছে তত মায়া-মমতা, মূল্যবোধ, সহনশীলতা, ভালোবাসা ইত্যাদি উঠে যাচ্ছে।


লেখাটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

নীলপরি বলেছেন: দারুণ :) :)

২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

এ.এস বাশার বলেছেন: হায়রে মেকাপ.... শান্তিমত কাঁদতেও দেয় না.......
লেখা অসাধারণ হয়েছে.... মন ছুঁয়ে গেছে....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আমার চেষ্টা সার্থক হয়েছে

ধন্যবাদ।

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

নীল আকাশ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: হা হা হাসতে হাসতে মরলাম। তবে ভাইয়া আজকাল ওয়াটার প্রুফ মেকাপ বেরিয়েছে। এই মেয়ে কি এটা জানে না? না জানলে শায়মা আপুর সাথে যোগাযোগ করতে বলুন!
দেশের বিয়ের বেশির ভাগ কাজকর্ম অ-ইসলামিক, যত দুর সম্ভব এই সব থেকে দুরে থাকা উচিৎ।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.