নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রাবণ বিলাপ

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৯

শ্রাবণের দ্বিতীয় দিন আজ। এখনও চেনা রূপে দেখা যায়নি শ্রাবণের অতিবাহিত দিন দুটি। আষাঢ়ের শেষ ও শ্রাবণের শুরু চৈত্রদিনের মতো উত্তপ্ত। প্রচন্ড খড়ায় জনজীবন ক্লান্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের কৃষকেরা। খড়ায় পাট ও ধান জমিতে পুড়ে মরছে । এ ক্ষতি কৃষকের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় আছে?
ঈদের ছুটিতে গত সপ্তাহ কেটেছে উত্তরবঙ্গের পাবনা সদরে। নিজ চোখে দেখলাম খড়ায় ফসলের ক্ষতি।
প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোডশেডিং। জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। সেচ খরচ বেড়েছে অনেক তারপরও সেটা খুব সহজ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণে এখন খড়ার অাধিক্য। দখল- দূষণে নাব্যতা হারিয়ে মরে যাচ্ছে নদী। যেগুলো বেঁচে আছে সেগুলো মুমূর্ষু। আমরা বেঁচে থাকতে চাই। সুস্থ থাকতে চাই। কিন্তু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অবলম্বনগুলো সুস্থ রাখছি না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। হাসপাতাল তৈরি করতে যতটা উৎসাহী হাসপাতালের প্রয়োজন কমিয়ে আনতে অতটা উৎসাহী দেখি না।
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমরা-ই বিপন্ন করছি। ফলে প্রকৃতি আমাদের সাথে বৈরি আচরণ করছে। আমরা সচেতন না হলে প্রকৃতির বৈরি আচরণ এক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। তখন আফসোস করে কোনো লাভ হবে না।

সোহাগ তানভীর

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেশ থেকে পাচারকরা টাকা দিয়ে শ্রাবণের বৃষ্টি নামানো সম্ভব?

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:২৩

জগতারন বলেছেন:
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমরা-ই বিপন্ন করছি। ফলে প্রকৃতি আমাদের সাথে বৈরি আচরণ করছে। আমরা সচেতন না হলে প্রকৃতির বৈরি আচরণ এক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। তখন আফসোস করে কোনো লাভ হবে না।

ভারত-এর অ-বন্ধুসুলভ আচরন আমাদের দেশের অবস্থা কঠিন দুর্বিসহ করে তুলছে।
কীভাবে;
বাংলাদেশ ও ভারত-এর মধ্যে যে অভিন্ন যে নদী গুলো আছে
তার প্রত্যেক্টি নদীতে থেকে ভারত আন্তর্জাতি নদী আইন অমান্য করে বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিসাব না
দিয়ে গাহের জোরে করে একতরফা ভাবে পানি ভারতের দিকে প্রবাহিত করছে।
ভারত জঘন্য কাজ গুলো করছে পাকিস্থান ও বাংলাদেশ পৃথক হওয়ার পর থেকেই।
কারন;
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ ছোট্ট দেশ (!)
অথচ,
তকমা দেওয়া হয়;
ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ (!!)
বাস্তবতায় ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ নয়।
প্রকৃত পক্ষে ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ এক মহা ডাকাত দেশ।
বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু দেশ; জাপান।
.।.।.।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ম্যাক্সিকো দু'টি প্রতিবেশী দেশ।
এ দেশ দু'টির একটি অভিন্ন নদী আছে;
নাম;
মাইটি কলোরেডো (রিভার) নদী।
যুক্তরাষ্ট্র দেশ মেক্সিকো দেশের চেয়ে মহা শক্তিশালী দেশ হওয়া সত্ত্বেও
আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রর্দশন করে মেক্সিকো দেশে'কে
যুক্তরাষ্ট্র তার ন্যায্য পানির হিসাব বুঝায় দেয়।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রকিতির হিসাব বুঝি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.