![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহের আফরোজ শাওন কিংবা তার গর্ভের হুমায়ূন-সন্তানদেরকে আমরা যদি উপেক্ষা করে হুমায়ূন আহমদকে সম্মান দেখাতে যাই তবে তা প্রকৃত অর্থে হুমায়ূন আহমদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন হবে না। ভুলে হোক, শুদ্ধে হোক শাওন হুমায়ূন আহমদের স্ত্রী এবং নিনিত ও নিশাত তাঁর সন্তান। শাওন যদি একদিনের জন্য হুমায়ূন আহমদের স্ত্রী হয়ে থাকেন তবু তিনি শিলা, নোভা, বিপাশা এবং নুহাশের মা বলেই স্বীকৃত এবং তারা যদি তাদের বাবার প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ অনুভব করেন তবে অবশ্যই শাওনকে মায়ের মর্যাদা এবং নিনিত ও নিশাতকে ভাইয়ের সম্মান দিতে হবে। একই কথা হুমায়ূন আহমদের ভাই-বোনদেরও স্মরণ রাখতে হবে। ভাবি হিসেবে শাওন থেকে গুলতেকিনের প্রতি ড. জাফর ইকবাল-আহসান হাবিব প্রমুখদের শ্রদ্ধাবোধ বেশি হলেও শাওনকে তারা উপেক্ষা করলে তাদের ভাইয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন হবে। আর যদি নিনিত ও নিশাতের প্রতি অবহেলা হয় তবে অবশ্যই দুজন এতিমের প্রতি জুলুম হিসেবে তা পাপ হবে। তাদের মা কিংবা নানির অপরাধের শাস্তি অবশ্যই তারা পেতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে গুলতেকিনকে শাওন থেকে বেশি সম্মান করি এবং কোনদিনই হুমায়ুন আহমদের পাশে গুলতেকিনকে বাদ দিয়ে শাওনকে মেনে নিতে পারি নি। সেই শুরু থেকেই আমি শাওনকে অপরাধির তালিকায় রেখেছি। তবে মাঝেমধ্যে আমি ভাবিত হতাম গুলতেকিন প্রসঙ্গে অপরাধটা কার বেশি-শাওন, না হুমায়ূন আহমেদের? কখনও মনে হতো শাওন অপরাধি, আবার কখনও হুমায়ূন আহমেদ। তবে মাঝেমধ্যে গুলতেকিন কিংবা মিডিয়াকেও অপরাধি ভাবতাম। বিষয়কে অবেগমুক্তভাবে বিচার করলে প্রকৃত অপরাধী আমার মতে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই। কারণ হুমায়ূন আহমেদ যদি আদর্শচ্যুত না হতেন তবে এই ঘটনা ঘটতো না। অথচ আমরা একমাত্র অপরাধি বলে চিহ্নিত করে আছি শাওনকে। এমন ঘটনা বেশিরভাগ দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে হয়। এখন প্রশ্ন হলো দ্বিতীয় বিয়ে কি অপরাধ? বাংলাদেশের আইনে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে দন্ডনিয় অপরাধ। আমার বিশ্বাস, শতকরা নিরানববইভাগ মহিলা কোনভাবেই দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দেবেন না। আর একভাগ যদিও দেন, তা যে কোন অপারগতা বশত। অনেকে বলেন, ইসলাম বহু বিয়ের প্রতি উৎসাহিত করেছে। কথাটা আক্ষরিক অর্থে এভাবে সত্য নয়। ইসলাম চার বিয়ের বিধানে মূলত বহু বিয়েকারিদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছে। পরকিয়া কিংবা পতিতালয় যাওয়া থেকে অবশ্যই একের অধিক এবং চারের ভেতর বিয়ে উত্তম। সমাজে যারা চার বিয়ের পক্ষে কিংবা বিরুদ্ধে কথা বলেন তারা বেশির ভাগই চার বিয়ের অনুমতির মূলে না গিয়ে উপরে উপরে লেপ দিয়ে যান। ফলে শুদ্ধ থেকে বেশি ভুলের চর্চা হয়। চার বিয়ে মূলত জ্বিনা-ব্যভিচার বন্ধের জন্য আর বিশেষ কোন অসুবিধার জন্য বৈধ। এক থেকে চার পর্যন্ত যে কোন বিয়ের জন্য ইসলামে নির্দিষ্ট শর্ত এবং বিধান রয়েছে। এই শর্ত এবং বিধান পালনে অপারগদেরকে ইসলাম বিয়ে না করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা অজ্ঞতা বশত নিজেদের ইচ্ছে মতো একের অধিক বিয়ের পক্ষে কিংবা বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাই। আমরা এই বিধানের মানবিক এবং সামাজিক দিকগুলো বিবেচনা করি না। ইসলাম অনেক শর্তের মধ্য দিয়ে এই বিধানকে বৈধতা দিয়েছে। প্রসঙ্গটা এখানে আলোচনা করতে গেলে দীর্ঘ হয়ে যাবে। শুধু এতটুকু বলতে চাই সাম্য এবং বৈষম্যেও দৃষ্টিতে একের অধিক বিয়ে খুব মারাত্মক কঠিন একটি কাজ। সাম্যের বিধানসমূহ আলোচনায় না গিয়ে আমি এখানে একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই, যা আমাদেরকে বিষয়টির পরিষ্কার ধারনা দেবে ভারতবর্ষের বিশিষ্ট আলেম আশরাফ আলী থানভীর কাছে তাঁর এক শিষ্য গিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি নিতে। কিন্তু সুযোগের অভাবে কথাটি তিনি বলতে পারছিলেন না। এমন সময় মাওলানার মাহফিলে তাঁর একজন ভক্ত দুটি তরমুজ নিয়ে প্রবেশ করেন। উল্লেখ্য যে, মাওলানা থানভীর দুই বিয়ে ছিলো। মাওলানার খাদেম তাঁর কাছে অনুমতি চায় দুটি তরমুজ কি দু ঘরে পৌঁছিয়ে দেবে। মাওলানা বললেন, তুমি কি জান যে-দুই তরমুজের স্বাদ সমান কি না? খাদেম না সূচক উত্তর দিলে মাওলানা বললেন-দুটাকে কেটে ওলট-পালট করে দু পরিবারে পৌঁছিয়ে দাও। নতুবা যদি একটি বেশি মিষ্টি এবং কম হয়ে যায় তবে বেইনসাফ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য আসা শিষ্য আর দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা এখান থেকে বাদ দিয়ে চলে গেলেন। গুলতেকিনকে ছেড়ে শাওনকে বিয়ে করা সাম্য এবং বৈষম্যের দৃষ্টিতে কতটুক ইসলাম সম্মত ছিলো তা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিনকে তালাক দিলেন কেনো? এই প্রশ্ন এখানে থেকেই যায়। হুমায়ূনের দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে গুলতেকিনের ভূমিকা কতটুকু কি? তা নিয়েও কথা আছে। হুমায়ূন আহমেদের অন্ধভক্ত অনেক পাঠকের মতে তিনি গুলতেকিনের কাছে শেষের দিকে সুখি ছিলেন না। তবে হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তাঁর পরিবার এমন কথা কোথাও বলেন নি। আর আজও গুলতেকিনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের মা-ভাই, আত্মীয়-স্বজনদের সম্পর্ক থেকে প্রমাণ করে গুলতেকিন কোনভাবেই অসহ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টিকারি মেয়ে নয়। তবে শাওনের সাথে প্রেম হয়ে যাওয়ার পর হয়তো কিছুটা ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। না, কোন মেয়েই তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করুক, তা মন থেকে মেনে নিতে পারে না। গুলতেকিন যদি শাওনকে মেনে নিতে না পারেন, তা গুলতেকিনের অপরাধ নয়। অনেকে বলেন, হুমায়ূন আহমেদ একটি প্রতিভা, প্রতিভারা কিছুটা অনিয়ম করতেই পারে। আমি এক্ষেত্রে কোন মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, আমি অনুভব করি প্রতিভাদের অনিয়মের কারণসমূহ। তবে অস্বীকার করি না সামাজিক, ধার্মিক এবং রাষ্ট্রিক বিধানসমূহ। তবে প্রতিভাগুলোকে কিছুটা ক্ষমা করার পক্ষে আমিও। লেখক-গবেষকরা অনেক সময় পরিক্ষামূলক অনেক কাজ করেন, যা সাধারণের দৃষ্টিতে অপরাধ হলেও সমাজ-সভ্যতা রক্ষার জন্য তাদের তা করতে হয়। হুমায়ূন আহমেদের জীবনে হয়তো এমন অসংখ্য ঘটনা আছে। সবাইকে তাঁর ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলোকে সৃষ্টির দিকে চেয়ে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিচার করতে হবে। এখন আমি শাওন প্রসঙ্গে বলতে চাই। প্রিয় পাঠক, আমি যদি প্রশ্ন করি-এখানে শাওনের অপরাধটা কি, আপনারা কি উত্তর দেবেন? হয়তো বলবেন, সে হুমায়ূন আহমেদের কাছে না আসলে গুলতেকিনের সংসার ভাঙতো না। সে হয়তো এসেছিলো জীবনের কিছু স্বপ্ন নিয়ে বান্ধবির বাবার কাছে। সে হয়তো হুমায়ূন আহমেদকে আঙ্কেল বা স্যার ডাকতো। সে হয়তো নিজের বাবার মতো বান্ধবীর বাবাকে সম্মান করতো। সে হয়তো অবেগ প্রবণ হয়ে গিয়েছিলো জীবনে অনেক বড় কিছু হওয়ার স্বপ্নে। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ কেনো তাকে এই আবেগ থেকে ফিরিয়ে দিতে পারলেন না? আবার আমি বিষয়টিকে অন্যভাবেও বিবেচনা করি। হয়তো হুমায়ূন আহমেদ মেয়ের বান্ধবীকে মেয়ের মতোই দেখেছিলেন। শাওনও হয়তো বান্ধবীর বাবার কাছে আঙ্কেল জেনেই আসতো, কিন্তু মিডিয়া বিষয়টিকে রাঙিয়ে দিলে গুলতেকিন ও তাঁর মেয়েদের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। প্রচারের কারণে শাওন হয়ে যান অপমানিত। হুমায়ূন আহমেদের পক্ষে আর পিছু হটে যাওয়া সম্ভব হলো না। অবশেষে তিনি বিয়ে করে শাওনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন। আমরা বিষয়টিকে যেদিক থেকেই বিবেচনা করি না কেন শাওনকে কি খুব বেশি অপরাধি করা যাবে? শাওন তখন একটা কচি মেয়ে ছিলো, সে অবেগপ্রবণ হতেই পারে, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তো তখন চার সন্তানের জনক এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। অনেকে বিষয়টির জন্য শাওনের মাকে দোষ দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্য শাওন এবং তার মা সম্পত্তির লোভে হুমায়ূন আহমেদকে ব্লাকমেইল করেছেন। কথাটি সত্য হতে পারে, নাও হতে পারে। সত্য হোক, কিংবা মিথ্যা, তাতো সত্য হুমায়ূন আহমেদ আট বছর শাওনের সাথে সংসার করে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাই-বোন-মা-সন্তানেরা বিষয়টিকে পূর্ণাঙ্গ বিবেচনায় রেখে যে কোন বক্তব্য কিংবা পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এখন বিষয়টা বিবেচনা করতে চাই ন্যায্যতার ভিত্তিতে। গুলতেকিনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ছাড়াও প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁর নাতিন হিসেবে। প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ তো এই বাংলার মুসলমানদের শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত। হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর পরিবারের এই উন্নতিতে গুলতেকিন পরিবারের অবদানের কথা স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদও স্বীকার করেছেন। গুলতেকিনের প্রতি হুমায়ূন আহমেদ যে অন্যায় করেছেন, তা আমরা কোনদিন মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু এই অন্যায়ের দায় শাওন ও তার সন্তানরা কেনো বহন করবে? আর শাওনের মাকে দোষ দেওয়া অনুচিত, শাওনের মা যা করেছেন তা পৃথিবীর যে কোন মা-ই তার মেয়ের জন্য করতেন। আমরা যখন কোন বিষয় কোন একপক্ষের হয়ে বিচার করি তখন ভুল থেকে থাকে। যে কোন বিষয়কে চারদিক থেকে বিবেচনা করলে সত্য বেরিয়ে আসে। বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আবেগকে বাদ দিয়ে বিবেচনা করতে হয়। হুমায়ূন আহমেদ একজন শিল্পি ছিলেন। আমরা শিল্পের দৃষ্টিতে তাঁর এই অপরাধকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারি। তবে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে শাওনও একজন শিল্পি, সে হুমায়ূন আহমদের মতো বড় শিল্পি না হলেও একেবারে ছোট নয়। তা ছাড়া বয়সতো আর চলে যায় নি। শাওন এখনও চেষ্টা করলে বেশ এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। শাওন হুমায়ূন আহমেদের কবর দিতে চেয়েছেন নূহাশ পল্লীতে, যা হুমায়ূন আহমেদের মা, ভাই, বোন এবং গুলতেকিনের পক্ষের সন্তানেরা মেনে নিতে পারেন নি। হ্যাঁ, তা পারিবারিক দৃষ্টিতে একটা অপরাধ। শাওন ইচ্ছে করলে বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদের মায়ের হাতে ছেড়ে দিতে পারতেন, কিংবা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু তিনি তার মায়ের পরামর্শে সবার উল্টো চলে গেলেন। নুহাশ পল্লিতে কবর দেওয়ার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমি শাওনের যুক্তিকে গ্রহণযোগ্য মনে করলেও হুমায়ূন আহমেদের মায়ের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে ছিলাম আমি। শাওন নিজেও দুই ছেলের মা। একদিন বুঝবেন হয়তো মায়ের মনের আবেগ। তবুও আমি বলবো সবাইকে শাওনকে ক্ষমা করা উচিৎ। স্মরণ রাখতে হবে, সেও তার স্বামী হারিয়েছে, তার সন্তানরাও হারিয়েছে বাবা। সবশেষে আমরা চাই, হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। আমরা আশা করি, হুমায়ূন আহমেদের দুই পরিবারই যেনো আর কোন বিশৃঙ্খলায় না জড়ায়। তারা যেনো একত্রিত হয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তাদের স্মরণ রাখতে হবে, তারা যাই করবে সবই হয়তো ইতিহাসে আলোচিত হবে। আমরা তাদের সবার মঙ্গল কামনা করি। আমরা বিশ্বাস করি হুমায়ূন আহমদের প্রতিটি সন্তান তাদের বাপের মতো প্রতিভাবান হবে।
Click This Link
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪
সৈয়দ মবনু বলেছেন: বন্ধু, গুলতেকিনের পক্ষে আমিও।কিন্তু সামাজিক, রাষ্ট্রিক এবং ধর্মীয় আইনে গুলতেকিন হূমায়ূন আহমেদের স্ত্রী নয়, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।আমরা গুলতেকিনের সাথে দুখ প্রকাশ করি। আমরা বলতে পারি যা হয়েছে তা গুলতেকিনের প্রতি হুমায়ূন আহমেদ অন্যায় করেছেন, কিন্তু আমরা তাকে হুমায়ূনের স্ত্রী বলতে পারি না।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২০
আবু বকর িসিদ্দক বলেছেন: কত পেলেন এই রিপোর্ট এর জন্য ??? এই মুল্যবান মসয়ে আন্য কিছু লিখলে কাজে আসতো
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৭
রবিনহুড বলেছেন: গুলতেকিন ডিভোর্সের সময় একটা কথা বলেছিলন... "গত ৪টি বছর হুমায়ুন শাওনের সাথে যা করেছে, তার পরে তার সাথে আর ঘর করা যায় না".....
হুমায়ুনের ২য় বিয়ের যথার্থতা বিচার করার আগে উপরের বক্তব্যটি মাথায় রাখেবন। তা হলে ঘটনা সম্পর্কে ভাল ধারনা পাবেন।
নিজের মেয়ের দিকে যে লোক কামনা বাসনার দৃষ্টিতে দেখে তাকে আর যাই হোক ভাল চরিত্রের লোক বলা যায় কি?
তা হলে পরিমল কি দোষ করেছিল? তা হলে তো পরকিয়াতে কোন দোষ আছে কি?
হুমায়ুন আহমেদ একজন সৃজনশীল মানুষ... উনার সৃজনশীলতা আমার বিচারের উদ্ধে..... তাই বলে উনাকে কি লুচ্চামি করার লাইসেন্সে দেয়া হয়েছে????
উনার লুচ্চামি কি লুচ্চামি নয়? নাকি উনি করলে সেটা ধোয়া তুলশিপাতার পানির মত পবিত্র হয়ে যায়?
আপনি শুধু হুমায়ুন আহমেদের দোষ দেখলেন ২য় বিয়েতে... আরে ভাই যে ছুড়ি দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ গুলতেকিন কে খুন করল... সেই ছুড়িটা হুমায়ুনের হাতে কে তুলে খুন করতে পরামর্শ দিল? সেটা ভাবলেন না?
সব কিছু আইন দিয়ে জায়েজ করা যায় কি? সামাজিক রীতি নীতি বলে কিছু কথা আছে?
রাস্তায় আপনি দাড়িয়ে যখন কামনার দৃষ্টিতে কোন মেয়ের শরীরের ভাজে ভাজে চোখ ঘুরাতে থাকেন, সেটা কোর আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ? কেউ কি সেটা প্রমান করতে পারবে?
তার মানে কি আপনি কোন দোষ করলেন না? আপনি ভাল মানুষ?
আপনি কি চাইবেন আপনার বাবা বর্তমান মা কে বাদ দিয়ে আরেকটি বিয়ে করুক?
না চাইলে, কেন চাইবেন না?
আজে যদি বায়তুল মোকাররমের খতিব তার মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করত তখন দেখা যেত সুশীলদে মুখে দ্বিতীয় বিয়ের কত গুন.....
তা হলে শরিয়ত মোতাবেক ৪ বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়? দয়া করে কি আপনার বাবার সাথে যোগাযোগের ঠিকানাটা দিবেন... উনাকে আমি আরেকটি বিয়ে করাতে চাই? এই ক্ষেত্রে আপনার কোন বান্ধবীকে অগ্রাধিকার দিব...
এই ক্ষেত্রে কি আপনার কোন আপত্তি আছে? থাকলে একটু বলুন কেন আপত্তি... আপনার বাবা তো আইন মোতাবেকই বিয়ে করবেন...
আর এটা আপনি কি বললেন শাওন নুহাশদের মা বৈ অন্য কিছু না....
ভাই যে ..... পাঠা আর খাশীর মাঝের পার্থক্য বুঝে না তাকে আর কি বলে বুঝাবো?
হুমায়ুন আহমেদ লুচ্চামী করলে লীলা খেলা, মসজিদের ইমাম আর মোল্লা মুনশী করলে যত্ত দোষ?
ভালই বললেন.....
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮
সৈয়দ মবনু বলেছেন: বন্ধু, গুলতেকিনের পক্ষে আমিও।কিন্তু সামাজিক, রাষ্ট্রিক এবং ধর্মীয় আইনে গুলতেকিন হূমায়ূন আহমেদের স্ত্রী নয়, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।আমরা গুলতেকিনের সাথে দুখ প্রকাশ করি। আমরা বলতে পারি যা হয়েছে তা গুলতেকিনের প্রতি হুমায়ূন আহমেদ অন্যায় করেছেন, কিন্তু আমরা তাকে হুমায়ূনের স্ত্রী বলতে পারি না।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
রবিনহুড বলেছেন:
ব্লগে দেখবেন কিছু লোক এক ধরনের শব্দ ব্যবহার করে... "খাপে" "মাচো" ইত্যাদি....
এর মানে কখনই আমি কারো কাছে বলতে শুনি নি.... তবে যতটা নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারি এগুলো কখনই ভাল কিছু মিনিং তৌরি করে না...
সোজা কথায় এগুলো এক প্রকার গালি....
অথচ বাংলা ভাষায় কি এই ধরনের কোন গালি আছে কি? নেই...
তা হলে কি এই শব্দগুলো আপনাকে বলা হলে আপনি কি বলবেন আপনাকে গালি দেয়া হয় নি... বা অসম্মান করা হয় নি?
কায়দা করে অপরাধ করলেই সে্টা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী না হথে পারেন... তাই বলে অপরাধ তেকে কেউ মুক্তি পায় না....
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৫
সৈয়দ মবনু বলেছেন: আপনি ভাই আমার লেখাটা ভাল করে পড়বেন। আমি কারো পক্ষ নয়।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
ইমানুয়েল বলেছেন: mazhar shaon ki biya korbe naki enmei chalaibe?
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১
সৈয়দ মবনু বলেছেন: শাওন বিয়ে বসলে এবং মাজহার করলে তো তা ভাল ছিলো।কিন্তু আমাদের সনাতনি সমা্জে বিধবা বিবাহের যে কোন নিয়ম নাই?
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩১
নুবিয়া বলেছেন: "স্মরণ রাখতে হবে, সেও (শাওন) তার স্বামী হারিয়েছে, তার সন্তানরাও হারিয়েছে বাবা।" চমৎকার বলেছেন মবনু ভাই। নোভা, শীলা, নুহাশ যে সিম্পীতি পাচ্ছে একই দাবি রাখে নিশাত ও নিনিত। তাদেরও সমান চোখে দেখা জরুরি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:০৯
সৈয়দ মবনু বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩০
সাবু ছেেল বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২০
সােরায়ারমামুন বলেছেন: চাদের গায়েও কলঙ্ক থাকে...!
হুমায়ুন স্যার যে কাজটি করেছেন তার প্রভাব পাঠকশ্রেনীতে খুব একটা পড়ার কথা নয়।
আর শাওন এর ব্যাপারটা হলো যে, এখন শাওনকে কেউ যদি বিয়ে করতে চায় এবং শাওন তার ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে রাজি হয় তাহলে শাওনকে কি আবারো অপরাধী ভাববেনা হুমায়ুন আহম্মদ এর পাঠকেরা? :!>
এই যে লেখাটি, এটাও সম্পূর্ন শাওন কে কেন্দ্র করেই লেখা হয়েছে...তা না হলে সম্ভবত লেখাটা এরকম হতে না....কারন মরা কুকুরের গায়ে কেউ লাথি মারে না....
আর গুলতেকিন এর অবস্থা হলো অধিক শোকে তিনি পাথর হয়ে গেছেন....! চাদ যেমন সূর্যের আলো নিয়ে বেচে থাকে শাওনকেও গুলতেকিনের কাছ থেকে কষ্ট ধার করে নিয়ে বেচে থাকতে হবে....আজীবন !
এখান থেকে তার মুক্তি নাই....