নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Oh Allah Plz Save Bangladesh

সৈয়দ মবনু

সৈয়দ মবনু

সৈয়দ মবনু, থাকি ছিলট

সৈয়দ মবনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মিংহামে সিলেট জামিআ সিদ্দিকিয়া বালুচরের উদ্যোগে শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠি

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

বার্মিংহামে সিলেট জামিআ সিদ্দিকিয়া বালুচরের উদ্যোগে শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত



সমাজ এবং রাষ্ট্রে সঠিক নেতৃত্বের জন্য প্রকৃত ইসলামী শিক্ষাকে আরো ব্যাপক করতে হবে। গত ৩ জুলাই বুধবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের স্মলিথের কভিন্ট্রি রোডস্থ একটি সেমিনার হলে সন্ধ্যা ৭ টায় ইসলাম ও জাতীয় শিক্ষার সমন্বয়ে এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিআ সিদ্দিকিয়া বালুচরের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি এবং জামিআ সিদ্দিকিয়ার চিন্তা‘ শীর্ষক এক সেমিনার বার্মিংহামের বিশিষ্ট প্রবীন আলেম মাওলানা নূরুল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বার্মিংহামের বিশিষ্ট আলেম, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কমিউনিটির সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দরা অংশ গ্রহণ করেন।

বার্মিংহাম শাহপরান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুর রব ফয়েজী কোরআন তেলাওয়াতে এবং জামিআ সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি মাওলানা মইন উদ্দিনের উপস্থাপনায় সেমিনারের শুরুতে ‘বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি ও জামিআ সিদ্দিকিয়ার চিন্তা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জামিআ সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ মবনু।

তিনি তার প্রবন্ধে বলেন-জামিআ সিদ্দিকিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলা। আগামী প্রজন্মকে এমনভাবে শিক্ষা দান করা যাতে তারা বুঝতে পারে ইসলামই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আর এই লক্ষ্যে কোরআন-হাদিস-ফিকাহ’র জ্ঞানের সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মিল-অমিলটুকু বুঝতে এবং বুঝাতে চেষ্টা করা। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানেই যে ঘাটতি রয়েছে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করা।

সেমিনারে লিখিত প্রবন্ধের উপর দৃষ্টিপাত করে বক্তব্য রাখেন লন্ডনের ইমাম জাকারিয়া একাডেমির রেক্টর বিশিষ্ট্য আলেমে দ্বীন মুফতি শাহ সদরুদ্দিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ, ইব্রাহিম কলেজের শরিয়াহ কনসালটেন্ট মুফতি আব্দুল মুনতাকিম, বার্মিংহাম সোবহানাল্লাহ মসজিদের খতিব মাওলানা এখলাসুর রহমান, বার্মিংহাম সুরমা সেন্টার মসজিদের খতিব মাওলানা জয়নাল আবেদিন, রাওলী লারনিং ক্যাম্পাসের জুনিয়র ম্যানাজার জিলু মিয়া সোহেল, বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ আব্দুল মুনাইম খান শাহান, বার্মিংহাম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক পারভেজ, আস্টনের মদিনাতুল উলূম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট্যি ব্যবসায়ী এবং জামিআ সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শেখ গয়াছ মিয়া।

মুফতি শাহ সদরুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন-আমরা কথায় কথায় দারুল উলূম দেওবন্দ আর আকাবিরদের কথা বলি। কিন্তু প্রকৃতভাবে আকাবিরদের নীতি মেনে চলি না। আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা নীতির মতো কওমী মাদরাসাগুলোও সংস্কার বিমূখ। অথচ আমাদের আকাবিরেরা সর্বদাই সিলেবাসে সংস্কারের কথা বলেছেন। তারা দারুল উলূম দেওবন্দ তৈরি করেছিলেন সমাজে নেতা-কর্মী তৈরির জন্য। আমাদের আকাবিররা কোনদিন ইংরেজি শিক্ষার বিরুদ্ধে ছিলেন না। দারুল উলূম দেওবন্দের উদ্দেশ্যে কাসেম নানতুবী লিখেছেন ইংরেজি শিক্ষা আর ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ের কথা। আমার কাছে দলিল আছে এই বক্তব্যের। আর আমরা চলছি ভিন্ন পথে। আমাদের বাংলা, আরবী, ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ভাষা বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। রবীন্দ্রনাথকে পড়তে হবে। না পড়লে রবীন্দ্রনাথকে অতিক্রম করা যাবে না। আমাদের নেতৃত্ব আমাদের হাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব ও কর্মির। জামিআ সিদ্দিকিয়া আমাদেরকে সেদিকেই ডাকছে।

অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ তার বক্তব্যে বলেন-জামিআ সিদ্দিকিয়া আমাদেরকে একটা চিন্তার প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে। সাধারণত মাদরাসাগুলো আলোচনা সভা বা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে চাঁদা উঠানোর জন্য, কিন্তু জামিআ সিদ্দিকিয়া আলোচনা সভা করছে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য। এখানেই জামিআ সিদ্দিকিয়া অন্যদের থেকে ভিন্ন। তারা আজ জানা দিচ্ছে উলামায়ে কেরামের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণে আমাদের চলমান শিক্ষা কারিক্যুলাম এবং ট্র্যাডিশ্যানাল পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে? সেই প্রশ্নটুকুও তারা জাতির সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।

মুফতি আব্দুল মুনতাকিম বলে-আমাদের চিন্তায় জামিআ সিদ্দিকিয়া এক প্রচন্ড- ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

জিলু মিয়া সোহেল বৃটেনের শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবধানটুকু প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করে বক্তব্যে বলেন-আমি জামিআ সিদ্দিকিয়ায় ক‘বার সফর করেছি। আমি দেখেছি তারা তাদের সীমিত আয়তনের মধ্যে চেষ্টা করছেন ভিন্ন কিছু উপস্থাপনের।

সভাপতি বক্তব্যে মাওলানা নূরুল্লাহ বলেন-আমিও বাংলাদেশে একটি মাদরাসা পরিচালনা করি। আজকে আমি এখানে এসে অনুভব করছি আমাদের প্রতিষ্ঠানেও জামিআ সিদ্দিকিয়ার মতো পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহ যেনো জামিআ সিদ্দিকিয়াকে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন।

অনুষ্টানে একটি ভিডিও চিত্র পর্দশন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচী উপস্থাপন করেন জামিআ সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাফেজ মাওলানা ইকবাল ও মাওলানা রুহুল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.