![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই কিছু বছর পুর্বেও পিতা-মাতার সাথে সন্তানদের যে বন্ধন , যে ভালোবাসা ছিল আজ তা ফিকে হয়ে গিয়েছে। তখন মানুষের মাঝে না ছিল শিক্ষা , না ছিল প্রযুক্তি।কিন্তু নিখাদ মুহব্বত ছিল, নীতি ছিল, শ্রদ্ধাবোধ ছিল, ভক্তি ছিল। কিন্তু আজ কেন নাই ? কেন তখন মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক ছিল মধুর ,অথচ আজ নাই ?কেন তখন সন্তান পিতামাতার বাধ্য ছিল, আজ কেন নাই ? কেন আজ সন্তানেরা অবাধ্য ,উচ্ছৃংখল?
আমরা যদি ধাপে ধাপে দেখি তাহলে দেখা যাবে জন্মের পর হতেই পিতা-মাতা উনাদের সন্তানের প্রতি যে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা উচিত ছিল তা আজকালকার মা-বাবা করেন না বলিলেই চলে। আজ মা কষ্ট পাবে ভেবে নরমাল ডেলিভারী না করে সিজার করেন। সন্তান জন্ম হইবার সাথে সাথে ইসলাম ধর্মমতে তার ডান কানে আযান, বাম কানে ইকামত দেওয়া, তাকে মধু খাওয়ানো, জন্মের ৭ দিন পর আক্বিকা দেওয়া, গোসল করানো, নাম রাখা উচিত ছিল তা বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রে করেন না। বক্ষ্য সৌন্দর্য্য নষ্ট হইবে ভেবে কোটার দুধ খাওয়ায়ে বুকের দুধের হক হইতে বঞ্চিত করেন । যে সন্তান পিতা-মাতার বুক আগলে শুয়ে থাকার কথা তার জীবন কাটে কোন গৃহপরিচারিকার অযত্ন আর অবহেলায়। কারন বাবা ব্যস্ত টাকা কামানোয় আর মা ব্যস্ত নানা কাজে।
এই সন্তান যখন একটু বড় হয়ে হাটি হাটি পা পা করা শিখে(কাজের বুয়ার হাত ধরে), দুনিয়ার কোণ বুঝ-ই তার মাঝে নাই তখন তাকে খাওয়ানোর দোহাই দিয়ে, তার দুষ্টমি হতে নিষ্কৃতি পেতে বসিয়ে দেওয়া হয় টিভি সেটের সামনে। ঐ বাচ্ছা আলোর-ঝকমকানিতে আনন্দ পেতে থাকে। মা-বাবা খুব খুশি!! মা-বাবা ডাক শিখার আগে কার্টুন দেখে, বিজ্ঞাপন দেখে ওই সন্তান শিখে টম-জেরির নাম। যে শিশু নিজের জীবন কাহানী জানেনা সে শিখে নানা ছবির কাহানী !!!
এভাবে কাটে তার কয়েকটা বছর । এর পর ৩-৩,৫ বছর না হতেই কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে তাকে পাঠানো হয় কোণ কিন্ডারগার্টেনে কিম্বা কোন নাম করা ইংরেজি স্কুলে।শুরু হয় তার নিজের সাথে সংগ্রামের এক গৎবাধা জীবন। পড়া ,টিভি দেখা, ঘুমানো,স্কুলে যাওয়া এভাবেই কাটে তার বেশ কয়েকটি বছর । ধর্ম শিক্ষা থাকে অবহেলিত । যে বয়সে তাকে মক্তবে পাঠিয়ে কোরান শরিফ শিক্ষা দেওয়ার কথা , ইসলাম সম্পর্কে জানার কথা , ইসলাম এর আদেশ -নিষেধ জানার কথা সে বয়সে তার জীবন কাটে নির্দিষ্ট গন্ডীর ভিতরে।
এই সন্তান যখন শারীরিক পরিবর্তনে কিশোর-কিশোরীতে পদার্পন করে তখন সে নতুন আর এক জীবনে প্রবেশ করে। যে বয়সে সে সবকিছুকে নতুন করে ভাবতে শিখে , দেখতে শিখে ,বুঝতে শিখে, যে বয়সে তার খারাপ পথে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি সে বয়সে আমরা কি দেখতে পাই ? দেখতে পাই পিতা-মাতা তার দিকে নজর দেয়না, যে সময় দেওয়ার কথা তা দেয়না। তার সাথে যে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক গড়ার কথা তা করেনা। তাকে যে সাপোর্ট দেওয়ার কথা তা করেনা । তার প্রতি যে ভালোবাসা প্রকাশ করার কথা তা করেনা ।
উলটো দেখা যায় পিতা-মাতা তাদের ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে হাতে টাকা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখে,সন্তান যা চায় তা করতে দেয়। আবার অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে মা-বাবার মাঝে সম্পর্ক ভালো থাকেনা। সন্তানের সামনে করে গালি-গালাজ,ঝগড়া-ঝাটি,মারামারি করে । ফলে এই সন্তান কোথায় যায় ? কি করে ? কার সাথে মিশে? কি খায় ? টিভিতে, কমপিউটারে কি করে, কি দেখে ? নামাজ পড়ে কি না ? কোথায় যায় তার খবর পিতা-মাতা কেউ রাখেনা ।
সময় কোথায় তাদের সন্তানকে সময় দেওয়ার ? তার খোজ নেওয়ার ?
ফলে এর পরিনতি আমরা কি দেখতে পাই ? আমরা দেখতে পাই সন্তানের ছোটবেলা হইতে জীবন কাটে অস্বাভাবিকভাবে। ছোটবেলা হইতে তাকে নানা হিংস্র, অদ্ভুৎ বিষয়ে অভ্যস্ত করা হয় টিভির মাধ্যমে তা তার মস্তিষ্কে ক্রিয়া করতে থাকে। উপরন্তু মা-বাবার অবহেলা, ধর্ম নিয়ে জ্ঞান না থাকা, ভালো-মন্দ যাচাই করার ক্ষমতা না থাকা , বাঝে বন্ধুদের সাথে চলাফেরা, পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে ঝোক ইত্যাদির কারনে এই সকল সন্তানেরা হয় অবাধ্য , উচ্ছৃংখল ।
তাহলে এই দায় কার ? পিতা-মাতা পারবে কি এই দায় এড়াতে ?
সকল পিতামাতার প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা আপনাদের সন্তানদের জন্মের পর হইতে ধর্মীয় শিক্ষা দিন, ধর্মীয় অনুসাসনে রাখুন,ধর্মীয় তর্জ-তরিকা পালন করুন এবং সন্তানদের সময় দিন,তাদের সাথে থাকুন,তাদের সাথে ভালো আচরন করুন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
ছািব্বর বলেছেন: কথা তিক্ত হইলেও সত্যি ।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: প্রতিটি সন্তানের ভালো-মন্দ নিহিত থাকে তাদের পিতা-মাতার কারণে
সন্তানের াবাধ্যতার জন্য দায়ী পিতা-মাতাই, আপনার লেখাটি চমৎকার সময়উপযোগী
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
ছািব্বর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
মদন বলেছেন: বাবা হলো টাকার মেশিন, মা হলো স্টার চ্যানেলের ভক্ত। সন্তানের দেখাশোনার জন্য রয়েছে বুয়া, বিনোদনের জন্য রয়েছে পর্ন, আর বন্ধু হিসেবে রয়েছে মাদক।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
ছািব্বর বলেছেন: এই হল জীবন কাহানি !!
আমাদের এখনি সচেতন হইতে হইবে
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
পরের তরে বলেছেন: ভাই খুব চমৎকার লিখা। সবাই কে সচেতন হতে হবে। আর মদন ভাই কি কমেন্ট রে ভাই??? এক কথায় অসাধারণ.........
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
ছািব্বর বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: সমস্ত কথার সাথেই সহমত।
খুবই বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন।
শুধু মধু খাওয়ানোর ব্যাপারটা উচিৎ বলে মনে হল না। ৬ মাস বয়স পূর্ন হবার আগে মাতৃদুগ্ধ ব্যাতীত আর কিছুই শিশুকে খাওয়ানো উচিৎ না, এমনকি জলও না।
পোষ্টে +++
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
ছািব্বর বলেছেন: যাক তর্কে গেলাম না।
তবুও বলি ২ মাস বয়সীর বাচ্চার পেট খারাপ হইলে আমরা স্যালাইন, ওষুধ খেতে দেই ।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মদন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাক তর্কে গেলাম না।
তবুও বলি ২ মাস বয়সীর বাচ্চার পেট খারাপ হইলে আমরা স্যালাইন, ওষুধ খেতে দেই ।
ছয়মাস বয়সের নীচে বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্র নাজুক অবস্থায় থাকে। তাই এই সময়ে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু মুখে দেয়া অনুচিত। অসুখে বা জরুরী প্রয়োজনে স্যালাইন/ওষুধ খাওয়ানো হয়, তবে না খাওয়াতে পারলেই বেশি ভালো। (আমার নয়, ডাক্তারের অভিমত জানালাম)
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
ছািব্বর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: সময়উপযোগী একটি লেখা ...
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৬
ছািব্বর বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এরকম একটি লেখার জন্য।এটা সব বাবা মার পড়া জরুরী।এই ঘটনার পর সবাইকেই দেখি ইংলিশ মিডিয়ামের দোষ দিয়ই যাচ্ছে।দোষ যে আমাদের বাবা মারো আছে বা সামাজিক মুল্যবোধ যে আমাদের দরকার সেটা কেউ বলেনা।মাদক এবং মাদকাশক্ত সব জায়গায় আছে। সেটা ইংলিশ মিডিয়াম বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যেখানেই হোক না কেন।অবিভাবক হিসাবে আমদের বেশি করে সচেতন হতে হবে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেন।যিনি পুলিশ ইন্সপেকটর তার বেতন কত?সে যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকে তার ভারাই তো কিম করেও ২০হাজার টাকা।মেয়ের বেতন কমপক্ষে ১০হাজার টাকা।একজন ইন্সপেকটরের কি ক্ষমতা আছে অ্যাপারটমেন্টেএ থাকার?সরকারি হিসাবে তার বেতন সরবোচ্চ ২৫হাজার টাকা। কিন্তু তার মাসিক ব্যায় ১লাখের নিচে না।তিনি কি বাবা বা শশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালান? তাহলে তিনি তার মেয়েকে কি শিক্ষা দিবেন? আর মেয়ে তার বাবাকেই বা কিভাবে মানবে যেখানে বাবাই অধঃপতনে চলে গেছেন।