নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ জানেনি এই খবর, খবর রাখেনি কেউ ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

যখন দেখলাম নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য জন্মদাতা বাবা-মা কে রামদা নিয়ে দৌঁড় করাচ্ছে নেশাগ্রস্থ ছেলেটি তখন মানবতা এক মুহূর্তের জন্যও থমকে দাঁড়ায়নি

মধ্যরাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে খাবার টেবিলে অপেক্ষারত বউটাকে চুলের মুঠি ধরে ফেলে দিয়ে, চেয়ারের সাথে আঘাত লেগে যখন মেয়েটি রক্তাক্ত তখন সারারাত ত্যানা পেঁচিয়ে রাত পার করা মেয়েটির খবর কেউ রাখেনি ।

মাতাল হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা স্বামীকে যখন মেয়েটা পঁচাশি কেজির মানুষটাকে মেঝে থেকে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে মাথার নিচে শিমুল তুলার বালিশটা গুঁজে দিয়েছিল সেই খবরটাও কেউ রাখেনি ।

ছয়জন ফ্যামিলি মেম্বারের পেট চালাতে যখন মেয়েটি অন্যর বাড়িতে বুয়ার কাজ করে আর মাসের টাকাটা নেশাখোর,জুয়াখোর স্বামী ফূর্তি করে উড়ায় তখনও সে খবরও কেউ রাখেনি ।

গভীর রাতে জ্বর,সর্দি,কাশিতে গোঁ গোঁ করা মেয়েটি যখন গোঙ্গাচ্ছিল তখন কেউ মাথায় পট্টি লাগিয়ে সেবা করেনি বা একটু ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে মাথায় হাতও বুলিয়ে দেয়নি কেউ ।

সন্তানদের চাহিদা, ইচ্ছাকে যখন শতবার খুন করেও যে মেয়েটা পরাস্ত । নিজের ঔষধের টাকাটা সন্তানের চকলেট কেনার জন্য দেয় সে খবরও কেউ রাখেনি ।

শাড়ির আঁচলে বেঁধে রাখা টাকাগুলো যখন স্বামীটা রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে মদ,গাঁজা খেয়ে ফুরায় সেটাও কেউ জানেনা ।
মাসিকের ব্যথায় কাতর হয়ে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথার মাঝেও দু কিলো হেঁটে গিয়ে গাড়িতে চড়ে সরকারি মেডিকেলের লম্বা লাইন ধরে কয়েকটা ট্যাবলেট খেয়ে ব্যথা কমায় । সে খবরও কেউ জানেনা ।

পতিতার কাছে সারারাত কাটিয়ে সকালে যখন হালাল বউয়ের কাছে ফিরে তখন কিঞ্চিৎ চক্ষুলজ্জাও লাগেনি! ।
বউকে প্রাইভেসি না দিয়ে উড়নচন্ডী হয়ে বেড়ানো স্বামী কখনো বউ,বাচ্চার কেয়ার করেনি । বুকের মধ্য সন্তানগুলোকে নিয়ে সারারাত জেগে থেকেছে কখন স্বামী ফিরবে নয়তো অন্য কোনো পরপুরুষ তার কোমল দেহের উপর হানা না দেয় সেই ভয়ে । সে খবরও কেউ রাখেনি

শিশুশ্রমের আইন জানা সত্ত্বেও বারো বছরের ছেলেটাকে কলকারখানায় পাঠায় দু'বেলা ডালভাত খেয়ে বাঁচার জন্য । আর রাতের বেলা মুখ লুকিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে আল্লাহ্‌ আমার সন্তানগুলোকেতো ঠিকমত মানুষ করতে পারলামনা । একটু সুখ,শান্তির ছিটেফোঁটাও দিতে পারলামনা ।

রাতের শেষভাগে তাহাজ্জত নামাজক্তে দু হাত উঁচু করে তুলে যখন স্বামীর সুস্থতা আর হেদায়েতের জন্য দোয়াপ্রার্থনা করা মেয়েটির চোখ বেয়ে যখন গরম পানি হাতের তালুতে পড়ছিল । সে খবরটাও কেউ রাখেনি ।
খবর রাখেনি কেউ, রাখবেওনা কেউ এই মহিয়সী নারীগুলোর কষ্টগুলো,দুঃখগুলো আড়ালেই মাটি চাপা পড়বে । ধণ্য হোক এসকল নারীদের জীবন,যাদের পুরো জীবনটাই বিলিয়ে দেয়া অন্যর তরে!

আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.