নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধনী হওয়ার ব্যবসা হলো ধর্মব্যবসা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

পৃথিবীতে সবচেয়ে সুদূর ব্যবসা আর খুব কম সময়ে ধনী হওয়ার ব্যবসা হলো ধর্মব্যবসা ।
ধর্মকে পুুঁজি করে এই সমাজে গড়ে উঠেছে শত শত ধর্মব্যবসায়ী । যারা আর্থিকভাবে ব্যাপক সফল হয়েছে এই ব্যবসা করে ।
এ ব্যবসায়ে রাষ্ট্রীয় সাপোর্ট থাকে । এখানে কিছু পালিত কুত্তা থাকে যারা টাকা খেয়ে অবাধে এই ব্যবসার চালানোর লাইসেন্স দেয় ।
মানুষকে কনভেন্স করার সবথেকে বড় বিজনেসপ্লেস হলো এই স্থান । অনুভূতির নিত্যনতুন যোগসাজশে চলে রমরমা ব্যবসা । আর চক্ষুবিশিষ্ট সমাজ থাকা সত্ত্বেও চোখে কাঠের চশমা লাগিয়ে ঘোরে ।
অন্যায়,দুর্নীতির এত বড় মহলকে কখনো উচ্ছেদ করাতো দূরে থাকুক তাদের ভ্যাট থেকেই বোধহয় গোটা দেশ চলে । রাজস্ববোর্ডের বারো আনা বোধহয় এরাই চালায় । নতুবা হাতের আঙ্গুল দিকে দেখানোর পরও কেনো তারা চুপটি করে চতুর্মুখী চেয়ারে বসে থেকে এয়ারকন্ডিশনের শীতল হাওয়া গায়ে লাগায় ।
সমাজের নীতিনির্ধারকরাই যদি এভাবে গা এলিয়ে বসে থাকে । সেক্ষেত্রে দেশের ম্যাঙ্গো পিপলরা তো টেবিলের নিচ থেকে কচকচে নোট নিবে, বড় বড় পতিতালয় অবাধে চলবে, যাত্রাপালার নামে খোলা আইটেম প্রদর্শন করাবে,পথে ঘাটে নগরে বন্দরে নারী তার সতীত্ব হারাবে । সভ্রম হারাবে কোমলমতী তনু,রূপা,ফাতেমাদের মত প্রান ।
হিসেব মিলছেনা কিছুতেই । স্বাধীনতা যেখানে স্বাধীনতার মানে না পেয়ে দেয়াল পিঠ ঠেকে যায় তখনওতো ঘুরে দাঁড়ানো উচিত নাকি দেয়াল ভেঙ্গে ওপারে চলে যাওয়া উচিত!??
দেওয়ানবাগী,চরমোনাই পীরের মাজারে যেখানে দিনে দুপুরে গাঁজার আসর বসে । যেখানে ধর্মীয় বৈঠকের নামে "হু আল্লাহ্‌" বলে গাঁজার কল্কিতে টান দেয় তখন এদের বিরুদ্ধাচারণ করা যায়না । যখন পীর সাহেব সন্তান দেয়ার নামে তার অন্দরমহলে নিয়ে গিয়ে নারী দেহকে উপভোগ করে এবং তার দ্বারা প্রদত্ত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন সন্তানটা কি তার বৈধ স্বামীর নামে জাতীয়করন করা হয় নাকি দয়াল বাবা কলা খাবা র নামে করা হয় ।
আধুনিক সমাজে যেখানে টেস্ট টিউব বেবীর জন্ম হচ্ছে সেখানে মানুষ এখনো প্রাচীন সভ্যতার কাছে হার মানছে । সন্তান লাভের আশায় ভন্ডদের কাছে দেহ বিকিয়ে সন্তুষ্টি লাভ করছে, বাহ্ কি চমৎকার! । টেস্ট টিউব বেবী সম্পর্কে একটি তথ্য দিই : {পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউনের জন্ম হয় ১৯৭৮ সালের ১১ নভেম্বর ইংল্যান্ডে । আর বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব বেবীর জন্ম হয় ২০০১ সালের ২৯ মে ঢাকার একটি ক্লিনিকে। দেশের প্রথম টেস্ট টিউব বেবির মা ফিরোজা বেগম (৩৩) ও বাবা আবু হানিফ তাঁদের বিবাহিত জীবনের ১৬ বছর পর এই টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতিতে একসঙ্গে তিন কন্যাসন্তান লাভ করেন)। টেস্টটিউব বেবীর জন্মের প্রক্রিয়ার নাম হলো ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন এবং সংক্ষেপে যাকে বলে আইভিএফ ।}
সমাজের এবং পরিবেশের এত দৌরাত্ম্য থাকা সত্ত্বেও মানুষের ঝোঁক কম নেই এসকল অন্ধ বিশ্বাসের কাছে । আর রাষ্ট্রও এখানে নীরবতা পালন করে আসছে বরাবরই । পীর ও মুরিদরা লাভবান হচ্ছে ঠিকই অপরদিকে সাধারন জনগন প্রতারিত হচ্ছে এসকল মুখোশধারী ভন্ডদের হাতে ।
রাষ্টের যদি এরকম হাতকড়া আরোও পঞ্চাশ বছর থাকে তখন রোবট দিয়ে খাবার বিলানো,চালকবিহীন যানবাহন,ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অভাবনীয় সুফল আর 10G চালু হলেও মানুষ ঐসব পীরের কাছেই যাবে সন্তান প্রসব করাতে! যেখানে সেই অবিরত ধারা থেকেই নিষেক হবে কিন্তু পরাগায়ণ হবে অবৈধ পুরুষ দ্বারা ।
"জ্ঞানের প্রদীপ আজ জ্বালো
এই আমাদের বাংলাদেশে
সৈনিক লও তুলে ঝান্ডা
চেতানার এ নব উন্মেষে
তোমারই আলোকে অবশেষে
যাবে ভেসে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.