![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...
দু'টো মানুষ পাশাপাশি থেকেও জানতে পারেনা কেউ একে-অপরকে আদৌ মন থেকে মনে নিতে পেরেছে কি-না, ভালোবাসে কি-না | যেসব নারী সত্যিকার অর্থেই, প্রাকৃতির অর্থেই, নিঃস্বার্থপরতায় ভালোবাসতে জানেন তাঁদেরকে আমার কাছে "মহানারী" মনে হয় | যদিও "মহাপুরুষ" শব্দের কোনো বিপরীত শব্দ নেই, তবুও আমার নিজের মতো করে উপমা দিতে ইচ্ছে করে | অথচ তাঁর মনের মন্দিরে বসে থাকে অন্যজন | এক বিছানায় থেকে একে-অপরকে চিনতে পারেনা | যদিও পৃথিবীতে মহাপুরুষ, মহানারীর সংখ্যা খুবই নগন্য তবুও! ওরাই প্রকৃত প্রেমিক-প্রেমিকা হতে পারে | যাঁরা স্বার্থকতা খোঁজেনা, নিরাপত্তা খোঁজেনা | আর এই নগন্য মমহামানবদের খোঁজ পাওয়া যায় খুব কম!
ভালোবাসার ক্ষেত্রে সাধারণত জোর-জবরদস্তি চলেনা | চারপাশে এত এত বিচ্ছেদ, গুম, খুন, ধর্ষণ যেগুলো দেখে মন এমনিতেই বিষিয়ে ওঠে আমাদের | মনে প্রশ্ন জাগে, মানুষ আজও ভালোবাসতে জানলোনা কেন?
একটা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় কাউকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করলেও আমাদের যায় আসেনা | সামান্য ঘৃণা প্রকাশ করেই শটকে যাই সেখান থেকে | পরেরদিন পত্রিকায় ফ্রন্টপেইজে উঠে আসে কোনো এক যুবকের রক্তাক্ত ছবি | প্রিন্টের কালিতে লাল ওঠে রক্তের দাগগুলো | অথচ প্রেমিক-প্রেমিকা সামান্য হাত ধরে হাঁটলেও আমরা ধিক্কার দিয়ে বসি, তাঁদের বিচ্ছেদ কামনা করি, ধ্বংস কামনা করি | চুমু খাওয়া দেখলেতো চাই যে পুরো আকাশটা প্রেমিক-প্রেমিকার মাথায় ভেঙ্গে পড়ুক | ধ্বংস হোক পৃথিবীর সমস্ত প্রেম-ভালোবাসা | একদিন হয়তোবা আসবে যেদিন প্রেমিক-প্রেমিকার জারুল গাছের নিচে জড়িয়ে ধরার ছবি ফ্রন্টপেইজে ছাপা হবে, যেদিন সব মানুষ ভালোবাসতে জানবে, ভালোবাসার মূল্য দিতে জানবে |
আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো করে পড়বে বাহারি রকমের ফুল(বকুল, কদম, শিউলি) গোলাপের পাপড়ি কিংবা ম্যাগনেলিয়া কিংবা টিউলিপ অথবা অন্যসব ফুল | ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে আকাশ থেকে একরকম ফুল ঝরে পড়বে | ঝুম বৃষ্টিতে পড়বে আরেকরকম ফুল | ফুলের সুবাসে মাতোয়ারা হবে প্রেমিক-প্রেমিকা | বৃষ্টির ফোটার বদলে তাঁরা ভিজবে বিভিন্ন ফুলে ফুলে | আহ্!
মানুষ বরাবরই চায়, ভেঙ্গে যাক ভরসা রাখা হাত | একটি সরল মনের মৃত্যু হোক | এরকম কবে থেকে হলো মানুষ?
সামাজিক দু'জন নর-নারী যদি বলে—
—প্রেম চাই, ভালোবাসা চাই | দিবে কি?
—না, তারথেকে বরং ধ্বংস চাও, রক্ত চাও, খুন চাও | কারণ সেটাই সমাজ বেশী প্রাধান্য দেবে । চুমুর বদলে চাইতে পারো চাপাতি দিয়ে জখম হওয়া রক্ত | জড়িয়ে ধরার বদলে চাইতে পারো লাঠির পিটুনি!
আমরা শুধু সবকিছু স্রষ্টার ওপর ছেড়ে দিয়েই যেন বেঁচে যাই | কেউ ধর্ষণ হলো, তখন এক চান্সেই বিচার দিয়ে বসি স্রষ্টার কাছে! কেন? পৃথিবীতেও তো আইন-আদালত আছে তাঁদের দিয়েওতো শাস্তি ভোগ করানো যায় | অথচ এই সামান্যটুকু আমরা করতে পারিনা | শুধু শুধু স্রষ্টাকে দোষারোপ করে বেড়াচ্ছি | জোর-জবরদস্তি করে পাপ করছি সেখানেও স্রষ্টার কাছে ছেড়ে দিচ্ছি যে তিনি বিচার করবেন | তাহলে বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমাদের যোগ্যতা কই থাকলো? এত এত আইনের ধারা, প্রশাসন, বিচার বিভাগ কেন প্রতিষ্ঠা হলো পৃথিবীতে? শেষখণ্ডে না হলে তখন নাহয় স্রষ্টার উপরে ছেড়ে দিই, তখন বিষয়টা মানানসই হয় |
অদ্ভুত সিস্টেমের মধ্যে আমরা আটকে থাকি সহস্র বছর ধরে | মানুষ আসবে...মানুষ যাবে এই নিয়মই চলবে | তবুও আমরা সত্যিকারের মানুষ হবোনা, মানুষকে ভজবোনা; সোনার মানুষ হবোনা!
⏭ সাব্বির আহমেদ সাকিল
⛔ ১৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | শরতকাল | রোববার | ৩০ আগষ্ট ২০২০ ইং
#sabbirdiaries #প্রণয় #ভালোবাসা #প্রেমিকপ্রেমিকা
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩
নির্বাক কাকতাড়ুয়া বলেছেন: আপনার এই ধারণাটা কিন্তু একদমই ভুল ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য ছেলে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া উচিত।