নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
শেষ কবে একজন প্রকৃত অর্থবহ হাসি এবং সুখী মানুষকে দেখেছিলাম মনে পড়েনা । কিন্তু গত কয়েকদিনে একজন সুখী মানুষকে দেখলাম । যিনি আমাদের হতাশাকে রূপ দিলেন নক্ষত্রের মতো স্বচ্ছ হাসি দিয়ে ।
রাত সাড়ে বারোটায় বললেন মিজান উকুলেলে বাজাও‚ সাব্বির গান ধরো । স্বল্প টিউনে চললো আমাদের বিষাদচ্ছায়িত বাউল গানের আসর । রাতের বেলা ক্যাওয়াজ বন্ধ থাকলেও স্বল্প টিউনে মানুষটার সুখের সারথি হলাম আমি‚ মিজান আর বোরহান ।
খালা নাই তাই রান্নাও নাই । করুণ সুরে বললেন ক্ষুধা লেগেছে । বললাম রুমে শুধু ডিম আছে আর একটা ছোট্ট বিস্কুট আছে‚ বোরহান বললো আমার রুমে চা আছে । রাইস কুকারে ডিম সেদ্ধ হলো‚ হিটার জগে পানি গরম হলো । ডিম সেদ্ধ করে হাতে দিতেই পুরোটা মুখে পুড়ে দিলেন । আমাদের গৎবাঁধা জীবনধারাতে বেশ তৃপ্তি করেই ডিম খেলেন‚ বিস্কুট খেলেন‚ চা খেলেন ।
খাওয়া শেষ করেই বললেন আমার বড্ড ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো । মিজান বিছানা রেডি করে দিতেই তিনি ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলেন । অথচ আমাদের কত রাত পেরিয়ে গেছে এরকম নিশ্চিন্তে-প্রশান্তিতে ঘুমাতে পারিনা । ঘড়ির কাঁটা দেখতে দেখতে ভোর হয়ে যায় তারপর ঘুমিয়ে পড়ি ।
আবার রাত দেড়টায় জানালার পাশে শুনি পরিচিত কোনো কণ্ঠস্বর । কৌতুহলের বশে জানালা খুলে দেখি সেই মানুষটা । কোনো ফোন নেই‚ আগাম বার্তা নেই; কানে ফোন ধরেই বললেন গেট খোলো । বোরহানের কাচা ঘুম নষ্ট করে চাবি নিয়ে দরজা খুলে দিলাম । ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকেই বললেন বিছানাটা ঠিক করে দাও ঘুমাবো ।
রুমের এনার্জি শক্তির বাল্ব তখনও জ্বলছে । তিনি কম্বল মুড়িয়ে দিয়েই অঘোর ঘুমের সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন । আমি ফ্যালফ্যাল করে দেখছি মানুষটার মসৃণ সুখ‚ মুখাঅবয়বে প্রশান্তির ছাপ ।
এছাড়াও ফোন করেই হাস্যরত্নক কথা । ভাবনার কথা । বাস্তববাদী চিন্তা । ভবিষ্যতের কথা । চায়ের দোকানে চায়ের চুমুক আর আমাদের ঠোঁটে বিষাদের ধোঁয়াটে আলোকবিন্দুর সংমিশ্রণ দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠলো । হাসতে হাসতে ঢলে পড়ার উপক্রম হলাম । একজন বাঁধনহারা‚ স্বাধীনচেতা মানুষের মুখে সংসারের চিন্তা-ভাবনার নিরেট অভিব্যক্তি ।
মানুষটার সুখ দেখে মিজান বৈরাগ্যর কথা ভুলে বলেই বসলো‚ ‘আমিও বিয়ে করমু বাল’...ওঁরে স্টপেজ দিয়ে বললাম‚ ‘ঐসব চিন্তা না করে সাধনায় মনোনিবেশ করেক । নারী‚ সংসার সবকিছুই তুচ্ছ; আপনাকে জানতে হবে আগে-হৃদয়ের মাজারে যাকে ঘিরে প্রতিদিন উরুস হয় তাকে অন্বেষণ করতে হবে; সান্নিধ্যে থেকে যেতে হবে ।’
শীতের আগমনে শিশিরভেজা ঘাসেদের মতো শীতল হোক জীবনের অর্ধ খণ্ডাংশ । কলেজ ক্যাম্পাসে ফোটা পদ্মের মতো প্রতিদিন নতুন করে ভালোবাসা তৈরি হোক । অঙ্গীকার হোক জন্ম-জন্মান্তর পেরোবার । শতত শুভকামনা মানুষটির জন্য ।
⏭ সাব্বির আহমেদ সাকিল
▶১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ‚ হেমন্তকাল | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরী | ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ ইং | শনিবার | রাত্রি ০২ টা ৩৭ মিনিট | শেরে বাংলা নগর‚ বগুড়া
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৮
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: জ্বি।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছবি থেকে মনে হচ্ছে, বিয়ে করে কেহ এখন সুখী হয়েছেন; লেখা থেকে উহা উদ্ধার করতে হলে, ভুল হওয়ারই সম্ভাবনা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৮
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: গল্পটা ছবির আগের । ছবিটা গল্পের পরবর্তী সময়ের । দু'জনের জন্য দোয়া রাখবেন ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যে যেভাবে জীবনকে উপভোগ করতে পারে।