নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে শিক্ষিত বেকার প্রহসন

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০১



বিকেলবেলা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চায়ের স্টল খুলে একজন চা'ওয়ালা আয় করছেন ৫০০-৭০০ টাকা ।

একজন রিক্সাচালকের দৈনিক আয় ৮০০-১৫০০ টাকা । ৩০০ টাকা মালিককে দিলে তাঁর দৈনিক রোজকার ৫০০-১২০০ টাকা থাকে ।

একজন খুচরা ব্যবসায়ীর আয়ও দিনে ৮০০-১২০০ টাকা ।

হোটেল মালিকের দৈনিক ইনকাম ২০০০-৩০০০ টাকা(কর্মচারী খরচ বাদ দিয়ে) ।

অথচ একজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে এত বছর ব্যয় করার পরও ২০,০০০ টাকা বেতন দিতে(সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি চাকরি) কতটা বেগ পেতে হয় সেটা সে-সকল শিক্ষিত বেকাররাই জানে ।

যাঁরাও একটাসময় শিক্ষিত বেকার ছিলেন তাঁরাও ব্যাপারটাকে নিয়ে হেয়ালিপনায় মেতে ওঠেন । উপহাস করতে পছন্দ করেন । সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো নিয়েওতো সরকারি পর্যায়ের লোকেদের কত কথা শুনলাম, শাহবাগ রক্তাক্ত হতে দেখলাম ।

এদেশের কোন সেক্টরটা ভালো আছে, সুস্থ্য আছে তা নিয়ে আমার ভীষণ কিউরিওসিটি আছে । এটা আওয়ামী লীগ আমল বলেই শুধু বলছিনা বিএনপির আমল নিয়েও আমার একই কিউরিওসিটির পরিমাণ সমানে সমান ।

পাঁচ হোক, দশ হোক, পনেরো হোক এত বছর কেটে যাবার পর সরকারি দল পরিবর্তন হয়ে অন্য দল সরকারে গেলেও কোন সরকার বেতন(উহ্য), উপার্জনটা সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না সেটার দিকে নজর দিয়েছে । একটা সাম্যের জায়গা তৈরি করেছে । করে নাই!

একটা দেশের বেতন কাঠামো, উপার্জনের কাঠামোতে এতটা বৈষম্য এতটা ফারাক । শিক্ষিতদের নিয়ে প্রহসন, অবহেলা, অবজ্ঞা । অথচ সরকার টিকিয়ে রাখতে, সরকারের গদিতে যেতে দরকার পড়ে এসকল শিক্ষিতদেরই ।

জানিনা কবে এসবের অবসান হবে । ততদিন বোধহয় আমরা থাকবোনা, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই একই হা-হুতাশ করে বেড়াবে । এভাবেই যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে হারিয়ে যাবে শত-শত প্রজন্ম, শত-কোটি শিক্ষিত বেকাররা...



সাব্বির আহমেদ সাকিল
১২ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | শুক্রবার | ২৮ অক্টোবর ২০২২ ইং | আপন নীড়, বগুড়া

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৩

বিষন্ন পথিক বলেছেন: যে শিক্ষিত কিন্তু কোনো উপার্জন করতে পারেনা তার সেই শিক্ষার কোনো দাম নেই, সে কিছুই শেখেনি

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: আপনি কি শিখেছেন বলুন? পড়াশোনার সমাপ্তি শেষে চাহিদা অনুযায়ী চাকরি কি তাঁদের প্রাপ্য নয়?

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৫৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলা ভাষায় শব্দ ভান্ডার বাড়ানো দরকার। স্বাক্ষর জ্ঞান, সার্টিফিকেট আর শিক্ষিত, তিনটা শব্দকে আমরা শিক্ষিত দিয়ে বলি। একটু ওঁচা করে বলতে গিয়ে উচ্চ শিক্ষিত বলি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় সব উচ্চ শিক্ষিতই আসলে সার্টিফিকেটধারী, শিক্ষিত না।

যে শিক্ষা অর্জন (সার্টিফিকেট পাওয়া) একটা মানুষকে বেকারত্ব থেকে বের হতে সুযোগ দেয় না, সেটা আসলে কি শিক্ষা?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: আসলেই।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:০০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমরা কি টাকা উপার্জনের জন্য পড়াশুনা করি?
আমি আসলে বুঝতেসি না- মাথা কাজ করে না আজকাল।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: কিসের জন্য করেছেন বা করেন?

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৫৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আসেন। বিদেশ চলে যাই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: দেশটা তো আমার-আমাদের । দেশ ছেড়ে কেন যাবো বলুন?

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: নাহল তরকারি আপনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে চেয়েছে- বেশ :)
কোন ক্রমে অসুস্থ হলে কিংবা দেশে দুর্যোগ বা অরাজকতা হলে তাদের আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। একজন রিক্সা চালক বা চায়ের দোকানদারের কষ্ট ও সামাজিক অবস্থানের (নিন্ম) মুল্য আছে।
খুচরা ব্যাবসায়ীদের লসের হিসাবটাও মাথায় রাখবেন। এদের কারো আয়-ই নির্ধারিত নয়।

তবুও শিক্ষিতদের আলাদাভাবে মুল্যায়িত করা উচিৎ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: মাথায় আছেই । সেটা বলেই করেছি ।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৫

নতুন বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমার প্রতিস্ঠানে ঢাকা ইউনিভাসিটির সোসাল ওয়ার্ক থেকে পাশ করা এক ছেলের ইন্টারভিউ নিয়েছে আমার বস, ( শ্রীলংকান) পরে আমাকে জিঙ্গাস করেছে এমএ পাশ করেছে তারপরে এতো দিন কোন কাজ করেনি কেন? তার ক্যারিয়ারের প্লান কি? ( তিনি ইংরেজীতে বেশ দূবল এবং হোটেল ইন্ড্রাস্টি রিলেটেড অভিঙ্গতা নেই তাই তাকে নিবাচিত করা হয় নি)

তখন আমি বললাম আমাদের দেশে খুব কম ছেলে মেয়েই ১০ বা ১২ গ্রেড স্কুলিংএর পরে কোন স্কিল নেবার কোর্সে যায় না। বরং বেশির ভাগই বিএ বা এমএ পযন্ত পড়ালেখা করে চাকুরি করবে আশা করে।

আমাদের দেশের ছেলে মেয়ে দের বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে উদ্ভুদ্ব করা উচিত, যেন তারা ১২ গ্রেডের পরে কাজের জন্য প্রস্তুত হয়। যারা শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করবে তারা আরো উচ্চ শিক্ষার দিকে যাবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: কিছু বলার নেই ।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সামাজিক বৈষম্য। এটা দরিদ্র দেশ গুলোতে প্রকট ভাবেই আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: হ্যাঁ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.