নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌসুমে চাহিদা বাড়ে, দামে নাগাল ছাড়ে; কেন বাড়ে দই-মিষ্টির দাম?

১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৪


দইয়ের কথা উঠলেই প্রথমেই যে অঞ্চলের কথা মাথায় আসে, সেটি হলো ‘বগুড়া’ । গুণগত মান ও স্বাদযুক্ত দইয়ের জন্য বিখ্যাত এ শহর । ২০২৩ সালে বগুড়ার দই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পায় । সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায় এ শহরে প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার দই বিক্রি হয় । মৌসুমে যাঁর বিক্রি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় ।

ইসলাম ধর্মের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহাতে দই-মিষ্টির চাহিদা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায় । আতিথেয়তায় খাবারের শেষে এই দুই মিষ্টান্নের জুড়ি নেই । খাবারের পর পাতে পছন্দের দই কিংবা মিষ্টি বাড়তি তৃপ্তি যোগ করে ।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই দুই মৌসুমে দই এবং মিষ্টির দাম লাগামহীন হয়ে যায় । ভোক্তাদের বাড়তি দামে পছন্দের ডেজার্ট আইটেমটি কিনতে হয় । ফলশ্রুতিতে উৎপাদকেরা এসময় অধিক লাভ করেন ।

মৌসুমে বাড়তি দামের কথা উঠলে উৎপাদকেরা নানা অজুহাত দেখান । দুধ, চিনি, কাঠকয়লার সংকটের প্রসঙ্গ তোলেন । যেন মনে হবে মৌসুম এলেই ঘাটতি শুরু হয়ে যায় । এসময় হয়তো গাভী রাগ করে দুধ দেয়া বন্ধ করে দেয়, চিনির গুদামে আগুন লেগে যায় ।

অথচ ঈদের দিন ব্যতিরেকে সর্বত্রই সেসব উপাদানের ঘাটতি থাকেনা । ঘাটতি থাকার প্রসঙ্গটাই অবান্তর । প্রতিদিন গাভী দুধ দিচ্ছে সেই দুধ দুধওয়ালারা সময়মতো পৌঁছে দিচ্ছে । কারিগররাও সমানতালে কারখানায় কাজ করছে । কারণ মৌসুমগুলোতে তাঁদের কাজের চাপ বেশী থাকে ।

মৌসুমে দই কিংবা মিষ্টি প্রতিটি পন্যতেই ভোক্তা পর্যায়ে ১০০-২০০ টাকা বাড়তি রাখা হয় । সেটা শহর হোক কিংবা গ্রাম । পাশাপাশি এই মৌসুমে দইয়ের হাঁড়িগুলো বিশেষ কায়দায় তৈরি করে নেয়া হয় যাতে দইয়ের পরিমাণ কম দেয়া যায় । যদিও লোক ঠকানোর এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি ।

চাহিদার সাথে লাগামহীন দামের এ দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রয়োজন প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি । পন্যের সঠিক দাম এবং মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুবিধা পাক ভোক্তাসমাজ । ভোক্তাদের ওপর জুলুম বন্ধ হোক ।

ভরাট কণ্ঠে ভোক্তারা গেয়ে উঠুক, ‘বগুড়ার দই হালায় আবার জিগায়...’

সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | বৃহস্পতিবার | ১২ জুন ২০২৫ ইং | গাবতলী, বগুড়া

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছবিতে যে দই দেখা যাচ্ছে এটা কি বগুড়ার দই?
যদিও টাঙ্গাইলের দই আমার সবচেয়ে বেশী পছন্দ।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৯

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: ঢাকার দই আমার একদমই পছন্দ নয়। বগুড়ার দইয়ের নামে ঢাকায় যেই দই খাই সেগুলো আসল কি না বলতে পারবো না, কিন্তু সেগুলো আমার একদমই পছন্দ নয়। শুধুমাত্র পাবনার দই পছন্দ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকার বাইরে গেলেই আমি আগ্রহ নিয়ে দই মিষ্টি খাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.