![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনামলে জামায়াত এবং বিএনপি দুটো ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলের যে সৌহার্দপূর্ণ সহবস্থান ছিলো তা আমরা স্বচক্ষে অবলোকন করেছি । দুই দলের ছাত্রসংগঠনের ভীত ততটা জোড়ালো না হলেও মূল দলের ভীত ছিল অনেক পাকাপোক্ত ।
যখন শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি হচ্ছিল তখন স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়া সেটির বিরোধিতা করেছিলেন । এও বলেছিলেন জামায়াত নেতাদের চক্রান্ত করে মিথ্যা দোষারোপে ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে ।
জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীরা যখন জেলে থাকতেন তখন তাঁরা রুটি-বিস্কুট ভাগ করে খেয়েছেন । পরনের লুঙি, গামছা অদলবদল করেছেন । এমনকি জামিনের বিষয়েও বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীদের এবং জামায়াত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বুদ্ধি, পরামর্শ, এডভোকেসির মাধ্যমে সাহায্য করেছেন ।
জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়লে বিএনপির লোকজন সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতেন । এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়লে জামায়াতের লোকজন এগিয়ে আসতেন । এ এক অভূতপূর্ব বন্ডিং ।
রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনায় প্রোটেস্টও করতেন একে-অন্যের হয়ে ।
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম পারস্পরিক সম্পর্ক জোড়ালো থাকা দু’টো রাজনৈতিক দলের গতিপ্রকৃতি দু’দিকে সরে গিয়েছে । তুমুলভাবে একে-অন্যের নামে সমালোচনা, বাকযুদ্ধ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দিচ্ছেন ।
জেলখানায় একই সেলে থাকা দু দলের লোকেরা একে অন্যের চক্ষুশূল হয়েছেন এক বছরের ব্যবধানেই । যদিও সংঘর্ষ বা রক্তপাত এখনও জোরালোভাবে দানা বাঁধেনি ।
‘রাজাকার’ এবং ‘চাঁদাবাজ’ দু'টো ট্যাগে একে-অন্যকে পরাস্ত করতে ব্যস্ত । ফ্যাসিবাদের শেকল থেকে মুক্ত হওয়া দু’টো মজলুম রাজনৈতিক দল-ই আবারও পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে । ঐক্যের বদলে বিভেদের পথই মসৃণ হচ্ছে ।
অথচ রাজাকার ট্যাগে বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরিকেও হাসিনা ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে । আবার জামায়াতের অনেক নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ ।
ফ্যাসিবাদী শক্তিরা এই দু দলের বিভেদের দিকেই সজাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । বিভেদের পাহাড় বড় হলেই তাঁরাও স্বরূপে আবির্ভূত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় আছে ।
ট্যাগিংয়ের রাজনীতি থেকে বের হয়ে সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চাটা এখনও যদি সৃষ্টি না করা যায় তাহলে বাংলাদেশ যে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল তা বোধহয় এবার ব্ল্যাকহোলের পয়েন্টস অব নো রিটার্নসে হারাবারই নামান্তর...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | শনিবার | ১৯ জুলাই ২০২৫ ইবিগত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনামলে জামায়াত এবং বিএনপি দুটো ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলের যে সৌহার্দপূর্ণ সহবস্থান ছিলো তা আমরা স্বচক্ষে অবলোকন করেছি । দুই দলের ছাত্রসংগঠনের ভীত ততটা জোড়ালো না হলেও মূল দলের ভীত ছিল অনেক পাকাপোক্ত ।
যখন শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি হচ্ছিল তখন স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়া সেটির বিরোধিতা করেছিলেন । এও বলেছিলেন জামায়াত নেতাদের চক্রান্ত করে মিথ্যা দোষারোপে ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে ।
জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীরা যখন জেলে থাকতেন তখন তাঁরা রুটি-বিস্কুট ভাগ করে খেয়েছেন । পরনের লুঙি, গামছা অদলবদল করেছেন । এমনকি জামিনের বিষয়েও বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীদের এবং জামায়াত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বুদ্ধি, পরামর্শ, এডভোকেসির মাধ্যমে সাহায্য করেছেন ।
জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়লে বিএনপির লোকজন সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতেন । এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়লে জামায়াতের লোকজন এগিয়ে আসতেন । এ এক অভূতপূর্ব বন্ডিং ।
রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনায় প্রোটেস্টও করতেন একে-অন্যের হয়ে ।
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম পারস্পরিক সম্পর্ক জোড়ালো থাকা দু’টো রাজনৈতিক দলের গতিপ্রকৃতি দু’দিকে সরে গিয়েছে । তুমুলভাবে একে-অন্যের নামে সমালোচনা, বাকযুদ্ধ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দিচ্ছেন ।
জেলখানায় একই সেলে থাকা দু দলের লোকেরা একে অন্যের চক্ষুশূল হয়েছেন এক বছরের ব্যবধানেই । যদিও সংঘর্ষ বা রক্তপাত এখনও জোরালোভাবে দানা বাঁধেনি ।
‘রাজাকার’ এবং ‘চাঁদাবাজ’ দু'টো ট্যাগে একে-অন্যকে পরাস্ত করতে ব্যস্ত । ফ্যাসিবাদের শেকল থেকে মুক্ত হওয়া দু’টো মজলুম রাজনৈতিক দল-ই আবারও পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে । ঐক্যের বদলে বিভেদের পথই মসৃণ হচ্ছে ।
অথচ রাজাকার ট্যাগে বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরিকেও হাসিনা ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে । আবার জামায়াতের অনেক নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ ।
ফ্যাসিবাদী শক্তিরা এই দু দলের বিভেদের দিকেই সজাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । বিভেদের পাহাড় বড় হলেই তাঁরাও স্বরূপে আবির্ভূত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় আছে ।
ট্যাগিংয়ের রাজনীতি থেকে বের হয়ে সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চাটা এখনও যদি সৃষ্টি না করা যায় তাহলে বাংলাদেশ যে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল তা বোধহয় এবার ব্ল্যাকহোলের পয়েন্টস অব নো রিটার্নসে হারাবারই নামান্তর...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | শনিবার | ১৯ জুলাই ২০২৫ ইং
২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: লুকোচুরি চলছে।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:০১
ঢাবিয়ান বলেছেন: রাজনৈতিক ময়দানে বিএনপির একা হয়ে পড়ার জন্য সম্পুর্নভাবে দায়ী বিএনপি। এত বড় একটা রক্তক্ষয়ী গনঅভ্যূত্থানের পর বিএনপিকে মানুষ যে রুপে আশা করেছিল, বিএনপি সম্পুর্ন তার বীপরিত রুপে হাজির হয়েছে। বিএনপির বোঝা উচিৎ ছিল সারা দেশের ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে রক্ত দিয়েছে একটা নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে নয়। বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনের শ্লোগানগুলোর কোথাও কি নির্বাচনের দাবী ছিল? মানুষ এই দেশের গলে পচে যাওয়া সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাস্তায় নেমেছিল। অথচ বিএনপি এই দূবৃত্তায়ন সিস্টেমের কোন সংস্কার চায় না। তারা পুরানো ফ্যসিবাদী ব্যবস্থা পুরোপুরি বজায় রেখে স্রেফ ক্ষমতায় বসতে চায়।
২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
সপ্তম৮৪ বলেছেন: এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। বিনপির লুঙ্গির তলে ঢুকে এনসিপি তথা ইউনূসের বাহিনীই এতোদিন বেশিরভাগ অপকর্ম করেছে পরিকল্পিতভাবে যাতে বিএনপির নাম বদনামী যায়।
২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: বিএনপির পোস্টধারী অনেকেওতো এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আগে ছিল জোট। এখন প্রতিপক্ষ। বিভেদ তো হবেই। সময় হলো ক্ষমতায় যাওয়ার।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:২৮
মেঘনা বলেছেন: জামাত বিএমপি দুটি আলাদা আদর্শবাদী সংগঠন, এদের মধ্যে বিভেদ স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: আওয়ামী লীগ ফেরত এলে এরা আবার এক হয়ে যাবে।