নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই শোষন করা হচ্ছে

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

রাখাইনে যারা মানুষ হত্যা করছে মানুষের ঘর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করছে এবং কিছুদিন আগে যারা লংদুদে আগুন দিয়েছে। আপনার কাছে মনে হতে পারে এরা আলাদা লোক, হ্যা এরা আলাদা লোক কিন্তু এরা আদর্শগত দিক থেকে একই। লংদুদে আগুন দেয়ার ব্যাপারটা হয়তো আপনি মনে মনে বা প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছেন। কখোনো এর প্রতিবাদ করেননি। এর কারনটা হল নির্যাতিত মানুষগুলো তখন বৌদ্ধ ছিলো। বিপরীতে তখন বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা প্রতিবাদ করেছে। আর এখন রাখাইনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হত্যায় বৌদ্ধরা কেউ নিরবে কেউ প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দিক থেকে কোন প্রতিবাদ নেই। বিপরীত সকল মুসলমান, রোহিঙ্গা দের পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছে প্রতিবাদ করছে।
একটু ভাবুনতো প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এইসব মানবরূপি জানোয়ার গুলো তাদের মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডে কোনো না কোনো কমিউনিটি থেকে সর্মথন পাচ্ছে।
এ দুটো ঘটনা কেবল উদাহরন মাত্র। এমন অনেক মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড তারা যুগে যুগে করেছে এবং কোনো না কোনো কমিউনিটি থেকে সর্মথনও পেয়েছে। বুঝতেই পারছেন তাদের এই সহজ সর্মথন পাওয়ার কারনটা হচ্ছে ধর্ম। তারা যুগে যুগে এই ধর্মটাকে পুজি করেই তাদের এই মানবধংশী কাজ গুলো করেছে এবং সহজেই কারো না কারো নিকট হতে সর্মথনও পেয়েছে, যেটা তাদের জন্য একটা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
সুতারং, যতদিন পযর্ন্ত আমরা ধর্মীয় একগুয়েমি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারবো। যতদিন পযর্ন্ত আমরা অসাম্প্রদায়িক চিন্তা না করতে পারবো। যতদিন পযর্ন্ত আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ সব ভুলে পুজিঁ ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারবো। ততোদিন আপনি আমি কেবল নির্যাতিত হতে থাকবো, শোষিত হতে থাকবো ।
আচ্ছা আমি মুসলিম, আমি নামাজ পড়লে অথবা গরু খেলে আপনার কি কোনো সমস্যা হয়? এ কারনে একবেলার জন্যও কি আপনাকে অনাহারে থাকতে হচ্ছে বা হয়েছে ।
আবার আপনি মুর্তিপূজা করলে আমারতো কোন অসুবিধা হয় না, আপনার পূজার কারনে আমাকে এক বেলার জন্যওতো অভূক্ত থাকতে হয়নাই।
আপনার ভগবানকে আমি মানিনা বিধায় আমাকে আপনার ভগবানতো কোনো কষ্ট দিচ্ছে না। আপনার ভগবানকে আমি মানিনা বিধায় আমাকে তো আপনার ভগবান জনসম্মুখে বিচারের মুখোমুখি করছে না ।
আবার আমার আল্লাহ্কে আপনি মানেননা এজন্য আমার আল্লাহ্তো আপনাকে কোন কষ্ট দিচ্ছে না। আমার আল্লাহ্কে আপনি মানেননা এজন্য সে আপনার বিচারওতো করছেনা। তাহলে আপনি কেন আমার বিরুদ্ধে যাবেন? আমি কেনো আপানার বিরুদ্ধে যাব?
কারটা সত্য কারটা মিথ্যা সেটাতো মৃত্যুর পরেই বুজতে পারবেন।
তাহলে অল্প সময়ের এই জীবনটাকে আমরা কেনো মারামারি- হানাহানি করে পার করে দিচ্ছি?
বিশ্বাস করুন বেচে থাকার এই সময়টা একেবারেই অল্প। তারপরেও আবার আমরা এটাও জানিনা এই সময়ের পরিমানটা কতটুকু।
আচ্ছ আমরা কি পারিনা এই সল্প সময়টাতে মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করতে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য, মানবতার কথা না বলে ধর্মকে সামনে নিয়ে আসি।

সম্প্রতি শ্রীলংকায় সিনহালা বৌদ্ধরা, মায়ানমারের পক্ষে ব্যানার নিয়ে র‌্যালি করেছে। ব্যানারে লেখা মায়ানমারের বৌদ্ধগন আমরা তোমাদের সাথে আছি। সকল মুসলিম টেরোরিষ্ট নয়, কিন্তু প্রায় সব টেরোরিষ্টই মুসলিম।

আমরা জানি শ্রীলঙ্কা নিজেই সন্ত্রাসী আক্রমনের শিকার হয়েছিল লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম নামক উগ্র গেরিলা সংগঠনের দ্বারা, যারা সিংহভাগ সদস্যই ছিল হিন্দু ধর্মাবলী।

রোহিঙ্গাদের মধ্যেও হিন্দু-মুসলিম ভাগ করতে চায়। এটা ভুল হবে। এখানে সতর্ক থাকা দরকার।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধর্মীয় দিক থেকে আমারা আলাদা হতেপারি কিন্তু মানবতার প্রশ্নে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গৌত্র সবকিছু ভুলে দুনিয়ার সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা খুব জরুরী।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্য ধর্মের লোকদের ভালো না চাওয়া, প্রতিটি ধর্মের মাঝে আছে পরোক্ষভাবে

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: সেটা মোল্লা, পুরোহিত, পাদরিদের বানানো। প্রকৃতপক্ষে ধর্মওতো মানবতার কথাই বলে কিন্তু কিছু সুবিধাবাদি অমানুষ সাধারন শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রান মানুষকে উস্কেদিয়ে সমাজে বিসৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.