নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ এবং ক্রসফায়ার

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭



অবাক হয়ে যাই যখন শুনি সংসদ সদস্যরা সংসদে দাড়িয়ে বলে, ধর্ষকদের বন্দুকযুদ্ধে মারা উচিত! হ্যা জানি দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আছে এবং চলছে, তাই বলে একজন আইনপ্রনেতাই যদি বিচারবহির্ভুত হত্যা সমর্থন করেন, সেটা খুন করাকে শুধু প্রশ্রয় দেওয়া না, এই ফাঁদে ফেদে নিরাপরাধীকে মারবার জন্য উৎসাহ দেওয়ারও সামিল।
কিছুদিন আগে ফেসবুকেই একটা জোকস পড়ছিলাম। দুজন তরুন-তরুণী হুজুরের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, হুজুর বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে একই ঘরে ঘুমানো কি পাপ?
হুজুর বললো, বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে একই ঘরে ঘুমাইলেতো পাপ নাই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তোরাতো ঘুমাস না।
এখানে প্রকৃত ধর্ষককে ফায়ার স্কোয়াডে দিলে তো সমস্যা নাই! সমস্যা হল, যারা এগুলো এক্সিকিউট করবে তারা সবাই অতটা নিষ্ঠাবান নয়। এরফলে কিলার ভাড়া করার চেয়ে, কেউ চাইলে অর্থ আর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একটা গল্প সাজিয়ে সহজেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারবে।
এমপি সাহেবরা কি জানেন না, বর্তমানে যত ধর্ষন মামলা হয় তার অনেক গুলোই হয় মিথ্যা মামলা! যা মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়। এমনও আছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এই ধর্ষণকে প্রুভ করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে সেক্স করে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ঘটছে !
অন্যদিকে বাস্তবতা হল, যারা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সম্মান এবং নেতিবাচক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথা ভেবে মামলাই করে না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বলা হয়েছে ধর্ষন প্রমানিত হলে ক্রসফায়ার।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:

সংসদ সদস্য হিসেবে, ধর্ষন প্রমানিত হলে যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালুর কথা বলতে পারে। আদালতে ফাঁসির রায়ের পর তো কাউকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয় না। আচ্ছা, বিচার করে কি কাউকে ক্রসফায়ার দেওয়া হইছে? ক্রসফায়ার মানেই তো ধর-মার-কাটের মতো ব্যাপার। হ্যা, অনেক বড় বড় আসামিকে হয়তো ক্রসফায়ার দেওয়া হইছে, কিন্তু সুযোগের স্বদ ব্যাবহারও অনেক সময় করা হইছে।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত অপরাধীকে ক্রসফায়ারে মারছে, আর ধর্ষক নিশ্চিত হওয়ার পর ক্রসফায়ার করতে অসুবিধা কী? প্রচলিত আইন যেহেতু ধর্ষণ কমাতে পারছে না, তাই আঙ্গুল তো বাঁকা করতেই হবে। মিস ইউজ হবে না। কারণ, ডিএনএ টেস্ট করিয়ে, স্বীকারোক্তি নিয়েই ক্রসফায়ার করা হবে...

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



অসুবিধা হচ্ছে এটা যদি আইন হয় কিংবা আইন প্রনেতারা এসব বলে তাহলে, কিলার ভাড়া করার চেয়ে, কেউ চাইলে অর্থ আর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একটা গল্প সাজিয়ে সহজেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারবে। ডিএনএ টেস্টের কথা বলছেন? সরষের মধ্যেই যখন ভূত তখন কি করবেন? অর্থাৎ ডিএনএ টেস্টকারীই যখন অর্থ কিংবা অন্য কিছুর বিনিময়ে বা স্বার্থে মিথ্যা রিপোর্ট করবে এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারক্তি করিয়ে নেবে তখন কি করবেন? দিস ইজ বাংলাদেশ, এখানে সবই সম্ভব! যে সরকার তার নিজের রাস্তা ক্লিয়ার রাখতে প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থতার কথা বলে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে, আপনার হয়তো সে সরকার এবং তার প্রশাসনের উপর ১০০% আস্থা থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার সে আস্থা নাই।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনারা আইনপ্রণেতা!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.