নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ হিজাব না পরলে তাকে নিয়ে কটুক্তি করা কিংবা জোর করে হিজাব পরতে বাধ্যা করা যেমন তার ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন। তেমনি কেউ হিজাব পরলে তাকে কটুক্তি করা কিংবা জঙ্গি বলা বা তার হিজাব খুলতে বাধ্য করাও ব্যাক্তি স্বাধীনতার লঙ্ঘন। একদল লোক ধার্মিক পরিচয়ে মেয়েদের পোষাক নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। আরেক দল মুক্তচিন্তাবীদ পরিচয়ে মেয়েদের হিজাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। দুই দলই মন্দ লোক, আমি সর্বদাই এদের বিরুদ্ধে। তবে যারা একেবারেই অশ্লিল পোষাক পরিধান করে, তাদের খুব ভদ্র এবং মার্জিত ভাবে সেসব পোষাক পরিধান না করার জন্য পরামর্শ বা অনুরোধ করা উচিত। সে না শুনলে বা না মানলে তাকে এরিয়ে যাওয়াটাই ভদ্রলোকের কাজ, এক্ষেত্রে বাজে বা মন্দ কথা বলা ধর্মেও সমর্থন করে না।
"অনেক সময় সন্ত্রাসীরাও হিজাব দিয়ে নিজেকে আড়াল করে" এমন যুক্তিতে অনেক রাষ্ট্রই হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে অনেক সময় বারে গিয়ে মদ্যপান করে মাতাল হয়ে বাহিরে এসে অনেকেই অনেক উল্টাপাল্টা কাজ করে, সেক্ষেত্রে বার এবং মদ কেন নিষিদ্ধ করা হয়না।
বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানী এরা মানবতার জন্য এবং মানুষের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছে এজন্য তাদের ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি। ধার্মিক হোক বা নাস্তিক হোক যারা মানবতার পক্ষে কাজ করে, ভালো ভালো কথা প্রচার করে, সমাজের খারাপ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরে আমি সর্বদাই তাদের সেই মানবিক কাজ, ভালো কথা, সমাজের খারাপ রুপ তুলে ধরাকে সমর্থন করি।
অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদকে একদল লোক প্রকাশ্যে কুপিয়ে মেরে ফেললো, অনেকে বাহবা দিলো, কারন সে খুব অশ্লীল অশ্লীল কথা লেখতো। অথচ সমাজ যখন অশ্লীল তখন তার প্রকৃত রূপটা তুলে ধরলে সেটা অশ্লীল হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?
কমিউনিজম একদিকে মানুষের সমঅধিকারের কথা বলে অন্য দিকে নাস্তিকতার ধারনা পোষণ করে। আমি যাস্ট তাদের প্রথম অংশটুকু অর্থাৎ সমঅধিকারে ধারনাকে সমর্থন করি। কারন ইসলামও মানুষের সমঅধিকারের কখা বলে। আরো বলে, এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে এক।
ড. মিজানুর রহমান, বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়। দেশ বিদেশে তার কোটি কোটি অন্ধ ভক্ত রয়েছে। নাহ্, আমি তার অন্ধ ভক্ত নই (ইনফ্যাক্ট আমি কারোই অন্ধ নই) তবে তিনি ম্যাক্সিমামই ভালো ভালো কথা বলছে (আমি এ পর্যন্ত তার যেসব বক্তব্য শুনেছি তার আলোকে বলছি) তাই তার কথাগুলোকে সমর্থন করি। তার যেহেতু কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে তাই সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর সুযোগও তার রয়েছে।
এইযে বর্তমানে সমগ্র জাতী পদে পদে দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে তার মৌলিক কারন কি জানেন? দূর্নীতি, দূর্নীতিই হচ্ছে এর মূল এবং মৌলিক কারন। আবার দূর্নীতির মৌলিক কারন হচ্ছে লোভ। ড. মিজানুর রহমান সাহেব যদি তার ওয়াজে ঘুষ, ধর্ষন, কালোবাজারি, লোক ঠকানো, অন্যের সম্পদ দখল, পণ্যে ভেজাল ইত্যাদি বিষয় সমূহে সর্বদা ফোকাস করে এবং তার লেকচারের সিংহভাগে এই বিষয় গুলোই যদি বারবার তুলে ধরে, তাহলে আমার মনে হয় দূর্নীতির ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান আরো নিচে নামবে। মানুষের দূর্ভোগ ও কমবে।
ডাঃ জাকির নায়েক, বর্তমান সময়ে আমার দেখা ইসলামিক লেকচারারদের মধ্যে সেরা। তার মতো প্রতিটা কথায় পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে রেফারেন্স কেউ দিতে পারে না। আমার মতে ওয়াজ মাহফিল গুলোতে গল্প কিচ্ছা বাদ দিয়ে এভাবেই সরাসরি কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে লেকচার দেয়া উচিত। অনেকেই বলতে পারেন মানুষকে বুঝানোর জন্য গল্প কিচ্ছা বলতে হয়। কই ডাঃ জাকির নায়েক তো এতো এতো গল্প কিচ্ছা বলেনা, তার কথা তো মানুষ ঠিকই বুঝছে। যারা ওয়াজ করে তাদের উচিত ডাঃ জাকির নায়েক কে ফলো করা, ভালোকিছু ফলো করাতে কোন লজ্জা নাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কারো ধর্মের দোহাই দিয়ে কিংবা মুক্ত চিন্তার নামে কার উপর কিছু চপিয়ে দেওয়া যাবে না।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে হিজাব পরেন কিনা?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: হু পরি, শীতকালে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধু, মওলানা ভাসানী আজহারী-- সব বুঝলাম।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন সেটা বুঝলাম না।