নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার কাছে যেটা যুদ্ধ, তাদের কাছে সেটা সবচেয়ে লাভজনক বিজনেস

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮



দুই দশকের আফগান যুদ্ধে আমেরিকার ব্যয় হয়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ বিগত ২০ বছরের প্রতিদিন তাদের গড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। যা আফগানিস্তানের ৪০ মিলিয়ন মানুষের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলে প্রত্যেকে ৫০ হাজার ডলার করে পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে কত ব্যয় করেছে তা বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দিয়েছে ফোর্বস। জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, বিল গেটস সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরো শীর্ষ ৩০ জন বিলিয়নিয়ারের মোট অর্থ একসাথে করলে যা হবে, তার চেয়েও বেশি ব্যয় হয়েছে এই যুদ্ধে।
এর মধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলার সরাসরি যুদ্ধে ব্যয় হয়েছে। আর ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণের পেছনে, যারা কিনা মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৭৫ হাজারের এক মিলিশিয়া বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এই অযোগ্য সেনাবাহিনীর বেতন বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বছর ব্যয় হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
তবে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় কিন্তু থেমে থাকবে না। আফগান যুদ্ধে আহত ২০ হাজার মার্কিন সেনা ও নাগরিকের চিকিৎসা বাবদ ইতিমধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করেছে তার সিংহভাগই ঋণ হিসেবে নেওয়া। ইতিমধ্যে এর সুদ বাবদ ৫০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের হিসাব বলছে ২০৫০ সাল নাগাদ শুধুমাত্র আফগান যুদ্ধের ব্যয় দাঁড়াবে ৬.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক মাথাপিছু ২০ হাজার ডলার ঋণ বহন করবেন। ইরাক যুদ্ধের হিসাব তো রয়েই গেছে।
.
আর যদি জীবনহানির বিষয়টি বিবেচনা করা হয় তাহলে এই যুদ্ধের ব্যয় অপরিমেয়। বিগত দুই দশকে আফগানিস্তানে যুদ্ধের কারণে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১ জন করে জীবন হারিয়েছেন। মোট জীবনহানির হিসাব নিম্নরূপ:
আফগান বেসামরিক নাগরিক: ৪৭,২৪৫
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য: ৬৬,০০০ (ফোর্বস: ৬৯০০০)
মার্কিন সেনা: ২,৪৮৮
ইউএস কন্ট্রাক্টর: ৩,৮৪৬
মার্কিন জোটভুক্ত অন্যান্য দেশের সেনা: ১,১৪৪
তা*লে*বা*ন ও অন্যান্য বিদ্রোহী দলের সদস্য: ৫১,১৯১
এইড ওয়ার্কার: ৪৪৪
সাংবাদিক: ৭২
.
বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অসংখ্য মানুষের জীবনহানির বিনিময়ে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তাহলে অর্জন কী? যাদের হটানোর জন্য ওয়ার অন টেরর শুরু করেছিল তারা দোর্দন্ড প্রতাপের সাথে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। মাঝখান থেকে বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানদের জীবন, শরণার্থী হয়েছে লাখ লাখ মানুষ, সীমাহীন অভাব আর দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বড় হয়েছেন লাখ লাখ আফগান শিশু।
প্রত্যেক যুদ্ধেই ক্ষতিগ্রস্ত হন সেনা আর সাধারণ মানুষ। সাথে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা তো আছেই। ইংরেজিতে 'ওয়ারলর্ড' বলতে একটা শব্দ আছে। প্রতিটা যুদ্ধে লাভবান হন এই ওয়ারলর্ডরা, যারা একটি অঞ্চলের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
আমরা বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশকে অস্ত্র বিক্রি করতে দেখি। অস্ত্র বাণিজ্য আসলে একটি দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখে না, যতটা রাখে কৃষি বা অন্য শিল্প। বিশ্বের যে কয়টি খাতে সর্বোচ্চ দুর্নীতি, অস্ত্র বাণিজ্য তার মধ্যে অন্যতম এবং তালিকার উপরের দিকেই অবস্থান।
প্রতিটা অস্ত্র চুক্তির সময় বিভিন্ন জনের পকেটে টাকা চলে যায়। যদি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে এটা হয় না, তাহলে ভুল। এই দুর্নীতি সব দেশে হয়। যারা অস্ত্র কেনে, সেই দেশের এমপি-মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাদের পকেটে টাকা যায়। আবার যারা বিক্রি করে সেই দেশেরও বড় বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ সবার পকেটেই টাকা যায়।
একটা যুদ্ধ কীভাবে কতটা লাভজনক ব্যবসা হতে পারে তা আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যখন ৯/১১ এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে হামলার সিদ্ধান্ত নেন, তখন যারা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচটি ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর কোম্পানিতে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন এবং বিশ্বাসের সাথে প্রাপ্ত লভ্যাংশ পুনরায় বিনিয়োগ করেছিলেন তারা আজ ১ লাখ ডলারের মালিক।
অর্থাৎ সেই সময় যিনি এই পাঁচটি কোম্পানির ১০ হাজার ডলারের স্টক কিনেছিলেন, আজ তার স্টকের মূল্য ১ লাখ ডলার। একই সময়ে যারা অন্য খাতে সমপরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন তারা কিন্তু এত বেশি লাভবান হতে পারেননি। আফগান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ডিফেন্স স্টক অন্যান্য স্টক মার্কেটের চেয়ে ৫৮ শতাংশ ভালো করেছে।
এই বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য 'Why We Fight' শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি আছে, সেটি দেখতে পারেন।
এর অনেক আগেই মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়ালদের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইসেনআওয়ার।
সাবেক সিআইএ কন্ট্রাক্টর ও একাডেমিক ক্যালমার্স জনসন বলেছেন, "আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যুদ্ধ যখন লাভজনক হবে, তখন আপনি ঘন ঘন যুদ্ধ হতে দেখবেন।"
ইউএস এয়ারফোর্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট বলেছেন, "যে সকল আমেরিকান নাগরিকের ছেলে বা মেয়েকে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে, তারা যদি যুদ্ধের লাভ-ক্ষতির দিকে তাকান তখন তারা বলবেন, আমি এই যুদ্ধে কোনো লাভ দেখছি না। কিন্তু যখন কোনো রাজনীতিবিদ, যিনি বর্তমান ও ভবিষ্যতের চুক্তি সম্পর্কে ভালো বোঝেন তিনি যখন যুদ্ধের দিকে তাকান, তখন তার কাছে লাভ-ক্ষতির হিসেব অন্যরকম।"
যেমন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলো তখন অনেকের দৃষ্টিতে তারা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এবং এটা সত্য। কিন্তু যেখানে এত অর্থের ছড়াছড়ি সেখানে কেউ না কেউ তো লাভবান হয়েছেন। তারা খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের দৃষ্টিতে এই যুদ্ধ ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
এই ব্যক্তিরা কারা? বোয়িং, লকহিড মার্টিন কিংবা জেনারেল ডাইনামিকসের বোর্ডে যারা বসে আছেন তারাই হলেন এই সকল সফল ব্যক্তি। যাদের মধ্যে অনেকেই সাবেক সেনা কর্মকর্তা, যারা যুদ্ধকে সবচেয়ে ভালো বোঝেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই অভিজাত ব্যক্তি ও কোম্পানিদের স্বার্থ সুরক্ষা করে। আপনি যদি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক সরকার আমার আপনার মতো মানুষদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় তাহলে আপনি ভুল। ভুলে গেলে চলবে না তারা পুঁজিবাদের ডিলার।
এবার একটু সরাসরি হিসেব তুলে ধরি। আমেরিকার শীর্ষ পাঁচ ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর হচ্ছে বোয়িং, রেথিওন, লকহিড মার্টিন, নর্থ্রুপ গ্রুম্যান ও জেনারেল ডাইনামিকস। এই পাঁচটি কোম্পানি আবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় স্টক মার্কেট ইনডেক্স কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর'স ৫০০ বা এস অ্যান্ড পি ৫০০ কোম্পানির কোর্স পার্ট। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জ ফার্মের চেয়ে এস অ্যান্ড পি ৫০০ এর আয় অনেক বেশি।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে থেকে শীর্ষ পাঁচটি ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর কত আয় করেছে দেখা যাক। সবার আগে এস অ্যান্ড পি ৫০০ এর হিসাবটা দেখি। তাদের ডিফেন্স স্টকে যারা ২০০১ সালে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা ৫১৬.৬৭ শতাংশ বেশি ফেরত পেয়েছেন। অর্থাৎ সেই সময় যারা ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা এখন ৬১ হাজার ৬১৩ ডলার পাবেন।
আর শীর্ষ পাঁচ ডিফেন্স কন্ট্রাক্টরের সম্মিলিত হিসাব যদি করা হয়, তাহলে এই মোটের উপর ৮৭২.৯৪ শতাংশ বেশি ফেরত পাচ্ছেন। যারা ২০০১ সালে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা এখন ৯৭ হাজার ২৯৪ ডলার পাবেন।
এবার আলাদা আলাদা হিসেব দেখা যাক।
বোয়িং
৯৭৪.৯৭ শতাংশ বেশি।
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৮৮ ডলার।
রেথিওন
৩৩১.৪৯ শতাংশ
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ৪৩ হাজার ১৬৬ ডলার।
লকহিড মার্টিন
১,২৩৫.৬০ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৯ ডলার।
জেনারেল ডাইনামিকস
৬২৫.৩৭ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ হাজার ডলারের স্টকের মূল্য এখন ৭২ হাজার ৫১৫ ডলার।
নর্থ্রুপ গ্রুম্যান
১১৯৬.১৪ শতাংশ বেশি
২০০১ সালের ১০ ডলারের স্টকের মূল্য এখন ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৪ ডলার।
এই হিসাবটি ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
শেষ করছি নাম না জানা একজনের উক্তি দিয়ে, "যারা যুদ্ধে যায় তারা যুদ্ধ চায় না, আর যারা যুদ্ধ চায় তারা যুদ্ধে যায় না।"
পরবর্তী যুদ্ধ দেখার জন্য প্রস্তুতি নিন।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস, মার্কেট ওয়াচ ও ইন্টারসেপ্ট
লেখক: মোঃ জাহিদ হাসান

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আদার চাষও জানেন না, জাহাজ চালাতে জানেন না; আপনাদের পেছনে জাতি যা খরচ করেছে, উহা জাতির জন্য খারাপ কিছু করবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আম্রিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই আপনার সার্কাসটা দেখা যায়।
যেসব লেখা আছে তা কি ভুল?
বাইদ্যওয়ে, আম্রিকা বাস করে আপনি জাতিকে কি কি দিয়েছেন অনুগ্রহপূর্বক তার লিস্টটা কি একটু দেখবেন?

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১২

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: হিসেবের মারপ্যাচ কমই বুঝি।
ওই উক্তিটি চমৎকার লেগেছে, " যারা যুদ্ধে যায় তারা যুদ্ধ চায় না, আর যারা যুদ্ধ চায় তারা যুদ্ধে যায় না"।
শুভেচ্ছা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



শুভেচ্ছা

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওখেই।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ওখেই। ভালো থাকুন

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন, "আম্রিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই আপনার সার্কাসটা দেখা যায়। যেসব লেখা আছে তা কি ভুল?
বাইদ্যওয়ে, আম্রিকা বাস করে আপনি জাতিকে কি কি দিয়েছেন অনুগ্রহপূর্বক তার লিস্টটা কি একটু দেখবেন? "

-পয়সা খরচ করে আমেরিকা এসে পড়েন; দেখবেন, আপনার এসব অর্থহীন কথা বলার অভ্যাস আর থাকবে না।
-আমি জাতির জন্য, সরকারে চাকুরী করেছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




না। ইউরোপ আম্রিকার নাগরিক হতে ইচ্ছুক না। কারণ ওদের ঐ রংচঙে দুনিয়ার পেছেনের অন্ধকার এবং হতাশা সম্পর্কে অবগত আছি। পৃথিবীর আত্মহত্যা প্রবণতায় ওরা এগিয়ে। সেদিন দেখলাম জার্মানিতে স্পেশাল জঙ্গল আছে যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত আত্মহত্যা করতে যায়।
আজকের আমেরিকা সেই আমেরিকরা, যেখানে পর্তুগিজ খুনি কলোম্বাস' গিয়ে সেখানকার আদিবাসীদের খুন করে করে সেখানে ইউরোপকে এক্সটেনশন করছে।
আরেক নাবিক ভাস্কো দ্যা গামা ভারত বর্ষে এসেছিল মশালার ব্যবসা করতে, অথচ সাথে করে নিয়ে এসেছিল কামান, এসেই কনকটের রাজার কাছে প্রস্তাব করেছে তারা অন্য বনিকদের মতো কর দিতে পারবে না। তারপর যুদ্ধ, এই জলদস্যুর (ভাস্কো দ্যা গামার) সমুদ্রপথে সাধারণ নিরস্ত্র জাহাজে ডাকাটির ইতিহাস উঠে এসেছে সত্যেনসেনের "মসলার যুদ্ধ" বইয়ে। এরপর আসে ব্রটিশরা ভারতবর্ষ চুরি করে ব্রিটেনকে সাজিয়েছে। এদেশে যেভাবে নীল চাষে চাষিদের শোষণ করেছে। ইন্দোনেশীয়ায় করেছে লবঙ্গ চাষে, কফি চাষে। ইন্দোনেশিয়া দখল করে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো, যারা ব্রিটিশদের জমি দেবে না, তারা লবঙ্গ চাষ করতে পারবে না, করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, এবং তা বাস্তবায়নও করেছিল।

এরা আগেও মানব শোষণ করেছে, এখনো করছে, শুধু পন্থাটা কিছুটা ভিন্ন। মিথ্যে অজুহাতে ইরাকে হামলা করে লাখ লাখ মানুষ মেরেছে, কিন্তু কই, যে অস্ত্রের কথা বলে ইরাকে হামলা করা হয়েছিল যুদ্ধ শেষে তার কি কোনো অস্তিত্ব পেয়েছে? পায়নি। এই যুদ্ধের ব্যাপারে সে সময় মিথ্যাবাদি সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছিল। এখন হারামজাদ বুশ নিলজ্জের মতো বলেছ, ইরাক হামলা না করলেও হতো। সন্ত্রাসীর বাচ্চা বুশ লাখ লাখ মানুষ মেরে এখন এসব কথা বলতে আসছে। ওরে কতবার ফাঁসি দিলে ন্যয় বিচার হবে জানি না।

যে টুইন টাওয়ার হামলায় আল কায়দার উপর দোষ চাপিয়ে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করে, এখন তালেবানের হাতে আফগান ছেড়ে পলাইছে। অথচ সেই আমেরিকারই বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ৭৫ জন প্রফেসরের ৫ বছরের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর টাইম অব ইন্ডিয়া লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক অবজারভারের বরাত দিয়ে বলেছে , এর সাথে পেন্টাগন সরাসরি জড়িত। এমন একটা হামলার জন্য যে উপকরন, দক্ষতা ও মেধার প্রয়োজন লাদেনর আল কায়দারর তা নেই।
মার্কিন গবেষক, অধ্যাপক ড. স্টিভেন জোন্সকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেয়া হয়েছিল। কারণ তিনি প্রমাণ করেছেন, বিমানের আঘাত নয় বিল্ডিংএ থাকা বিস্ফোরকের কারণেই টুইনটাওয়ার ধ্বংস হয়েছে।
এক মার্কিন বিত্তশালী 'জিমি ওয়াল্টার' তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে টুইন টাওয়ার ধ্বংসে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়নি, কেবল বিমানের আঘাতেই বিল্ডিং ধ্বংস হয়েছে তবে তাকে ১০লাখ ডলার পুরুষ্কার দেবো, বিল্ডিংএ আগে থেকেই বিস্ফোরক রাখা ছিলো।ইভেন গতকাল দেখলাম ডোনাল ট্রাম্প বলছে, আফগান হামলা ভুল সিধান্ত ছিল।

ইতিহাস হতে বর্তমান পর্যন্ত এদের চরিত্রটাই এমন, এরা আগেও মানুষ হত্যা, চক্রান্ত, চুরিচামারি এসব করে চাকচিক্য শহর গড়েছে, এখন ঐটাই একটু ভিন্ন কৌশলে করছে। সেই চোর ও ভন্ডের দেশে বাস করার ইচ্ছে নেই।
বাইদ্যাওয়ে এসব তো এখন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে, বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মচারীরা এ দেশ হতে চুরি চামারি করে শেষমেশ ইউরোপ আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে। আইমিন চোরে চোরে মাস্তুত ভাই। আগে ইউরোপ-আম্রিকান চোরেরা এ দেশ হতে চুরি করে ইউরোপ সাজিয়ে সাধুবাবা হইছে, এখন বাঙালি চোরগুলো এ দেশ হতে চুরি করে সেই সাজানো ইউরোপ আম্রিকা গিয়ে ভদ্র হচ্ছে। না মানে, আপনিও নাকি জাতির জন্য সরকারি চাকরি করেছেনা। তাহলে কি আপনিও?? ও এজন্যই বলি, চুরিচামারির বিরুদ্ধে লিখলে আপনার গায়ে কেনো লাগে!!!!

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্লগের কিছু মানুষের কথা বার্তা দেখে মনে হয় পৃথিবীতে দুইটা জাতি বাস করে এক মুসলমান দুই অমুসলিম। হাস্যকর এবং নির্লজ্জ চিন্তাভাবনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



পৃথিবীতে যা ঘটছে লেখাতে তো সেটাই থাকবে, তই না? নাকি আজগুবে রুপকথার সধ গল্প থাকবে?

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

বিটপি বলেছেন: অবশ্যই এই দুইটা জাতি বাস করে। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে এটা বুঝতে কষ্ট হবার কথা না। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী হচ্ছে মুসলিমরা। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, জিনজিয়াং, আরাকান, ইয়েমেন সব জায়গাতেই একই চিত্র। বর্বর ইসরাইলের সব রকম অপকর্মে আমেরিকা নিজ সন্তানের মত সমর্থন কেবল নয়, প্রয়োজনে আগলে রাখছে। একই অবস্থা বাকি সব জায়গাতে। পূর্ব তিমূরে অমুসলিম রাষ্ট্র গড়তে সারা বিশ্ব যেমন এগিয়ে এল, মিন্দানাওয়ে বা ফিলিস্তিনে আলাদা রাষ্ট্র গড়তে কেউ কোন আগ্রহ দেখায়না। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা যেভাবে পালিয়ে গেল, তাতে স্পষ্ট যে অসহায় মুসলিম কোন জাতিগোষ্ঠীর জন্য তাদের কোন সহানুভূতি নেই।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



একদম

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৪৯

জিকোব্লগ বলেছেন:

এখানে একজনকে দেখছি যে বানোয়াট কথা
বলতে বলতে পুরা ব্লগ ফেনা তুলে ফেললো।
এই বয়সে যদি উহার এই অবস্থা হয়, যুবক
বয়সে উহা কেমন চাঁপাবাজ ছিল, ভাবলে
অবাক -ই হতে হয় !

হায়! এখন এই রকম একটা অল রাউন্ডারের ব্লগে
ভকর ভকর ছাড়া উহার আর কোন কাজই নাই !

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:০২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




বলেছেন চাঁপাবাজ

"চাঁদ" আর "চাঁপাবাজ" চঁ তে কত মিল।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যুদ্ধের মতো লাভজনক ব্যবসা একটাও নাই। যেগুলো হিসাব দিলেন, ওগুলো প্রকাশ্য লাভ। অপ্রকাশ্য লাভের কোন শেষ নাই।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একদম

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিশ্ব মোড়লদের জন্য যুদ্ধ অবশ্যই একটি লাভজনক ব্যবসা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই লাভজনক ব্যবসাকে সফল হওয়ার জন্য মুসলিম সমাজ কেনই বা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে সহজেই? কেনই বা তারা বুঝতে পারে না তাদের এই জিহাদি জজবা গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ধ্বংস ও সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে আনে ? কেনই বা মুসলিম সমাজ এরদোগান, বারাদার, বাগদাদীদের মতো যুদ্ধবাজদের সম্মিলিতভাবে বর্জন করতে পারে না? যে যুদ্ধবাজরা গোটা জাতিকে টেনে নিয়ে যায় এই পুতুল নাচের রঙ্গমঞ্চে?

২১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ইসলামই কেন সমস্যা? তার উত্তর স্যামুয়েল পি.হান্টিংটনের দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়ার্ল্ড অর্ডার এ পাওয়া যাবে। কারন অন্যরা যত সহজে পশ্চিমা জায়নবাদী মতবাদ খেয়েছে, মুসলিমরা তা খাচ্ছে না। তাই বিশ্বব্যপি ইসলামকে ভয়ংকার করে তুলে ধরতে হচ্ছে। তাছাড়াও ক্রুসেডিয় ক্ষোভ তো আছেই

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: তাহলে আফগান যুদ্ধ আমেরিকার নিট লাভ কি দাড়াল ???

২১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



গবেষণা লাগবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.