নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে অনুচ্ছেদ ১৮ এর (২)'এ রাষ্ট্রকে পতিতাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্র কি সেটা করছে?
ভাগাভাগিতে টান পরে হোক বা অন্য যে কারণেই হোক, বছরের পর বছর যা কানাঘুষা হতো ছাত্রলীগের একাংশ আজ তা জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে। যে কাজ তারা করেছে তা রীতিমতো গর্হিত অপরাধ। কোথায় এদের আটক করে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি ওঠার কথা ছিল, তা না করে বিয়ে-শাদির বিষয় টেনে এনে কৌতুক বানানো হচ্ছে। ভাবা যায়, জাতির চিন্তা চেতনা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা কোন পর্যায়ে নেমে এলে এমনটা হতে পারে!?
এটা ঠিক যে কেবল ইডেন নয় প্রায় প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রলীগের নারী নেতৃত্বে আসতে গিয়ে দেহ সেক্রিফাইস করতে হয়। কিছুদিন আগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ফোন আলাপেও এটা বোঝা গেছে।
এটাতো গেল লীগের পদ পাওয়ার বিষয়, এর বাহিরেও হলে থাকার সুযোগে প্রায় প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কমবেশি কতিপয় সাধারণ মেয়ে প্রেমিকের বিছানার যায় এটাও অস্বীকার করা যাবে না, এবং সেটা সেচ্ছায়'ই যায়। এই কতিপয় মেয়েদের জন্য প্রত্যেক মেয়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতটা যৌক্তিক?
আবার আর্থিক লোভ, টানাপোড়েন, কিংবা ব্লাকমেইলিংএর শিকার হয়েও কতিপয় মেয়ে ছাত্রলীগ বা অন্য কারো মাধ্যমে গণিকাবৃত্তিতে জড়িয়ে যায় এটাও সত্যি, তবে এক্ষেত্রেও কতিপয় মেয়েদের জন্য সকল মেয়েকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখাটা অযৌক্তিক এবং অমানবিকও বটে।
অপরকে নিয়ে কৌতুক করতে তো বেশ মজাই লাগে, কিন্তু যাদের নিয়ে কৌতুক করা হচ্ছে তাদের অবস্থা কি ভেবে দেখা হচ্ছে? আপনি যে প্রতিষ্টানে লেখাপড়া করেছেন তা নিয়ে যদি এমনটা বলা হতো তবে আপনার কাছে কেমন লাগতো? গুটিকয়েক মেয়ের কারণে সামাজিক ভাবে লাঞ্ছনা বা অপমানের শিকার হয়ে কোন নিরপরাধ মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে এর দায় কে নেবে?
তবে যারা শিক্ষার্থীদের দ্বারা গণিকাবৃত্তি করায় তাদের বিচার হওয়া দরকার। আপামর জনতা এখানে বিয়ে-শাদিকে টেনে এনে কৌতুক করলেও প্রগতিশীল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং নারীবাদীদের তো এ বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাজপথে নামা কথা, কিন্তু তারা কি সেটা করছে?
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শুধুমাত্র পুকুর কিংবা নদীতেই রাঘব-বোয়াল ধরা হয়, আর চুনোপুটি ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য সব খানে চুনোপুটিই ভাজি হয়!
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় লেখক শংকরের "জন অরণ্য" নামের একটা উপন্যাসের শেষ অংশটা এমন ছিলো, 'উচ্চাকাঙ্খী উচ্ছৃঙ্খল একজনের জন্যে হোটেলে উপহার হিসেবে এক বেকার যুবক এক মেয়েকে উপহার দিতে গিয়ে,দেখে মেয়েটি তার বন্ধুর বোন।'
এই যে অসহায় মেয়েদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যারা নিজের কাজের জন্যে বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে উপঢৌকন দেয় আর যারা এই উপঢৌকন গ্রহণ করে, আনন্দ করছেন,উপভোগ করছেন। জীবন ঘুরে যেতে কতক্ষন লাগে!? একদিন যদি তাদেরই প্রিয় আত্মজাকে অন্যের মনোরঞ্জনের জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়! এই কতাটা যদি সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন একবারও ভাবতো!
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নাহল তরকারি বলেছেন: এদেশে থাকতে ভয় লাগে।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩১
কামাল৮০ বলেছেন: এটা শুধু ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না।সমাজের অনেক স্তরে এটা বিস্তৃত।এটা মানুষের আধিম ব্যবসা।এটা ছিলো আছে থাকবে।
জুল ভার্ন,ঋত্বিক ঘটকের সুবর্ন রেখায় দেখা যায়,মেয়েটি তার আপন বোন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৪
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ভালো বলেছেন।