নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামিলীগকে যে কারণে নিষিদ্ধ করতে হবে!

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩০


জেনজেড শুধুমাত্র আওয়ামিলীগকে ক্ষমতায় থাকতে দেখেছে, বিরোধীদলে থাকতে দেখেনি। কারণ আওয়ামিলীগ যখন বিরোধীদলে ছিল, এদের তখন কিছু বোঝার মতো বয়স হয়নি। আমি আওয়ামিলীগের বিরোধীদলীয় ভয়াবহ রূপ দেখেছি। গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা, লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা সহ এমন কোন কাজ নাই এরা করেনি। আওয়ামিলীগ হরতাল ডাকলে সারা দেশ থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হতো। রাস্তায় একটা রিক্সা নামলেও হাওয়া ছেড়ে দেয়া হতো, কোন দোকান খুললে সেটাকে ভাংচুর করা হতো। ভয়ে কেউ রাস্তায় নামতে সাহস পেত না।

জেনজেড কি কখনো এমন হরতাল দেখেছে? তারা হরতালে গাড়ি-ঘোড়া চলতে দেখেছে, দোকানপাটও খুলতে দেখেছে। কারণ অন্যকোন দল বিরোধীদলে থেকে আওয়ামিলীগের মতো এতো ধ্জ্ঞ চালায়নি। আবার ক্ষমতায় থাকতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় বাসে আগুন সহ নানান অপকর্মে আওয়ামিলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা জড়িত। নিজেরা অপকর্ম করে বিরোধী দলের উপর দায় চাপায়।

আমি বলছি না যে অন্য দলগুলো একেবারে সাধু। তবে অন্যদের সাথে আওয়ামিলীগের তফাত হচ্ছে, এরা রাস্তায় নেমেই চড়াও হয়। অন্যরা পুলিশের উসকানির পর চড়াও হয়। তবে অন্য দলগুলো আওয়ামিলীগের মতো এতো ভয়ংকর হতে পারে না, যদি তাই হতো তবে আওয়ামিলীগ ভোট চুরি করে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। এবার দেখেন, দুদিন না যেতেই রামদা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এবার চিন্তা করেন ভবিষ্যতে আরো কত ভয়ংকর হতে পারে! ওয়াল্ড টাইমসের ভেরিফাইড এক্স একাউন্টে এসেছে ক্ষমতায় ধরে রাখতে হাসিনা শেষে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ নিতেও চেষ্টা করেছে, কিন্তু ৪০ মিনিটে ভারতের পক্ষে সেনা পাঠানো সম্ভব ছিল না। এই মহিলা আবারো কোনমতে ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশকে অফিসিয়ালি ভারতের রাজ্য বানাবে। তাই আমার মনে হয় অতিদ্রুত এদের নিষিদ্ধ করা দরকার।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

আহলান বলেছেন: আমার মতে প্রতিটা দলের মধ্যে গনতন্ত্রের চর্চটা জরুরী। তবে আওয়ামিলীগ বিরোধী দলে থাকলেও ওয বি পরিমাণ ভ্যান্ডালিজম করতে পারে, সেটা বিগত বিএনপি'র আমলে জনগন দেখেছে। বর্তমানে শাহাবাগে যে হিন্দু জোট বদ্ধ হয়েছে, আমার মতে এটাও ওদের আয়োজিত। তাই সরকারের এই বিষয়ে কৌশলগত ব্যবস্থা নেয়াটা খুবই জরুরী।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আমিও সব দলের পক্ষে, কিন্তু আওয়ামিলীগের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। এখানে ক্লিক করে আমার এইরলেখাটা পড়ুন

২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়া উচিত এবং আইনের মাধ্যমে এদেরকে শায়েস্তা করা উচিত। মামলা হলে আওয়ামীলীগের বহু নেতা হয় ভেগে যাবে অথবা জেলে যাবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দল নিষিদ্ধ করাটা ভালো নজির হবে না। হাসিনার বিরুদ্ধে এই বারের ১ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা হত্যা এবং ১০,০০০ হাজারের অধিক পঙ্গু এবং অন্ধ বানানোর জন্য সহজেই হাজার খানেক মামলা দেয়া যেতে পারে। গত ১৫ বছরে হাজার হাজার মানুষ হত্যা, গুম এবং নির্যাতন হয়েছে হাসিনার কারণে। তাই আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে মানুষের সহানুভূতির জন্ম হবে যেটা আওয়ামীলীগের পক্ষে যাবে।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




কিন্তু আওয়ামিলীগ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারত বারবার চেষ্টা করবে আওয়ামিলীগকে দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করার

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ভারত সরকার বাংলাদেশের বর্তমান এবং পরবর্তী সরকারের সাথে সুসম্পর্ক করার চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যে তার আলামত পাওয়া যাচ্ছে। হাসিনা এখন ভারতের জনগণের কাছে অনেক মূল্যবান মনে হলেও ভারতের সরকার দলীয় রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিবিদদের কাছে হাসিনা একটা মৃত হায়েনা যার কাছে থেকে ভারতের পাওয়ার কিছু নাই। ভারত তার নিজের স্বার্থে (মুলত সেভেন সিস্টারসের কারণে) বাংলাদেশের কোন সরকারের সাথে ঝামেলায় যাবে না। ভারত জানে যে হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাদের 'র' বাংলাদেশে তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারবে না। তবে আওয়ামীলীগের নেতা এবং পাতি নেতারা হয়তো ভবিষ্যতেও ভারতের দিকে চেয়ে থাকবে সাহায্যের আশায়। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। মোদী কঠিন চিজ। সে হাসিনার সাথে কথাও বলবে না এখন। বরং হাসিনা ভারতে থাকলে ভারতের বিরোধী দল সুযোগ পেয়ে যাবে সরকারের সমালোচনা করার। এই ঝামেলায় মোদী জড়াতে চাবে না।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: আওয়ামী সরকারকে তো ফেলায় দিলেন। আর সেই বস্তাপচা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজী আর মুজিব বন্দনা থেকে মুক্তি পাইলেন। কিন্তু মুক্তি পেয়েই যা শুরু করেছেন, এতে কি জনগণের মন পাওয়া যাবে? আমাদের দেশের ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে কমপক্ষে ৪ কোটি আছে আওয়ামী লীগের সাপোর্টার। এদের চোখের সামনে আপনি
- এদের জনকের মূর্তি ভাঙলেন। গলায় দড়ি বেঁধে শহীদ মিনারে ঝুলিয়ে দিলেন। মাথার উপর পাশাব করে দিলেন। নিচে ফেলে জুতা দিয়ে পেটালেন।
- এদের পূজনীয় ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পুড়িয়ে দিলেন।
- এদের নেতাকর্মীদেরকে যা না তাইভাবে অপমান অপদস্ত করলেন।
- সমর্থকদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিলেন।
- ওদেরকে দিনরাত আতঙ্কিত করে রাখলেন।

আর দম্ভভরে দাবি করলেন যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা যদি দেশের ৪ কোটি মানুষের জন্য নরক যন্ত্রণার কারণ হয়, তাহলে তাকে আপনি কোন যুক্তিতে স্বাধীনতা বলেন? এই ৪ কোটি কি বসে থাকবে? এদের যে যেখান থেকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়ে পারে, আপনাদেরকে এই অপমানের জ্বালা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা চালাবে। ঠিক কিনা কন!

আপনি নতুন সরকার নিয়া যতই উন্নতি করেন, লাভ নাই।
দেশকে আমেরিকার মত সুপার পাওয়ার বানায় দেন, লাভ নাই।
ঘুষ খাওয়া রূপকথায় বানায়া দেন, লাভ নাই।
মাইক্রসফট আর গুগুলের সিইও পদে বাংলাদেশি বসান, লাভ নাই।
নোবেল পুরষ্কার আনেন, আর বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা আনেন, লাভ নাই।

এদের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতেই থাকবে। তারপর কোন একদিন ...

নির্বাচনের মাধ্যমে হোক আর ভারতের আধিপত্যবাদী দখলদারীর মাধ্যমেই হোক, ক্ষমতা দখল করবেই। আর আপনাদের করা প্রত্যেকটা অপমানের প্রতিশোধ পাই পাই করে আদায় করবে। আর প্রতিশোধ নেবার সময় আওয়ামী লীগ কাউকে দয়াও দেখায় না - কাউকে ছাড়ও দেয়না।

কি ভাই নতুন মুক্তিযোদ্ধা? প্রস্তুত আছেন তো সেই দিনের জন্য?

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




৪ কোটি আছে আওয়ামী লীগের সাপোর্টার? বর্তমানে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ। ২০২৪ এর নির্বাচনে ভোট পড়েছে একচুয়াল ২%। ভয় দেখিয়ে আরও ৩%, মোট ৫%। ১১ কোটি ৯১ লাখ এর ২% ২৩ লাখ ৮২ হাজার। এই ২৩ লাখ ৮২ হাজারই লীগের নিট সাপোর্টার। এখন এই লীগের সাপোর্টারের মধ্যেও অনেকে আর আম্লিগকে পছন্দ করছে না ছাত্রদের খুন করার কারনে।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: এগ্লারে অতি সত্বর জেলে ঢুকানো দরকার

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



রামদা, কুড়াল হাতে তারা কি গণতন্ত্রের চর্চা করতে নেমেছেন?

সত্যিকারের জঙ্গি তাহলে কারা?

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার সময় ও ক্ষমতার বাহিরে থাকতেও চরম অরাজকতা করেছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.