নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টরের একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

আমার এক সহপাঠী। ইউরোপের মেয়ে। ঘুরতে পছন্দ করে। তাকে বললাম, বাংলাদেশে বেড়াতে যেতে পারো। তার পাল্টা প্রশ্ন, সেখানে কী মেয়েরা নিরাপদ। কী বলবো। আমতা আমতা করছিলাম। বললাম, ক্ষমতার যে দিকে তাকাবে নারীদেরকেই দেখতে পাবে। সে শুনে গুগল সার্চ দিলো। একগাদা ভিডিও হাজির। নারী শিশু ধর্ষণ নিয়ে এসব ভিডিও। আমার মুখটা দেখার মতো হয়ে গেলো। আমার ধারণা- এরপর সে বাংলাদেশের কোন ছেলের সাথে কথা বলতে একবার চিন্তা করবে। দিল্লীতে ধর্ষণের পর ভারতের অনেক ছাত্রের স্কলারশিপ বাতিল করেছিল বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। স্কলারশিপগুলোর বেশিরভাগ নির্ধারণ করেন অধ্যাপকরা। যেদেশে এত ধর্ষণ, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত মারামারি সেদেশ বা সেরকম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের ঝুঁকি নিয়ে তারা ছাত্র কেন আনতে যাবেন।

দক্ষিণ কোরিয়াতে ভর্তি হওয়ার পর সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বিষয়ে একটা মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থাপন করা হয়, কোরিয়াতে কোন ধর্ষণ নেই। জাপানেও একই অবস্থা। কোন ধর্ষণ নেই। এরপরেই তথ্য উপস্থান করা হয়, শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট দেশের। এরপর বলা হয়, কোরিয়ার মেয়েদের সাথে এগুলো করা যাবেনা। আগের বেশ কিছু সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভিডিও নাট্যও দেখানো হয়। লজ্জায় মাথা এমনিতেই নিচু হয়ে যায়। দেশে ধর্ষিত হলে তা সীমানার মধ্যে রাখার দিন শেষ। আমাদের দেশের তথ্য দেখে আমি অবাক। এত ধর্ষণের মামলা। আমি ডিফেন্ড করে বললাম, বেশিরভােগর ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক চলছিল। পরে সম্পর্কের অবনতি হলে মেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে দিয়েছে। আমাদের আইন এভাবে ধর্ষণের মামলা বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তবে মেয়ে শিশু ধর্ষণের ব্যাপারটা ডিফেন্ড কীভাবে করবো। কোন যুক্তি নেই। বর্তমান গ্লোবাল ভিলেজে কোন দেশে একজনের গায়ে বেআইনী একটা আঘাত, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এসব সংঘটিত হওয়ার অর্থ হলো- বিশ্বের কোন একটা সূচকে দেশের একধাপ নিচে নেমে যাওয়া। এটা অন্য কোন দেশে যেতে গেলে সেদেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার পাসপোর্ট হাতে নেয়ার দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়।

এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারির বিষয়ে। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সার্চ দিলে ভালো কোন আবিস্কার বা গবেষণার খবর পাওয়া যায়না। মারামারির বিভৎস চিত্র ভেসে ওঠে। বিভিন্ন দেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত হাতুড়ি পেটা থেকে শুরু করে পৈশাচিক সব ধরণের বিবরণ দিয়ে মারামারি আর খুনের তথ্যে ভরা রিপোর্টগুলো পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম পা রেখেছিলাম, অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। আমি তখন রেজিস্ট্রার ভবনে ভর্তির টাকা জমা দিয়ে ফিরছিলাম। মলচত্বরে লাল্টু পিন্টু গ্রুপের তুমুল গুলিবর্ষণ শুরু হলো। আধঘন্টা ধরে চলেছে গোলাগুলি। ফলাফল দুইজন স্পট মার্ডার। শিক্ষা ব্যবস্থার কথা কী বলবো। না পড়লেও চলতো। পরীক্ষার একমাস আগে পুরানো কিছু বাংলা নোট। দেখেই পরীক্ষার হলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হতে পারে ধরেই নিতে হবে তাদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা আছে। একারণে তাদের না পড়লেও চলে। শুধু পরীক্ষার আগে পড়ে সহজেই পার পেয়ে যায়। এখন হয়ত সেমিস্টার সিস্টেম চালু হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে মনে হয়না। আমার মতে, দেশের বিশইবদ্যালয়ের চিত্র মুহূর্তে তুড়ি মেরে পাল্টে দেয়া সম্ভব। এজন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবেনা। কোন শাস্তি বৃদ্ধির দরকার নেই। শুধু আন্তর্জাতিক মানটা লেখাপড়ায় এনে দিতে হবে। ব্যস। কীভাবে?

আমি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, পরে আবার রেক্টরের পিএসও ছিলাম। সেখানে ২৫-২৬টি ক্যাডারের অফিসাররা প্রশিক্ষণ নেয়। এদেরকে এক মুহূর্তও বেকার থাকতে দেয়া হয়না। একটু ফ্রি থাকলে ইউনিভার্সিটির মতো ক্যাডারে ক্যাডারে মারামারি হতো। পাস করতে হলে অন্য চিন্তা করার সুযোগ সেখানে দেয়া হয়না। এই কোরিয়াতে যেখানে পড়ছি, স্টুডেন্টদের শুধু পড়তেই দেখা যায়। আড্ডা দেয়ার সময় কোথায়? আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিক্স বিষয়ে অনার্স আর মাস্টার্সে যা পড়ানো হয়, আমার এখানে তিন মাসে তা শেষ করেছে। বুঝতেই পারছেন। মাথার ওপরে জোনাক জ্বলে। তার ওপর পচিশভাগের বেশি এ গ্রেড দিতে পারেন না প্রফেসর। সিস্টেম গ্রহণ করেনা। এজন্য প্রশ্ন যত কঠিন করা যায়- প্রফেসর তা করেন। আমাদের দেশে সহজেই মাস্টার্স পাস করা যায়, কোন থিসিস ছাড়া, গবেষণা ছাড়া। উচ্চ শিক্ষা এভাবে নিম্নশিক্ষার মতো সহজ করার সাইড অ্যাফেক্ট হচ্ছে এসব মারামারি। তেল আর ঘি এক দাম হওয়ার ফলাফল এসব।

এমআইটি বা হার্ভার্ডের কোর্স কারিকুলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করে দিন, সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা চালু করুন। প্রকাশযোগ্য গবেষণা নিশ্চিত করুন। দুই তিনবারের বেশি টাইম ফেল করলে আটোমেটিক সিস্টেম থেকে নাম বাদ যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন, কিছু লাগবেনা। অটৈামেটিক সব ঠিক হয়ে যাবে। মারামারি কেন ছেলেমেয়েরা একে অন্যের দিকে তাকাতেও সময় পাবেনা। গ্যারান্টি। শিক্ষকরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পারদর্শী। একজন আমলা সাত জন্ম নিলেও একজন প্রফেসরের মতো হতে পারবেননা। আবার একজন শিক্ষককে আমলার পদে দেয়ার জ্বালা দেশের মানুষ বাংলাদেশে ব্যাংকের ঘটনায় কেয়ামত পর্যন্ত মনে রাখবে। কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব মডেল হিসেবে একজন আমলাকে দিয়ে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে প্রশাসনে এসেছেন, আজীবন প্রথম হয়েছেন, এমন অফিসারও প্রশাসনে আছেন। তাদের একজনকে কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দেখা যেতে পারে। পরিবর্তনটা তখনই চোখে পড়বে। আর তা হলো- এটা বাংলাদেশে করা সম্ভব। কারণ বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবি।


সাউথ কোরিয়া
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

একাল-সেকাল বলেছেন: প্রথমতও ছাত্রলীগের লাগাম টানা জরুরি,
মনে রাখতে হবে, ভাল ইমাম সাহেব আসলেই মসজিদ থেকে জুতা চুরি বন্ধ হয়না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সিস্টেমে ফেলতে হবে। ফেরআউনরা ভেবেছিলো মৃত্যুর পরও লোকজন যাতে তাদের দরবারের মতো কুর্ণিশ করে ঢোকে। এজন্য তারা পিরামিডের দরজা নিচু করে বানিয়েছে। এখন ঢুকতে গেলেই মাখা নিচু করে ঢুকতে হচ্ছে। এটা সিস্টেম। সিস্টেমে ফেলে দেন, দেখবেন, আর কিছূ করার দরকার নেই।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

একাল-সেকাল বলেছেন: তাহলে ভি।সি সহ টিম ওয়ার্ক করা পূর্ব শর্ত বলেই আমার মনে হয়। তারপর শিক্ষার মান দণ্ডের কথা আসে। বর্তমান সরকার এ পথে এগুবে কিনা সেটা নিয়েও সংসয় আছে। ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় যে কোন দেশের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারে। পাশাপাশি সহপাঠিনীর সঙ্গে যে বিষয়টি শেয়ার করেছেন উপ মহাদেশের দেশগুলোর পক্ষে নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এখানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা এমন কি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তারাও নিরাপদ নয়। গত 10-12 দিন আগে হায়দ্রাবাদের এক পশু চিকিৎসককে ধর্ষণের পর অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করার ঘটনা সারা বিশ্ববাসী দেখেছে।

পোস্টের পাশাপাশি আপনার বিশ্লেষণ করার পারদর্শিতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। লেখার ভঙ্গিমায় ভীষণ সুন্দর।++ এমন বিশ্লেষণধর্মী আমাদের মত অনেকের কাছে অনুকরণীয় বটে। যেখানে বিষয়বস্তু দুঃখজনক হলেও আপনার লেখায় পারদর্শিতার কারণে পোস্টে লাইক।


শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আপনিও খুব সুন্দর করে মন্তব্য লিখতে পারেন। মন্তব্যের পারদর্শিতা নিঃসন্দেহে বড় ধরণের কারিশমা। কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

হাবিব ইমরান বলেছেন:

বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র রাজনীতি উঠিয়ে দিলেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের হয়ে উঠবে, শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবো। তখন হাভার্ড আর এমআইটি থেকে কারিকুলাম ধার করতে হবে না। যেখানে পড়াশুনার পরিবেশই নেই, সেখানে এমআইটি আর হার্ভাডের কারিকুলাম কোথায় প্রয়োগ করবেন? পলিটিকাল সাইন্সের প্রাকটিক্যাল ( রাজনৈতিক মারামারি) ক্লাসে?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেশ থেকে রাজনীতি দূর করা যাবেনা। এই ফ্যাক্টর কনস্ট্যান্ট। বাকীগুলো ভেবে দেখতে হয়। উচ্চশিক্ষা অন্যদেশের মতো করে দিন না। দেখবেন, উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে মারামারি হবেনা। রাজনীতি করার লোকও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: দরকারী পোষ্ট।
আমাদের মতো দরিদ্র দেশে কোনো কিছুরই মান নেই। এমনকি এখানে মানুষেরও মান নেই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। মানুষের মান নেই। কথাটা মনে ধরেছে।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৯

নতুন বলেছেন: রাজনিতি করে টাকা কামানোর রাস্তা আর ক্ষমতা পেয়েগেলে পাস ফেল দিয়ে কি করবেন?

রাজনিতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনি হচ্ছে ছাত্রদল/লীগ.... এদের পেশি শক্তি ব্যবহারের বিনিময়ে তাদের ক্ষমতা আর টাকা দেওয়া হচ্ছে তাই সাটিফিকেটের জন্য এতো কস্ট করে বিদেশি কারিকুলামে পরিক্ষা দিয়ে পাশ করতে যাবেনা।

ছাত্র রাজনিতি বন্ধ করতে হবে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কারিকুলাম তৌরি করতে হবে, দূনিতি কমাতে হবে, তবেই ছাত্ররা পড়াশুনায় মন দেবে, ।

সবার আগে আমাদের নিজেদের ভন্ডামী ছাড়তে হবে, ভালো মানুষ হতে হবে। তবেই সমাজ ভালো হবে, ছেলেপুলেও ভালো হবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: খুব কম ছেলেই এইচএসসি লেভেলে রাজনীতি করে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। যারা রাজনীতি করে ফার্স্ট ইয়ার থেকে রাজনীতিতে জড়ায়। অর্থনীতির ইকুয়েশন যদি তাদের সামনে ধরিয়ে দেয়া যায়, ফার্স্ট ইয়ার থেকেই দৌড়ের উপরে থাকবে। রাজনীতি করার সময় থাকবেনা। ফেল করলে তো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ পড়বে।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। মানুষের মান নেই। কথাটা মনে ধরেছে।

অথচ সরকার দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলে বলে মুখে ফেনা তুলছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। একথা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে মানুষের মধ্যে সোসাল ক্যাপিটাল কমেছে। এটাই উদ্বেগের।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: সহমত জানাচ্ছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

নূনের বাপ বলেছেন: #চমৎকার ভাবনা। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে ?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই বাঁধতে হবে।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: প্রচলিত শিক্ষাব্যাবস্হার পরিবর্তন এনে কারিগরি শিক্ষাব্যাবস্হার উপর জোর দেয়া হোক। সকলকে কেন উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে। আর ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ আদুভাইদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে। আদুভাই অর্থাৎ যারা যুগের পর যুগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস না করে পড়ে থাকে রাজনীতির জন্যে। আদুভাই তৈরীর সিষ্টেমই বন্ধ করে দিতে হবে। আর সেমিষ্টার সিষ্টেমে বিশেষ করে গবেষনার দিকে জোর দিতে হবে। এই গবেষনার ক্যালচারটা রাতারাতি গড়ে উঠবে না, সময় দিতে হবে। কারন এর জন্যে মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরীতে সময় লাগবে। আর প্রয়োজন মেরুদন্ডসম্পন্ন উপাচার্য নিয়োগ, কিছু শিক্ষক নামক কুত্তা বিতাড়ন করা অর্থাৎ লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি করে যেসকল শিক্ষক নিজেদের আখের গুছাচ্ছে সেইগুলো।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এমআইটি বা হার্ভার্ডের কোর্স কারিকুলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করে দিন, সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা চালু করুন। প্রকাশযোগ্য গবেষণা নিশ্চিত করুন।

ভাই, এই কথা যে বললেন এই কারিকুলাম ইমপ্লিমেন্ট করবেন কিভাবে ? আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি । ইউনিভার্সিটি ভৰ্তি পরীক্ষার খাতা দেখছি -ফারাক্কা বাঁধ কোথায় ? এর উত্তরে এক ছাত্র বা ছাত্রী লিখেছে মালদ্বীপে ! এই পড়াশোনার মান নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে এলে তাকে হার্ভার্ডের কোর্স কারিকুলাম দিলে হবে ? একবার ইউনিভার্সিটিতে ইন্ডিভিজুয়াল ডিপার্টমেন্টের ওপর দেওয়া হলো ভর্তি পরীক্ষা নেবার দায়িত্ব । আমার ডিপার্টমেন্টের জেনারেল নলেজ সেকশনের প্রশ্ন আমি সিলেক্ট করলাম । হাইস্কুলে পড়বার সময় যে জিনিসগুলো আমি জানতাম সে'রকম প্রশ্নই আমি করেছিলাম জেনারেল নলেজ সেকশনে । চার পাঁচ হাজার ছেলে মেয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলো সাত বা সত্তুরটা সিটের জন্য । অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের টিচাররা ভর্তি পরীক্ষায় গার্ডের কাজ করেছিলেন । আমাদের ডিন থেকে শুরু করে অনেক টিচারই আমাকে সেদিন বলেছিলেন জেনারেল নলেজ সেকশনের প্রশ্ন খুবই কঠিন হয়ে গেছে ভর্তি পরীক্ষার জন্য । আমাদের স্পর্টস ডিপার্টমেন্টের এক ডেপুটি ডাইরেক্টর যিনি গার্ডের কাজ করেছিলেন সেদিন আমাকে বলেছিলেন তোমার এই প্রশ্নেতো অনেক টিচারও পাশ করতে পারবে না জেনারেল নলেজে !! অথচ ওই প্রশ্নের উত্তরগুলো আমি স্কুলে থাকতেই জানতাম । আমাদের ডিপার্টমেন্টে ইংলিশ ম্যান্ডেটরি ছিল ফার্স্ট আর সেকেন্ড ইয়ারে যেহেতু বেশিরভাগ বই ছিল ইংলিশে । ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী কোয়ালিফাইং নাম্বার না পাবার জন্য ইংলিশের কোয়ালিফাইং নাম্বার কমাতে হয়েছিল আমাদের ।প্রাইমারি স্কুল থেকে যদি ছেলে মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে প্রিপেয়ার না করা যায় তাহলে আপনি হঠাৎ ইউনিভার্সিটিতে ছেলে মেয়েদের পড়ার জন্য অনেক উঁচু স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে পারবেন না ।সব ফেল করবে ।

সব খোল নলচে বদলাতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থার ।নইলে কিছুই করা যাবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.