নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টরের একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোলাইমানি হত্যায় আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

ফেসবুকে এখন ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ডস-এর এলিট ফোর্স কুদস ফোর্স বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানির ছবি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পরই তার নাম জানতে পেরেছেন। এরপর শোক জানাচ্ছেন। কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারের চেষ্টা করছেন। হঠাৎ করে তার জন্য আবেগ উথলে উঠেছে। এজন্যই আমার এ লেখাটা। সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের দেশের মানুষ ইসলাম শুনলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেটা কী দীন ইসলাম নাকি কোন ব্যক্তি নূর ইসলাম সেটা বুঝতে পারেননা। সমস্যাটা এখানেই। সোলাইমানির জন্য শোক জানাবেন না চুপ থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন সেটা বুঝতে হলে, দুইটা বিষয় বুঝতে হবে। এক হলো শিয়া ও সুন্নী সম্পর্ক। আরেকটি হলো ইরাক-ইরান ও আরবের আঞ্চলিক রাজনীতি। বিশ্লেষণ করতে হবে- ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন এবং তার পরবর্তী ইরাকের শাসনামল।

প্রথমে আমি শিয়া ও সুন্নীদের বিষয়ে একটা ধারণা দিতে চাই। আমরা বাংলাদেশে বেশিরভাগ সুন্নী। শিয়াও কিছু আছে। তবে এদেশে তারা সংখ্যায় খুব কম। পুরাতন ঢাকায় হোসনি দালানকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ে। আর মোহাম্মদপুরে বিহারী ক্যাম্পে কিছু আছে। স্বল্প এসব মানুষের কী যে জ্বালাতন তা ওই এলাকার লোকজন বুঝতে পারেন। একারণে বেশ কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মানুষ বিরক্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। যাই হোক, তাদের সংখ্যাটা বেশি হলে- শিয়া কী জিনিস তা এদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেতেন। আসলে শিয়া কী? শিয়া অর্থ অনুসারী বা দল। এদের মধ্যে এত দল আর উপদল আছে, তা চিন্তাও করা যায়না। প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। এজন্যই তাদের শিয়া বলা হয়। শিয়াদের সাথে সুন্নীদের মুল পার্থক্য দুইভাবে। এক. সুন্নীরা মনে করে আমাদের ইজতেহাদ করার ক্ষমতা শেষ। ইজতেহাদ মানে মাসয়ালা উদ্ভাবন করার ক্ষমতা। এটা সাহাবী তাবেয়ী আর তাবে তাবেয়ীর যুগ পর্যন্ত ছিল। আমরা সুন্নীরা এজন্য মাজহাব মানি। মাজহাবের প্রবর্তকগণ তাবেয়ী বা তাবে তাবেয়ী ছিলেন। তারা যে মাসয়ালা দিয়ে গেছেন সেগুলো অনুসরণ করি। অথবা কেয়াস করি। অন্যদিকে শিয়ারা যেহেতু এখনো ইজতেহাদ করেন, সেজন্য তারা একজন জীবিত ইমামকে মানেন। যতজন ইমাম তত পথ। তত মতবাদ। শিয়াদের ইমামরা প্রভাবশালী। সাদ্দাম পরবর্তী একজন ইমাম বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন ইরাকে। তার নাম মুকতাদা আল সদর। তার পিতাও ছিলেন ইমাম। তাকে সাদ্দাম হোসেন হত্যা করেছিলো। যাই হোক, আরেকটি পার্থক্য হলো- এদের আকীদা বা মতবাদ। আগেই বলেছি, তারা বহুদলে বিভক্ত। সবচেয়ে গোঁড়া মত হলো- জিবরাইল ভুল করেছিলেন, আসলে ওহী দেয়ার কথা আলী রা. এর কাছে। ভুল করে তিনি হযরত মুহাম্মদ দ. এর কাছে গিয়ে ওহী নাযিল করেছেন। আর আমাদের কাছাকাছি বা নরম মতবাদ হলো- মহানবীর ইন্তেকালের পর খলিফা হওয়ার হকদার ছিলেন আলী রা.। তাকে খেলাফত না দিয়ে তিনজন খলিফা হযরত আবু বকর রা., হযরত ওমর রা. ও হযরত ওসমান রা. বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এজন্য শিয়ারা যখন হজ্জ্ব করতে যান, তারা মহানবীর রওজা জেয়ারেতর পর তিনজন খলীফার মাজারের দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেন। হযরত আলী রা. এর রওজাই তারা সম্মানের সাথে জেয়ারত করেন। এদের নামাজ রোজাও একেক ইমামের অনুসারীরা একেক রকমের করে। বলতে গেলে দিন শেষ হয়ে যাবে। এই হলো বেসিক পার্থক্য শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে। যারা সুন্নী দাবি করছেন, তাদের দলও অনেক। মতভেদের অন্ত নেই। এদেশেই কেউ একদিন আগে রোজা, ঈদ পালন করে। কেউ বিড়ি খাওয়া ভালো কাজ মনে করে। আবার কেউ বলেন হারাম। কেউ মাজারের পক্ষে। কেউ বিপক্ষে। কেউ জামাতি। কেউ ওহাবি। কেউ সুফিবাদী। মাজারের ভক্ত। যাদেরকেই আমার সঠিক বলে মনে হয়। এরা ইতিহাসে কখেনোই ইসলামের নামে কোন উগ্র কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো না। এগ্রুপের সবাই নিজেদের সুন্নী দাবি করেন। তবে যেখানে সংখ্যায় বেশি শিয়া সুন্নী আছেন, সেখানে হানাহানি লেগেই আছে। দুদল ই দুদলের মসজিদে বোমা হামলা করে বহু মানুষ খুন করারও রেকর্ড আছে। থাক সেদিকটা।

আমি এবার ইরাকের রাজনীতির দিকে যাবো। ইরাকে ৬৪-৬৮ শতাংশ শিয়া মুসলমান। আর সুন্নী মুসলমান হলো ৩০-৩৪ শতাংশ। ইরাকের সাদ্দাম হোসনে ছিলেন সুন্নী। তার আমলে ইরাকে তিনটি গ্রুপ ছিল। ইরাকীদের মধ্যে একটি সুন্নী আরেকটি শিয়া গ্রুপ। আরেকটি কুর্দী গ্রুপ। কুর্দীদের সংখ্যা ২০ শতাংশ। এর পর আছে ইরাকি তুর্কী জনগণ। এবার তাহলে বুঝে নিন, মাত্র ২০-২৫ ভাগ মানুষের সাপোর্ট নিয়ে সাদ্দাম হোসেন কীভাবে রাজত্ব করেছেন? হিসাবটা সহজ। শাসন করতে গিয়ে যা দরকার তা করেছেন। কুর্দীরা সুন্নী হলেও ক্ষমতার লড়াইয়ে তাদের ইরাকি আরবীভাষী জনগণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। এই কুর্দী জাতির ইতিহাস পড়লে কান্না আসে। একটি জাতিকে ইরাক ইরান তুরস্কে বসবাস করতে হচ্ছে। তুরস্কের জনসংখ্যার বিশ ভাগ কুর্দী। তারা নিজেদের রক্ষায় পিকেকে গঠন করেও সুবিধা করতে পারেনি। কালে কালে জীবন দিয়ে সংখ্যাই বাড়িয়েছেন। স্বাধীন জাতি হতে পারেনি। সাদ্দাম হোসেন ১৯৮৮ সালে উত্তরপূর্ব ইরাকের হালাবজা শহরে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে ৫ হাজারেরও বেশি কুর্দি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করেন। এতে পঙ্গু হয়েছিল দশ হাজার কুর্দি। সুন্নী হলেও কুর্দীরা ইরাক ইরানের যুদ্ধের সময় ইরানের শিয়াদের মুক্তিদাতা হিসেবে স্বাগত জানিয়েছিল। এ কারণেই তাদের দমন করেছিলেন সাদ্দাম হোসেন। যাই হোক, সাদ্দামের পতনের পর ইরাকে ৭০ টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা নিহত কুর্দিদের। সাদ্দামের পতনের পর আমেরিকা বিপাকে পড়ে যায়। কার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। শিয়ারা সংখ্যায় বেশি। কিন্তু তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হলে প্রকারান্তরে ইরানকে এনে বসিয়ে দেয়ার নামান্তর হবে। এটা আমেরিকা চাইতে পারেনা। এসময় কুর্দীদের জন্য দরদ উঠে আমেরিকানদের। কুর্দী হত্যাকে সামনে এনে মিডিয়া দিয়ে শোরগোল করা হয়। কুর্দীদের হত্যার বিচার সামনে চলে আসে। একারণেই নন আরব জালাল তালাবনিকে ক্ষমতায় বসায় তারা। জালাল তালাবানী একদিকে কুর্দী। সুন্নী মুসলমান। অন্যদিকে সাদ্দামের হাতে গণহত্যার শিকার কুর্দি জনগোষ্ঠির ক্ষোভ কাজে লাগাতে তাকে প্রয়োজন ছিল। এই অভিযোগেই সাদ্দামকে ফাঁসি দেয়া হয়। সাদ্দামের ফাসির পর জালাল তালাবানিরও চাহিদা ফুরিয়ে যায়। সংখ্যাগুরু শিয়া জনগণ জেগে উঠে। একসময় ক্ষমতা চলে যায়-নুরী আল মালিকীর হাতে। এই নুরী কামেল মালিকী শিয়া সম্প্রদায়ের। তার ক্ষমতা লাভের পর শিয়াদের আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইরানের প্রভাব পড়ে ইরাকে। আমেরিকা দেখে হায়, এ কী করলাম! সাদ্দামকে হটিয়ে ইরানকে ক্ষমতাবান করে দিলাম। ইরাকের রাজনীতি সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের কাছে চলে যায় বলে আমেরিকার প্রভাব কমতে থাকে। আমেরিকা একসময় ইরাক ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে আমেরিকা প্রতিশোধ নেয়ার চিন্তায় মশগুল হয়ে পড়ে।

এদিকে সুন্নীদের একটি অংশ বৈষম্য আর ক্ষমতা হারানোর বেদনায় ক্ষুব্ধ ছিলো। আমেরিকা তাদেরকেই কাজে লাগাতে সিদ্ধান্ত নেয়। এটা এখন ওপেন সিক্রেট, যে আমেরিকার মদদেই গঠিত হয় দায়েস বা আইএস। তারা সুন্নী নামধারী একটা গ্রুপ। তবে ক্ষমতা দখলের পরপরই একটা মাজার ভেঙ্গে ফেলায় আমি নিশ্চিত হয়ে যাই তারা আর যাই হোক আমাদের মতো সুন্নী না। ওহাবী আর লামাজহাবীদের খিচুরি একটা গ্রুপ। তারা শিয়াদের হটিয়ে ইরাকের কিছু অংশ দখলও করে নেয়। আইএস ইরাক ও সিরিয়ার একটি অংশ দখলের পর অনেক গ্রুপ এখানে সম্পৃক্ত হয়। ফলে কয়েকমুখী দ্বন্দ্ব আর সংঘাত লাগে। কে কাকে যে আক্রমণ করে তা ঠিক করাই কঠিন ছিল। আমি নিজে ফলো করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি। তবে একটি ছিল আসাদের পক্ষে আরেকটি আসাদের বিপক্ষে। এভাবে ধরে নিলে ইকুয়েশন করতে সুবিধা হয়। এখানে ধর্ম উদ্দেশ্য ছিলনা, সবই যার যার স্বার্থে আইএস এর পক্ষে বিপক্ষে যোগ দেয়। আইএসকে দিয়ে দুটি কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল। একটি হলো ইসলাম ধর্মের শান্তি ভাবমুর্তিতে আঘাত করা। দ্বিতীয় হচ্ছে, শিয়াদের শায়েস্তা ও আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আমেরিকা আইএসকে একটা সুযোগ হিসেবে নেয়। তারা ভাবে আইএস ব্যবহার করে নিজ দেশের বিরোধী লোকজনকে দিয়েই আসাদকে ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে। পরে আইএস দমনের নামে ইরাকে আবার আক্রমণ করা যাবে। কিন্তু তার আগেই আইএসের বিরুদ্ধে কয়েকমুখী যুদ্ধ শুরু হয়। যোগ দেয় ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়া। এখানে আর উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি আমেরিকা। কারণ হলো ইরান। আর এখানেই দেখা মিলবে সোলায়মানির। সোলায়মানি ইরানের অফিসার। আইএস বিরোধি যুদ্ধে তিনি পড়ে থাকতেন ইরাকে আর সিরিয়ায়। সেলায়মানির কৌশলের কাছে আইএস যেমন ধরা খেয়েছে, তেমনি আমেরিকার কৌশলও কোন কাজে আসেনি। আইএস বিরোধী যুদ্ধ থেকে কম ফায়দাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সিরিয়ার বাশারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যায়নি। সব ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে সোলায়মানির উপরে। এজন্য ইরাকেই মারা হয়েছে তাকে।

এবার আসি সোলায়মানি কী করেছেন। তিনি লেবাননে হিজবুল্লাহ তৈরি করেছেন। হিজবুল্লাহ শিয়াদের সংগঠন। হামাস গঠনেও তার ভূমিকা আছে। দুটি সংগঠনই মুসলমানদের কোন উপকার করতে পারেনি। উল্টো তাদের কারণে অগণিত মুসলমানদের রক্তক্ষয় হয়েছে। হামাসতো ফিলিস্তনকে দ্বিখন্ডিত করে শক্তি কমিয়েছে ফিলিস্তিনি অধিকার আদায়ের রাজনৈতিক সংগ্রামকে। ইয়ামেনের যুদ্ধে হুতিদের পেছনেও আছেন তিনি। সেখানে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরছে। আইএস দমনের নাম করে ইরাক সিরিয়ায় অনেক সুন্নী মুসলমানের রক্তের দাগ আছে তার হাতে।

কথা হলো- শিয়ারা জিতলে সুন্নীদের লাভ কী! আসলে কোন লাভই নেই। আমার কাছে সোলাইমানির ব্যাপারটার সাথে ধর্মের কোন যোগসূত্রই নেই। আছে রাজনীতির যোগসূত্র। দেশের স্বার্থ। শিয়াদের স্বার্থ। এ অবস্থায় সোলায়মানি হত্যাকান্ডে আমরা কী নিন্দা জানাবো না কী চুপ থাকবো! আমার মতে, যেহেতু ইসলাম ধর্মের কোন বিষয় না, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে শিয়াদের প্রভাব বাড়ানোর একটি মিশনে যুক্ত ছিলেন সোলাইমানি, সেহেতু সুন্নী মুসলমান হিসেবে আমাদের আগ বাড়িয়ে শোক দেখানোর কিছু নেই। আমার মতে, আমরা যেখানে সংশ্লিষ্ট নই সেখানে আমাদের চুপ থাকাটাই শ্রেয়। না জেনে শুধু শুধু ইসলামকে টেনে আনার মানসিকতা সবার জন্য ক্ষতিকর।


দক্ষিণ কোরিয়া,
৪ জানুয়ারি ২০২০

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইরানী টাকায় বাংলাদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় মসজিদ উঠেছে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ইরানি আর সৌদী টাকায় বাংলাদেশে মুসলমানদের কী লাভ হয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর টাকা আসছে। রাবেতা ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নাম করে। ধর্মের নামে জঙ্গী কার্যক্রম আর জামাত পালন হয়েছে।
অথচ সবার চোখের আড়ালে সাওতালদের খ্রীস্টান বানানো হলো। অর্থ এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। সৌদির টাকা সাওতাল কেন নন মুসলিমদের জন্য কাজে লাগেনি।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা দরিদ্র দেশ। আমাদের কথা কে শুনবে? আমাদের নিজেদের সমস্যার শেষ নেই।
তবু আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে হুজুরেরা মাইক নিয়ে চিল্লাচিল্লি করবেন। ট্রাম্পের বিচার দানি করবেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেখার বিষয়। কারা মিছিল বা সমাবেশ করেন। তবে জামায়োতের কথা ভিন্ন। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট খাতামির বাংলাদেশ সফরকালে তাদের অফিসে রুহানীর ছবি টাঙ্গিয়ে ছিলো।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ আমাদের দেশের কুকুর খেয়ে শেষ করে ফেলছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে শিয়াল খায়, এদেশের মানুষও তেমনি কুকুর খায়। প্রেক্ষিতটা একই রকমের।
আমাদের দেশে কিছু মানুষ মনে করে, শিয়ালের মাংস খেলে বাত ব্যথা সেরে যায়। এদেশেরও কিছু মানুষ মনে করে কুকুরের মাংষ খেলে শক্তি বাড়ে।
সবাই খায়না। কুকুরের মাংস আজও দেখি নাই। অন্য যারা দীর্ঘদিন আছেন তারাও দেখেছেন বলতে পারেন নি। কুকুর জবাই করা নিষিদ্ধ এখানে।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোনো প্রতিক্রিয়ারই দরকার নেই, কোনো কাজেই আসবে না | বিশ্বের সবচাইতে দরিদ্র, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে আপেক্ষিকভাবে অনগ্রসর মুসলিম জাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বে কোনো প্রভাব পড়বে না | সকল ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়বে মুসলিম জনগোষ্ঠীগুলোর নিজেদের মধ্যেই, ক্ষতিগ্রস্থ হবে নিরীহ পাবলিক |

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত। ভালো বলেছেন।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলমানেরা যাতে বিভিন্ন দলে আলাদা বা বিভক্ত না হয়ে যায়, নবীজীও (স) চিন্তিত ছিলেন।
সে জন্য আয়াতও নাজেল হয়েছিল।

সূরা আন-আমর এর ১৫৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন ‘যারা দ্বীন সন্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন, দলে বিভক্ত হয়েছে হে নবী! তাদের সাথে তোমার কোনও সম্পর্ক নেই;
এরপরও খলিফারা, সাহাবিগন, ইমামগন নিজস্ব স্টাইলে নিজেদের সুবিধামত মতবাদে নিজেদের নামে ইসলাম চালু করছিলেন। একপক্ষ অপর পক্ষকে কাফের বলে গেছেন।
তাদের চ্যালারাও নিজস্ব উপ মতবাদ সেটাকেই খাঁটি ইসলাম বলে চালু করেছিলেন।
এরপর আধুনিক কালে মওদুদি, কাদিয়ানি, বাহাউল্লা (বাহাই) ইত্যাদি কথিত স্কলারদের মাধ্যমে আধুনিক উপ মতবাদ চালু হয়।
সব মতবাদকে গুনলে দেড়শো ছাড়িয়ে যাবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: নবী দঃ বলে গেছেন তার উম্মত ৭৩ কাতার হবে। ইমামগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই। ইমামগণের মতভেদ মাসয়ালার ক্ষেত্রে। আকীদার ক্ষেত্রে না। এক পক্ষ কখনোই আরেকপক্ষকে কাফের বলে নাই। প্রথম দিকে অনুসারীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছিলো। পরে তা কেটে যায়।
মতবাদ দেড়শো হলেও আকীদা হিসাব করলে কাছাকাছি ধরলে সংখ্যা কমে যাবে।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

কোথাও কেউ নেই বলেছেন: ভাই আপনার জানার মধ্যে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে।
১। ইজতিহাদঃ
প্রশ্ন হল ইজতিহাদ কি ?
Ijtihad is an Islamic legal term referring to independent reasoning[2] or the thorough exertion of a jurist's mental faculty in finding a solution to a legal question.
পর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞান, সততা থাকলে যে কেউ মুজতাহিদ হবার যোগ্যতা রাখেন।
Abu'l-Husayn al-Basri provides the earliest and most expansive outline for the qualifications of a mujtahid, they include:
1. Enough knowledge of Arabic so that the scholar can read and understand both the Qur'an and the Sunnah.
2. Extensive comprehensive knowledge of the Qur'an and the Sunnah. More specifically, the scholar must have a full understanding of the Qur'an's legal contents. In regards to the Sunnah the scholar must understand the specific texts that refer to law and also the incidence of abrogation in the Sunnah.
3. Must be able to confirm the consensus (Ijma) of the Companions, the Successors, and the leading Imams and mujtahideen of the past, in order to prevent making decisions that disregard these honored decisions made in the past.
4. Should be able to fully understand the objectives of the sharia and be dedicated to the protection of the Five Principles of Islam, which are life, religion, intellect, lineage, and property.[citation needed]
5. Be able to distinguish strength and weakness in reasoning, or in other words exercise logic.
6. Must be sincere and a good person
তাই,“সুন্নীরা মনে করে ইজতিহাদ করার ক্ষমতা শেষ। এটা সাহাবী, তাবেয়ী এবং তাবে-তাবেয়ী পর্যন্ত ছিল। “ একথা একদম ভুল।

২। “আইএসকে দিয়ে দুটি কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল। একটি হলো ইসলাম ধর্মের শান্তি ভাবমুর্তিতে আঘাত করা”।
আমার কথা হল ইসলামের ভাবমুর্তি রক্ষায় কারা এগিয়ে এসে ছিল।
ইরানই এসেছিল। তথা কথিত সভ্য সমাজ শুধু দূরে থেকে হা পিত্যেশ করছিল।
ইরান এগিয়ে না আসলে সিরিয়ার অবস্থা লিবিয়া বা তার থেকেও খারাপ হত।
৩। “ইয়ামেনের যুদ্ধে হুতিদের পেছনেও আছেন তিনি”
থাকতে পারেন ……
আরব বসন্তের সময়, অনেক এক নায়কের মত, ইয়েমেনের Abdrabbuh Mansur Hadi ও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তখন থেকেই হুতি দের উথান।
আপনি সউদি আরবের বিমান হামলার ব্যাপারটা দেখলেন না। ইয়েমেনের ভয়াবহ মহামারির পেছনে আমিরাত, এবং সউদির অবদান কোন অংশে কম নয়।
৪। হামাস গঠনেও তার ভূমিকা আছে।
এখানেও আপনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন।
Hamas was founded in 1987, soon after the First Intifada broke out, as an offshoot of the Egyptian Muslim Brotherhood, ( source: wikipedia)
Saudi Arabia supplied half of the Hamas budget of $50 million in the early 2000s,[117] but, under U.S. pressure, began cut its funding by cracking down on Islamic charities and private donor transfers to Hamas in 2004,( source: wikipedia)
After 2009, sanctions on Iran made funding difficult, forcing Hamas to rely on religious donations by individuals in the West Bank, Qatar, and Saudi Arabia.
হামাস একটি সুন্নি গ্রুপ ,( source: wikipedia)
আপনার যুক্তি অনুযায়ী, ইরান শিয়া হয়ে, তাকে সাহায্য করবে কেন ?
৫। কথা হলো- শিয়ারা জিতলে সুন্নীদের লাভ কী! আসলে কোন লাভই নেই
Believers are like one body in their mutual love and mercy. When one part of a body is in bad health, the rest of the entire body joins it in restlessness and lack of sleep and is busy with its treatment. Likewise, Muslims should run to helping each other. [Bukhari]
অবশ্য আপনি শিয়া দের মুস্লিম মনে না করলে সেটি ভিন্ন ব্যাপার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ০১। আমি তো সুন্নীদের আকীদার কথা বলছি। যারা মাজহাব মানেন। আপনি আহলে হাদীস বা শিয়া হলে আমার পরামর্শ হবে অনেক লেখা পাবেন ইন্টারনেটে। মাজহাবের পক্ষে। সেখানে গিয়ে যুক্তি দিন। আমি নিজে মুকাল্লিদ। তবে বিষয়টি নিয়ে তর্ক করতে চাইনা। লিংক দিয়েছিলাম একটা লেখার। কাজ করছেনা।

০২। ইরান বিভিন্ন দেশে মিলিশিয়া পালছে। এটাকে এগিয়ে আসা বলেনা। এখানে ধর্মের কোন ব্যাপার নেই। ব্যাপার হচ্ছে শিয়া প্রভাব বজায় রাখা।

০৩। ইয়ামেনে সৌদী হামলার ব্যাপারে কোন বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারেনা। তবে হুতিদের সাহায্য করে সেটাকে জিউয়ে রাখার চেষ্টা করছে ইরান। ইয়ামেনের বসন্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ পেছনে ছিলো- শিয়া মদদ।

০৪। আমি হামাসের গঠন বলেছি। প্রতিষ্ঠা বলিনি। ইরানের সহায়তা পায় হামাস - এটাতো অস্বীকার করতে পারবেন না। ইরানের মানুষ চাকরি পায়না। বেকারত্ম সমস্যা প্রকট। অথচ ইরান ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে মিলিশিয়া পালছে। হিজবুল্লাহর একজন সদস্য মাস শেষে ইরানি অর্থ পাচ্ছে। অথচ একজন সাধারণ ইরানির অবস্থা কাহিল। একারণে কিছুদিন আগে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো। সরকার এটাকে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দমন করে। ইয়ামেনে আরব বসন্ত। আর ইরানে এটা ষড়যন্ত্র । তাইতো! যাই হোক যে ব্যক্তি বা দেশ মিলিশিয়া গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন, দেশে দেশে যুদ্ধ অশান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন, এমন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বা দেশের জন্য আমার যুক্তি প্রবল হয়। আবেগ নয়।

০৫। আমি কাউরে অমুসলিম বা মুসলিম মনে করার মতো জ্ঞানের অধিকারী নই। তবে তাদের মধ্যে কড়া শিয়া যারা আছেন- তাদের আকীদা জানুন। তারপর আমাকে বলবেন- তারা কী?

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে রুহানী নন। সাবেক প্রেসিডেন্ট খাতামী বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। উপরের কমেন্টটা সংশোধন করে দিলাম।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

যুলকারনাইন বলেছেন: মধ্য প্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমেরিকা আর ইসরায়েলের কর্তৃত্ব খর্ব করতে সুলায়মানী যা যা করার করেছেন। দীর্ঘ ৪০ বছর ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে তিনি কাজ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি শিয়া মতাদর্শের অনেক কিছুকেই সমর্থন করি না, এবং আসাদের ব্যাপারে ইরানের অবস্থানকেও না। তবুও যদি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রাধান্য দেন, তাহলে ইসরায়েলের চেয়ে আসাদ অনেক ভাল। আর সুলায়মানি কিন্তু শিয়া সুন্নী মতভেদ করেন নি। তিনি আমেরিকা-ইস্রায়েল-সৌদি'র দুশমনদের হাতকে শক্তিশালী করেছেন। আমেরিকার দায়েস প্রজেক্ট বন্ধ করিয়েছেন। পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যেসব মিলিশিয়াকে তিনি প্রেট্রোনাইজ করেছেন তারা তাকে যথেষ্ট মান্য করত এবং তারা শিয়া হোক বা সুন্নী হোক, ইরান বিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত ছিল।
সম্প্রতি ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততা ছিল বলে মনে হয় না। বরং যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় সুলায়মানী নিহত হয়েছেন, আমি মনে করি এটা তারই একটা অংশ ছিল।
নিজের দেশের জন্য সদা নিবেদিত প্রাণ, নিভৃতচারী একজন দেশপ্রেমিককে সম্মুখ সমরে নয় বরং আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে হত্যা করা হয়েছে। তাই এর নিন্দা জানানো প্রত্যেক দেশপ্রেমিক সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিরোধী মানবিক নাগরিকের কর্তব্য।
সাম্রাজ্যবাদ কিন্তু কাউকে হত্যা করার সময় পার্থক্য করে না কে সমাজতন্ত্রী, কে শিয়া, কে সুন্নী।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যুলকারনাইন বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদ কিন্তু কাউকে হত্যা করার সময় পার্থক্য করে না কে সমাজতন্ত্রী, কে শিয়া, কে সুন্নী।

- সহমত

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

নতুন বলেছেন: ট্রাম্প একটা চাপে আছে আর সামনে নিবাচন তাই এটা একটা সোঅফ, বেচারা বলির পাঠা মাত্র।

জনগন আর মিডিয়ার নজর ঘোরানোর জন্যই এই হামলা।

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়তে আবার এলাম।

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার আলোচনা হচ্ছে। লেখাটাও চমৎকার ও তথ্যবহুল। হাজি কাশেমকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের স্ট্রাটেজিক ব্যালেন্সম্যান হিসেবেই বরং আমি মনে রাখবো। সমরবিদ্যায় কৌশলী এই মানুষের জন্য প্রচুর ঘাম ঝড়েছে মার্কিন যুক্ত বাহিনীর। এরফলে মধ্যপ্রাচ্যে চিত্রনাট্যে ইরানের চরিত্র আবার শক্তিশালী হয়েছে। দেখা যাক সামনের পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়। তবে আমার মনে হয় ইরান যেমন ব্যাকফুটে চলে গেছে এই ঘটনার পর, ওদের সেখান থেকে সামনে এগুতে কয়েক দশক লাগার কথা, এর মধ্যে পটভূমি পরিবর্তন তো হবেই।

আলোচনা চলুক। সবার মন্তব্য পড়ে আবার আসবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.