নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূতন প্রজন্ম ও তাদের আচরণ নিয়ে কথা বলার দরকার

০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

দেশের নূতন প্রজন্ম নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷ নূতন প্রজন্ম ও তাদের আচরণ নিয়ে কথা বলার দরকার৷ মাঝে মাঝে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি৷ আমার প্রজন্মের সাথে তাদের পার্থক্য সুস্পষ্ট৷ আমি কিছু বলার আগে চলুন শুনে আসি প্রাচীনকালের প্রবীণরা তাদের সময়ের নূতনদের সম্পর্কে কী ধারণা করেছেন৷

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো। তিনি দার্শনিক সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এস্টিটল। প্লেটো তার পরবর্তী জেনারেশনের কর্মকান্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের মধ্যে এসব কী হচ্ছে? তারা তাদের বড়দের অসম্মান করে, পিতামাতার অবাধ্য। আইন উপেক্ষা করে। উগ্রতার আগুনে রাস্তায় দাঙ্গা হাঙ্গামা করে। তাদের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে। কী হবে তাদের?’ প্লেটোর পরের যুগ ছিল এরিস্টটলের। এরিস্টটলের জেনারেশন নিয়ে প্লেটোর এই উদ্বিগ্নতা। খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে ৩ শ বছর আগের মানুষ প্লেটো। পরবর্তী প্রজন্মের বিষয়ে তার এই বক্তব্য দেখলে মনে হয়, আরে এতো আমারই কথা।

প্লেটোর আগের প্রজন্মও একই মত দিয়ে গেছে। সক্রেটিস কী বলেছেন দেখুন। তিনি বলেছেন, “শিশুরা এখন বিলাসিতা পছন্দ করে; তাদের আচরণ খারাপ, কর্তৃপক্ষের প্রতি রয়েছে অবজ্ঞা; তারা প্রবীণদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে এবং কাজের জায়গায় বকবক করে। শিশুরা এখন স্বেচ্ছাচারী, তারা বাড়ির প্রতি অনুগত নয়। প্রবীণরা ঘরে প্রবেশ করলে তারা ওঠে দাড়ায় না। তারা পিতামাতার বিরোধিতা করে, সঙ্গীর সামনে বকবক করে, খাবার টেবিলে আড্ডা দেয়, পায়ের ওপর পা ফেলে রাখে এবং তাদের শিক্ষকদের যাতনা করে।"

শুধু প্লেটো বা সক্রেটিস নয়৷ সক্রেটিসের সাড়ে চার হাজার বছর আগেও মানুষ এমন ভাবতো। কয়েকদিন আগে ভারতের বিখ্যাত লেখিকা সুধা মূর্তির বক্তব্য শুনছিলাম৷ সুধা মূর্তির এখনকার পরিচয় তিনি ইংল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শাশুড়ি। তিনি একবার মিশরের পিরামিড দেখতে যান। এসময় একজন হায়ারোগ্লিফিক বিশষেজ্ঞ তার সাথে ছিলেন। পিরামিডের ভেতরে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে অনেক বাণি লেখা রয়েছে। তিনি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এহুলোর অর্থ জেনে নেন। ইতিহাস শোনেন। একবার একটি বড় হায়ারোগ্লিফিকে তার চোখ আটকে যায়। তিনি বিশেষজ্ঞের কাছে জানতে চান, এতে কী লেখা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ জানালেন,  পিরামিডের প্রতিষ্ঠাতার একটি বাণী এখানে লিখে রাখা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে উদ্বিগ্নতার বিষয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ''পরবর্তী প্রজন্ম সময়কে সম্মান করেনা। অর্থকে সম্মান করেনা। বড়দের সম্মান করেনা। তাদের কমনসেন্সও কম। কর্মঠ না। আমি আসলেই জানিনা তারা কীভাবে টিকে থাকবে।''

সাত হাজার বছর আগেও নবীনের প্রতি একজন প্রবীণের একই ধরণের অভিযোগ৷ সবগুলো নেতিবাচক৷ অভিযোগগুলো বহু পুরাতন। সম্ভবত সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে৷ এসব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো- তারা বড়দের সম্মান করেনা। এ কারণে পূর্বপুরুষরা শিশুদের মননে মগজে একটা বিষয় প্রোথিত করতে চেয়েছেন। তা হলো, বড়দের সম্মানের বিষয়৷ এ কারণে শিশুরা হাতেখড়ি থেকেই শিখে, বড়দের সম্মান করতে হয়৷

এবার আপনারাই বলুন৷ এসব নিয়ে লিখবো কীভাবে? নূতন প্রজন্ম নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা করলেও থমকে যাই। কারণ নবীনদের প্রতি প্রবীনদের চিরায়ত স্টেরিওটাইপে আটকে গেছি কীনা তা নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি। 

অন্যদিকে নূতন প্রজন্ম নিয়ে যা লিখতে চাই- তার সবগুলো আড়াই হাজার বছর আগে সক্রেটিস, প্লেটো লিখে গেছেন৷ সাত হাজার বছর আগে পিরামিডের প্রতিষ্ঠাতা ভেবে গেছেন৷ এখন বললেও তার পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই হবেনা৷

এত কিছুর পরেও দেশের নূতন প্রজন্ম নিয়ে যদি একই অভিযোগ করি তা কী অমূলক হবে!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় এই অভিযোগটা চিরকালই ছিল, আছে এবং থাকবে।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫১

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আসলেই। তবে আগে ইন্টারনেট ছিলনা। এখন ইন্টারনেট প্রজন্ম। জেনারেশনের হঠাৎ গ্যাপটা খুব বেশি। অভিযোগটাও বেশি।

২| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ এই ব্যাপারে দেখি চিরকালই সবাই অসন্তুষ্ট।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আসলেই আপু। আমার গবেষণা অন্তত সেটাই বলছে।

ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: যে কজন দার্শনিকের কথা বললেন তারা সবাই ছিলো রক্ষনশীল সমাজের লোক।সমাজকে ভেঙ্গে নতুন সমাজ গঠনের কথা তাদের দর্শনে ছিলো না।
আজকে সময় এসেছে,পুরোন সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গঠনের।তাই তারা প্রাচীনকে সহ্য করতে পারছে না।এটা প্রগতির জন্য ভালো।বয়সে বড় হলেই তার বেঠিক কথা মেনে নিতে হবে এটা ঠিক না।ঠিক বেঠিক নির্ধারণ করতে হবে বিজ্ঞান দিয়ে,বয়স বা ধর্ম দিয়ে নয়।
ব্রুনোকে হত্যা করা হয়ে ছিলো সত্যি কথা বলার জন্য।কারণ সে কথা ধর্মের বিরুদ্ধে যায়।তিনি বলেছিলেন পৃথিবী গোল।কিন্তু ধর্মীয় সব কিতাবে লিখা আছে পৃথিবী সমতল।
আজকে মোল্লারা উঠে পড়ে লেগেছে এটা প্রমান করতে যে,কোরানে আছে পৃথিবী গোল।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়। বিশ্বাস মনে শান্তি দেয়। এ নিয়ে ক্যাচাল না করি!
তবে নূতন প্রজন্মকে খেয়াল করে দেখবেন। এদেশে কী একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠছে।
ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

নতুন বলেছেন: প্লেটোর আগের প্রজন্মও একই মত দিয়ে গেছে। সক্রেটিস কী বলেছেন দেখুন। তিনি বলেছেন, “শিশুরা এখন বিলাসিতা পছন্দ করে; তাদের আচরণ খারাপ, কর্তৃপক্ষের প্রতি রয়েছে অবজ্ঞা; তারা প্রবীণদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে এবং কাজের জায়গায় বকবক করে। শিশুরা এখন স্বেচ্ছাচারী, তারা বাড়ির প্রতি অনুগত নয়। প্রবীণরা ঘরে প্রবেশ করলে তারা ওঠে দাড়ায় না। তারা পিতামাতার বিরোধিতা করে, সঙ্গীর সামনে বকবক করে, খাবার টেবিলে আড্ডা দেয়, পায়ের ওপর পা ফেলে রাখে এবং তাদের শিক্ষকদের যাতনা করে।"

এই কথা সক্রেটিস বলেন নাই। এটা সম্ভবত বানানো।

সময়ের সাথে পরিবর্তন আসে।

আমাদের দেশে সম্ভবত মুরুব্বি, বড় অফিসার এরা লোক দেখানো সন্মান পছন্দ করেন। তারা মনে করেন তারা তাদের চেয়ে বেশি সন্মানীদের সালাম দেবেন। কিন্তু ছোটরা বা নিচু পদ বা দরিদ্ররা তাদের আগে সালাম দেবেন। পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবে। <<<< এমন অনেক কিছুই আছে যেটা অযৌক্তিক কিন্তু অহংকারীরা মনে মনে এটা আশা করে।

সময় পাল্টাচ্ছে এখন সবাই জানে সালাম যে আগে দেবে সেটা ভালো, বড়রাও ছোটদের সালাম আগে দিতে পারে, পায়ে হাত দিয়ে সালাম ধর্মের কোন নির্দেশ না। <<< এমন অনেক কিছুই পোলাপাইন জানে তাই তারা এটা করতে চাইবেনা।

বাইরের দেশে কাজের ক্ষেত্রে সবাইকেই সন্মান করার কালচার আছে। বড় কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেই কাউকে হয়রানি করতে পারেনা তাই দেশের তৈলমর্দন কালচার ঐখানে নাই।

আর পরিবর্তন আসেবই।

আমার বাবা লাগন গীতি শুনতেন আর আমাদের ব্যান্ডের গান শুনে বলতেন কি সব শোনে? এই গুলি গান হইলো... X((

এখনার ছেলেরা ইও ইও হানী সংএর গান শোনে আর আমরা বলি এই গুলি গান হইলো... =p~

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমার প্রতিটি লেখা অনেক গবেষণার ফল। চেক রিচেক না করে লিখিনা। সক্রেটিসের নামে বানানো কথা লিখবো কীভাবে ভাবলেন! আপনি চেক করে দেখতে পারেন। সক্রেটিস বলছে কীনা! যে বই থেকে নিয়েছি সেটার রেফারেন্স দিলাম। ধন্যবাদ।

The children now love luxury; they have bad manners, contempt for authority; they show disrespect for elders and love chatter in place of exercise. Children are now tyrants, not the servants of their households. They no longer rise when elders enter the room. They contradict their parents, chatter before company, gobble up dainties at the table, cross their legs, and tyrannize their teachers.
William L. Patty and Louise S. Johnson, Personality and Adjustment, p. 277 (1953).

৫| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: সভ্য দেশগুলো অবস্য এই কন্সেপ্ট চেঞ্জ করে ফেলেছে। অল্পবয়সীদের খারাপ আচরনের দায় এখন পিতামাতার উপড় চাপানো হয়। সেই সাথে স্কুল কলেজের শিক্ষকদের উপড়ও চাপানো হয়। সন্তানদের ভাল পরিবেশে বড় করাটা যেমন পিতামাতার দ্বায়িত্ব তেমনি একজন শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব স্কুলের।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেখাটা অন্যভাবে বলেছি। সোজা কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম চরম বেআদব হিসেবে বড় হচ্ছে। ইন্টারনেটের কুফল বলা যায়। লেখাপড়ার কোয়ালিটিও তো গড়ে আশানুরূপ নয়। পাড়ায় পাড়ায় গ্যাং কালচার। ভয়াবহ ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ। দেশে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র দুইটা আছে। আরো বানাতে হবে। একটি কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। উপচে পড়ছে। তাদের গা হিম করা অপরাধ। কোনো একদিন লিখবো।

এজন্য পরিবার সমাজ শিক্ষা সবাইকে দায়ী করা যায়। কী একটা অস্থিরতা সবখানে! যার সাইড অ্যাফেক্ট এই প্রজন্মের ব্যবহার।


ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সব প্রজন্ম মনে করে তাদের প্রজন্ম সেরা।
এখনকার তরুণরা নষ্ট হবার পেছনে প্রধান দায় পরিবারের।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত।
পরিবার সন্তানের চরিত্র গঠনের সুতিকাগার।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার রেফারেন্স দেয়া উচিত ছিলো সক্রেটিসের বই থেকে।তার সব লেখাই অন লাইনে আছে।এটা আপনি কি রেফারেন্স দিলেন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই আপনি কী বললেন! সক্রেটিস কী বই লিখে গেছেন না কি! তার বক্তব্য পাওয়া যায় প্লেটোর লেখায়।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪০

নতুন বলেছেন: আপনার কোটেসনটা পরে আমার একটু খটকা লাগাতে আমিও একটু গুগুলে খোজ নিয়েই আপনার ওখানে মন্তব্যটা করেছি।
জনগন পোলাপাইনের আচরনে বিরক্ত থাকে তাই মুরুব্বিরা ভালো লাইন পাইলে একটু বেশি আরাম পায় ব্যবহার করতে।

আপনি যেই বইতে এটা পেয়েছেন তারা এই লাইনগুলি পেয়েছিলেন 1908, তে লেখা একটা বইতে “Schools of Hellas: an Essay on the Practice and Theory of Ancient Greek Education from 600 to 300 BC” by Kenneth John Freeman, (First impression 1907), page 74, Macmillan and Co., London. (Google Books full view, Internet Archive) নিচের লিংকের page 74 এ দেখেন।

লেখকের কথা এইগুলি, এবং এখানে উনি সক্রেটিসের কথা বলেননাই।

Click This Link

আর নিচের সাইটে এটা যে সক্রেটিসের লাইন না সেই সম্পর্কে আরো তথ্য পাবেন নিচে।

Click This Link

https://www.cjonline.com/story/opinion/columns/2019/10/15/mike-hall-popular-quotes-often-misattributed/2526255007/

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

আরইউ বলেছেন:




সায়েমুজজ্জামান,

নতুন সম্ভবত ভুল বলেননি। সক্রেটিস আদতে ঐ কথা বলেছিলেন কিনা তা নিয়ে তর্ক আছে, এ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে। যদিও অনেকে বিশ্বাস করে কথাগুলো সক্রেটিসের বলা, ইউএস লাইব্রেরী অব কংগ্রেস-এর গবেষণা কিন্তু বলছে “Evidently, the quotation is spurious”।

“This passage was very popular in the 1960s and its essence was used by the Mayor of Amsterdam, Gijsbert van Hall, following a street demonstration in 1966, as reported by The New York Times, April 3, 1966, p. 16.

This use prompted Malcolm S. Forbes to write an editorial on youth.—Forbes, April 15, 1966, p. 11. In that same issue, under the heading “Side Lines,” pp. 5–6, is a summary of the efforts of researchers and scholars to confirm the wording of Socrates, or Plato, but without success. Evidently, the quotation is spurious.”

সূত্রঃ Respectfully Quoted: A Dictionary of Quotations Requested from the Congressional Research Service. Washington D.C.: Library of Congress, 1989.

বইটির ৪২ নাম্বার পাতার ১৯৫ নাম্বার কোটেশনটি দেখুন।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১:০১

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু চিন্তার উদ্রেক করে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, নতুন প্রজন্ম ও তাদের আচরন নিয়ে কথা বলা আবশ্যক। এবং এটি নিয়ে কথা বলতে গেলে কথার পিঠে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা চলে আসে : অগ্রজ প্রজন্ম, তাদের দর্শন-আচার-ব্যবহার ও দায়বদ্ধতা নিয়েও কথা বলা আবশ্যক।

যে বাবা -মা নিজে দূর্নীতি করেন বা প্রশ্রয় দেন, তার সন্তানেরা আসলে কতটা ভাল হবেন?

যে বাবা-মায়েরা সন্তানের জন্য পরীক্ষার প্রশ্ন কিনে নিয়ে আসেন, তাদের সন্তানেরা আসলে কতটা নীতিবান হবেন?

যে বাবা-মা অন্যকে ঠকানোকে স্বাভাবিক বা অন্যের দূর্বলতা ভাবেন, তার সন্তানেরা কতটা সৎ হবেন?

ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পর্যন্ত সর্বত্র আমরা দেখছি অগ্রজেরা অপকর্ম করে চলেছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন, অপরাধীদের পার করে দিচ্ছেন শাস্তি এড়িয়ে।

শিক্ষাব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রেখেছেন এই অগ্রজেরাই।

আমরা অগ্রজেরাই যেখানে ঠিক নেই, সেখানে নতুনদের দোষ দেই কোন মুখে?

আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, "কোন সভ্যতা প্রজনন করি, কি আমার দায়ভার?"

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১:০৪

নতুন বলেছেন: প্রথমে আমি জিঙ্গাসা করি চ্যাট জিপিটি কে। আজ এই বিষয়ে ব্লগ লিখেছিলাম তাই ঐ খানেই প্রথম ক্লু পেলাম যে এটা হয়তো সক্রেটিসের না।

This quote is often attributed to Socrates, but there's no direct evidence that he actually said or wrote these words. The sentiment expressed in the quote aligns with Socratic themes, particularly his concern for the moral education of the youth and his critiques of contemporary society. However, without definitive evidence from Socrates' own writings or contemporaneous sources, it's difficult to confirm whether he truly uttered these words. It's possible that the quote is a paraphrase or interpretation of Socratic ideas by later writers.

তারপরে গুগুলে এই সম্পর্কে আরো খোজ করলে আরো তথ্য পাই।

আপনি যদি সক্রেটিসের কোন লেখায় এটা পেয়ে থাকেন তবে সেয়ার করবেন প্লিজ তবে আমার ভুল সুধরে নেবো।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১:১৩

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষের বড় একটা অংশ্য ভন্ডামীর ভাইরাসে আক্রান্ত।

নিজেরা ভালো না হলে তারা কিভাবে সন্তানদের ভালো কিছু শেখাবে?

বাবাদের প্রজন্ম যা শিক্ষা দেবে ছেলেদের প্রজন্ম তার চেয়ে খারাপই হবে।

দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার এই বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নাই।

দেশে ১৯৭১ এর মতন বড় কোন সংকটের মধ্যদিয়ে না যাওয়া পযন্ত বাংলাদেশীদের চরিত্র রিস্টাট হবার কোন সম্ভবনা সম্ভবত নাই। :|

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১:৩৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নতুনরাই ভাঙ্গবে বাধার প্রাচীর,
তারা ভালো মন্দর মাঝেই বড় হবে
অতপর, গড়ে তুলবে নুতন বিশ্ব ।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৩:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটিও বরাবরের মত খুব ভালো।

সক্রেটিস বিষয়ে উপরের কিছু কিছু কমেন্ট পড়লাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য সেটা কেউই বললেন না, কেননা কেউই মনে হয়না প্লাটোর লেখা কোন বই পড়েছেন।

সক্রেটিস তার জীবনে কোন গ্রন্থ লেখেননি, শুধু শিক্ষকতা করেছেন। অনেকটা কনফুসিয়াসের মত। তবে কনফুসিয়াসের দর্শন-শিক্ষা তার ছাত্ররা পড়ে লিপিবদ্ধ করেছেন, কিন্তু সক্রেটিের দর্শন-শিক্ষা লিপিবদ্ধ হয়নি। সক্রেটিস সম্পর্কে আমরা যে তথ্যগুলো জানি সেগুলো মূলত প্লাটোর জবানীতে। প্লাটোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বই "রিপাবলিক" যেটি কতগুলো চরিত্রের ডায়ালগ আকারে লেখা সেখানে সবচেয়ে জ্ঞানী চরিত্রটা সক্রেটিসের। অর্থাৎ এ বইয়ের কথাগুলো আসলে প্লাটোর, কিন্তু সক্রেটিস চরিত্রের মুখ দিয়ে বলা। অনেকটা রবীন্দ্রনাথের "গোরা" উপন্যাসে গোরার মুখ দিয়ে রাজনীতি, দেশ এবং ধর্ম নিয়ে বলা কথার মত, যেগুলো আসলে রবীন্দ্রনাথের কথা।

রিপাবলিক বইটির বাংলা একাডেমির বেশ পুরাতন কিন্তু খুব ভালো একটি অনুবাদ আছে। প্লাটোর প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ক আরো একটি বইয়ের (যেখান থেকে প্লেটোনিক প্রেম কথা টা এসেছে) বাংলা অনুবাদ আছে। এই বইটি ছোট একটা বই, রিপাবলিকের মত মোটা নয়, কিন্তু বহুল পঠিত । আর কনফুসিয়াসের উপর বই খানা আমি ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি থেকে নিয়ে পড়েছিলাম। লিবার্টি প্রকাশনীর সাদা রংয়ের একটা বই। বই খানা এতদিন পরে (২৫-২৭ বছর) সেখানে আছে কি না, জানা নেই।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১৮

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৮

ঢাকার লোক বলেছেন: প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একই ভাবনা চলে আসছে ! কার একটা লেখা পড়েছিলাম, "We do not realize our fathers were right until our sons tell us we are wrong!"

১৭| ০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: প্লেটোর বক্তব্যই তার বক্তব্য।রিপাবলিক বই য়ে যা লেখা আছে সবই সক্রেটিসের বক্তব্য।এটা লেখক নিজেই স্বিকার করেছেন।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৭

শেখ সোভানা ইয়াসমিন বলেছেন: একজন প্রগতিশীল লেখকের লেখা পড়লে চিন্তা শক্তি সুদৃঢ় হয়। আপনার প্রতিটি লেখায় সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং সাবলীল উপস্থাপনা দেখে অবাক হই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.