নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্লামুয়ালাইকুম,আমি মোঃ সারোয়ার হোসেন।To know me more plz go facebook & search সাদামাটা একটি ছেলে
মাননীয়,
প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়ঃরোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ানোর জন্য কড়জোর আবেদন,
জনাবা,
বিনীত নিবেদন এই যে,আমি মোঃরাব্বি সাহিদি সারোয়ার হোসেন,আপনার সুশাষিত বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক,আপনি তো ভালো করেই জানেন নাগরিক তাহাকেই বলে যাহারা ৫টি(অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা ও চিকিৎসা) মৌলিক অধিকারের সুবিধা পায়,আর আমি এটা পাই,এর জন্য প্রথমে মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া,তারপর আপনার প্রতি ধন্যবাদ,জনাবা আপনি একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর সন্তান,আপনার পিতা(আল্লাহ জান্নাতবাসী করুক) বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বাঙ্গালীপ্রেমী,বাংলাভাষা ও বাঙ্গালীদের অধিকারের জন্য তিনি জিবনের মূল্যবান সময়গুলো কাটিয়েছেন জেলে,আপনি তো তারই ঐরশজাত সন্তান,আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মিশ্রিত রক্ত আপনার শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হচ্ছে,
আপনাকে অনেক নিন্দুকেরাই অবৈধ সরকার বলে কিন্তু আমি এর বিরুদ্ধে কারন আমার বাবা-মা আমাকে এই -শিক্ষা দেননি,আর নিন্দুক না থাকলে কেউ কখনো সফল হতে পারেনা।
আমরা এটাও জানি আমাদের জন্যেও আপনার মন কাঁদে,
কিন্তু আমরা এতে সন্তুষ্ট না,আমরা আরাম-আয়েশ করে খাচ্ছি,আর আমাদের প্রতিবেশিরা (রোহিঙ্গা মুসলিমরা)অন্নহীন,বস্ত্রহীন,বাসস্থান-শিক্ষা ও চিকিৎসাহীন থেকে বহু কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে এটা তো হতে পারেনা,
তারা অভাবে থাকলেও মানা যেত কিন্তু তারা তো বিধর্মী শয়তান কাফের বৌদ্ধদের রোষানলের শিকার,
যারা প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে বাবার সামনে কুমারী মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট করছে,মায়ের সামনে ছেলের মুন্ডু কর্তন করছে,অবুঝ শিশুকে পুড়িয়ে মারছে,দুগ্ধদানকারী মায়ের স্তন কর্তন করছে,সংসারের কর্তা বাবাকে বেঁধে সবার সামনে গায়ের চামরা কেটে লবন দিয়ে যন্ত্রণা দিয়ে মারছে,
সকলের বাড়িঘর,গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে,যা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা গবাদি পশুরাও,
"যার চলে যায় সেই বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রনা" বলেছেন হায়দার চৌধুরী।
তিনি ঠিকই বলেছেন,কারন যার ব্যথা সেই তো বুঝবে,(আপনি যেমন বোঝেন আপনার বাবার চলে যাওয়াটা কত দুঃখের ছিলো)
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার পায় তার হুকুমেই হচ্ছে এসব তান্ডবলীলা,আর আমরা নিশ্চুপ,কারন নোবেলজয়ী বলে কথা,
আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে কি বলে জানেন?
নোবেল পুরুষ্কার নেওয়াটাই চরম গুনাহ,কারন নোবেল পুরষ্কারের জনক আলফ্রেড নোবেল ধ্বংশকারী "ডিনামাইট" আবিষ্কার করে হয়েছেন বিলিয়নিয়ার,আর সেই ধ্বংশকারীর টাকা দিয়ে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে নোবেল,সুদের টাকার যেমন কুরবানি হয়না,তেমনি সেই বেঈমান আলফ্রেড নোবেলের হারাম অর্জিত পয়সা কখনো হালাল হতে পারেনা,
জাতিসংঘের কথা আমি কি বলবো!যাদের মনে নেই কালেমার বানী তারা কি করে জাতি জাতির দন্দ-হাঙ্গামা ঠেকাবে?তারা তো নিজেরাই আবু জেহেল।
উমর ফারুক রাঃ-এর গুন তারা কোথায় পাবে?
জনাবা,
আজ আমাদের প্রতিবেশিরা নির্যাতিত নিপীরিত,তাদের কান্না ও হাহাকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে,যেন কারবালার ময়দানের আংশিক রুপমাত্র।
আজ বঙ্গবন্ধু থাকলে এটা হতোনা,হতে পারতোনা এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস,আমার মন বলে,
আমি জানিনা আমার এ লেখাটা আপনার কাছে যাবে কি না!
কিন্তু আফসোস!
যেখানে সরেজমিনে আপনার যাওয়ার কথা সেখানে গেলো তুর্কি প্রেসিডেন্ট মোঃ এরেদাগন ও তার স্ত্রী।
অতএব,
জনাবার নিকট বিনীত নিবেদন,দয়া করে আমাদের ভাইদের সাহায্য করুন,কারন আপনি মুজিব কন্যা,আপনাকে সাহায্য করতেই হবে কারন আপনি মুসলমান,আপনাকে যেতেই হবে কারন আপনারো সন্তান আছে,আজ যদি আপনার সন্তানকে এমন নির্যাতন করা হতো,জানি আপনি চুপ করে বসে থাকতে পারতেন না,আপনি বর্ডারে নজরদারি শীথিল করেছেন এর জন্য ধন্যবাদ,কিন্তু এতে তো আর সমাধান হবেনা,
যেই মায়ানমার আমাদের টয়লেটের সমান আয়তনের না,যেই মায়ানমারে আমাদের গ্রামের সমান মানুষ নেই,সেই মায়ানমার আমাদের কালেমাধারীদের আঘাত করছে এটা সত্যিই মাথা খারাপ করার মতো কথা,সত্যিই হৃদয়বিদারক কথা,
আমার একটাই অনুরোধ আপনার প্রতি,হয় তাদের সাহায্য করেন,নয় তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনুন,অথবা আমাদের ঘোষনা করে দিন,আমাদের বাপ-দাদারা যেভাবে বাংলাদেশটা স্বাধীন করেছে,আমরা সেভাবে সমগ্র মায়ানমারটা দখল করবো,যেখানে থাকবেনা কোন অন্যায়-অত্যাচার।
নতুবা,
তাদের বাংলাদেশে আনুন! তাদের সহায়তা করতে আমাদের ব্যবহৃত সকল পণ্যের উপর ভ্যাট বর্ধন করুন,চাল-ডাল-তরিতরকারি সবকিছুর দাম বাড়ান তবু তাদের সাহায্য করুন!
তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন!
আর আমার কথায় কোন ভুল হলে নিজ গুণে ক্ষমা করুন!
নিবেদক,
৮/৯/১৭ইং সাহিদি সারোয়ার
[email protected]
©somewhere in net ltd.