নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্লামুয়ালাইকুম,আমি মোঃ সারোয়ার হোসেন।To know me more plz go facebook & search সাদামাটা একটি ছেলে
সারাসিন সভ্যতা।
------------------
পৃথিবীর মানব সমাজে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে,কোন মহামানব তার লৌহমুষ্টিতে কোন সভ্যতাকে ধরে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। কখনও কোন সভ্যতাই একজন ব্যক্তি দ্বারা গড়ে ওঠেনি।
শুধুমাত্র সারাসিন সভ্যতাই হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর প্রভাব দ্বারা গড়ে উঠেছিল।
৫৭০ খৃষ্টাব্দে তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন আরব অধ্যুষিত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য পৌত্তলিক কুসংস্কারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ গোত্রবিরোধের দলাদলি,প্রতিহিংসা,খুন-খারাবি,রক্তারক্তি ও যুদ্ধবিগ্রহে মেতেছিল।আরব-মধ্যপ্রাচ্য ঘোর তমসাচ্ছন্ন ছিলো।
৬১০ খৃষ্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ ﷺ নবুয়ত লাভ করেন--ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।
পেঁচা যেমন দিনের আলো সইতে পারেন না,জলাতঙ্ক রোগী যেমন পানি দেখলেই আতঙ্কে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে,তেমনি আরব পৌত্তলিক কাফিররা হযরতের অসার পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে আমূল পরিবর্তিত নতুন সমাজব্যবস্থার কথা বলার কারনে আতঙ্কে ক্ষিপ্ত হয়ে হযরত মুহাম্মদ ﷺ সহ রসুল পন্থীদের উপর ভীষণ নির্যাতন শুরু করেন।
মদিনায় গিয়েও(হিযরত করেও) তিনি শান্তিতে থাকতে পারেন নি!
৬২৭ খৃষ্টাব্দে মক্কাবাসীরা মদিনা আক্রমণ ও অবরোধ করে রাসুল ﷺ এর আত্নরক্ষার জন্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহন ছারা আর কোন উপায় থাকেনা।
তিনি(ﷺ) মদিনার চর্তুপার্শ্বস্থ রোমান সভ্যতাভিমানী বৈরী খৃষ্টানদের দমন করে তাদের দুর্গগুলো দখল করে নেন এবং তত্রস্থ ইহুদীদের বারবার চুক্তিভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার পরিশেষে ওদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে মদিনাকে প্রাচীর ও পরিখাবেষ্টিত করে দুর্ভেদ্যভাবে তথ্য সামরিকভাবে সংরক্ষিত করেন।
হযরত মুহাম্মদ ﷺ কেবল নবুয়্যতের অধিকারী ছিলেন তা নয়,তিনি যে কেবল আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তিশালী পালোয়ান ও তৎকালীন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় রণদুর্মদ দিগ্বিজয়ী ফিল্ড মার্শাল ছিলেন কেবল তা নয়।
আল্লাহ পাক অভিপ্রেত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় উন্নত পুতুলপ্রিয় রোমান সভ্যতার প্রভাবিত পৌত্তলিক পৃথিবীকে পদানত ও সংশোধন করার জন্য,তখনকার বিশ্বসেরা হযরত আলী রাযঃ,হযরত আমির হামযা রাযঃ প্রমুখের সমণ্বয়ে একেবারে সম্পূর্ণ অভিনব দিগ্বিজয়ী সমরকৌশল সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। রাতদিন অত্যুন্নত জ্ঞাণচর্চার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা ও সমর নৈপুণ্য এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল যে,প্রত্যেকটি সৈনিক শক্তি-সামর্থে ও সামরিক প্রশিক্ষণে অন্তত(১০)দশজন শত্রুর সাথে লড়তে পারে।
কাফিররা দুরে থাকুক,পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যখন আত্নঅহংকারে স্ফীত হয়ে গতানুগতিক জ্ঞাণ-বিজ্ঞাণ নিয়ে ফাকা আত্নম্ভরিতায় অলস জীবনযাপন করছে,তখন মদীনার একান্ত সংখ্যালঘু অকপট সহজ-সরল মিষ্টভাষী,মিতব্যয়ী আরববাসীর একান্ত সাধারন পোষাকের আড়ালে, সবারই অতি অগোচরে শক্তি বিজ্ঞান,সমর বিজ্ঞান,সংখ্যা বিজ্ঞাণ(এল-জাবরা),দর্শন ন্যায়শাস্ত্র,অলঙ্কারশাস্ত্র ও বাগ্মীবিদ্যায় গতানুগতিক পণ্ডিত ছিলেন,তা নয়;
বিভিন্নজন বিভিন্ন পারদর্শিতায় দিনরাত উদ্ভাবন সূত্র আবিষ্কারে ব্যাপৃত থেকে তারা প্রায় সর্বসূত্রেই বিশ্ব গুরুরুপে অধিষ্ঠিত হয়ে পরেছিলেন।
এভাবে প্রায় প্রত্যেক মুসলমানকেই সাধারনের বহু ঊর্ধ্বেই গঠণ করা হয়ে গিয়েছিল। অথচ বাহ্যিক দৃষ্টি প্রত্যেককেই সাধারনের চেয়ে আরো সহজ-সরল ছারা আর কিছুই মনে হতোনা। শক্তির দিক দিয়ে তারা যে হস্তীতূল্য,সমরকৌশলে বাঘ-সিংহের অনুরুপ,জ্ঞাণে যে মহাসাগর---এসবই তাদের(সাহাবীদের) সাধারন পোষাক ও মধুর বিনয়ে এমনভাবে চাপা পরে থাকতো,প্রত্যক্ষ সংস্রব ও হস্তক্ষেপ ছারা সাধারন দৃষ্টিতে কল্পনারও ক্ষমতা ছিলোনা।
অর্থ্যাৎ বাক-বিলাসে নয়,গুণেও তারা দুনিয়ার সেরা ছিলেন।
মক্কাবাসী কাফিরদের ছিলো প্রতিহিংসা,পরশ্রীকাতরতা,প্রতিশোধ-হাঙ্গামা নিয়ে উন্মত্ত। জ্ঞাণে-গুনে তারা কেউ উন্নত ত ছিলই না,তারা কল্পনা করতেও জানত না যে,একজন লোক যদি সারারাত ঘুমায়, আর অন্য একজন লোক যদি সারারাত প্রশিক্ষণে কাটায়,ভোরে দুজন একত্রে হলে তাদের সঙ্গে কতো যে পার্থক্য পরিবর্তন হয়ে থাকে,আর এই বিনিদ্র রজনী যাপিত লোকটি যদি বছরের পর বছর সাধনা নিয়েই এগিয়ে যেতেই থাকে তাহলে প্রথম অলস (অলস অর্থ্যাৎ মুর্খ) লোকটির পক্ষে তার কোন তুলনাই চলতে পারে না।
প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মক্কার শিক্ষিত নামধারী অনভিজ্ঞ কুরাইশরা এসব কিছুই অনুধাবন না করে গায়ের জোরে হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর সঙ্গে বোকার মতো যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরে। বিশ্বসেরা বিভিন্ন জ্ঞাণে গুনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীরদের সাথে তাদের টিকে যাবার তাদের কোন উপায়ই ছিলোনা।
ফলে প্রতিটি যুদ্ধেই তাদের (কাফিরদের) পরাজয়ের পর পরাজয়ই হচ্ছিলো।
বিজয় তাদের ভাগ্যে কোনদিনই ছিলোনা!
মুসলমানরা একান্তই সংখ্যালঘু ছিলেন;তবুও বৃহত্তম আরব তাদের পকেটে ছিল।
মক্কা ও মদীনাবাসীদের মধ্যে বহু ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। অবশেষে ৬২৯ খৃষ্টাব্দে মহানবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ মক্কা দখল করেন।
কুরাইশরা আত্নসমর্পন করে।
শত্রুপক্ষের দ্বারা প্রস্তারাঘাতে তার পবিত্র দাঁত ভাঙ্গা থেকে আরম্ভ করে অসংখ্য অকথ্য নির্যাতনের উত্তরে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সবাইকে সাধারন ক্ষমা করে দেন।
নিজেদের আচরণে আতঙ্কিত শত্রুপক্ষ রাসুল ﷺ এর দ্বারা প্রতিশোধাত্নক ভয়ঙ্কর কিছু আশা করেছিলো। সেস্থলে এমন অভাবনীয় শান্তির পূণ্য প্রস্রবণতূল্য প্রেমময় ক্ষমা ঘোষণা কাফিরদের উদ্বেলিত ও অভিভূত করেছিলো।
এমন মহামানবের প্রতি তাদের নির্যাতন স্মরণে তাদের অনেকের মনকেই সলজ্জ,পীড়িত করে তুলেছিলো এবং আবেগোদ্বেলিত বহু লোকের চোঁখ থেকেই সেদিন অশ্রু গড়িয়ে পরেছিলো।
মক্কার একান্ত সংখ্যালঘু মুসলমাদের উপর কাফিররা এতো অমানুষিক নির্যাতনই করেছিলো যে,তাদের প্রাণ নিয়ে সপরিবারে চিরতরে পলায়ন ও নির্বাসনদন্ড গ্রহণ ছারা উপায় ছিলোনা।মদীনায় গিয়েও তারা নিস্তার পাননি।
সেখানে গিয়েও প্রবল কুরাইশরা আক্রমনের উপর আক্রমন চালায়।
ইসলামের যুদ্ধ সংক্রান্ত মুলনীতি হলো আক্রান্ত না হয়ে
To be continue.....
চলবে......
সৌজন্যে→মোঃ রাব্বি সাহিদি সারোয়ার হোসেন।
Sahidesarwar.blogspot.com
©somewhere in net ltd.