নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন মুসলমান।[email protected]\nwww.Sahidesarwar.wapka.mobi

সাদামাটা একটি ছেলে

আস্লামুয়ালাইকুম,আমি মোঃ সারোয়ার হোসেন।To know me more plz go facebook & search সাদামাটা একটি ছেলে

সাদামাটা একটি ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টর্কিতা কি সত্যইি আছনে?

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৮

আস্সালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারকাতুহু!
সম্মানিত পাঠক
শুরুতেই বলি যদি মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়ার ধৈর্য আপনার থাকে তবে এই পোষ্টটি আপনার জন্য, নতুবা লেখাটি স্কিপ করে যেতে পারেন।
-------

পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করলাম আজকের আলোচনা।
আপনারা সকলেই জানেন যে আমরা মানুষজাতি সকল সৃষ্টিকূলের চেয়ে আলাদা একটি কারনে আর তা হলো আমাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার যথাযথ প্রয়োগের এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতার কারনে। আমরা প্রতিটা মানুষ স্বভাবত এবং বৈশিষ্টগতভাবে সকলে আনপ্যারালাল বা ইউনিক, যদিও কোন কোন মানুষের মাঝে আংশিক কিংবা সামান্য মিল থাকে তবুও দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাচেতনায় আমরা সকলে আলাদা আলাদা ও ইন্ডিভিউজাল।
একেকজন মানুষের মস্তিষ্কের আইকিউ লেভেল একেকরকম।
ধরুন আপনি বাইরে থেকে সাধারণ কিন্তু আপনার বুদ্ধিমত্তা অসাধারন,
আরেকজনের বাইরের এক্টিভিটিজ অসাধারন কিন্তু জ্ঞাণ খুবই সীমিত।
এটা প্রতিটা মানুষের DNA ও মস্তিষ্কের ক্যাপাসিটির উপর নির্ভরশীল।
আর এই তারতম্য আছে বিধায় আমরা সহজেই মানুষের মধ্যে মান নির্ণয় করতে পারি।
আমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তাকে আমরা সকলেই যার যার ধর্মমতে কেউ আল্লাহ, কেউ ভগবান, কেউ ঈশ্বর কেউবা গড বলে ডাকি।
আবার কেউ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয়।
যাই হোক ধর্মটা আমাদের মেইন সাবজেক্ট নয়, আমাদের মেইন সাবজেক্ট হলো আমরা প্রথমত মানুষ, তারপর ধর্ম।
কারন মানুষ আছে বিধায় ধর্মের উৎপত্তি, যদি মানুষ না থাকতো তবে ধর্মের কোন প্রশ্নই আসতো না।
(আমি সবাইকে পুনরায় স্মরণ করে দিতে চাই যে পুরো লেখাটি না পড়ে আমার পোষ্টের উপর মন্তব্য করবেন না)

এবার আসি ধার্মিকদের বিষয়ে,
যারা যেই ধর্মই পালন করুক না কেন তারা সদা সর্বদা সৃষ্টিকর্তাকে মান্য করেন,
তারপর তার ধর্মের যে টার্মস এন্ড পলিসি সেটা মানা তার জন্য মূখ্য, যদি সেই ব্যক্তি শুধু সৃষ্টিকর্তাকে মান্য করে আর তার ধর্মের টার্মস এন্ড পলিসি না মানে অথবা শুধু টার্মস এন্ড পলিসি মানে কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে মান্য না করে তবে সে কখনো ধার্মিক হতে পারে না।
একজন মানুষ ধার্মিক তখনই হতে পারে যখন সে সেই ধর্মের সম্পূর্ন টার্মস এন্ড পলিসি পুরোপুরিভাবে মেনে চলবে।
নতুবা তাকে সেই ধর্মের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে গণ্য করা যাবে না।
তাকে গন্য করতে হবে সেই সম্প্রদায়ে।
উদাহারণস্বরুপ;
একজন মাদ্রাসার শিক্ষক কিংবা মসজিদের ইমাম যতোক্ষণ হকের পথে কিংবা ইসলামের পক্ষে থাকবে ততোক্ষণ পর্যন্ত সে মুসলমান,
আর যখনই সে ইসলামের বহির্ভূত কোন কাজ করবে, ধরুন ধর্ষণ করলো সেই মুহুর্তে সে মুমিন মুসলমান রইবে না,
তখন তাকে গন্য করতে হবে মুসলিম সম্প্রদায়ে।
আর একজন মানুষের কর্মকান্ডের কারনে পুরো সম্প্রদায়কে কখনো দোষারোপ করা যাবেনা।
সেটা প্রতিটা ধর্মের ক্ষেত্রেই।
আরো সহজভাবে যদি বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায় তা হলে ফলাফল দাড়াবে, •আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজে যতোটুকু মেগাবাইট আছে আপনি শুধুমাত্র ততোটুকুই ব্যবহার করতে পারবেন তার অধিক নয়।
•একটি স্কুলে যদি ১ জন ছাত্র ফেল করে আর বাদবাকি ৯৯ জনই পাশ করে তবে সেটা মানসম্মত রেজাল্ট, এখানে একজনের কারনে সবাইকে ব্যর্থ বলা যাবে না।
•একটি পরিবারের ৪ টি সন্তানের মধ্যে যদি ১ জন বেয়াদব হয় তাহলে বাদবাকি ৩ জনকে বেয়াদব বলা যাবে না।

তদ্রুপ কোন ধর্মকে গোটা কয়েকজনের জন্য কখনো জঙ্গি কিংবা ভূয়া বলা যাবে না।
আমরা সকলেই প্রযুক্তি ও বিজ্ঞাণের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসী, কিন্তু বিজ্ঞাণের যে স্রষ্টা তার উপর বিশ্বাসী না।
আমরা সকলেই মনে করি একমাত্র বিজ্ঞান সকল কিছুর গোপন রহস্য সহীহভাবে উদঘাটন করতে পারে,
কিন্তু বিজ্ঞাণের মূল ভিত্তিকে আমরা মনে করতেও চাই না।
আমরা ভাবি এই ভূমন্ডল ও নভোমণ্ডলের মধ্যে যা কিছু আছে তা বিগব্যঙ বিষ্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি, অথচ এটা ভাবি না বিগব্যঙ কিভাবে আসলো,
এখন একদল বলবে স্রষ্টা কিভাবে আসলো?
স্রষ্টার বিষয়ে যখনই আপনার প্রশ্ন জাগে তখন বলতে হয় গননা বা হিসেবের ইউনিটকে নিয়ে, মূলত আমরা ১ থেকে গণনা আরম্ভ করি আর আমরা জানি যে সংখ্যা ১০ টি।
এখন ১০ থেকে যদি উল্টাপাশে গণনা করি তাহলে উত্তর আসবে, ৯>৮>৭>৬>৫>৪>৩>২>১>০...
০ এর পরে আর কোন সংখ্যা নেই,
অর্থ্যাৎ এখানে ০ হলো লাষ্ট স্টেজ।
তদ্রুপ লজিক্যালি সৃষ্টির পরের স্টেজ হলো স্রষ্টা যার পরে আর কেহ নেই।
এটা মানা কিংবা না মানা, বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।

যখন সৃষ্টির কোন অস্তিত্ব ছিলো না তখনো যেমন স্রষ্টা ছিলেন, আর যখন মহাপ্রলয়ে সকল সৃষ্টির বিনাশ হবে তখনো স্রষ্টা থাকবেন।
স্রষ্টাকে কখনো কোন প্রজাতি কিংবা মাখলুকাতের সাথে তুলনা করা যাবে না।
আমরা মানুষের মধ্যে তাদের বেশি মূল্যায়ন করি যাদের বিশেষ জ্ঞাণ আছে।
কিন্তু আপনারা কি কখনো বলতে পারবেন একজন বিশেষ জ্ঞাণের মানুষ সকল বিষয়ে জ্ঞাণী?
অবশ্যই না।
আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের নিউরন ততোটুকুই জানে যতোটুকু তার ক্যাপাসিটি বা স্টোরেজ এর বাইরে নয়।
এই লো লেভেল স্টোরেজ দিয়ে কখনো সৃষ্টিকুলের অধিপতি মহান স্রষ্টাকে বিচার বিশ্লেষণ করা চরম বোকামী।

স্রষ্টা আছেন বিধায় সৃষ্টির উৎপত্তি।
স্রষ্টা আছেন বিধায় আমরা এসেছি।
আমাদের জন্মগ্রহণের মেইন পয়েন্টে কিন্তু লক্ষকোটি শুক্রানুর মাঝে আমি কিংবা আপনি সিলেক্টেড হয়ে এসেছি,(বাবা-মায়ের সহবাসের সময় নির্গত বীর্যে)
যেই শুক্রানুগুলো আসার সুযোগ পায়নি তারা কিন্তু দুনিয়া কিংবা আমাদের সমন্ধে কিছুই জানে না, এখন তারা যদি আমাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এতে কি আমাদের কোন যায় আসে?
কারন তাদের জ্ঞাণ স্বল্প কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমিত ছিলো
তদ্রুপ কেউ যদি স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে ৬০ বছরে জিন্দেগীর স্বল্প সময়ে সীমিত জ্ঞাণের মাপকাঠিতে বিচার করে এতেও কিন্তু স্রষ্টার কোন যায় আসে না।
স্রষ্টাকে জানতে হলে গভীর উপলব্ধি থাকতে হবে।
• অনেকসময় আমরা দেখি বাবা-মা ঈদ বা পূজার সময় নিজেদের জন্য নতুন পোষাক না কিনে সন্তানদের জন্য কষ্ট করে হলেও দামী পোষাকটি কিনে।
• একজন বাবা বাজারে চা খেয়ে ৫ টাকা খরচ না করে সেই ৫ টাকা দিয়ে সন্তানের জন্য ৫ টি চকলেট কিনে বাসায় ফিরে,
• একজন সচ্চরিত্রা স্ত্রী ক্ষুধা পেটে শুধুমাত্র পানি খেয়ে স্বামীর জন্য বসে থাকে কখন স্বামী ঘরে ফিরবে তারপর একসঙ্গে খাবে।
• প্রবাসী সন্তানের জন্য মা জননী সর্বদা পথপানে চেয়ে থাকে, সবসময় হা-হুতাশে থাকে না জানি বুকের মানিকের কোন বিপদ হলো না তো!
• ৫ জনের পরিবারের বড় মেয়েটির বিয়ের পরেও ৫ টি প্লেটে অবচেতন মনে ভাত বাড়ানোর মাঝে গভীর উপলব্ধি থাকে।
এগুলো সাধারন কিছু লজিক,
তদ্রুপ স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করতে হলে আপনার গভীর উপলব্ধি এবং স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে,
নতুবা সাড়া দুনিয়ার মানুষও যদি আপনাকে স্রষ্টার অস্তিত্বের ব্যাপারে চাক্ষোস প্রমাণ দেয় তবুও আপনি বিশ্বাস করবেন না।

"আপনি যদি মনে করেন আপনার এই মুহুর্তে চরম অভাব এবং এমতাবস্থায় যদি স্রষ্টা আপনার সামনে এসে ১ লক্ষ টাকা দেয় অথবা চলতি পথে রাস্তায় ব্যাগভর্তি টাকা কুড়িয়ে পান কিংবা অলৌকিকভাবে কোন ভালো চাকুরি জুটে তবে অবশ্যই স্রষ্টা আছে।
আর না পেলে স্রষ্টা থাকতে পারে না, যেই স্রষ্টা তার সৃষ্টির অভাব বা কষ্ট উপলব্দি করতে পারে না সে আবার কিসের স্রষ্টা?"

তাহলে বিষয়টি দাড়ালো আপনি শুধুমাত্র স্বার্থপরের মতো স্রষ্টার কাছে চেয়েই গেছেন, অর্থ্যাৎ স্রষ্টার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক শুধু গ্রহণের বিনিময়ে।
আপনি স্রষ্টাকে মনে করেছেন চাহিবামাত্র পাইবার কারখানা বৈ কিছু নয়।
আপনি যদি নিজের অলসতায় অভাবগ্রস্ত হোন অথবা জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে দুঃখে জর্জরিত হোন, আর সেই ধকলটা আপনাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সেই মুহুর্তে নিজের ব্যর্থতা স্রষ্টার উপর চাপিয়ে দিয়ে তার কর্তৃত্ব অস্বীকার করেন তবে আপনি হচ্ছেন প্রথম সারির একজন গন্ডমূর্খ এবং দাচোকাবো

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.